![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ত্রিশ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা!!
আজ যদি আমরা স্বাধীন দেশের মাটিতে নিঃশ্বাসের অধিকার পেয়ে থাকি, মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় তা পেয়েছি খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের আত্মত্যাগের কারণে, দেশের নির্ভীক সৈনিক যাঁরা এসেছিলেন নিতান্ত সাধারণ ঘর থেকে, তাঁদের অসীম সাহসিকতা আর প্রাণের বিনিময়ে।
মহান মুক্তিযুদ্ধে কোন লক্ষ প্রাণের বিসর্জন হয়েছিলো?
তাঁরা কি ক্ষমতার মসনদে আসীন কোন রাজনৈতিকা নেতা ছিলো? অথবা কোন দুর্নীতিবাজ নেতার অকালকুষ্মান্ড সন্তান? বিলাসীতার মাঝে গা এলিয়ে আয়েশী জীবনে অভ্যস্ত ক'জন শিল্পপতি শহীদ হয়েছিলো মহান মুক্তিযুদ্ধে?
অথচ আজ তারাই বিজয়ী.. সত্যিকারের স্বাধীনতা স্বাদ আস্বাদনের অধিকার শুধু তাদের।
স্বাধীনতার ৩৯ বছর পর, আমরা মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা দিবস আর বিজয় দিবসের চেতনার গান গেয়ে যাই। পাতার পর পাতা ভরে উঠে পাতাআগুন ঝরা লেখায়, রাজনৈতিক দলের ক্রীতদাসের পাল সমর্থিত দলের নেতারূপী প্রভূদের বন্দনা সঙ্গীত আর মুক্তি যুদ্ধে তাদের অবদানের ঢাক পিটিয়ে আত্মতৃপ্তি লাভ করে!!
আর যাঁরা নিজের রক্তের বিনিময়ে, প্রাণের বিনিময়ে হায়নার পালের কাছ থেকে লাল সবুজে আঁকা পতাকা ছিনিয়ে এনেছিলেন, তাঁরা.. সেই সাধারণ মানুষ কেমন আছেন? স্বাধীন দেশের স্বপ্ন চোখে আত্মাহুতি দেয়া সেসব বীর সেনানীর স্বপ্ন আজ দুঃস্বপ্নে পরিনত হয়েছে যেন...
সেদিনের হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর আর তাদের দোসর রাজাকার আলবদররূপী শকুনেরা আজ ফিরে এসেছে নতুন রূপে, এরা দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতা, দেশের সকল আয়েশ, বিলাসবসন সকল কিছুর একচ্ছত্র অধিপতি। কখনও রাজনৈতিক নেতার রূপে, আবার কখনও শিল্পপতি- কারখানার মালিক। কখনওবা পথে ওঁৎপেতে থাকা নারী সম্ভ্রমহানীকারী শিকারী হায়না রূপে... এরা ফিরে আসে বার বার।।
দেশের সর্বত্র বিচরণ এদের।
কোন ভীনদেশী ভাঁড় এসে আসর জমিয়ে বসলে, সেখানেও ক্ষমতার দুর্গন্ধ পৌঁছে যায়। ভাঁড়ামোতে শরিক হতে চলে যায় রাজপরিবারের বিশেষ দূত! শুধু তাঁদের খুঁজে পাওয়া যায়না শ্রমিকের লাশের ভীড়ে, খুঁজে পাওয়া যায়না রাজপথে পড়ে থাকা কোন বিপ্লবী বা মিছিলের বুলেটবিদ্ধ যুবকের মাঝে!!
দেশের প্রধানমন্ত্রী বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ গ্রহনে ব্যস্ত.. আজ যে স্বাধীনতা দিবস।
মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী আর তোষামোদকারীর পাল ভাবগাম্ভীর্যের সাথে তাকে ঘিরে যখন নিজের জীবন স্বার্থক করার অসুস্থ প্রতিযোগিতায় মত্ত!
-ওদিকে, তালাবদ্ধ ঘরে অসহায় শ্রমিকেরা দ্বিধাদ্বন্দে সময় কাটায়, জীবনের শেষ কয়কেটি মুহূর্তে তাঁরা ভীষণ বিচলিত.... “আগুনে পুড়ে মরার চেয়ে জানালা দিয়ে লাফিয়ে পরা মৃত্যু শ্রেয়তর হবে কিনা” সেই সিদ্ধান্ত গ্রহনে ব্যস্ত!!!
বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজে আর তপোধ্বনির শব্দে চাপা পড়ে যায় তাঁদের মৃত্যুর প্রহর গণনার গুন্জ্ঞন, বেঁচে থাকার শেষ আর্তনাদ!!
কিসের স্বাধীনতা? কিসের মুক্তিযুদ্ধ?
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দেশের অর্থনীতিকে বলীয়ান করা এসব শ্রমিকের ঘর থেকে বাইরে যাবার নুন্যতম স্বাধীনতা নেই।। জীবনের শেষ মুহুর্তে মুক্ত বাতাসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের অধিকার নেই তাঁদের!!
খাঁচায় বন্দী এক পাল অসহায় পতঙ্গের মতো প্রতি বছর তাঁরা নিয়ম করে পুড়ে মরে।
জীবিত অবস্থায়ও যে তাঁরা “বেঁচে” থাকেন, এমন নয়!!! কর্মক্ষেত্রে, পথে ঘাটে প্রতিনিয়ত অপমান, অবহেলা আর সম্ভ্রমহানী তাঁদের নিত্যসঙ্গী।
এই অসহায় পতঙ্গদের রক্ত পানি করা অর্থে বিত্তের পাহাড় গড়ে শিল্পপতির দল। বেঁচে থাকার কোন অধিকার নেই এসব শ্রমিকদের, জীবনের নিরাপত্তা, নিশ্চয়তা এসব শুধুই অলীক স্বপ্ন তাঁদের জন্য- অথচ প্রতি পদে পদে অপমান, অবহেলা আর জীবন সংকটের মাঝে বেঁচে থাকা এসব শ্রমিকের প্রাণের বিনিময়ে নিজের প্রবাসী সন্তানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে দেশের মহামান্যরা...
এমন স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছিলো লক্ষ লক্ষ শহীদ!!!!
দেশের সাধারণ মানুষের এই অসহায়ত্ব, লান্ছনা আর অবমাননার জীবনের স্বপ্ন নিয়ে মুক্তি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন আমাদের পূর্বপুরুষ?
বদ্ধ ঘরের ধোঁয়ায় ভারী হয়ে আসা বাতাসে জীবনের শেষ মুহুর্তের জন্য আপেক্ষমান এসব শ্রমিকদের কাছে, কিসের স্বাধীনতা? কিসের বিজয় দিবস?
যুগ যুগ ধরে তাঁরা পরাজিত.. জীবনে এবং মরনেও..
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:২৬
মানবী বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:১৮
রবিন-৭৭ বলেছেন: স্বঘোষিত রাজাকার বেজন্মা সাকা চৌরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোআকেও হয়তো কিছুদিনের মধ্যে গ্রেফতার করা হবে। এর চেয়ে ভালো খবর আর কি আছে?
সব সমস্যার সমাধান একদিন হবেই হবে
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৩৪
মানবী বলেছেন: যদি জানতাম, সেদিন হা-মীম গার্মেন্টসের তালা খুলে দেয়া হয়েছিলো, আবদ্ধ শ্রমিকরা আগুন থেকে পালাতে পেরেছেন, তাহলে এরচেয়ে ভালো খবর হতো।
যদি জানতাম, দেশের সব অপরাধীরা গ্রেফ্তার হয়েছে, কোন ধর্ষক, হত্যাকারী, ছনিতাইকারী স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষকে পরাধীন করে রাখছেনা, তাহলে এর চেয়ে ভালো খবর।
যদি জানতাম, সাকাচৌ আর গোলাম আজমের ঘৃন্য যুদ্ধাপরাধীর সাথে সাথে ঘৃন্য যুদ্ধাপরাধী নুলা মুসা ওরগে মুসা বিন শমসের গ্রফ্তোর হয়েছে তাহলে এর চেয়ে ভালো খবর হতো।
যদি জানতাম, সেদিন প্রধান মন্ত্রীর কাছে পুতুলের শশুড়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে আসা মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামীনেতারা সুবিচার পেয়েছেন, তাঁদের এলাকায় ঘৃণ্য যুদ্ধাপরাধীর(পুতুলের দাদা শশুড়) নামে সড়ক করার সাজা তাঁর বেয়াইকে দিয়েছেন, তাহলে এরচেয়ে ভালো খবর।
রাজনৈতিক অন্ধত্ব নিয়ে দল প্রেম সম্ভব, দেশ প্রেম নয়।
যুদ্ধাপরাধী যে দলের হোক, সমান ঘৃণ্য।
৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:২০
রবিন-৭৭ বলেছেন: এই পোষ্ট ব্লগের সব জামাত সমর্থকদের জন্য যারা বলেন জামাত ৭১এ কিছু করেনি
Click This Link
ডন-এর নিবন্ধন অনুযায়ী বাংলাদেশ সৃষ্টি নিয়ে দশম ও একাদশ শ্রেণীর বইয়ে লেখা হয়েছে, ‘চূড়ান্তভাবে শক্তি প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিল সামরিক সরকার। আর এই অভিযানে সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে এল জামায়াতে ইসলামীর সশস্ত্র স্বেচ্ছাসেবকেরা। রাজনৈতিক বিরোধীদের সঙ্গে পুরোনো বিবাদের শোধ নিতে এই সুযোগ কাজে লাগাল তারা (জামায়াত)।’
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৩৭
মানবী বলেছেন: অদ্ভুত খবর!!
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।।
জামায়াত ৭১ এ কিছু করেনি, বা জামায়াতের নেতারা ৭১' এ কিছু করেনি, এমন নির্বোধ উক্তি ব্লগে পড়ার দুর্ভাগ্য হয়নি বলে ভালো লাগছে।
৪| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:২১
পারভেজ বলেছেন: একমত
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৪০
মানবী বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ।
৫| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:২৬
হারকিউলিস বলেছেন:
৬| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:২৯
টুনা বলেছেন: সেদিনের হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর আর তাদের দোসর রাজাকার আলবদররূপী শকুনেরা আজ ফিরে এসেছে নতুন রূপে, এরা দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতা, দেশের সকল আয়েশ, বিলাসবসন সকল কিছুর একচ্ছত্র অধিপতি। কখনও রাজনৈতিক নেতার রূপে, আবার কখনও শিল্পপতি- কারখানার মালিক। কখনওবা পথে ওঁৎপেতে থাকা নারী সম্ভ্রমহানীকারী শিকারী হায়না রূপে... এরা ফিরে আসে বার বার।। স হ ম ত এবং প্লাস । ভাল থাকবেন । ধন্যবাদ একটি সময় উপযোগী বিষয়ে লেখার জন্য ।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৪২
মানবী বলেছেন: আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ।
শুভকামনা রইলো।
৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৪৬
স্পর্শহীন কিছুদিন বলেছেন: অনেক দিন পর ব্লগে দেখে আনন্দ লাগলো । রাজনীতি ঘৃনা করি তাই মন্তব্য নয়।
ভাল থাকুন।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:০৫
মানবী বলেছেন: রাজনীতির প্রতি ঘৃনা থেকেই এই পোস্ট!!
আপনাকেও দীর্ঘদিন পর ব্লগে দেখছি।
ভালো ছিলেন, ভালো আছেন আশা করি। অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো।
ধন্যবাদ।
৮| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:১৭
হেডস্যার বলেছেন:
কঠিন। দারুন লেখা।
একমত। প্লাস।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:২৫
মানবী বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো, সহমতের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
আমাদের লেখা, ভাবনা, কষ্ট এসব অসহায় শ্রমিকদের দুর্ভাগ্যে এতোটুকু পরিবর্তন আনবেনা, তারপরও নিজের ভাবনাটা লিখে রাখা মাত্র!
৯| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:১৭
েভােরর স্বপ্ন বলেছেন: স হ ম ত
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:২৮
মানবী বলেছেন: আ ন্ত রি ক ধ ন্য বা দ :-)
১০| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:১৯
ডেইফ বলেছেন:
অনেকদিন পর আপনাকে দেখলাম ব্লগে।
আর পেলাম নতুন লেখা।
লেখা সম্পর্কে কি বা বলার আছে। সব কয়টা রাজনৈতিক ব্যক্তি তো এখন ব্যস্ত যার যার ভাগ্য পরিবর্তনে। এদের না আছে দেশের প্রতি একটু চিন্তা না আছে কর্তব্য বোধ। একদল ৫ বছর শাসন করবে, নিজেদের ব্যাংক ব্যালান্স বাড়াবে আবার ৫ বছর পর আরেকদল এসে সেটাই করবে। আমাদের নিয়ে চিন্তা করবার সময় তাদের নেই।
হানাহানি করবে এরা আর মাঝখান থেকে চিড়েচ্যাপ্টা হই আমরা।
পুরোপুরিই হতাশ আমি এদেশের রাজনীতির উপর।
লেখার জন্য ধন্যবাদ রইল।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:১৩
মানবী বলেছেন: সবচেয়ে দুঃখজনক, প্রতি বছর নিয়ম করে গার্মেন্টস কর্মীরা পুড়ে মারা যাবেন- কর্তব্যরত দারোয়ান দরজায় তালা দিয়ে পালিয়ে যাবে.. এটা যেন ভীষণ স্বাভাবিক ব্যাপার!!!
মানুষের জীবনের চেয়ে... আসলে মানুষের নয়, এসব হতদরিদ্র শ্রমিকের জীবনের চেয়ে দু পয়সার বোতাম, সুতা বাঁচানো অনেক বেশি জরুরী!
যে আগুন মানুষকে ছাড়ে, সে আগুন কি এসব সুতা বোতাম কে ছাড়বে, তাহলে এমন সংকটময় মুহুর্তেও তাদের চুরির আশংকা কেনো!!
কোন প্রতিকার নেই। সরকারকে মোটা অংক দিয়ে হাতে রাখা আর নিয়ম করে এঁদের হত্যা করা- এটাই নিয়ম..
হতাশ নই, হতাশাও নেই এদের প্রতি.. শুধুই ঘৃনা।
আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ দাইফ।
ভালো ছিলেন আশা করি।
১১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:১৯
মেহবুবা বলেছেন: সাধারন মানুষ আরো সাধারন হয়ে গেছে , প্রায় নাই হয়ে যাবার মত ।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:১৬
মানবী বলেছেন: আর এই হতদরিদ্র শ্রমিকরা তো সাধারণ মানুষের মাঝেও পড়ে না আপু...
তাঁরা অনেক আগে থেকেই শূণ্য হয়ে আছেন!!
ধন্যবাদ আপনাকে।
১২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪০
শিক্ষানবিস বলেছেন: সাধারণ মানুষ অসাধারণদের নাচ দেখে নাচে। আসলে তাদের নাচনের কিছু নেই। আছে বঞ্চনা আর দুর্গতি।
ধন্যবাদ সুন্দর লেখার জন্য।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৪১
মানবী বলেছেন: ভালো বলেছেন।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
১৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৮
জুল ভার্ন বলেছেন:
বুবু, পোস্টের শিরোনাম কঠোর মনে হলেও-ঐ প্রশ্ন দেশের সকল সচেতন নাগরিকদের মধ্যে। আমাদের স্বাধীনতা আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন-যা নিয়ে কোনো বাংলাদেশী বাংগালীর দ্বিমত নেই। কত রক্ত, কত অশ্রু, কত বেদনায় অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা- সেটি উপলব্ধিজাত সমকক্ষ উপমায় দাঁড় করানো কষ্টকর। অর্জনের আনন্দের সঙ্গে মিশে আছে হূদয় মথিত করা অপার বেদনার দীর্ঘশ্বাস। এক দিকে হৃদয়ের বত্রিশ বাঁধন ছেঁড়া বেদনা ইতিহাস হয়ে বয়ে এনেছে বিজয়ের খুশি-কিন্তু এর উলটো দিক ঠিক ভিন্ন।
এমন ভিন্নতা মনে করার কারন- স্বাধীনতা প্রাপ্তি এবং প্রত্যাশার মধ্যে প্রতিনিয়ত দেখতে হচ্ছে যোজন যোজন দূরত্ব। এমনটি হবার কি কথা ছিল? আমরা তো স্বপ্ন দেখেছিলাম সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ণ সোনার বাংলার। কিন্তু স্বাধীনতার ৪০ বছর পরও সে স্বপ্ন বা প্রত্যাশা পূর্ণতার দিকে যাচ্ছে না-বরং কোন্ অদৃশ্য শক্তি তাকে কেবলই পেছনে টানছে তা অবোধ্যই থেকে যাচ্ছে।
স্বাধীনতার এই হতশ্রী ভাব দেখে ছোটবেলায় শোনা এক কৌতুকের কথা মনে পড়ে যায়। এক কিশোর তার কাকার কাছে জানতে চেয়েছে স্বাধীনতা মানে কী? কাকা বললেন-"স্বাধীনতা মানে নিজের মতো করে চলা। নিজের যা ইচ্ছে হবে তা-ই করা। বুঝেছিস তো স্বাধীনতা কাকে বলে?" কিশোর উত্তর দিলো সে ভালোভাবেই বুঝেছে। পরদিন কাকা অবাক হয়ে দেখলো ভাইবেটা প্রচণ্ড শীতে উদোম গায়ে ঘুরছে। কাকা জানতে চাইলে বললো-"স্বাধীনতা উপভোগ করছি, এটা আমার ইচ্ছে।" এর পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই সে শুরু করলো যত্তসব উদ্ভট কারবার। জানতে চাইলেই বলে-সে "স্বাধীনতা উপভোগ করছে-কেউ যেন তার কাজে বাধা না দেয়"। আমার সোনা সেই কৌতুকটিই যেনো আজকের শাসক গোষ্ঠীর স্বাধীনতা!
আমাদের পথে আনবে কে? আমরা একদল ক্ষমতাশীন মানুষ "স্বাধীনতা উপভোগ করছি"-আর আমজনতাতো বিচিত্র নিষ্পেশনের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে "স্বাধীনতার যাতাকলে পিস্ট হচ্ছি"! ক্ষমতাসীনদের, তাদের লাইসেন্সধারী, লাইসেন্সবিহীন পেটোয়া বাহিনী আর লুটেরাদের দের আচরণ দেখলে কে বলবে আমরা স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশের অধিবাসী? কে বলবে-আমরা সভ্যতাকে লালন করে সুসভ্য হবার চেষ্টা করছি। স্বাধীন দেশে এমন সব ঘটনা ঘটছে যা এদেশ যখন পরাধীন ছিল তখনও এত মহাসমারোহে ঘটেনি। স্বাধীন বাংলাদেশে আজ নারীদের উপর পুলিশ আর দলীয় গুন্ডাবাহিনী যেভাবে শারিরিক নির্যাতন চালাচ্ছে-তেমন প্রকাশ্য নির্যাতন পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীও প্রকাশ্য দিবালোকে রাজপথে চালায়নি। স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে এ লজ্জা কোথায় রাখি? যারা যখন ক্ষমতায় আসেন তারাই আত্মঘাতী সব কর্মসূচির নিন্দা করেন। আবার ক্ষমতার বাইরে গেলে সেই কাজটিই করেন! এ যেন, যে যায় লঙ্কায় সেই হয় রাবণ।
দেশের মানুষ আজও জীবন-জীবিকার তাগিদে কঠোর পরিশ্রমে নিনাতিপাত করছে, সাধারন, সৎ মানুষের এখনও নুন আনতে পান্তা ফুরায়। একদিন রোজগার করতে না পারলে পরিবার-পরিজন, শিশু সন্তানসহ অনাহারে থাকে, সে দেশে কার কাছ থেকে কী দাবি আদায়ের জন্য তাদের মুখের গ্রাস গ্রহণের সুযোগটুকুও কেড়ে নেয়া হয়?বুঝি না, বুঝতে কষ্ট হয়।অশিক্ষিত, অর্ধ শিক্ষিত সোনার টুকরো ছেলেরা পর দেশ থেকে হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে দেশে টাকা পাঠায়। তাদের টাকায় দেশের উন্নয়নের চাকা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলে। অথচ তাদের টাকাও যথার্থ ব্যবহার হতে পারে না অনুপযোগী পরিবেশ-পরিস্থিতির কারণে।
আটাশির প্রলয়ংকরী বন্যার পর বিদেশিরা দয়াপরবশ হয়ে আমাদের অশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত মেয়েদের তৈরি পোশাক কেনার আশ্বাস দিলে এদেশের গার্মেন্টসশিল্প দাঁড়িয়ে যায়। লক্ষ-কোটি বেকারের কর্মসংস্থান হয়। নানান কুটিল-জটিল ষড়যন্ত্রে এটিও কতদিন টিকতে পারে সে চিন্তা শুরু হয়ে গেছে সচেতন মহলে। স্বাধীন দেশে এসব কি আমাদের প্রত্যাশা ছিল?
একাত্তরে শুধু তিরিশ লাখ প্রাণই দেশমাতা উদ্ধারে উৎসর্গীত হয়নি-হাজার-লক্ষ জননী জায়া ভগিনী কন্যা সম্ভ্রম হারিয়েছেন। তাদের কি প্রত্যাশা ছিল স্বাধীন দেশে আবার তাদের সম্ভ্রম হারাতে হবে? তারা আবার যৌন সন্ত্রাসের শিকার হবেন স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক দ্বারা! কেউ কি ভেবেছিল-দেশের প্রধানমন্ত্রী মহান জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে "ইভ টিজিং" করে সংসদকে কালিমালিপ্ত করবেন! নিশ্চয় এমন প্রত্যাশা কারোরই ছিল না। বরং ছিল স্নেহ-শ্রদ্ধা-ভালোবাসার প্রত্যাশা। সে প্রত্যাশাটুকুও যেন দিন দিন ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হচ্ছে। স্বাধীন দেশে এতোটা হবে কে তা ভেবেছিল? রাস্ট্রীয় ছত্রচ্ছায়ায় ইভটিজিংয়ের নামে চলছে যৌন হয়রানি, যৌন সন্ত্রাস-এ লজ্জা এদেশের নারীরা কী করে সহ্য করবেন?
পাঠক নিশ্চয় এতক্ষণে আমাকে নিরাশাবাদী ভাবতে শুরু করেছেন। আসলে আমরা কেউ নিরাশার পক্ষে নই। সবাই আশাবাদী-আমাদের প্রত্যাশার স্বচ্ছ আকাশ থেকে দ্রুত কেটে যাক নিরাশার কালো মেঘ। আমাদের সবার চেষ্টায় প্রাপ্তি এবং প্রত্যাশার সমন্বয় ঘটুক। জীবনের কোনো কাজ যেন অবহেলার না হয়- সব যেন হয় আন্তরিকতার সোনার ছোঁয়ায়। এ প্রত্যাশা আমার-আপনার, আমাদের সকলের।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৫৩
মানবী বলেছেন: আমাদের দেশে স্বাধীনতার ধ্বজাধারী দলটির আচরণ বাস্তবেও উল্লেখিত কৌতুকের শিশুর মতো। আর অবৈধ কালো টাকার পাহাড় গড়ে তোলা বিত্তবানদের কথা না্হয় নাইবা উল্লেখ করি... প্রতিবছর গার্মেন্টসকর্মীরা লাশ হয়ে এসব পুঁতিদুর্গন্ধময় লোকদের গল্প আমাদের শুনিয়ে যান।
"একাত্তরে শুধু তিরিশ লাখ প্রাণই দেশমাতা উদ্ধারে উৎসর্গীত হয়নি-হাজার-লক্ষ জননী জায়া ভগিনী কন্যা সম্ভ্রম হারিয়েছেন। তাদের কি প্রত্যাশা ছিল স্বাধীন দেশে আবার তাদের সম্ভ্রম হারাতে হবে? তারা আবার যৌন সন্ত্রাসের শিকার হবেন স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক দ্বারা"
- ভাইয়া, কি বলবো বলুন। আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি, বর্তমানের এসব ঘৃন্য কুলাঙ্গারদের আচরণ দেখে বুঝতে পারি হানাদার বাহীনি আর তাদের দোসর যুদ্ধাপরাধীদের তান্ডব কতোখানি ভয়ংকর ছিলো।
গোলাম আজম, নিযামীদের সাথে সাথে এসব ধর্ষক, লম্পটদের ফাঁসি হলে হয়তো নিজের সম্ভ্রম বিসর্জন দেয়া বীরাঙ্গনাদের আত্মা শান্তি পেতো।
হতাশা বা নৈরাশ্য নয়, নিজেদের মাঝের অন্ধকার সনাক্ত না করলে জীবন আলোকিত হয়ে কিভাবে!
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভালো থাকুন।
১৪| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:২৮
অলস ছেলে বলেছেন: দুর্ভাগ্য আমাদের। শান্তিতে পরিবার পরিজনের সাথে বাঁচার নিরাপত্তা আর দুমুঠো খাবারের নিশ্চয়তা না থাকলে সবকিছু অর্থহীন ঠিকই।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৫৯
মানবী বলেছেন: এই অর্থহীন জীবনের অধিকারীরাই মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দেশের অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রাখেন, আবার প্রতিবছর নিয়ম করে আগুনে ঝলসে লাশ হয়ে যান।
এ যেন অবধারিত, নিয়তি এবং খুব স্বাভাবিক বিষয়।
ধন্যবাদ অলস ছেলে।
১৫| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৪৫
তির্থক আহসান রুবেল বলেছেন: +++++++++
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:০১
মানবী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ িতর্থক আহসান রুেবল ।
১৬| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৩৫
শূণ্য উপত্যকা বলেছেন: রাজনীতি! থু:!
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:১৪
মানবী বলেছেন: আচ্ছা...
১৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৪১
চতুষ্কোণ বলেছেন: সহমত।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:১৭
মানবী বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ চতুষ্কোণ।
১৮| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:৪৮
জুন বলেছেন: মানবী যদিও ইদানীং রাজনৈতিক কথা শুনতে আমি রাজী নই তারপরও আপনার পোস্টে লগইন করলাম।
আমাদের একটা বড় দোষ হচ্ছে আমরা টপ টু বটম সবাই বেশী কথা বলি।
কিন্ত সে তুলনায় কাজ করিনা বল্লেই চলে। আমি শুধু এটুকু বলতে চাই চীনের প্রেসিডেন্ট জিয়াং জেমিন কে আমি কখনও মুখ খুলতে দেখেছি কি না সন্দেহ, কিন্ত সে দেশকে কোন উচ্চতায় নিয়ে গেছে সেটা সবাই অবগত। উনি ছাড়াও চীন, ভারতীয় ও অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের নেতাদের কখনও ফালতু কথা বলতে শুনিনি বলেই তারা আজ এতদুর অগ্রসর। দুর্নীতি আর লোভ সেই সাথে বেশী এবং ফালতু কথা বলার প্রতিযোগীতায় আমরা বোধহয় চ্যাম্পিয়ন । স্বাধীনতা বা বিজয় যাই বলুন না কেন তা আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধা বা আপামর সাধারন জনগনের কোনো কল্যান বয়ে আনেনি বলেই ইদানীং মনে হচ্ছে । মনে হয় এই স্বাধীনতা এসেছে কতিপয় দুর্নীতিবাজ রাজনৈতিক নেতা আর অসাধু ব্যাবসায়ীদের জন্য।
বড় একটি মন্তব্যের জন্য দুঃখিত।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:২৮
মানবী বলেছেন: সম্পূর্ণ সহমত মন্তব্যের সাথে।
আমাদের নেতৃবৃন্দের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মিছিল, মিটিং আর রাজপথে ভাষণের মাঝে সীমাবদ্ধ! বড় বড় কথার উল্টোপিঠে কার্যক্ষেত্রে ৭১' এর যুদ্ধাপরাধীর মতোই ঘৃন্য এদের কর্মকান্ড!
মহান মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত স্বাধীনতা এউ কুলাঙ্গারের পাল কুক্ষিগত করে রেখেছে, পরাধীন করে রেখেছে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী সাধারণ মানুষ আর তাঁদের স্বপ্নকে।
মন্তব্য বড় হয়নি মোটেও, বড় হলেও দুঃখিত হবার কিছু নেই প্রিয় জুন। অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।
১৯| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:২০
শ্যামল বাংলা বলেছেন: স্বাধীনতা মানেই মতিউর রহমান নিজামী, ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন(বেয়াই)মত রাজাকারদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়ানো! স্বাধীনতা মানেই-নারী ধর্ষনের সেঞ্চুরিয়ানকে বড় চাকুরী দিয়ে সম্মান করা। স্বাধীনতা মানেই সংসদে বিরোধী দলীয় নেত্রীর বিরুদ্ধে কুরুচীপুর্ণ বক্তব্য(ইভ টিজং) দেয়া। অথচ আমাদের প্রধানমন্ত্রী নিজেও তার ছোট বোন সহ পাকিস্তানী সেনাদের হাতে বন্দী ছিলেন স্বাধীনতা যুদ্ধ কালীন সময়।
স্বাধীনতা মানেই-ক্ষমতাসীনদের অবাধ লুটপাট, প্রতিপক্ষকে হত্যা, বাড়ি দখল, জমি দখন, হল দখল। স্বাধীনতা মানেই-ঢাকার পথে ছিনতাইকারীদের ভয়। প্রতিটি রাস্তায় ঢাকনাবিহীন ম্যানহোলের মৃত্যুফাদ।সারা রাস্তাজুড়ে বিকলাঙ্গ ভিখারির হাতছানি। এখন যোগ হয়েছে পথে আচমকা গ্রেফতার করে "বিশ্বের অন্যতম সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা গুম আর টাকা পয়সা কামানো। প্রতিবাদ করলেই রাজাকার, স্বাধীনতা বিরোধী, ছিনতাইকারী আখ্যায়িত করে "ক্রস ফায়ার"! প্রতি দিন যখন যাকে খুশী র্যাব-পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। তারপর গোয়েন্দা বিভাগের উপ-কমিশনার সাহেব স্মীত হাস্যে পৃথিবীর সর্ব শ্রেষ্ঠ জংগী নেতা ধরার কাহিনী মিডিয়ায় বয়ান করে দেন! আরেকটা ভয় হচ্ছে হঠাৎ নিখোজ হয়ে যাওয়া-যেমনটি হতো স্বাধীনতার পর রক্ষীবাহিনীর আমলে। কমিশনার চৌধুরী আলমকে পথ থেকে সবার সামনে ধরে নিয়ে গিয়েছে শাদা পোশাকের কিছু লোক। তার কোনো খোজ পাওয়া যাচ্ছে না।
স্বাধীনতা মানেই-সারা ঢাকার রাস্তার পাশে পথচারী মানুষ পেচ্ছাব-পায়খানা করা। ঢাকায় হাইরাইজ বিলডিং নির্মাণ সমাপ্তির পর তা ভেঙ্গে ফেলার কথা ওঠে। যেমন, সম্প্রতি গুলশানে ওয়েস্টিন হোটেল এবং জব্বার টাওয়ার যে অবৈধভাবে নির্মিত হয়েছে সে কথা উঠেছে-অথচ তা ভাংগা হবেনা, কারন ঐসব প্রতিষ্ঠানের মালিক প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন......। একই ধরনের অভিযোগে বছর দুয়েক আগে র্যাংগস টাওয়ার ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। তবে, একই অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও বিজিএমইএ বিলডিং ভাঙা হয়নি, ভাংগা হয়নি প্রধানমন্ত্রীর বানিজ্য উপদেস্টা সালমান এফ রহমানের "বেলস টাওয়ার"!
বাংলাদেশে চাল, ডাল, পেয়াজ, শাকসবজি ও তেলের দাম বেড়েই চলেছে। মোটা চালের কেজি এখন হয়েছে ৩৬ টাকা। ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেয়ার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি হয়ে গিয়েছে নিখোঁজ। ঘরে ঘরে চাকরির প্রতিশ্রুতিও দেয়া হয়েছিল নির্বাচনী জনসমাবেশে। বরং এখন দেখা যাচ্ছে, বহু দেশে চাকরি হারিয়ে অনেক মানুষ বাংলাদেশে ফিরে আসতে বাধ্য হচ্ছে।
বাংলাদেশে ইনডিয়ার করিডোর হচ্ছে। কিন্তু নেপালের ট্রানজিট হচ্ছে না। বাংলাদেশের পশ্চিমে ফারাক্কা বাঁধের মর্মান্তিক মরু অভিজ্ঞতার পরে, বাংলাদেশের পূর্বে বাঙালি মুখোমুখি হতে চলেছে টিপাইমুখ বাধ অভিজ্ঞতার।
বিডিআরের হাতে সেনা অফিসাররা আক্রান্ত হয়েছে। পরিণতিতে বিডিআর ও সেনা, এই দুটি বাহিনীই দুর্বল হয়ে গিয়েছে। আর তার পরিণতিতে সীমান্ত এলাকা প্রায় অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। এরই নাম বাংলাদেশের স্বাধীনতা!
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:০১
মানবী বলেছেন: এই মন্তব্যটি নিঃসন্দেহে পোস্ট হবার দাবী রাখে...
সহমত আপনার বক্তব্যে প্রতিটি লাইনের সাথে।
দুর্ভাগ্যজনক হলেও, এমনই আমাদের বাস্তবতা।
১০ টাকা কেজি চাল হোক অথবা অন্য কিছু, আমাদের দেশে ব্যলট বক্সে ভোট প্রবেশের সাথে সাথে এসব প্রতিশ্রুতির অকাল মৃত্যু ঘটে।
যুগ যুগ ধরে এমন হয়ে আসছে, তারপরও বোকা জনগণ এসবক নর্দমার কীটদের ভন্ডামীক সত্য বলে ভুল করে বারংবার।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
অনেক ভালো থাকুন।
২০| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:২৩
আর.এইচ.সুমন বলেছেন: পরাধীনতার শেকল পায়ে আমরা বর্তমানে একটি ঘুমন্ত জাতিতে পরিনত হয়েছি .। পরাধীনতার শেকল পায়ে আমরা বর্তমানে একটি ঘুমন্ত জাতিতে পরিনত হয়েছি .।
আগেও ছিলাম এখনও আছি মাঝখানে শুধু স্বাধীনতার নামে খেলা হয়েছে কানামাছি ......
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:০৩
মানবী বলেছেন: ভালো বলেছেন, ধন্যবাদ।
২১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:০৭
সত্য কথায় যত দোষ ! বলেছেন:
স্বাধীনতা! হায় স্বাধীনতা!!!
আপু, আমি নিজে একজন শহীদ মুক্তি যোদ্ধার সন্তান। আমি মাতৃগর্ভে থাকা কালীন আমার বাবা মুক্তি যুদ্ধে চলেযান। আমার জন্মের আগেই আমার বাবা পাক সেনাদের হাতে নির্মম ভাবে শহীদ হয়েছিলেন।
আমার আব্বা ছিলেন মাদ্রাস্র শিক্ষক। বরিশাল জেলার রহমতপুর, উজিরপুর, গৌরনদি, আগৈলঝরা এবং ফরিদপুর জেলার পয়সার হাট এলাকায় আব্বা পাক বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধ করেছেন অনেক মুক্তি যোদ্ধাদের সাথে। গৌরনদি থানা আক্রমনে গিয়ে জুলাই মাসে পাকবাহিনীর সাথে সন্মুখ যুদ্ধে আরো ২২ জন মুক্তিযোদ্ধার সাথে আমার আব্বাও শহীদ হন।
স্বাধীনতার পরঃ- যেহেতু আমার আব্বা "মাদ্রাসার শিক্ষক" ছিলেন-তাই তাঁর মুক্তি যুদ্ধ, আত্মত্যাগ নিয়েও যারা যুদ্ধ নাকরেই মুক্তিযোদ্ধা, নেতা হয়েছিলেন-তাদের কাছে আমার আব্বা মুক্তিযুদ্ধ 'সন্দেহের তালিকায়' থাকে। স্বাধীনতার পর "মুক্তি যোদ্ধা" স্বীকৃতি পেতে অনেক কস্ট করতে হয়েছে আমার বিধবা মাকে। এব্যাপারে আমাদের সাহায্য করেছিলেন আব্বার সহ যোদ্ধা আমাদের এলাকার প্রখ্যাত মুক্তি যোদ্ধা, জনাব আবদুল ওয়াদুদ(এম পি হয়েছিলেন), নয় নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিল, মুক্তি যোদ্ধা প্রফেসর শামসুদ্দিন প্রমুখ।
স্বাধীনতার পর বরিশালের "উজিরে আযম" যিনি দেশের সর্বচ্চ পর্যায়ের নেতার নিকট আত্যীয়তার সুত্রে অত্যন্ত প্রভাবশালী নেতা-তার সাংগপাংগরা আমাদের সামান্য বসত ভিটাটুকুও কেড়ে নেয়(উনার ছেলেরাও অন্যের বাড়ি দখলে অভ্যস্থ্য)। আমাদের পাশে এসে দাড়ান বীর মুক্তি যোদ্ধা ওয়াদুদ চাচা, বি এম কলেজের প্রফেসর শামসুদ্দিন স্যার প্রমুখ মুক্তিযোদ্ধারা। আমরা কোনোমতে বেঁচে গেলেও আর্থীক অনটনে তিন ভাই বোনের লেখা পরা বন্ধ হয়ে যায়। আমাকে ভর্তি করানো হয় লিল্লাহ মাদ্রাসায়......মা বাড়ি বাড়ি বাচ্চাদের আরবী পড়া শিখিয়ে সামান্য উপার্জনে আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছিলেন।
স্বাধীনতার মুল্য কী-তা আমার থেকে খুব কম ব্লগারগনই জানেন......। আমি ব্লগে আমার ধর্ম নিয়ে পোস্ট দিতাম-সবাই আমাকে "রাজাকার" আখ্যায়িত করতেন। ইসলাম ধর্ম নিয়ে লিখলেই "রাকাজার" হতে হয়! আমার আগের নিকটা ব্যন করা হলো। নতুন নিক রেজিস্ট্রেশন করি- "সত্য কথায় যত দোষ"! এই নিকেও লেখা বন্ধ করে শুধু মন্তব্য করি। মন্তব্যগুলো অবশ্যই কাউকে মিথ্যা খুশী করার জন্য নয়।তবে আমি মিথ্যা বলিনা-সত্য বলি-সেই অপরাধে আমাকে নির্মম কটুক্তি শুনতে হয়। আমি কমপক্ষে ৪ শত জন ব্লগারের ব্লগে ব্লক!
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:১৪
মানবী বলেছেন: আমদের দেশে একপাল দেশপ্রেম বর্জিত কুলাঙ্গার আছে, যারা তাদের সমর্থিত দলের বিরুদ্ধ কথা বললে, রাজাকার ত্যগ করে। আরেকপাল কুলাঙ্গার তাদের সমর্থিত দলের বিরুদ্ধে কিছু বললে, ইসলামের শত্রু অথবা মুরতাদ ঘোষণা দেবার ধৃষ্টতা দেখায়ঁ!!!
মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কেনুন্যতম জ্ঞান নেই বিধায়, মসজিদের ইমাম বা মাদ্রাসা শিক্ষক শুনলে এরা যুদ্ধাপরাধী ট্যাগ করে। এইন রাধমরা জানেনা, মুক্তিযুদ্ধকালীন অগুবনি মুক্তযিোদ্ধা জীবন ঝুঁকি নিয়ে যুদ্ধ করার সাথে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সময় মতো নামাজ পড়েছেন... তাঁদের মাঝে স্কুল শিক্ষক, মাদ্রাসা শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিত, কৃষক, শ্রমিক নির্বিশেষ সব একাকার হয়ে মিশে ছিলো।
চারশত ব্লগার বা নিকের ব্লগে ব্লক জেনে অবাক হলাম!!!
ইদানীং ব্লগে নিয়মিত নই বিধায় ধারনা করতে পারছিনা আপনার পরিচিত নিকটি কি!!
যেটাই হোক, আপনি ভালো থাকুন। সর্বদা সত্য ও ন্যায়ের পথে থাকুন.. শুভ কামনা রইলো।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
২২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৫৯
আর.এইচ.সুমন বলেছেন: আমি যে কমেন্ট টি করেছি এর আগে তা দেখে ভাইবেন না যে আমি স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার .... আমি আসলে ক্ষোভ প্রকাশের জন্য অমন করে বলেছি ...
"আমরা স্বাধীনতাকে অর্জন করেছি ঠিকই , কিন্তু তা রক্ষা করতে ব্যার্থ হয়েছি " বলেই আমার কাছে মনে হয় ....।
ঐ কমেন্টের লিংকটা দেখতে পারেন ....
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:২৪
মানবী বলেছেন: কারো মন্তব্য বা বক্তব্য পড়ে তাঁকে রাজাকার আখ্যা দেবার বা মুরতাদ ঘোষণা দেবার কপিরাইট দেশের দুটি জঙ্গীবাদী দল কুক্ষিগত করে রেখেছে, তাদের নাম যথাক্রমে আওয়ামিলীগ ও জামায়াত ইসলাম। এরা উভয়ই বর্জনীয়!!
আমি অতিসাধারণ অরাজনৈতিক ব্যক্তি বিধায় আপনাকে এমন অকারণে স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার মনে করার কোন কারণ দেখছিনা!!!
সময় করে লিংকের পোস্টটি পড়র আগ্রহ বোধ করছি।
ধন্যবাদ আপনাকে।।
২৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৩৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কোন ভীনদেশী ভাঁড় এসে আসর জমিয়ে বসলে, সেখানেও ক্ষমতার দুর্গন্ধ পৌঁছে যায়। ভাঁড়ামোতে শরিক হতে চলে যায় রাজপরিবারের বিশেষ দূত! শুধু তাঁদের খুঁজে পাওয়া যায়না শ্রমিকের লাশের ভীড়ে, খুঁজে পাওয়া যায়না রাজপথে পড়ে থাকা কোন বিপ্লবী বা মিছিলের বুলেটবিদ্ধ যুবকের মাঝে!
>>
রাজনৈতিক অন্ধত্ব নিয়ে দল প্রেম সম্ভব, দেশ প্রেম নয়।
যুদ্ধাপরাধী যে দলের হোক, সমান ঘৃণ্য।
এই চেতনার ব্যাপক বিকাশ হয়তো আমাদের আশার আলো দেখাতে পারে---
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:২৮
মানবী বলেছেন: সকলের মাঝে প্রকৃত দেশাত্মবোধ ও দেশপ্রেম জাগ্রত হোক, এই প্রত্যাশা......
আন্তরিক ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু ।।
২৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৩:১০
সীমান্ত আহমেদ বলেছেন: সহমত ও প্লাস।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৪৭
মানবী বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভকামনা :-)
২৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:০৫
স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: একমত।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৪৮
মানবী বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১১:০৪
মুকুট বিহীন সম্রাট বলেছেন: ভালো থাকবেন আর বেচেঁ থাকুন হাজার বছর
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৩৬
মানবী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ শুভকামনার জন্য।
হাজার বছর বেঁচে কি হবে সম্রাট?
আন্তরিক শুভকামনা আপনার জন্য, ভালো থাকুন প্রতি মুহুর্ত।
২৭| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:৪২
আকাশ অম্বর বলেছেন: উঁচু পাহাড়ের উপর দাঁড়িয়ে অকাট সত্যকথন উপত্যকায় প্রতিধ্বনির জন্ম দেয় হয়তো, কিন্তু থেমে গেলেই পোকাগুলো মুখ নামিয়ে গর্ত খুড়তে থাকে, আর অন্ধকারগুলো সেই গর্তে বিশ্রাম নেয়। লেখার জন্য কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ দেবো, কিন্তু এটাও জানি আমরা কিছু শিখি না, শিখতে চাই না। তবুও ক্ষণিকের জন্য কিছু কিছু শব্দচয়ন মনে করিয়ে দেয় কোথায় থাকা উচিত।
ভালো থাকবেন আপনি।
শুভেচ্ছা, মানবী।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৩৮
মানবী বলেছেন: আলোর মশাল জ্বালিয়ে গর্তে বিশ্রামরত অন্ধকারকে দূর করা বড় জরুরী হয়ে পড়েছে।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা আকাশ অম্বর।
জীবনের কোন এক প্রাপ্তি ও অর্জন উপলক্ষ্যে আপনাকে অনেক অনেক অভিনন্দন :-)
২৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:১৬
মুকুট বিহীন সম্রাট বলেছেন: অনেকদিন পর আপনাকে দেখলাম ব্লগে
অন্য কোন আইডি তে লিখছেন নাকি?
এমন হলে সেই আইডি আমার জানার ইচ্ছে রইলো
২০ শে জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ৭:১৭
মানবী বলেছেন: জ্বিনা, অন্য কোন আইডিতে বা অন্য কোন বাংলা কমিউনিটি ব্লগে লিখছি। ভীষণ ব্যস্ততা ও ঝামেলা যাচ্ছে, সময় পেলে ব্লগের পাতা উল্টে যাই.. তাও খুব এলোমেলো ভাবে।
আপনি ভালো আছেন আশা করি।
উল্টোমানব যে আবারও বিশ্রামরত সম্রাট রূপে ফিরে এসেছেন, দেখে ভালো লাগলো :-)
অনেক অনেক ভালো থাকুন।
২৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১১ ভোর ৬:৩৬
জাকিয়া তানজিম বলেছেন: হুমম লেখার সাথে সহমত।
নতুন লেখা দিচ্ছেন না কেন আপু !
২০ শে জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ৭:২১
মানবী বলেছেন: এমনিতেও লেখালেখিতে তেমন হাত নেই আমার, তারপর প্রচন্ড ব্যস্ততা আর ঝামেলা যাচ্ছে আপু।
আপনারা অস্ট্রেলিয়ার বন্যার কবলে পড়েননি জেনে ভালো লাগলো। আশা করি ব্রিসবেনের সব ব্লগাররা সুস্থ ও নিরাপদ আছেন।
আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা জাকিয়া তানজিম।
৩০| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:৩২
হুপফূলফরইভার বলেছেন: আপু~
রাজনীতি নিয়ে কথা বলতেই কেমন যেন অরুচি লাগে~
ইউনিতে থাকাকালীন একান্তুই মনের তাড়নায় ডান বাম সব ছাত্রসংগঠনকে খুব কাছ থেকে দেখার চেস্টা করেছি~ জাতীয় রাজনীতির পেছনের ম্যাকানিজম, আল্টিমেট ভিষন হয়ত তেমন কিছুই বুঝি না~
শুধু এটুকুই বুঝি~ নিজের সীমিত সাধ্যে পথের পাশের শিশুটিকে কোন একটা কাজে ইনভল্ভ করে কর্মীর হাতে পরিনত হতে সুযোগ করে দেয়া~
পাশের গ্রামের রুগকাতর বুড়ু চাচাকে চিকিত্সার জন্য অন্তত ঢাকা হাসপাতালের কোন একটা বেডে এডমিট করে দেয়া~
নাহ! বড্ড পেচালী শুরু করে দিলাম~ একটা গান শুনবেন? ~
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:০৮
মানবী বলেছেন: নিজ নিজ অবস্থান থেকে সাধ্যমতো করা হলে, সকলের সন্মিলীত প্রচেষ্টায় অনেক বড় কিছু অর্জন সম্ভব। এমনকি দেশকে নোংরা রাজনীতির কলুষমুক্ত করে এই হতভাগ্যদের পাশে দাঁড়ানো, তাঁদের ভাগ্যের পরিবর্তন আনা সম্ভব।
আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
৩১| ০৯ ই মার্চ, ২০১১ ভোর ৪:৫৭
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন: এত সুন্দর আপনার লেখা!! পড়ে খুব বেশি ভালো লাগলো!!!
১০ ই মার্চ, ২০১১ রাত ২:৪১
মানবী বলেছেন: আমার অতি সাধারন লেখাকে এভাবে বলেছেন দেখে সন্মানিতবোধ করছি!
প্রচন্ড কষ্ট আর ক্ষোভ থেকে লেখা.. নির্মম কালো বাস্তবতার কাছে এক অসহায় আত্মসমর্পন।
আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা আপনাকে।
৩২| ১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ৩:৪১
হাম্বা বলেছেন: লেখক বলেছেন: সকলের মাঝে প্রকৃত দেশাত্মবোধ ও দেশপ্রেম জাগ্রত হোক, এই প্রত্যাশা......
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:১৭
ইমন েচৌধুরী বলেছেন: ঠিক কইছেন ভাই,,, ধন্য=+ সাথে প্লাস,,