![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হে আল্লাহ! তুমি আমায় হক রাস্তা দেখাও, হকের অনুসরণ করারও প্রতি মদদ কর, বাতিলকে বাতিলরুপে দেখাও এবং বাতিল হতে বেঁচে থাকার প্রতি সাহায্য কর। আর হকের হক রুপে দেখাও এবং তার অনুসরণ করার জন্য এমনভাবে মদদ কর যেন হক বা সত্য কথা আমার জন্য উহ্য না থাকে। হে আমার রব! তুমি জিবরাঈল, মিকাঈল, ইসরাফিল-এর পরওয়ারদিগার, আসমান-যমীনের একমাত্র সৃজনকারী, তুমি প্রকাশ ও অপ্রকাশ সবকথা ও কাজ সম্পর্কে অবগত আছ, তোমার বান্দাহগণ আপোষে যে মতভেদ করে তার মধ্যে মূল সত্য ও আসল হকের ফায়সালা তুমিই করতে সক্ষম। তুমি আমায় ঐ সমস্ত মতভেদের মদ্যে যা খাঁটি সত্য, আসল হক তাই আমায় হিদায়াত করতে থাক। একমাত্র তুমিই তোমার বান্দাহকে সঠিক পথের হিদায়াত করতে পার। আমীন।
বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম
সকল প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্যে। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া আর কেউই ইবাদত পাওয়ার যোগ্য নয় এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ ﷺ আল্লাহর বান্দাহ ও রাসূল। উত্তম বাণী হচ্ছে আল্লাহর বাণী, উত্তম পথ হচ্ছে রাসূল ﷺ এর পথ এবং নিকৃষ্ট বিষয় হচ্ছে দ্বীন ইসলামের মধ্যে নতুন উদ্ভাবিত বিষয়(বিদআহ), নিশ্চয়ই প্রত্যেক বিদআহ’ই হচ্ছে পথভ্রষ্টতা আর পথভ্রষ্টতার গন্তব্যস্থল জাহান্নাম।
হিজবুত তাহরীর, এই নামটি মোটামুটি অনেকেই জানেন বিশেষ করে পাবলিক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা এই নামটির সাথে বেশী পরিচিত। আলহামদুলিল্লাহ, হিজবুত তাহরীর বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হয়েছে। এই দলটি যে পন্থা বা পদ্ধতীতে তাদের কথা প্রচার করে, তাদের যে আকীদা রয়েছে বা তারা যেগুলো তে বিশ্বাস করে তা মোটেই ইসলামী কাজ নয়, ইসলামী বিশ্বাস নয়। সত্য-সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত একটি দল। কাজেই তাদের প্রচারনা যেন মুসলিম ভাই-বোনদের বিভ্রান্ত করতে না পারে তা জন্যেই তাদের কিছু দিক তুলে ধরব।
হিজবুত তাহরীর এর আকীদা:
১. যে পর্যন্ত কোরআন তাদের আকলের বোধগম্য না হয় সে পর্যন্ত তারা কোরআনের আয়াত বিশ্বাস করে না। (এই বিষয়টি তাদের বই “The System of Islam বা Nidham ul Islam” এ রয়েছে)। অথচ কোরআনের প্রত্যেকটি আয়াতকে শর্তহীনভাবে প্রত্যেক মুসলিমকে বিশ্বাস করতে হবে। কেউ যদি কোরআনের একটি মাত্র আয়াত অস্বীকার করে বা বিশ্বাস করবে না সে আর মুসলিম থাকবে না।
২. হিজবুত তাহরীর তাদের বই Nidham ul Islam এ ইসলামের বিশ্বাস করাকে Emotional বিশ্বাস বলে অভিহিত করে, এই বিশ্বাসকে তারা Idol Worshiper দের সাথে তুলনা করেছে, Emotion এর কারণেই এরা Idol Worship করছে। এর জন্যে এরা বিশ্বাসকে যুক্তি দিয়ে বুঝাকে ওয়াজিব করেছে।
৩. কবরের আযাবকে তারা বিশ্বাস করে না। অথচ এই বিষয়ে সহীহ হাদীস ও কোরআনের আয়াত রয়েছে। রাসূল ﷺ নামাজে শেষ বৈঠকে কবরের আযাব থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। মুতাযিলা সম্প্রদায়ও এই কবরের আযাবকে বিশ্বাস করতো না।
৪. এরা ইলমুল কালামে বিশ্বাসী। অর্থাৎ কোরআন এবং হাদীসের উপরে এরা যুক্তিকে প্রাধান্য দেয়। কিন্তু আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত এই ইলমুল কালাম আকীদাকে অস্বীকার করে। ইমাম আবু হানিফা (রহ) এবং ইমাম শাফেঈ (রহ) এই ইলমুল কালামদের বিদআতী আখ্যায়িত করেছেন এবং যারা ইলমুল কালাম ব্যবহার করতো তাদের শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দিতেন।
৫. মুতাযিলা, মাতুরিদী, আশআরী সম্প্রদায়ের আকীদার সাথে এদের যথেষ্ট মিল রয়েছে। এমনকি হিজবুত তাহরীরের প্রতিষ্ঠাতা Taqiuddin an-Nabahani মাতুরিদী আকীদার, এবং মাতুরিদী আকীদার উলামাদের Ulamaa ut-Tawheed বলে অভিহিত করেছে।
হিজবুত তাহরীর এর কার্যক্রম:
১. এরা খিলাফতের দাওয়াত প্রচার করে। যেকোন বিষয়ে আলোচনা করার আগে তারা খিলাফতকে উল্লেখ করবে। আর এটা করতে যেয়ে তারা বিভিন্ন সেমিনার করে খিলাফতের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে। খিলাফতের প্রয়োজনীয়তা বলতে যেয়ে তারা কুরআন এবং সুন্নাহর ভুল ব্যাখ্যা প্রদান করে। আর এদের চেনার এটাই সহজ উপায় এরা সর্বপ্রথম খিলাফতের দাওয়াত দিবে।
২. এরা মানুষকে প্রথমেই খিলাফতের দাওয়াত দিবে যদিও সেই মানুষটির ইসলাম, ঈমান সম্পর্কে অজ্ঞ, শিরক-বিদআতে লিপ্ত থাকে তবুও সমস্যা নেই।
৩. এরা তাদের আন্দোলনকে রাসূল ﷺ এর সাথে তুলনা করে। অথচ রাসূল ﷺ মক্কার মুশরিকদের প্রথমেই খিলাফতের দাওয়াত দেন নি। তিনি তাওহীদ তথা একত্ববাদের দাওয়াত দিতেন। তিনি কখনও বলেননি, আমরা খিলাফত করব, কাজেই আমাদের খিলাফতে যোগ দাও, তিনি বলতেন, তোমরা এক আল্লাহর ইবাদত কর, তার সাথে কাউকে শরীক করো না। অর্থাৎ রাসূল ﷺ এর সুন্নাত হল মানুষকে আগে ঈমান সম্পর্কিত শিক্ষা দেওয়া, তাদের আকীদা ঠিক করানো, শিরক থেকে মুক্ত করানো। খিলাফত হচ্ছে একদম শেষ স্টেজ, আর এরা প্রথম স্টেজ ঠিক না করেই এক লাফে খিলাফত প্রতিষ্ঠ করার জন্যে উঠে পরে লেগেছে।
৪. ইসলাম বিষয়ে এদের জ্ঞান খুবই কম, শুধু খিলাফতের কথা বলবে, তাদের যুক্তি গণসচেতনতা তৈরী করে বিপ্লব তথা গণঅভ্যূত্থানের মাধ্যমে খিলাফত প্রতিষ্ঠা করা।
৫. মুসলিম উম্মাহর অধপতন হয়েছে আল্লাহর আনুগত্য, রাসূল ﷺ এর সুন্নাহ না মানার কারণে। অথচ এই বিষয়টি তারা কখনও উল্লেখ করবে না, বরং তারা খিলাফতকে গুরুত্ব দিবে।
আরো যারা বিস্তারিত জানতে চান তারা নীচের লিংকটি বিস্তারিত পড়ে নিতে পারেন।
এখানে ক্লিক করুন
আল্লাহ তাআলা আমাদের ভুল পথে পরিচালিত তথা সঠিক-সরল পথ থেকে বিচ্যুত হওয়া থেকে হিফাজত করুন এবং ইখলাসের সাথে ও রাসূল ﷺ এর সুন্নাহ অনুযায়ী ইবাদত করার তৌফিক দান করুন। । আমীন।
২| ১৮ ই মে, ২০১০ দুপুর ১২:০৩
স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: জানা ছিল না। ধন্যবাদ।
শিরোনামের কারণে অনেকে না পড়ে মাইনাস দিয়ে যাবে।
১৮ ই মে, ২০১০ দুপুর ২:৩৩
উমর বলেছেন: শিরোনামটি পরিবর্তন করে দিয়েছি।
৩| ১৮ ই মে, ২০১০ দুপুর ১২:১৬
দীপ দীপ্তি বলেছেন: সরি উমর। এক্সট্রিমলি সরি। amhabib আপনার কাছেও সরি।
সত্যি কথা বলতে কি এই প্রথম আমি পোস্ট না পড়েই কেবল হেডিং দেখে মাথা গরম করে কমেন্ট করে ফেলেছি। নো হার্ড ফিলিংস প্লিজ।
কাইন্ডলি আগের দুইটা মন্তব্য মুছে দিলে খুশি হবো।
আবার সরি বলছি লেখক ও amhabib কে।
১৮ ই মে, ২০১০ দুপুর ২:২৮
উমর বলেছেন: ভাই আমি বুঝতে পেরেছি।
তবে ভাই হিসেবে বলব, আপনি যে ভাষা ব্যবহার করেছেন তা একজন মুসলিমের ব্যবহার করা উচিত নয় হোক সেটা শত্রুর বিরুদ্ধে। কারণ, রাসূল ﷺ কখনও এমন খারাপ শব্দ ব্যবহার করেন নি। উনার উম্মৎ হিসেবে উনার সুন্নাত আমাদের অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। ভাল থাকবেন।
৪| ১৮ ই মে, ২০১০ দুপুর ১২:২৩
আহমেদ সাদমান বলেছেন: পড়ে ভাল লাগল, আপনার কথাটার যুক্তি আছে। +
৫| ১৮ ই মে, ২০১০ দুপুর ১২:৩৩
অকপট শুভ্র বলেছেন: আপনার গঠন মুলক সমালোচনা আমার ভালো লেগেছে। ++++
৭| ১৮ ই মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৫
শৈল্পিক ভাবনা বলেছেন: উমর আপনাকে অনেক ধন্যবাদ যুক্তিসহ সুন্দর একটা পোস্ট উপস্থাপনের জন্য।
৮| ১৯ শে মে, ২০১০ রাত ২:১৩
শুষ্ক বলেছেন: রাইট
৯| ২৯ শে মে, ২০১০ দুপুর ১২:৪৮
মিনহাজ উদ্দিন বলেছেন: আগে এগুলো জানতাম না তো....
১০| ১২ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১:২১
প্রভাত ফেরী বলেছেন: ভাই
আপনার অধিকাংশ মতের সাথে সহমত কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া।
১) হিজবুত তাহরির এর আকিদা এর ২ নং অংশে তাদের মতের সাথে কিছুটা Idle worshiper একমত। আমাদের দেশের অধিকাংশ লোকই Idle worshiper । তারা না জেনে এবং না বুঝেই ইবাদত করে। ফলে তারা অনেক সময়ই Emotional হয়ে যায়। আর সেটা হলো A little learning is very dengerious.
২) আপনি হিজবুত তাহরীর এর কার্যক্রম এর ৩ নং অংশে বলেছেন "এরা তাদের আন্দোলনকে রাসূল ﷺ এর সাথে তুলনা করে। অথচ রাসূল ﷺ মক্কার মুশরিকদের প্রথমেই খিলাফতের দাওয়াত দেন নি। তিনি তাওহীদ তথা একত্ববাদের দাওয়াত দিতেন। তিনি কখনও বলেননি, আমরা খিলাফত করব, কাজেই আমাদের খিলাফতে যোগ দাও, তিনি বলতেন, তোমরা এক আল্লাহর ইবাদত কর, তার সাথে কাউকে শরীক করো না। অর্থাৎ রাসূল ﷺ এর সুন্নাত হল মানুষকে আগে ঈমান সম্পর্কিত শিক্ষা দেওয়া, তাদের আকীদা ঠিক করানো, শিরক থেকে মুক্ত করানো। " ভাই এ দেশের মানুষ মুশরিক নয়। তারা পথভ্রষ্ঠ ও নয়। এদেশের ৯০ ভাগ লোক মুসলমান। তাই তাদের উপর সম্পূর্ণ কুরআন মেনে চলা ফরজ এবং রাসুল (সাঃ) এর পুরো জীবন অনুসরণ করা সুন্নত। তাই এদেশে শুধু মাক্কী জীবন নয় পুরো কুরআন এবং হাদিসের অনুসরনের দাওয়াত দেয়া আবশ্যক।
এছাড়া আপনার সম্পূর্ণ লিখার সাথে সহমত।
১১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:২৫
সাইফ বাঙ্গালী বলেছেন: আপনার অভিযোগ সত্য হলে অবশ্যই তারা পথভ্রষ্ট। কিন্তু সুত্র চাই। বিশেষ করে কবরের আজাব, এবং ইলমুল কালামকে কোরআনের উপরে প্রাধান্য দেয়া। আশা করি ক্লিয়ার করবেন।
এছাড়াও সঠিক সমাধান কোনটি , সেটাও বলবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই মে, ২০১০ সকাল ১১:৫৫
amhabib বলেছেন: দীপ দীপ্তি,আপনার মানসিক সমস্যা আছে বলে মনে হয়!