নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফ্রিল্যান্সার।। ইদানীং ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে জানতে ও পড়াশোনা করতে বেশ ভাল লাগছে।
নূর মোহাম্মদ শেখ ১৯৫৯ সালের ১৪ মার্চ পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলস বা ইপিআর-এ যোগদান করেন। দীর্ঘদিন দিনাজপুর সীমান্তে ছিলেন তিনি। ১৯৭০ সালের ১০ জুলাই দিনাজপুর থেকে যশোর সেক্টরে বদলি করা হয় তাকে। এরপর তিনি ল্যান্স নায়েক পদে পদোন্নতি পান। ১৯৭১ সালে যশোর অঞ্চল নিয়ে গঠিত ৮নং সেক্টরে স্বাধীনতা যুদ্ধে যোগদান করেন। যুদ্ধ চলাকালীন যশোরের শার্শা থানার কাশিপুর সীমান্তের বয়রা অঞ্চলে ক্যাপ্টেন নাজমুল হুদার নেতৃত্বে পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন।
১৯৭১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সুতিপুরে নিজস্ব প্রতিরক্ষা বাহিনীর সামনে যশোর জেলার গোয়ালহাটি গ্রামে নূর মোহাম্মদকে অধিনায়ক করে পাঁচ জনের সমন্বয়ে গঠিত একটি স্ট্যান্ডিং পেট্রোল পাঠানো হয়। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে হঠাৎ পাকিস্তানি সেনাবাহিনী পেট্রোলটি তিন দিক থেকে ঘিরে ফেলে গুলিবর্ষণ শুরু করে। পেছনে মুক্তিযোদ্ধাদের নিজস্ব প্রতিরক্ষা থেকে পাল্টা গুলিবর্ষণ করা হয়। তবুও পেট্রোলটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এক সময়ে সিপাহী নান্নু মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে আহতাবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
বীরশ্রেষ্ট নূর মোহাম্মদকে নিয়ে করা আমার এই ভিডিওটি দেখে নিতে পারেনঃ
ঘটনা অন্য কিছু হতে পারতো। গুলিবিদ্ধ সহযোদ্ধাকে ফেলে পালিয়ে বাঁচতে পারতেন হয়ত। কিন্তু তিনি তা করেন নি। সহযোদ্ধা নান্নু মিয়াকে কাঁধে নিয়ে এলএমজি দিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি করতে গিয়ে এক পর্যায়ে মর্টারের গোলার আঘাতে ধরাশয়ী হন নূর মোহাম্মদ। পরে অন্য সহযোদ্ধাদের নান্নু মিয়াকে নিয়ে নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য একাই লড়াই করেন হানাদারদের বিরুদ্ধে।
এই অসম অবিশ্বাস্য যুদ্ধে তিনি শত্রুপক্ষের এমন ক্ষতিসাধন করেন যে তারা এই মৃত্যুপথযাত্রী বীর যোদ্ধাকে বেয়নেট চার্জ করে চোখ দুটো উপড়ে ফেলে ও মস্তক বিদীর্ণ করে ঘিলু ছড়িয়ে ফেলে। পরে প্রতিরক্ষার সৈনিকরা এসে পাশের একটি ঝাড় থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করেন। এরপর তাকে এইখানে সমাহিত করা হয়।
২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: বীরদের স্মরন করা হয় না।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৩০
কামরুল ইসলাম মান্না বলেছেন: জ্বি ভাই। সঠিক বলেছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:০৮
কামরুল ইসলাম মান্না বলেছেন: জেনারেশন৭১ আপনাকে ধন্যবাদ।