![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাবুজি যাবে তুমি? শীত যে থেমে এলো? তিয়াস্তার বনে যেকালে আগুন লাগলো দেখেছিলাম , উদাস্তু মানুষের ঢল । বাবুজি তুমি যাবে না ওখানে ? আমাদের সব কিছুই হয়তো দখল হয়ে গেছে যে ।
বাবুজি কোন কথা বললো - মাথা নিচু করে পান চিবুচ্ছিলো ।
ঊর্ষীলা দক্ষিনা জানালায় বসে বসে চুল আচড়িয়ে খোপা বাধঁছিল ।
বাবুজি একটু স্থির হয়ে বললো- ব্যক্তিগত সক্ষমতাই সাহসিকতা । তুমি যদি আমার পরিচয়ে বড় হও কোনদিন, নিজের বলে কিছু থাকবে না । পৃথিবীতে গরীব তারাই যাদের -স্বল্প আয়, দুর্বল স্বাস্থ্য, ক্ষুধা বা পুষ্টির অভাব যেখানে ।
ঊর্ষীলা চুল বেধেঁ ঘর থেকে বের হয়ে গেল তখন, কিছুক্ষনপর বিড়ালের ছানা নিয়ে ঘরে ঢুকলো । বিড়ালের ছানা বার বার মিউ মিউ আওয়াজ করছিলো । বাবুজি তার কথা থামালো, বিড়ালের মিউ মিউ আওয়াজ শুনছিলো সে ।
মিহীন এসে বললো- বাবুজি, নিচে কার বাসায় যেন পুলিশ এসেছে । যাবে নাকি একবার? গিয়ে শুনে আসো গিয়ে কি হলো ।
বাবুজি উঠে ওয়াশ রুমে যেয়ে মুখ পরিস্কার করলো , মিহীনকে বললো- তেমন কিছু না ভোদয় হতে পারে কারো ব্যক্তিগত সমস্যা তাই পুলিশ ।
রীমা এসে বাবুর্জির হাতে এক -কাপ কফি দিয়ে বললো- সন্ধেটায় একটু শীত বেশিই লাগছে । গোসলটা করে নিলে কমে যেত হয়তো ।
বাবুজি বললো- হুম, গোসল করলে শরীর পাতলা লাগে । এমন সময় কলিংবেল , নীনি এসেছে বাবুজি ? আপনাকে ডাকে ।
বাবুর্জি: -ও নীনি ? ভেতরে আসতে বল ।
নীনি: না বাবুর্জি , বাবা আপনাকে ডাকে । পুলিশ এসেছে বাসায় সাক্ষী দিতে হবে, আপনাকে ? কাল নাকি আপনার সাথে বাবার কথা হয়ে ছিল ।
বাবুর্জি: ও হো, ভুলেই গেছিলাম । চল চল ।
এরপর বাবুজি নীনির সাথে বের হয়ে গেল ।
রীমা মিহীনকে বলছিল- কি ব্যাপার রে? ওরা বাবুজিকে কেন নিয়ে গেল?
মিহীন: জানি না কি হলো ।
ঊর্ষী লেটমুড়ো দিয়ে বলতেছে , রীমিদি ঝাল মুড়ি বানাবি? খেতে মন চাচ্ছে যে ।
রীমিদি: পেয়াজ নেই, পেয়াজ ছাড়া ঝালমুড়ি হয় না ।
ঊর্ষী: দু'টো কচি শসা তো কেটে দিতে পার ?
রীমি আর কিছু বললো না ।
রাত আট-টা প্রায় বেজে গেল, বাবুর্জি আর এলো না । রীমি : মিহীন , নীনিদের বাসায় গিয়ে দেখে আসবি এখনো বাবুর্জি এলো না কেন?
মিহীন: বসে থাক, আসবে তার সময় হলে ।
রীমি: ভাত যে ঠান্ডা হয়ে যাবে ।
মিহীন: খেয়েই আসবে হয়তো ।
ঊর্ষী: বাবুর্জি এখনো আসিনি? কি হয়েছে নীনিদের বাসায় ?
রীমি: ঊর্ষী তুই যেয়ে একটু দেখে আয় না ।
ঊর্ষী: ইস! বাইরে কি শীত ।
বাবুর্জি রাত ১০টার সময় আসলো । তখন ঊর্ষী ও মিহীন ঘুমে । রীমি: বাবুর্জি কি হয়েছে নীনিদের বাসায় ? এতো দেরি হলো যে ? কিসের সাক্ষী?
বাবুর্জি : ঔ তো নীনির ভাইটা কাকে বলে, খুন করেছে । তাই থানা থেকে এসেছে ওরা ?
রীমি: কাকে? খুনের মামলায় সাক্ষীদিলে তুমি?
বাবুর্জি: দিলাম, ছেলেটাকে এলাকাতে কেমন ছিল তাই বললাম । ওকে তো সব-সময় ভদ্রই দেখতাম , সেটাই বললাম ।
রীমি: বাবুর্জি ওখানে যেয়ো না আর, খুনের মামলার বিষয় ।
বাবুর্জি : নীনির ভাই এখন জেলে, পুলিশ আসছে তদন্ত করতে , এলাকার মানুষের উপস্থিত থাকাটা প্রয়োজন তাছাড়া ও কি আসলেই খুনি কিনা কিভাবে বলবো- আদালতে প্রমানিত হোক ।
রীমি: কি সংঘাতিক এত বড় ঘটনা হলো আমরা জানি না ।
বাবুর্জি : জানবে কি করে, তোমরা যে ভয়ে ঘর থেকেই বের হও না । বাইরের জীবনটাই জীবন , এছাড়া অন্য কিছু নয় ।
রীমি: যাইহোক বাবুর্জি তোমাকে ভাত বেড়ে দিচ্ছি, টেবিলে আসো ।
বাবুর্জি: দে তো মা , খুব খিদে পেয়েছে ।
রীমি: বাবুজিকে খাবার দিল ।
বাবুর্জি খাবার শেষ করে ঘুমাতে গেল ।
রীমিও ঘুমাতে গেল । রীমি ঘুমাতে ঘুমাতে নীনির ভাইকে মনে করলো - কত শান্ত,ভদ্রলোক ছিল ওর ভাইটা , আসলে কি সে খুন করেছে? হয়তো খুন করেছে না হলে পুলিশে ধরবে কেন? সে অপরাধীই , থাকে না ভদ্রবেশি অপরাধী সে তেমনি হয়তো ।
©somewhere in net ltd.