নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
গতরাতে ব্যাটম্যান বনাম সুপারম্যান দেখলাম। মুভি রিভিউ দেয়ার আগে বলে নেই যদি এটা বলিউড/ঢালিউড বানাতো তাহলে কাহিনী কী হতো।
সুপারম্যানকে লুইস লেইন মনে মনে ভালবাসে। কিন্তু সুপারম্যান তাঁকে পাত্তা দেয়না। সে মন দিয়ে ফেলেছে ওয়ান্ডারওম্যানকে।
এইদিকে ওয়ান্ডারওম্যান ভালবাসে অ্যাংরি ইয়ং ম্যান ব্যাটম্যানকে। সে তাঁর মন ভুলানোর জন্য নানান ফন্দি ফিকির করে, গান বাজনাও করে।
কিন্তু ব্যাটম্যান শৈশবেই তাঁর পিতামাতার কবরের মাটি ছুঁয়ে কসম খেয়েছে, তাঁদের খুনের বদলা সে নিবেই। তাঁর জীবনে প্রেম পিড়িতের টাইম নাই। ওয়ান্ডারওম্যানরুপি সাবেক মিস ইজরায়েল হলেও না।
এইদিকে দেখা যাবে সুপারম্যানের প্রেমে পড়া লুইসের বাবাই ব্যাটম্যানের বাবা মায়ের খুনি এবং শহরের সবচেয়ে বড় ডন।
ব্যাটম্যান লুইসের বাবাকে খতম করতে বদ্ধপরিকর। একের পর এক আক্রমন করবে। কিন্তু ডনের অধীনে চাকরিরত কর্মচারী ও ডনের কীর্তিকলাপ সম্পর্কে অজ্ঞ সুপারম্যান উল্টা ডনকেই ব্যাটম্যানের আক্রমন থেকে বাঁচাতে থাকবে এবং ডন কন্যা লুইসকে প্রতিবার নিজের প্রেমে ফেলতে থাকবে।
শুরু হয়ে যাবে চতুর্ভূজ প্রেমের সাথে অ্যাকশন-ইমোশন-ড্রামা-মেলোড্রামা। মাঝে মাঝে কেউ কিছু বুঝে উঠার আগেই ইয়ো ইয়ো হানি সিং(বলিউড) বা হৃদয় খানের (ঢালিউড) কন্ঠে শুরু হয়ে যাবে গান। গানের তালে তালে নায়ক নায়িকা নাচবে। তাঁদের আনন্দে তাঁরা গাইছে, নাচছে - এইটা বুঝা যাবে, কিন্তু তাঁদের পেছনে এক ঝাক এক্সট্রা তরুণ-তরুণী কোন খুশিতে নাচানাচি করবে তার কোন ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া যাবেনা।
মাঝে মাঝে ধুপধাপ মারামারিতো চলবেই। ভিশুয়াই-ভিশুয়াই শব্দের সাথে সাথে ভিলেনরা এদিক ওদিক ছিটকে পরবে। বাজেট কম থাকায় হলিউডের মতন উঁচু উঁচু সিমেন্টের টাওয়ার ভাঙ্গার পরিবর্তে ভিলেনরা স্ট্যাক করে রাখা কোকের বোতলের উপর গিয়ে পরবে, বাজারে তরকারির গাড়ির উপর গিয়ে পরবে, অথবা রেস্টুরেন্টের চেয়ার টেবিলের উপর গিয়ে পরবে - এবং সেগুলোও ভাঙ্গবে।
ক্লাইমেক্সে এসে সুপারম্যান নিজের ভুল বুঝতে পারবে, এবং দুই সুপারহিরোর যৌথ প্রচেষ্টায় ভিলেনের মৃত্যু হবে।
এবং সুপারম্যান তাঁর প্রেমিকার খুশির জন্য নিজের ভালবাসাকে কোরবান করতে ওয়ান্ডারওম্যানের হাত তুলে দিবে ব্যাটম্যানের হাতে।
এবং সে নিজে এসে লুইসের হাত ধরবে।
অতঃপর শুভ সমাপ্তি।
এখন যেহেতু বলিউড/ঢালিউড এই মুভি বানায়নি, কাজেই গল্পটা এইরকম নয় মোটেই।
কাজেই আপনারা যাহারা অ্যাকশন চলচ্ছিত্র দেখিয়া পুলকিত বোধ করেন, তাহারা প্রেক্ষাগৃহ গমনপূর্বক চলচ্চিত্রখানা দেখিতে পারেন। সাতাশ মে এক্সম্যান এপোক্যালিপ্স মুক্তির পূর্বে এটিই বোধয় এই বছরের সেরা পূর্ণ দৈর্ঘ্য অ্যাকশন চলচ্চিত্র। পুরুষগণ ওয়ান্ডারওম্যান এবং রমনীকূল সুপারম্যানের প্রেমে পড়িতে বাধ্য হইবেন - এই কথাখানা লিখিতাকারে ঘোষণা করিলাম।
২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:৪১
হন্টক হিমু বলেছেন: আমীন।
৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:০২
বিজন রয় বলেছেন: ভাল।
৪| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৫১
আততায়ী আলতাইয়ার বলেছেন: বাজেট কম থাকায় হলিউডের মতন উঁচু উঁচু সিমেন্টের টাওয়ার ভাঙ্গার পরিবর্তে ভিলেনরা স্ট্যাক করে রাখা কোকের বোতলের উপর গিয়ে পরবে, বাজারে তরকারির গাড়ির উপর গিয়ে পরবে, অথবা রেস্টুরেন্টের চেয়ার টেবিলের উপর গিয়ে পরবে - এবং সেগুলোও ভাঙ্গবে
৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৫৮
ইমেল নাঈম বলেছেন: হাহাহাহা। দারুণ রিভিউ।
৬| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:০৭
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
ভ্যায়াকুফ বিনুদিত হইলাম।
আপনাকে এক ট্রাক ধইন্যা।
ভাল থাকুন ভাই।
৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮
কালনী নদী বলেছেন: আসলেই তারা তারা গানের পিছনে শুধু শুধু নাচে কেন?
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:৩৯
ফাহিমোসিস ফয়সালোসিস বলেছেন: চখাম ভাই ।।। সিনেমাটার বাংলা ভার্সন বানানোর দায়িত্ব আপনারে দিলাম ;-)