নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
দুটি ছবি। একটিতে একজন মা তাঁর ছেলের সাথে ব্যাডমিন্টন খেলছেন। পাশে একটি ছোট মেয়েকেও দেখা যাচ্ছে। মেয়েটি বোধয় মহিলাটির নাতনি। ছবির তিনজনের মুখেই হাসি। পারিবারিক আনন্দের একটা চমত্কার মুহূর্ত। মন ভাল করে দেয়ার মত একটি দৃশ্য!
আরেকটি ছবিতে একটি ছেলে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছে। তার পাশে তার মা। ছেলের কষ্টে মায়ের চোখে অশ্রু। ছবির দৃশ্যটি যে কোন 'মানুষের' মন খারাপ করে দেবার জন্য যথেষ্ট।
প্রথম ছবিটির নারীর নাম শেখ হাসিনা। প্রবাসী পুত্র জয়ের দেশে আগমন উপলক্ষে খেলছেন। একটি দেশের প্রধানমন্ত্রীরও উপরে তাঁর আরেকটি পরিচয় এখানে ফুটে উঠে। তিনি একজন মা!
দ্বিতীয় ছবিটি বেগম খালেদা জিয়ার। পুত্র তারেককে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে ছেলের শারীরিক দুরাবস্থা দেখে নিজের দেশের প্রধান বিরোধীদলীয় এবং আপসহীন নেত্রীর আড়ালের 'মা' পরিচয় চেপে রাখতে পারেননি।
ছবি দুইটি একটি ব্যাপার নিশ্চিত প্রমান করে, তাঁরা দুইজন সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে হলেও, তাঁরাও মানুষ। তাঁদের হৃদয়ে স্নেহ আছে, মমতা আছে, সাথে আছে ভালবাসা। প্রিয়জনের সান্নিধ্যে তাঁরা যেমন আনন্দিত হন, তেমনি প্রিয়জনের কষ্টেও তাঁদের বুক কেঁদে উঠে।
তাঁদের কাছে, দেশের একজন অতি সাধারন মানুষ হিসেবে একটাই অনুরোধ করব, একবার যদি তাঁরা তাঁদের হৃদয়ের এই ভালবাসা নিজেদের পরিবারের গন্ডির সীমানা ছাড়িয়ে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতেন!
তাঁরা আমাদের রাষ্ট্রপ্রধান, আমাদের অভিভাবক, দেশের সাধারণ জনগনের কাছে মাতৃসম। একটা মুরগিও যেখানে তার ছানাদের চিলের ছোবল থেকে বাঁচাতে নিজের ডানার আড়ালে লুকিয়ে রাখে, আপনারা দুজন কি ইচ্ছে করলেই পারেননা আমাদের সেভাবে নিরাপত্তা দিতে? আমাদেরকেতো বিদেশী কেউ আক্রমন করছে না। দেশ স্বাধীন হয়েছে বিয়াল্লিশ বছর হয়ে গেল। তবে কেন নিজের দেশের মানুষদেরই আমাদের ভয় পেয়ে চলতে হচ্ছে?
বাসের আগুনে পুড়ে ঝলসে যায় যে মানুষটি, তার মৃতদেহ দেখে তার মায়েরও কষ্টে বুক ফেটে যায়। ছেলে হারানোর বেদনার চেয়েও বোধয় এই ব্যাপারটা তাঁকে বেশি আহত করে যে তাঁর সন্তানের খুনি কোন বিদেশী হানাদার নয়, এই দেশেরই সন্তান! সেও বাংলায় কথা বলে, বাংলায় হাসে, বাংলায় কাঁদে! বাড়িতে গিয়ে মুখ হাত ধুয়ে মাকে ভাত বাড়তে বলে।
রাস্তায় রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ছেলেটির মাও হয়ত তার প্রতি জন্মদিনে তার জন্য মোরগ পোলাও রান্না করে। ছেলেটি মায়ের রান্না খেয়ে উত্ফুল্ল গলায় বলে, 'মা! কইগো? এসো তোমার হাতে চুমু খাই! এত ভাল রান্না ত্রিভুবনে কেউ করার ক্ষমতা রাখে না!'
প্রতিদিন অফিসে যাবার সময়ে স্বামীকে বিদায় দেয়া গৃহবধুটির এই আশঙ্কায় বুক কেঁপে উঠে, এই না বুঝি প্রিয় মানুষটির সাথে শেষ দেখা হয়ে গেল!
"শোন, সাবধানে যেও।"
স্বামী শুধু হ্যা সূচক মাথা নাড়েন। কারন তিনি জানেন, এখন সাবধানে থাকলেও কিছু হয়না।
অফিস থেকে বাবার বাড়িতে ফিরতে একটু দেরী হলেই ছোট ছোট বাচ্চারা কান্না শুরু করে দেয়। তাদের মা কী বলে তাদের শান্ত করবে? মা নিজেই যে ভয়ে অস্থির!
একটি তিন বছর বয়সী সিরিয়ান ছেলে, সহিংসতায় আহত হয়ে কাঁদতে কাঁদতে তীব্র অভিমানী স্বরে বলছে, "আমি আল্লাহকে সব বলে দিব!"
ইশ! চোখটা সময়ের আগেই বুড়ো হয়ে গেছে। এখন আর আগের মত চোখের পানি আটকে রাখতে পারেনা।
আমাদেরও কী এমন দূর্দিন চলে আসছে? আমাদের রাজধানীর রাস্তাতেওতো কিছুদিন আগে একটি শিশু গুলি খেয়ে আহতাবস্থায় মুখ থুবড়ে পড়ে ছিল ঘন্টাখানেক! আমরাও যে এখন একান্তই নিরুপায় হয়ে সর্বশক্তিমানের কাছে অভিযোগ করি, আমাদের সুন্দর দেশটিকে যারা প্রতিদিন তিলেতিলে ধ্বংশ করে দিচ্ছে, তাদের যেন তিনি আচ্ছা মতো বকে দেন!
আপনারা নিজেরাও অকালে নিজেদের স্বজন হারিয়েছেন। কেমন লেগেছিল সেদিন, যে মুহূর্তে আপনারা খবর পেয়েছিলেন আপনাদের অতি প্রিয় মানুষগুলো এখন থেকে শুধুই স্মৃতি? সেই একই রকম বেদনা এই দেশটির অসংখ্য মানুষকে প্রতিদিন পেতে হচ্ছে। আপনারা থাকতে এরকমতো হবার কথা ছিল না। আপনাদের উল্টো এই ব্যপারটাই বেশি নিশ্চিত করার কথা ছিল, যে শোকের তীব্র ধাক্কা আপনাদের সহ্য করতে হয়েছিল, তা যেন এদেশের আর কাউকে, কখনই করতে না হয়!
এসব আবেগের কথা একজন পুরুষ থেকে একজন নারীর বোঝার ক্ষমতা বেশি। কারন একজন পুরুষের চেয়ে একজন নারীর হৃদয়ে ভালবাসা লালন ক্ষমতা বেশি। আমাদের সৌভাগ্য, আমাদের প্রধান দুই নেত্রীই নারী। আমাদের দুর্ভাগ্য, তাঁরা কেউই তাঁদের সেই বিশাল ভালবাসার পরিধি নিজ নিজ পরিবারের সীমানার বাইরে প্রসারিত করেননা।
পৃথিবীতে ভালবাসাই বোধয় একমাত্র বস্তু, যা যতই ছড়িয়ে দেয়া হয়, ততই বাড়তে থাকে. আপনাদের কাছে আমরা ভালবাসার কাঙ্গাল কিছু নিঃস্ব প্রজা এসে উপস্থিত হয়েছি। আপনারা দয়া করে আমাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবেননা।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৫৯
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আপনি নিজেই তাহলে ভাল কিছু লিখে দেখাননা। খালি কলসিই বাজে বেশি....আপনার আর ভরাট হওয়া হবে না। আপনার কলসির তলায় ফুটো।
২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৩৫
মুহসিন বলেছেন: এক গল্প পড়েছিলাম। দুপ্রতিবেশীর বাচ্চাকে নিয়ে ঝগড়া। শেষ পর্যন্ত তা গড়ায় মারামারিতে। কিন্তু দেখা গেল দুবাচ্চা ঝগড়া ভুলে নিজেদের ভেতরে খেলা করছে। তা দেখে বড়রাই লজ্জা পেল।
দেশ নিয়ে দুদল ঝগড়া করছে। মারামারি হানাহানি খুনাখুনি গোলাগুলি বোমাবাজি কি নেই এতে। কিন্তু জনগণ যদি তাতে অংশ না নিয়ে নিজেদের ঐক্য টিকিয়ে রাখতে পারে তবেই হয়তো দলবাজ হানাহানিকারীরাও লজ্জা পাবে। নাহলে আমাদের দেশটা সবদিক দিয়ে দুর্বল আর হীন হয়ে পড়বে, আর অন্য কোন দেশ সেই সুযোগে তার বৃহৎ স্বার্থ চরিতার্থ করবে।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৪৫
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: দারুন বলেছেন। আমাদের সমস্যা হচ্ছে, আমরা পরের কথায় কান দিয়ে নিজের ভাইয়ের গলায় ছুরি চালাই। আমরা এক থাকলে কেউ আমাদের নিয়ে খেলতে পারতো না।
৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৫
ইজীটক বলেছেন: ভাল লিখেছেন.।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪১
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩১
সাবাব ইকবাল বলেছেন: ভাই পাঠক১৯৭১ আপনিতো দেখি বালছাল ভালই চিনেন। নিজের বাল কয়টা গজাইছে গুণে দেইখেন।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৩
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: কিছু মানুষ আছে, নিজেরা কিছু করতে পারেনা, অন্যকে আক্রমন করে নিজেকে পরিচিত করতে চায়। লাভ নেই, তারা ময়লা আবর্জনার মতই ডাস্টবিনের সম্পত্তি।
৫| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩২
সাবাব ইকবাল বলেছেন: লেখককে ধন্যবাদ। অনেক সুন্দর লেখা।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৪
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ, পড়া এবং মন্তব্যের জন্যে।
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৫৩
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: বালছাল টাইপের পোস্ট; দেশ ভরে গেছে লিলিপুটিয়ানে!