![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তুমি হঠাৎ এসেছিলে বসন্তের রুপ নিয়ে,
ঘর-দুয়ারে জীবন্ত ছাপ বিছিয়ে ।
আহত জীবন সেরে উঠছিলো,
হৃদয়ে আকাশ খুজে পেয়েছি,
মধ্যবিত্ত রক্তে আনাড়ি উত্তেজনা !
ফের যখন চলে গেলে, সব মৃত হয়ে নিথর পড়ে রয় !
আজও আমি ভাঙা আয়নার নিজ মুখ দেখি,
প্রভাতে আলু ভর্তা,মশারির ডাল দিয়ে নাস্তা করি,
ঘরটা এখনো আবব্ধ, বিদুৎ চলে গেলে ঘুট ঘুটে অন্ধকার,
তোমার কবিতার পান্ডলিপিতে ধুলোবালি জমে আছে,
ওগুলো এমনিতেই মুখস্ত হয়ে গেছে,
মাথা থেকে চুল ঘুলো খসে যাচ্ছে,
গোসল করে অনেকদিন শ্যাম্পু করি না,
রাত করে গোসল করা হয়,
লেখা-পড়া আর করতে মন চায় না,
এই দেশে আর থাকতে মন চায় না ,
বাবা কড়া গলায় বলেদিয়েছে-ধমান্ধ হতে হবে,
নাহলে এক পয়সাও নয় ।
আমার প্রার্থনা করতে লাগে না,কিন্তু মিথ্যা তো বলি না ।
হৃদয় শুধু দুরে চলে যেতে মনচায় ,
আমি পথ হাটি মাইলের পর মাইল । হাজার হাজার বছর ধরে,
কোথাও বনলতা সেন নেই,
বনলতারা এই কাঠ-খোট্টা শহরে থাকবে না জানি ,
বনলতারা প্রকৃতির সৃষ্টি ।
এখন আর গল্প পাই না, কবিতারা হারিয়ে গেছে ।
শীত এসেগেছে,
আমাদের গান থেমেছে ।
আমাকে এখনো টানে বৌবাজার,ওয়েলংটনমোড়,উল্টোডাঙ্গা,রবীন্দ সদন,শ্যামবাজার ,গরিয়াহাটের মোড় আর ভিক্টোরিয়ার পার্কের সামনে বিশাল ময়দান । চৌরাঙ্গিলেনের পাশেই আমার থাকার জায়গা ছিল । একা একা হেটেঁ দেখেছি শহরটাকে ।
তুমি, তোমরা কখনো আসবে না জানি । কেউ আসেনা । এক-সময় সবাই কি বুঝতে পারে আমি স্বার্থপর?
আমার স্বার্থটা শুধু তোমার হৃদয়ের খোজে । বার বার ভিন্ন রুপে পাই আবার হারাই ।
©somewhere in net ltd.