নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
একটা মজার ব্যপার লক্ষ্য করলাম।
এশিয়া কাপে বাংলাদেশের ম্যাচগুলোর সময়ে যখন বাংলাদেশ ভাল অবস্থানে থাকে, তখন ফেসবুকে সবার স্ট্যাটাসের নমুনা এরকম, "খাইছি তোরে!" "এইবার হবেই!" "জিইত্যা গেছি!"
তারপর যখন বাংলাদেশ জেতা ম্যাচ হেরে বসে,তখন স্ট্যাটাসের ভাষা এরকম, "ইনশা আল্লাহ, আমরা পরের ম্যাচ জিতবই।" "ইনশা আল্লাহ, দলের সাথে থাকবো।" "এগিয়ে যাও টাইগার্স, ইনশা আল্লাহ জয় তোমাদের হবেই!"
মুফতি ইসমাইল ইবনে মুসা মেনক একবার একটি গল্প বলেছিলেন।
এক বৃদ্ধ উঠানে বসে প্রকৃতি দেখছিলেন। তাঁর প্রতিবেশী এক যুবক তার মোটর বাইকে চেপে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। বৃদ্ধ বললেন, "কোথায় যাও?"
যুবক জবাবে বলল, "বাজারে। আমি মোটরবাইক বিক্রি করে সেই টাকায় ব্যবসা করবো।"
বৃদ্ধ বললেন, "ইনশা আল্লাহ বল।"
যুবক বলল, "কেন? আমি বাজারে যাচ্ছি, মোটরবাইক বেচবো, টাকা পাব। ইনশা আল্লাহ বলার কি আছে?"
বৃদ্ধ যুবকের সাথে তর্কে গেলেন না।
বাজারে গিয়ে যুবক সারাদিন তার মোটরবাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। কেউ এগিয়ে এসে আগ্রহ দেখাল না। সন্ধ্যার দিকে এক ভদ্রলোক এসে বললেন, "এই মোটর বাইক কি বিক্রির জন্য?"
যুবক দাঁত কেলিয়ে বলল, "জ্বী।"
ভদ্রলোক বললেন, "কন্ডিশন কী?"
"খুব ভাল।"
"চালিয়ে দেখা যাবে?"
"অবশ্যই!"
যুবকটি ভদ্রলোককে চাবি দিয়ে দিল। ভদ্রলোক মোটরবাইকে কিক দিয়ে স্টার্ট দিয়ে চলে গেল।
এক ঘন্টা যায়, ভদ্রলোক (!) ফেরে না। দুই ঘন্টা যায়, ফেরে না। দোকান বন্ধ হয়, ফেরে না। যুবকটা তখন ঘটনা বুঝে গেল।
সে মন খারাপ করে বাসায় ফেরত এলো।
বৃদ্ধ তখনও তাঁর বাড়ির উঠানে বসে। যুবককে মোটর বাইকের সাথে না দেখে জিজ্ঞেস করলেন, "বিক্রি কেমন হলো?"
যুবকটি উত্তরে বলল, "ইনশা আল্লাহ ভাল না।"
বৃদ্ধ ভুরু কুঁচকে বললেন, "কেন?"
যুবকটি বলতে লাগলো, "ইনশা আল্লাহ আমি বাজারে গিয়েছিলাম। ইনশা আল্লাহ কেউ আমার কাছে আসছিল না। ইনশা আল্লাহ একজন লোক শেষ পর্যন্ত এগুলো। ইনশা আল্লাহ আমার বাইকের চাবি নিয়ে সে বাইক সহ পালালো। ইনশা আল্লাহ সে আর ফিরে এলো না। ইনশা আল্লাহ আমার সর্বনাশ হয়ে গেছে!"
বিপদে পড়লেই আমরা হঠাৎ করে চরম ধার্মিক হয়ে যাই। বিপদে না পড়লে হু ইজ আল্লাহ? হু ইজ গড? হু কেয়ার্স?
ইহাকেই কি ইংরেজিতে "হিপোক্রেসি" বলা হইয়া থাকে?
০৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৪০
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ভাইয়ার কথার মূল বিষয়টা রিলেট করতে পারছি না।
২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:৫৬
প্রকৌশলী মোঃ জুলফিকার আলী জুয়েল বলেছেন: ব্যাপারটা এইভাবে একবার ভাবেন। আমার মনে হয়, ধর্ম বিশ্বাস করা আর ধর্ম মানা একটু তফাত আছে। বাংলাদেশের মুসলীমদের অনেকেই আছে যারা নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত ঠিকমত করেনা। কিন্তু তারা আল্লাহর একত্বতাকে বিশ্বাস করে। আল্লাহ যে সৃষ্টিকর্তা এবং তিনি এক ও অদ্বিতীয় সেটা মনে প্রাণে বিশ্বাস করে। তবে আমরা সাধারনত খুব শিঘ্রই ফলাফল পাবো এবং ফলাফল আমার অনুকুলেই আছে বলে মনে হচ্ছে সেসকল ক্ষেত্রে ইনশাআল্লাহ বলে অভ্যস্ত নই। তার মানে কিন্তু এটা না যে "হু ইজ আল্লাহ, হু কেয়ারস"।
আর আমার জানামতে মুখে সবসময় ইনশাল্লাহ আমি ভাত খাবো, ইনশাল্লাহ আমি স্কুলে যাবো, ইনশাল্লাহ আমি রাতে ঘুমাবো এরকম বলতেই হবে এরকম কোনো বিধান আছে বলে আমার ঠিক জানা নেই।
১০ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:০৫
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ কোরআন শরীফের সুরাহ ক্বাফে(আয়াত ২৩-২৪) বলেছেন, "এবং ইনশাআল্লাহ (যদি আল্লাহ চান তাহলে) ব্যতিত কখনই বলোনা, 'আমি আগামিকাল এটা ওটা করতে যাচ্ছি' এবং তোমার প্রভুকে স্মরণ করো তুমি যখন ভুলে যাও....।"
ভবিষ্যত সম্পুর্ণরূপে আল্লাহর হাতে। আমার চোখের সামনে আমার বন্ধু পানিতে ডুবে মারা গিয়েছিল, আমরা তখন দুপুরে খাবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ভবিষ্যত এমনই অনিশ্চিত একটি ব্যপার।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৪৪
সেতু আশরাফুল হক বলেছেন: বাংলাদেশ জিতুক অথবা হারুক, আমি বাংলাদেশের নাগরিক এদেশের প্রতি বিশ্বস্ত। অর্থৎ পক্ষে অবস্থান নিতে হবে। যদি না নেই তবে অবশ্যই তা দেশদ্রোহীতা। জাত এমন এক জিনিস যা কখনো পবিবর্তন করা যায় না, জাতি হিসেবে আমি বাঙালি, এবং বাংলাদেশী। কিন্তু ধর্ম হলো বিশ্বাস। ধর্ম যে জাত নির্ধারণ করে তা কখনো ধ্রুব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত নয়। কেননা ধর্ম কেবলমাত্র বিশ্বাসের ব্যাপার। বিশ্বাস চলে গেলে তা আর ধর্ম থাকে না। কিন্তু আপনি ইচ্ছে করলেই বাঙালিত্ব ত্যাগ করতে পারবেন না। কখনো আরব, ইংরেজ বা ইউরোপিয়ান হওয়া সম্ভব না। এটা জেনেটিক। অর্থাৎ ছাগল তারাই যারা বইয়ের পাতায় জ্ঞান অর্জন না করে কাঠাল পাতায় করে। ধর্ম বিশ্বাসের নিরিখে বিচার করে এমন কিছু যা যুক্তিনিষ্ঠ নয়, এমন কি ধর্মের নামে অধর্মকেও সত্য বলে বিশ্বাস করে।
সুতরাং যে খেলা নিয়ে এতো কথা তা শুধুই খেলা নয়, তার সাথে আমার দেশপ্রেম, সংস্কৃতি এবং জীবন চেতনা জড়িত। যে বা যারা এই খেলায় আমার দেশের পক্ষে না তারা শত্রুপক্ষ, দেশদ্রোহী বেঈমাণ, তাদের নির্মূলের জন্য পদ্ধতি নির্ধারণ করা আবশ্যক।