নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবসন্তান

নিজের সম্পর্কে কি আর বলবো?

মানবসন্তান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফেয়ার অ্যান্ড লাভলীর ফেয়ারনেস প্রতারণা!

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৭:৪৩

ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী তাদের বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করছে, শুধুই ক্রিম নয়, যেন ফেয়ানেস ট্রিটমেন্ট। নিউ ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী অ্যাডভান্সড মাল্টি ভিটামিনের বিজ্ঞাপনের অপরাংশে লেখা রয়েছে, নতুন ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী এক্সপার্ট ফেয়ারনেস ট্রিটমেন্টের মতোই টার্গেট করে স্পটস, ডার্ক সার্কেলস, রোদে পোড়া, ফ্যাকাসে এবং শ্যামলা ভাবকে আর আপনাকে দেয় ট্রিটমেন্টের মতো ফেয়ারনেস প্রতিদিন। কিন্তু বিজ্ঞাপনের নিচেরাংশে স্টার চিহ্ন (শর্ত প্রযোজ্য অংশ) দিয়ে লেখা রয়েছে, ফেয়ারনেস ট্রিটমেন্ট বলতে কসমেটিক ডোমেইনের ট্রিটমেন্টের কথা বোঝানো হয়েছে এবং কার্যকারিতা ক্লিনিক্যাল বা ইনভ্যাসিভ স্কিন ট্রিটমেন্টের সঙ্গে তুলনীয় নয়। একই বিজ্ঞাপনে দুই ধরনের কথায় ফেয়ার অ্যান্ড লাভলীর ব্যবহারকারীরা ধীরে ধীরে আস্থা হারিয়ে ফেলছেন এ পণ্যটি ব্যবহারে। বিষয়টিকে এক ধরনের প্রতারণা হিসেবেই দেখছেন তারা। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী ব্যবহারকারী এবং ত্বক বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ক্রিমটি ব্যবহারে প্রথমে ত্বকে ফেয়ারনেস ভাব আসলেও পরে ত্বক কালো হয়ে যায় এবং নানা সমস্যা দেখা দেয়।



রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকায় কথা হয় ফারজানা নামে একজনের সঙ্গে। তিনি জানান, একটানা ছয় সপ্তাহ তিনি ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী ব্যবহার করেছেন। কিন্তু ভালো ফল তো পাননি, উল্টো তার ত্বকে অনেক ব্রণ ফুটেছে এবং ত্বক আগের চেয়ে অনেক কালো হয়ে গেছে।



মতিঝিল এলাকায় সুমনা হক নামে একজনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি ফেয়ার অ্যান্ড লাভলীর ব্যাপারে অনেক ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ফেয়ার অ্যান্ড লাভলীর বিজ্ঞাপনে যে ধরনের ভাওতাবাজির ভাষা ব্যবহার করা হচ্ছে, তা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি। আরও বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বললে তারাও ফেয়ার অ্যান্ড লাভলীর ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে একই ধরনের মন্তব্য করেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যেসব মডেল ফেয়ার অ্যান্ড লাভলীর বিজ্ঞাপন করেন, তাদের কেউই ক্রিমটি ব্যবহার করেন না। কারণ, তারা এর আসল রূপটি জানেন।



বিষয়টির ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. শহিদুল্লাহ সিকদার বলেন, ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী ব্যবহার করলে প্রথমে ত্বক ফর্সা হলেও পরে তা কালো হয়ে যায়। এটি ব্যবহারের কারণে পিগমেন্ট দেখা দেয়। গালের ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হয়ে যায়, যার কারণে ত্বকের কিছু অংশ পাতলা এবং কিছু অংশ মোটা হয়ে যায়। ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী ব্যবহারের কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ত্বকে ব্রণ দেখা দেয় এবং ছোট ছোট গোটা হয়। এ ক্রিমটি ব্যবহারে ভালোর চেয়ে মন্দই বেশি হয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:১৪

ফ্রিঞ্জ বলেছেন: X( X( X(( X((

২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:৩৫

িসফাত অািমর বলেছেন: Ora Africai business korena kan??
GaNa‘r manush gular fair n lovely besi dorkar...;)
Amader Hasan Masud k Sada korte parle bujhtam j era asol, ;)

৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:৩৯

মানবসন্তান বলেছেন: িসফাত অািমর বলেছেন: Ora Africai business korena kan??
GaNa‘r manush gular fair n lovely besi dorkar...;)
Amader Hasan Masud k Sada korte parle bujhtam j era asol, ;)

৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:১২

সচেতন বলেছেন: মনে হয় লাভ নেই এই সব লিখে। এ আর নতুন কি! আমার ছোট্ট বেলা থেকে শুনে আসছি ফেয়ার এন্ড লাভলী ভুয়া, রং ফর্সা হয় না, বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই, অমুক গবেষনায় পাওয়া গেছে এটা হয়না, ওটা হয় না। কিন্তু তারপরেও সব যুগের ফারজানা আর সুমনা-রা এগুলি মাখবেই। সমাজে যতোদিন মেধাকে যথেষ্ট মুল্যায়ন না করে বাহিরের সৌন্দর্যকে অধিক মুল্য দেয়া হবে ততোদিন এই সব ট্রিটমেন্ট বিজনেস করেই যাবে সফলতার সাথে।

৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:২১

সোহানী বলেছেন: সহমত সচেতন এবং ধন্যবাদ মানবসন্তানকে সময়োপযোগী লিখার জন্য।

আমার মতে এইসব ক্রিম/কসমেটিকস্ এর উৎপাদন/ব্যবসা বন্ধ করে দেয়া উচিত। এদেশের অশিক্ষিত/অর্ধশিক্ষিত ভাই বোনেরা যতদিন না সচেতন হবে ততদিন লিভার ব্রাদার্স এর মত বহুজাতিক কোম্পানীগুলো বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করে যাবে।

৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৩৮

আমি তুমি আমরা বলেছেন: গুড পোস্ট

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.