নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
এইদেশে প্রতিদিন ঘটে যাওয়া একটা দৃশ্যের বর্ণনা দেই।
অ্যামেরিকান হাইওয়ে ধরে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছি। হঠাৎ সামনের গাড়ি তাঁর সামনের গাড়িকে ঠুকে দিল। একজনের গাড়ির পিছন এবং আরেকজনের গাড়ির সামনের দিকটা দুমড়ে মুচড়ে গেল। দুই গাড়িরই যাত্রীরা মোটামুটি আহত হয়েছেন। হয়তো বা কারো কারো অবস্থা মহাগুরুতর।
এখন এই পরিস্থিতিতে একজন অ্যামেরিকান কি করবে জানেন?
৯১১ কল করে ঘটনার বর্ণনা এবং লোকেশন বলতে বলতে দ্রুত স্থান ত্যাগ করবে।
শুনেই অ্যামেরিকানদের গালাগালি করছেন?
"ওরা মানুষ না পাষান? ওদের অন্তরে একটুও দয়া মায়া নাই? এইভাবে কেউ করে? যান্ত্রিক জীবনটা ওদের মানুষ থেকে রোবট বানিয়ে দিল।"
এই বিষয়ে কিছু বলার আগে দ্রুত বলে নেই ঘটনাটা বাংলাদেশে ঘটলে আদর্শ বাঙ্গালি কী করবে।
গাড়ি সাইডে পার্ক করবে। মোবাইল ফোন বের করে জরুরী নম্বরে কল না করে ব্যপারটা ভিডিও করবে। এরই মধ্যে আশপাশ থেকে ভিড় জমে যাবে। সবাইকেই এই দৃশ্য দেখতে হবে। মানুষের রক্ত দেখার মধ্যেও একটা নেশা আছে।
তারপর ইমার্জেন্সি গাড়ির সাইরেন শোনার পরও ভিড় পাতলা করবে না। উল্টা সেই একই রাস্তা দিয়ে যাওয়া আসা করা অন্যান্য বাস, ট্রাক এবং প্রাইভেট গাড়ি ভাংচুর করে সড়ক অবরোধ করবে। তখনও কিন্তু লোকগুলা ঘটনাস্থলেই আহত অবস্থায় সাহায্যের জন্য কাতরাচ্ছে।
তারপরে ওদের নিহত হওয়া নিশ্চিত হলে বাড়ি ফিরে ফেসবুকে একটা জ্বালাময়ী স্ট্যাটাস লিখবে। "মহাসড়ক নাকি মৃত্যুপুরী?"
আর্টিকেলের ভাষা নির্ভর করবে পোস্টদাতার রাজনৈতিক সমর্থনের উপর। বিএনপির লোক হলে লিখবে, "যতদিন শেখ হাসিনা গদিতে থাকবে, দেশকে ভারতের কাছে বিক্রি করতেই থাকবে। ভারতীয় দুই নম্বরী ট্রাক টাটা এবং অশোক লেল্যান্ড আমাদের দেশের রাস্তায় দাম্ভিকতার সাথে চলতে থাকবে - এবং বাঙালিকে চাপা দিতে থাকবে। কোন বিচার হবেনা। কারন দেশের সরকারই ওদের হাতের পুতুল।"
পোস্টদাতা যদি আওয়ামী ঘরানার হন, তাহলে আর্টিকেলের ভাষা হবে, "সবকিছু এই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি রাজাকার সমর্থক খুনি খালেদা জিয়ার কুচক্রের ফল। এই মহিলা অরাজকতা সৃষ্টির জন্য নিজের দলের ক্যাডার দিয়ে সাধারন মানুষ হত্যা করিয়ে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চাইছে। জনগনের প্রতি অনুরোধ, ওদের ফাঁদে পা দিবেন না। বরং শক্ত হাতে ওদের দমনে সরকারকে সহায়তা করুন।"
তারপর "নিরাপদ সড়ক চাই" নামে একটা ইভেন্ট খুলবে।
এবং পরের দিনই আবারও ক্রিকেটে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স নিয়ে এইসব কথা-দাবি-আদর্শ বেমালুম ভুলে যাবে।
এইসব করে কী ঘোড়ার আন্ডাটা ফলে আমাকে একটু বলবেন?
এবার ফেরা যাক অ্যামেরিকানদের আচরনে।
ওরা দুর্ঘটনাস্থলে শুধু শুধু ভিড় জমা করেনা। কারন ওরা জানে, ভিড় বাড়লে উল্টা আহত ব্যক্তিদেরই ক্ষতি হবে। এম্বুলেন্সকে উল্কার বেগে ছুটতে হয়। প্রয়োজনে হেলিকপ্টার ল্যান্ড করাতে হয়। আগুন ধরলে সেটা নেভাতেও বিশাল ফায়ার ট্রাকের প্রয়োজন হয়। "আলগা দরদ" দেখাতে গিয়ে ভিড় বাড়ালে এইসবের কিছুই করা সম্ভব হয়না।
কাজেই লোকটার ভালোর জন্যই আজাইরা মানুষের দ্রুত স্থান ত্যাগ করা উচিৎ। এবং এই আজাইরা মানুষ মানে হচ্ছে আমি আপনি আমরা যারা এইসব কাজের প্রফেশনাল না।
শুনতে খারাপ লাগলেও, আমি মঞ্জুর চৌধুরী, এই আর্টিকেলের লেখক বলছি, এটাই কঠিন বাস্তবতা যে, আলগা দরদ দিয়ে কারোর প্রাণ রক্ষা হয়না।
আমাদের দেশে মানুষ নিহত হবার জন্য দুর্ঘটনা যতটা না দায়ী, এইসব অত্যুৎসাহী জনতার দায় তার চেয়ে বহুগুন বেশি। বসুন্ধরা সিটিতে বা এনটিভি ভবনে আগুন লাগার দৃশ্য যখন লাইভ টিভিতে দেখাচ্ছিল, সেখানে এই দৃশ্যটাই বড্ড চোখে বিধছিল। লোকজনের উপচে পরা ভিড় ফায়ার সার্ভিসের ট্রাক এগুতে দিচ্ছিল না। ফল আরও কিছু মৃত্যু।
আমার ডাক্তার বন্ধুদের একটা অভিজ্ঞতা প্রায় প্রতিদিনই হয়। ওদের চেয়ে, ওদের দেশখ্যাত প্রফেসরদের চেয়ে রোগীর স্কুল - কলেজ পড়ুয়া, শিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত বা অশিক্ষিত আত্মীয়রাই বরং বড় ডাক্তার।
হার্ট অ্যাটাকে রোগী মারা গেছেন?
"এনজিওগ্রাম কেন করে নাই? বাইপাস অপারেশন করবে না? ও ডাক্তার না, কসাই! ভাং শালার ক্লিনিক!"
"অপারেশন সাকসেসফুল হয়নাই তো অপারেশন করেছিস কেন? মার শালারে। ভাং শালার ক্লিনিক!"
"একটা রোগী বাঁচাইতে পারোস না - কিসের বা**এর ডাক্তারি করিস? মর শালা!"
মাঝে দিয়ে আরও কিছু রোগীর চিকিৎসায় ব্যাঘাত সৃষ্টি, যাদের কয়েকজন হয়তো ইমার্জেন্সি পেশেন্ট। এবং ফল আরও কিছু নিরপরাধীর মৃত্যু।
এখন আসি ভিন্ন প্রসঙ্গে।
একটি তরুণী ধর্ষিতা হয়েছে। তারপরে তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। পুরো জাতির উচিৎ ফুসে ওঠা, যা হয়েছেও। সবাই প্রতিবাদ জানাচ্ছি, পিটিশন করছি, এবং বিচার দাবি করছি। ইভেন্ট খোলা হচ্ছে, মানব বন্ধন হচ্ছে, সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে। এইপর্যন্ত সব ঠিক আছে।
অনেকেই হতাশা জ্ঞাপন করছেন দেশের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার ব্যর্থতার রেকর্ডের উপর। দেশের প্রচলিত বিচার ব্যবস্থার ধীরগতির উপর। দেশের সরকারী কর্মকর্তাদের দুর্নীতির উপর। আপনাদের মতন আমিও নিশ্চিত তনুর বাবা মেয়ের বিচার না দেখেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিবেন। ব্যপারটি আসলেই খুব হতাশাজনক। এইপর্যন্তও সব ঠিক আছে।
সমস্যাটা বাড়ে যখন পাবলিক হুদাই না জেনে বুঝে শার্লক হোমসগিরি ফলাতে আসেন।
ঘটনাস্থলে যে জীবনেও যায় নাই, পত্রিকা আর ব্লগে টুকটাক বিস্তারিত পরে ফেসবুকে ফতোয়া জারি করে দেন, "যেহেতু ঘটনা ক্যান্টনমেন্টে ঘটেছে, মেয়েটাকে খোঁজার সময়ে এমপি (মিলিটারী পুলিশ) কোন কথা বলে নাই, কালভার্টের নিচে লাশ পাওয়া গেছে - কাজেই কাজটার সাথে সেনাবাহিনী জড়িত।"
"পুলিশ ইচ্ছা করলেই সব পারে। তাহলে ঘটনা ঘটার এত সময় পরেও কেন কোন রিপোর্ট দিল না? তারমানে সরকার এবং মিলিটারী থেকে কোন চাপ আছে।"
এবং এইরকম নানান থিওরি। বেশিরভাগই উস্কানিমূলক। জনগনকে মিলিটারির বিরুদ্ধে খেপিয়ে দেয়া, সরকার বা বিরোধী দলের বিরুদ্ধে খেপিয়ে দেয়া, বা হুদাই অ্যাটেনশন সীক করা। এইসব ঘটনা যে তদন্তের জন্যই ক্ষতিকর - সেই আক্কেলটাও এদের নেই। অথবা they don't care.
আপনি কিছু জানেন? তাহলে পুলিশকে সরাসরি গিয়ে বলুন, "ভাই, আমি জানি অমুক ছেলেটা তনু মেয়েটাকে প্রায়ই ডিস্টার্ব করতো। এই যে এই হচ্ছে প্রমান। আমি নিশ্চিত না ও জড়িত কিনা, তবে আপনারা একটু বাজিয়ে দেখতে পারেন।"
এইভাবে করলেই বরং তদন্তে কিছুটা অগ্রগতি হবে।
ফেসবুকে অযথা থিওরি কপচালে নয়।
এখন আসি সবচেয়ে বাজে নোংরামি প্রসঙ্গে।
কিছু কিছু জানোয়ার ঘটনার জন্য মেয়েটাকেই দায়ী করছে। এবং ফতোয়াগুলিও তাদের মনের মতই নোংরা আর ঘিনঘিনে। এবং তারচেয়ে ঘিনঘিনে সেই সমস্ত লোকজন যারা সেসব পেশাব পায়খানা নিজের প্রফাইলে শেয়ার করছেন।
"টাইট ড্রেস পরে মাথায় কাপড় দেয়ার নাম হিজাব না। যে মেয়ে হিজাব পড়ে, সে কী কখনও সন্ধ্যার পর বাড়ি থেকে একা বের হয়? হিজাব পড়ে কেউ নাটকে নাচানাচি অভিনয় করে? এটি আকস্মিক ঘটনা না। নিশ্চই এই মেয়ে মঞ্চে দাঁড়িয়ে কারও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। এখন ফল ভুগেছে। আল্লাহ বলেছেন......"
এইসব অর্ধশিক্ষিত উন্মাদ জানোয়ারদের জন্যই আজকে মানুষ ইসলামের নাম শুনলে সন্ত্রাসী মনে করে। আয় তোরে শুনাই আল্লাহ কী বলেছেন,
বাসায় কোরআন শরিফ যেটা শেলফে তুলে রেখেছিস, সেটা নামিয়ে সুরা নূর বের করে তিরিশ নম্বর আয়াতটা দেখ। "মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত রাখে এবং তাদের গুপ্তাঙ্গের হেফাজত করে। এতে তাদের জন্য মঙ্গল আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ সে সম্পর্কে অবহিত আছেন।"
মানে হচ্ছে, তুই তোর দৃষ্টি সংযত রাখবি। কোন মেয়ে হিজাব পড়ল আর কে পড়ল না, সেটা দেখার জন্যও চোখ তুলতে পারবি না। আর তারপরেও যদি মেয়েদের উপর চোখ চলেই যায়, তাহলেও নিজের গুপ্তাঙ্গ তুই সামলাবি। মা/বোন/বউ ছাড়া অন্য কোন মেয়ের গা ছোঁয়ার পারমিশন তোকে দেয়া হয় নাই।
যদি সানি লিওনিও কাপড় ছাড়া ফুল ন্যাংটা হয়ে কোন পুরুষের সামনে নাচানাচি করে, তারপরেও তাঁকে ধর্ষণ করা জাস্টিফায়েড না। বটম লাইন।
কাজেই তোদের বকর বকর বন্ধ কর। নইলে তোর বিরুদ্ধেই পুলিশে জিডি দায়ের করা দরকার। তুই পটেনশিয়াল ধর্ষক, সুযোগের অভাবেই যেটা করতে পারছিস না।
২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৪৯
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ভাল বলেছেন। আমার কথা হচ্ছে আমিতো কুরবানির ঈদে কোন হিন্দুকে ধরে গরুর মাংস খাইয়ে দিচ্ছি না - তাহলে আমাকে হোলি খেলতে হবে কেন? মেয়েটাকে বলবেন, তোমার বোরখা পড়ার দরকার নাই - ওটাতে বরং তুমি তার অপমান করছো।
২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:১৩
বোকা পাখি বলেছেন: মনের কথা বলছেন ভাই, দুঃখের ব্যাপার হলো এ রকম জানোয়ার আমাদের সবার আসশপাশেই আছে, ধর্ষণের জন্য যারা মেয়েদের দোষারোপ করে তাদের মানসিক চিকিৎসা হওয়া দরকার
৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:২৩
গুপ্তচর দুরবিন বলেছেন: বাংলাদেশ তো স্বাধীন হয়েছে কিন্তু নারীরা কি আদৌ প্রকৃত স্বাধীনতা পেয়েছে????
আমার জানা নেই.......
আজকে তারা যেভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে তাতে তাদের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠাটা অস্বাভাবিক নয়।
লেখক আপনার প্রত্যেক টি কথা এবং যুক্তির সাথে আমি একমত।
৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩৫
মুসাফির নামা বলেছেন: সত্যিই ভাললাগা একটা পোস্ট।ধন্যবাদ ব্লগারকে।
৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৫
নতুন বলেছেন: দেশে দূঘটনা হলে সাহাজ্যের বদলে আহত দের জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেওয়া শুরু হয়েছে।
৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০৬
কালনী নদী বলেছেন: এইসব অর্ধশিক্ষিত উন্মাদ জানোয়ারদের জন্যই আজকে মানুষ ইসলামের নাম শুনলে সন্ত্রাসী মনে করে। আয় তোরে শুনাই আল্লাহ কী বলেছেন,
বাসায় কোরআন শরিফ যেটা শেলফে তুলে রেখেছিস, সেটা নামিয়ে সুরা নূর বের করে তিরিশ নম্বর আয়াতটা দেখ। "মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত রাখে এবং তাদের গুপ্তাঙ্গের হেফাজত করে। এতে তাদের জন্য মঙ্গল আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ সে সম্পর্কে অবহিত আছেন।"
মানে হচ্ছে, তুই তোর দৃষ্টি সংযত রাখবি। কোন মেয়ে হিজাব পড়ল আর কে পড়ল না, সেটা দেখার জন্যও চোখ তুলতে পারবি না। আর তারপরেও যদি মেয়েদের উপর চোখ চলেই যায়, তাহলেও নিজের গুপ্তাঙ্গ তুই সামলাবি। মা/বোন/বউ ছাড়া অন্য কোন মেয়ের গা ছোঁয়ার পারমিশন তোকে দেয়া হয় নাই।
ঠিক আছে ভাই তবে বেচারা প্রাক্তন প্রেমিক নিরিহ হতেই পারে
৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫৬
ঐন্দ্রিলা নিশাত বলেছেন: খুব ভাললাগল আপনার প্রতিটি কথা।
৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২২
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কোন প্রকৃত মুসলমান ড্রেসের অজুহাতে ধর্ষণ জায়েজ করতে পারবে না, কারণ, নিজের দৃষ্টি সংযত রাখার কথা কোরআনেই বলা আছে। আর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক আর মেলামেশা তো গুনাহেরই কাজ। এখন ধর্ষণ কেন হয় সেটার গভীরে না গিয়ে যদি আমরা ধর্ষণকারীর কঠোর শাস্তি নিশিত করতে পারতাম তাহলে অনেকটা কম হতো কিংবা বন্ধ হয়ে যেত। অনেকে বলবেন, খুন করলে ফাঁসি হবে এই কথাটা জানার পরও তো মানুষ খুন করে..। হ্যাঁ করে, কিন্তু দ্রুত বিচার করে যদি ঝুলিয়ে দেয়া হতো তাহলেই দেখা যেত খুনের পরিমাণ কমে গিয়েছে। আইনের শাসনের দেশ আমেরিকাতেও ধর্ষণ হয়, আবার শরিয়া আইনের দেশ সৌদি আরবেও ধর্ষণ হয় কিন্তু সেখানে মহামারি না। কারণ দ্রুত বিচার আর শাস্তি। আমরা যদি দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে থাকি আর তারিখ পে তারিখ করতেই থাকি তাহলে তো অপরাধী পার পাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৪৪
রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: ভালো লিখছেন
১০| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১৩
আয়রন ম্যান বলেছেন: একেবারে মনের কথাগুলো বলেছেন। কোন জায়গায় আগুন লাগলে বা কোন দূর্ঘটনা ঘটলে সেখানে আজাইরা ভীড় জমাতে আমরা ওস্তাদ। একবার এক টিভি সাক্ষাৎকারে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের কার্যক্রম নিয়ে একটা প্রোগ্রাম দেখছিলাম। সেখানে একজন অফিসার বলছিলো কাজ করতে গিয়ে তাদের সমস্যার কথা। তিনি বললেন যে, কোন আগুন নেভাতে গেলে আমাদের প্রধান যে সমস্যাটা হয় সেটা হলো মানুষের জটলা। অতি উৎসাহি মানুষের ভীড়ে কাজ করতে না পারার কথাই তিনি বার বার বলেছেন।
তবে আমার মনে হয়, আজাইরা শুধু আমরা সাধারণ মানুষরাই ভীড় জমাই না, এক্ষেত্রে মিডিয়ার লোকরাও কম যান না। যেমন ইদানিং দেখা যায় কোথাও কোন দূর্ঘটনা বা আগুন লাগার সাথে সাথে সবগুলো মিডিয়া লাইভ করারেজের জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ে। বলেন তো আগুন লাগছে সেটা এত ব্যাপকভাবে লাইভ কভারেজ করার কোন দরকার আছে? আমাদের দেশে দূর্ঘটনাস্থলে সাংবাদিক আর ক্যামেরার জন্যও ফায়ারসার্ভিস বা পুলিশের কাজে ব্যাঘাত ঘটে।
১১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৩৭
সোহানী বলেছেন: সহমত.... ..........
১২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫৭
আব্দুল্যাহ বলেছেন: +
ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০২
নাসরিন সুলতানা লোপা বলেছেন: গত পরশু হোলি খেলা হচ্ছিলো ভার্সিটিতে। আমি হিজাব পড়ি(বোরকা না) যথেষ্ট ঢিলাঢালা কামিজ ফুল হাতা সহ। আমাকে রং লাগাতে আসলে আমি মানা করলাম এবং বললাম যে তোমরা খেলো কিন্তু আমি এটা পারবো না,আমার নিষেধ আছে। ফট করে বোরকা পরিহিত আমার জুনিয়র ব্যাচের মেয়ে বলে উঠলো "এহ! আমি বোরকা পড়ে হোলি খেলছি আমার ফ্যামিলি কিছু বলে না আর উনি হিজাব পড়ে ধার্মিক হইছে"
ফতোয়া যারা জারি করছে তাদেরকে হাতের কাছে পাইলে একবার ক্লাস নিবার বড় ইচ্ছা আছে