নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফ্রিল্যান্সার।। ইদানীং ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে জানতে ও পড়াশোনা করতে বেশ ভাল লাগছে।
যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত ১১ টি শিব মন্দির। এই ১১ শিব মন্দির আর তার সাথে অভয়নগর নামক এই নগরীর নামকরণের পেছনে রয়েছে এক রাজকন্যা অভয়ার গল্প।
তৎকালীন যশোরের রাজা নীলকণ্ঠ রায় ছিলেন চাঁচড়া রাজবংশের নবম পুরুষ। চাঁচড়া জমিদারীর প্রতিষ্ঠাতা রাজা মনোহর রায় ছিলেন নীলকন্ঠ রায়ের পরদাদা। ইতিহাস থেকে জানা যায়, রাজা প্রতাপাদিত্যের বংশধর নীলকণ্ঠ রায়ের অতি আদরের কন্যা ছিলেন অভয়া। রাজ্যের রাজধানী যশোরের চাঁচড়াতে হলেও, পরিবার নিয়ে অভয়নগরে ভৈরব নদের পাড়ে একটি গ্রাম বসবাস শুরু করেন রাজা নীলকণ্ঠ। আর সেখানেই রাজকন্যা অভয়ার জন্ম ও বেড়ে ওঠা।
রাজা নীলকণ্ঠ তার মেয়ে অভয়াকে নড়াইলের জমিদারপুত্র নীলাম্বর রায়ের সাথে বিয়ে দেন। মহা ধুমধামে অভয়নগরের রাজবাড়িতেই অনুষ্ঠিত হয় অভয়া দেবীর বিবাহ অনুষ্ঠান। শুরু হলো অভয়া আর নীলাম্বরের সংসার। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসের শিকার অভয়া। দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে অল্পদিনের মধ্যেই মৃত্যু বরন করেন নীলাম্বর। রাজা নীলকণ্ঠের একমাত্র কন্যা অভয়া বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই বিধবা হয়ে বাবার বাড়িতে ফিরে আসেন।
সেসময় হিন্দু ধর্মে দ্বিতীয় বিবাহের নিয়ম না থাকায় অভয়া বাকি জীবন পূজা-অর্চনা করে কাটিয়ে দিবেন বলে ঠিক করেন। বাবাকে সেকথা জানানো মাত্রই উদ্যোগী হয়ে ১৭৪৫ সালে শিব মন্দির নির্মান শুরু করেন নীলকণ্ঠ রায়। ১৭৬৪ সালের মধ্যে মেয়ের আবদারে পাশাপাশি ১১টি শিব মন্দির নির্মান করেন রাজা নীলকণ্ঠ।
সম্পূর্ন জানতে চাইলে নিচের ভিডিও প্লে করতে পারেন অথবা ফেইসবুক লিঙ্কেও ঢুকে দেখে নিতে পারেন।
রাজকন্যা অভয়া এবং তার ১১ শিব মন্দির - ফেইসবুক লিঙ্ক
০২ রা জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:২৯
কামরুল ইসলাম মান্না বলেছেন: আসলে পুরো ইতিহাসই আমি নিজে ভিডিওতে বলেছি। তাই একই জিনিস পুরোটা আবার লিখতে চাইনি। আপনার কাছে বিষয়টি ভাল লাগেনি অনুভব করছি। আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইছি।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৮
নয়া পাঠক বলেছেন: ইতিহাস এত সংক্ষেপে দিলে তা পড়ে মজা পাওয়া যায় না। আপনি এরকম লিখেছেন কেবল নিজের চ্যানেলের দর্শক টানার প্রয়াসে। তবুও ধন্যবাদ, আমরা আপনার মাধ্যমেই এটুকু অন্তত জানতে পারলাম।