নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কামরুল ইসলাম মান্না

কামরুল ইসলাম মান্না

ফ্রিল্যান্সার।। ইদানীং ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে জানতে ও পড়াশোনা করতে বেশ ভাল লাগছে।

কামরুল ইসলাম মান্না › বিস্তারিত পোস্টঃ

এ মহান অবদান কোন সভ্যতার!!

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:২১

ঘটনাটা আজকের। সময় সকাল ৭টা। স্থান যশোর কলেজের পাশে। সাত সকালে মানুষ জন চলাচল ধীরে ধীরে বাড়ছে। কিছু উৎসুক মানুষের দৃষ্টি একটি ব্যাগের দিকে। ব্যাগটি দেখতে নতুনই মনে হচ্ছে। কয়েকজন মিলে এগিয়ে গেলো ব্যাগটির দিকে। খুলে যা দেখলো তাতে হতবাক সবাই।



ব্যাগটির ভিতরে দেখা গেলো এই পৃথিবীর আলো-বাতাস দেখতে না পাওয়া এক অপরিণত শিশুকে। ধীরে ধীরে জনসমাগম হতে থাকলো। দেখতে থাকলো মানুষ, আর খুঁজতে থাকলো ঘটনা।



যাই হোক, এই হলো ঘটনা। আর সবার মত আমি কোন ঘটনা খুঁজি নাই। মনের ভিতর এমনিতেই কয়েকটি ঘটনার জন্ম হলো। তার মধ্য থেকে অন্যতম ঘটনাটি বলছি।



প্রদীপ আর শিখা (কাল্পনিক নাম)। দুইজনের সম্পর্ক বেশ কিছুদিনের। বিভিন্ন যায়গায় বিভিন্নভাবে তারা একে অপরের সাথে দেখা করে, কথা হয়। তো একদিনের ঘটনা-

- চলো না আমার এক ফ্রেন্ডের বাসা ফাঁকা আছে। ওখানে যাই। অনেক্ষণ গল্প করা যাবে, প্রাণ ভরে ভালবাসা যাবে। প্রদীপ বলছে।

- যাওয়াটা কি ঠিক হবে?শিখার উত্তর।

- কেন হবে না?

- আশপাশের লোক দেখলে কি ভাববে?

- আরে অত কিছু ভেবোনাতো। চলে আসো।

- আচ্ছা আসছি।

প্রদীপের বন্ধুর ফাঁকা বাসায় আসলেই অনেক কিছু হলো। দেখা হলো, কথা হলো, ভালবাসা-আদর-সোহাগ শরীর পর্যন্ত গড়ালো। এভাবেই বেশ কিছুদিন চলতে থাকলো এই অবস্থা। বেশ কিছুদিন পর-

- প্রদীপ। আমাকে বিয়ে করবে না?

- হা করবো তো।

- তাড়াতাড়ি যেভাবে হোক ব্যবস্থা করো।

- কেন? কি হইছে?

- আমার পেটে.........

- কি???

- হা প্রদীপ। আমি সত্যি বলছি।

- নষ্ট করে ফেলো। এই মুহুর্তে আমার পক্ষে বিয়ে করা সম্ভব না।

এরপর কান্না-কাটি, ঝগড়া-ঝাটি। তবে ঐ পর্যন্তই। সমাজে মুখ দেখাতে পারবে না এই ভয়ে শেষ পর্যন্ত প্রদীপের কথাই মেনে নিতে হলো শিখাকে। এই অবাস্তব ঘটনার বাস্তব ঘটনা উপরে।



আশা করি ঘটনাটা সত্যি নয়। তবে যদি সত্যি হয়- তবে বিবেকের কাছে কিছু প্রশ্ন থেকে যায়। প্রশ্নগুলোর মধ্যে কয়েকটি হলো- কেনো ঘটলো এই ঘটনা? কেনো নষ্ট হলো একটি অনাগত প্রাণ? কোন সভ্যতার অবদান এটা?



আমরা বাঙালী এবং মনে-প্রাণে বাঙালী। আমাদের নিজস্ব ঐতিহ্য আছে, স্বংস্কৃতি আছে। কিন্তু আমরা তা ভুলে গেছি। পাশ্চাত্যের সাথে মিলাতে চাইছি আমাদের স্বংস্কৃতিকে। পাশ্চাত্য আর বাঙালী এই দুই স্বংস্কৃতি মিলে একটা জগাখিচুড়ি মার্কা স্বংস্কৃতির অধিকারী এখন আমরা। ওরা যা বলে, আমরা তাই শুনি। ওরা যা দেখায় আমরা তাই দেখি। ওরা যা করে আমরা তাই করতে চাই।



অনেকেই আমাকে বলতে পারেন, আমি অনেক পিছনে আছি। ভাই আপনার কথার সাথে আমি একমত। আমি আসলেই পিছিয়ে আছি। কারন, পাশ্চাত্যের খোলামেলা স্বংকৃতিতে আমি বিশ্বাসী নই। পাশ্চাত্যের নগ্নতা আমি আমার স্বংস্কৃতিতে দেখতে রাজি নই। পাশ্চাত্যের অবাধ যৌনতা আমার দেশে দেখতে আমি রাজি নই। পাশ্চাত্যের স্বংস্কৃতি বাঙালীর ঘর গড়তে পারে না, ভাঙতে পারে। পিতৃ পরিচয়হীন শিশুর জন্ম দিতে পারে। আরো অনেক কিছুই পারে, সেগুলো আর নাইবা বললাম।



সর্বশেষ আপনাকে কিছু বিষয়ে চিন্তা করতে বলছি। মনে করুন আমার কাল্পনিক গল্পটির মেয়ে চরিত্র শিখা আপনারই বোন। আপনি জানতে পারলেন ঘটনাটি। কি করবেন আপনি? বাদ দেন। মনে করেন আপনি পাশ্চাত্য স্বংস্কৃতিতে ব্যাপকভাবে বিশ্বাসী। এখন আপনারই বোন একটি ছেলের সাথে বিবাহ বহির্ভূতভাবে থাকছে। যাকে বলে লিভ টুগেদার! কিছুদিন পর আপনার বোনের সুন্দর ফুটফুটে একটি বাচ্চাও হলো। এর কিছুদিন পর সেই ছেলেটি আপনার বোনকে একাকি রেখে, আপনার বোনের সন্তানকে পিতৃ পরিচয়হীন করে চলে গেছে। তখন আপনার প্রতিক্রিয়া কি হবে?



এ মহান অবদান কোন সভ্যতার!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.