নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
খলিফা উমার (রাঃ) তাঁর দরবারে বসে আছেন। মানে মসজিদের মেঝেতে বসা। এইসময়ে এক সাধারণ লোক এলো, বেশভূষায় বুঝা যায় সে মিশরীয়। অমুসলিমতো অবশ্যই। তা বেচারার অভিযোগ কী?
"ইয়া আমিরুল মু'মিনিন। গভর্নরের ছেলে আমাকে দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে বলেছিল। আমি তাঁর সাথে দৌড়ালাম, এবং প্রতিযোগিতায় আমিই জিতলাম। কিন্তু ব্যাপারটা তাঁর পছন্দ হলো না। তিনি আমাকে লাঠিপেটা করলেন। বললেন, কোন সাহসে আমি তাঁকে হারালাম!"
কোটেশন ব্যবহার করলেও, নিজের ভাষায় লিখলাম যাতে বুঝতে সুবিধা হয়।
উমার (রাঃ) সাথে সাথে মিশরের গভর্নর এবং তাঁর পুত্রকে রাজধানীতে জরুরি তলব করলেন।
মিশর তখন মাত্রই মুসলিমদের অধীনে এসেছে। আমর ইব্নে আল আস (রাঃ) এর বিজেতা ছিলেন। খলিফা উমারই (রাঃ) তাঁকেই মিশরের গভর্নর নিয়োগ করেছিলেন।
সবাই জানে উমার (রাঃ) শাসনের ব্যাপারে কতটা কড়া - এবং দোষী যদি মুসলিম হয়, তাহলেতো কথাই নেই।
আমর (রাঃ) তাই বারবার নিজের পুত্রকে জিজ্ঞেস করতে লাগলেন, "তুমি এমন কিছু করোনিতো?"
পুত্র পিতাকে ভয় পেয়ে নিজের অপকর্মের কথা চেপে গেলেন।
"না বাবা। আমিও বুঝতে পারছিনা কেন তিনি আমাদের ডাকলেন।"
খলিফার সামনে পিতা পুত্র দাঁড়িয়ে আছেন। খলিফা ডাকলেন মিশরীয় লোকটিকে। খলিফা অভয় দিয়ে বললেন, "বলো তোমার অভিযোগ কী?"
অত্যাচারিত ব্যক্তিটি আবারও তাঁর ঘটনা খুলে বলল। উমার চুপচাপ শুনলেন। তারপর আমর (রাঃ) পুত্রকে জিজ্ঞেস করলেন, "তুমি কী নিজের দোষ স্বীকার করছো?"
পুত্র খানিকটা ইতস্তত করলেও উমারের (রাঃ) সামনে মিথ্যা বলার সাহস করলেন না।
"জ্বি হে বিশ্বাসীদের নেতা। আমি দোষী।"
উমার তখন মিশরীয়ের হাতে নিজের লাঠি তুলে দিলেন। বললেন, "এটি দিয়ে তুমি তাঁকে ততক্ষন পেটাতে থাকো যতক্ষণ না তোমার মনে হয় তুমি ন্যায় বিচার পেয়েছো।"
লোকটা হকচকিয়ে গেল। সে সামান্য কৃষক বা এই শ্রেণীর অতি নগন্য সিভিলিয়ান। সে কিনা পেটাবে গভর্নরের পুত্রকে!
উমার (রাঃ) ধমক দিলেন। "নাও বলছি! পেটাও তাঁকে।"
গভর্নরের সামনে তাঁর পুত্রকে পেটানো হলো। গভর্নর কিছু বললেন না।
উমার (রাঃ) বললেন, "যে মায়ের পেট থেকে স্বাধীন হয়ে জন্মেছে - তুমি কোন অধিকারে তাঁকে দাস বানাও?" (ইসলামই প্রথম স্বাধীন মানুষকে দাস বানানো নিষিদ্ধ করে। শুধুমাত্র যুদ্ধে পরাজিত সৈনিক, যে নিজের মুক্তিপণ দিতে পারবেনা, তাঁকেই দাস বানানো যাবে। এবং সে যদি নিজের স্বাধীনতা কিনে ফেলতে পারে - তবে তাঁকে মুক্তি দেয়া হবে। এবং ততদিন পর্যন্ত তাঁর সাথে অতিরিক্ত ভাল আচরণ করতে হবে।)
দুই একটা লাঠির আঘাত করার পর মিশরীয় যখন লাঠিটা উমারকে (রাঃ) ফেরত দিতে যাবে, উমার (রাঃ) তখন বললেন, "ওটা তোমার কাছে রাখো। এখন তুমি গভর্ণরকে পেটাবে। বাপের যে পদবীর জোরে তাঁর পুত্র সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার করে বেড়ায় - তাঁর শিক্ষা হওয়া উচিৎ আল্লাহর দরবারে রাজা ফকির ধনী গরিব কিছুই প্রভাব ফেলে না।"
আমরের চোখ কপালে উঠে গেল। খলিফার বিচার সভার অন্যান্যরাও হকচকিত হয়ে গেলেন। আমর কিন্তু আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হওয়া পাবলিক না। তাঁরা খান্দানিভাবেই ইজ্জতওয়ালা কুরাইশ। নিজের গোত্রে তাঁরাই রাজা। কয়েকপুরুষ ধরেই এমনটা ঘটে আসছে। এক সাধারণের আমরের গায়ে হাত তোলা তাই রিয়েলি বিগ ডিল।
কিন্তু উমার(রাঃ) অনড়!
মিশরীয় কান্নায় ভেঙে পড়লো। লাঠি ফেরত দিয়ে আমিরুল মু'মিনিনকে বলল, "আমার বিচার পেয়ে গেছি। আমার আর কিছু লাগবেনা।"
কথা হচ্ছিল "হিন্দু" "হোলি উৎসবে" "মুসলিম" মেয়েদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে গায়ে রঙ মাখামাখি নিয়ে।
কাজটি নিন্দনীয় অবশ্যই।
তবে, তারচেয়ে বেশি নিন্দনীয় একে সাম্প্রদায়িক রূপ দেয়ার চেষ্টা। এমন পোস্টে আমার রীতিমত পেট উল্টে বমি আসে।
একজন নারীর গায়ে বিনা অনুমতিতে হাত দেয়া যেকোন অবস্থায় যেকোন পরিস্থিতিতে অন্যায়। সেটা মুসলিম নারী হোক, হিন্দু হোক, কি পাহাড়ি অথবা বিদেশী। সেটা দূর্গা পূজা হোক, ক্রিসমান হোক, ঈদ হোক এমনকি কোন নাইট ক্লাবের ডিজে পার্টি। কোন অবস্থাতেই জাস্টিফায়েড না।
কাজটা যে করবে, সে মুসলিম হোক, হিন্দু হোক, এথিস্ট হোক - অবশ্যই অবশ্যই অবশ্যই চড়-থাপ্পড় এবং মুখে চুন কালী মেখে পাড়ায় চক্কর দেয়ানোর শাস্তি ডিজার্ভ করে।
যারা মনে করেছিলেন কাজটা হিন্দুদের এবং তাই নিয়ে ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক স্ট্যাটাসে ঝড় তুলেছিলেন, এবং যখন ধরা খেলেন এই জেনে যে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার তিনটা বদমাইশই মুসলিম - তখন ইনানো বিনানো শুরু করেছেন - আপনাদের জন্য বড্ড করুণা হয়! নিজের ফাঁদে বারবার ধরা খাওয়ার পরেও স্বভাবটা পরিবর্তন করতে পারলেন না!
আপনার জন্য উপরের ঘটনাটা শোনালাম। উমারের (রাঃ) হাতে ন্যায় বিচার পাওয়া মিশরীয় লোকটা কিন্তু মুসলিম ছিল না।
উমার (রাঃ) কেন ইসলামের ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ খলিফা জানেন? কারন তিনি তাঁর গুরু হজরত মুহাম্মদের (সঃ) কাছ থেকে কুরআনের একটা আয়াত শিখেছিলেন, যা তিনি মনে প্রাণে মেনেও চলতেন। সেটা হচ্ছে, "ন্যায়ের জন্য প্রয়োজনে নিজের বিরুদ্ধে হলেও যাও।"
২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:৫৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
হযরত ওমরকে আমাদের প্রাইম মিনিস্টার করার দরকার; আমরা সবাই ঘরবাড়ী ভেংগে তাঁবু লাগিয়ে দেবো।
৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ ভোর ৪:২৮
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। বর্ষবরন কিংবা র্যাগিং এর সময়ও ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। এরই ধারাবাহিকতায় পড়েছে হোলি।
হোলি উৎসব বাংলাদেশে নূতন। আমাদের সময়ে এর প্রচলন তেমনটি ছিল না। হোলির সময়ে সর্ব সাধারনে রং ছিটিয়ে দেয়াটা হয়তবা সবাই নাও পছন্দ করতে পারে। হয়তবা অনেক অফিসগামী হিন্দুরাও তা পছন্দ করবেন না। এই বিষয়টি মানুষের মাথায় থাকা উচিত।
৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ ভোর ৫:৪৮
ইহসান আকসার মাহমুদ বলেছেন: https://www.alislam.org/
http://www.ahmadiyyabangla.org/
সকল মুসলমানের কাছে অনুরোধ, শুধু একবার ঘুরে আসুন
৫| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:১৯
ইউনিয়ন বলেছেন: ১। হোলি বাড়ির আঙ্গিনায় খেলা যেতে পারে।
২। নিরাপত্তা এবং ভাবগম্ভীর্যের স্বার্থে একে হিন্দু ধর্মাবলম্ভীর বাড়িতে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
৩। হিন্দু ধর্মের অনুসারী ব্যতীত অন্য ধর্মের কেহ যদি স্বেচ্ছায় অংশ গ্রহন করতে চায় তাদের কে আগে থেকে তালিকা করতে হবে।
৪। রাস্তাঘাটে হোলি পালন নিরুৎসাহিত করতে হবে।
৫। হোলি পালন করে না এমন কাউকে দেখা মাত্র রং দেয়া নিষিদ্ধ করতে হবে।
৬। নারী পুরুষ এক সাথে মাখা মাখি না করে আলাদা আলাদা পালন করার জন্য উৎসাহিত করতে হবে।
৭। হোলি পালন করার সময় জন স্বার্থে বিঘ্ন ঘটে এমন কিছু (রাস্তায় চলাচল রত গাড়ি)
করা যাবে না।
৮। যারা হোলি পালন ক রবে তারা নিজেরা ভ লান্টিয়ার গঠন করে শৃঙখলা রক্ষা করবে।
৯। নারী-পুরুষের অহেতুক মাখা-মাখি নিরুৎসাহিত করতে হবে।
১০। হলি খেলা নিয়ে টক-ঝাল-মিষ্টি কথা বন্ধ করতে হবে।
এছাড়াও অন্যান্য পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে।
৬| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:০৮
ইউনিয়ন বলেছেন: : @ ই্হসান আক্সার মাহ মুদ আপনার কথা অনুযায়ী ঘুরে আসলাম। হকার / ক্যাম্পাসার যেমন নিজের ঔষধের গুণাগুণ গায় সেখানে সে রকম দেখলাম। ধর্ম ব্যবসার এ একটা ফাদ। বিশ্বে ধর্ম ব্যবসার কতগুলো চক্র আছে, এটা দেখে সে রকম মনে হল। লিংকটা মতিঝিলগামী করে দেন, যাতে ঝিকিরে ফিকিরি ফেতনার পরিমাণ দ্বিগুন হয়।
এটা ফেবু না ব্লগ, এখানে যারা আসে তারা মোটামুটি শিক্ষিত এবং উচ্চ শিক্ষিত। আপনার এ মেহনত ক রতে পারেন, উত্তর বঙ্গে, সোমালিয়, উত্তর আফ্রিকার দারিদ্র ফিরিত অঞ্চলে, যদি কাজ হয়।
৭| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:০৩
আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: অসাধারণ ভাল লাগল।
৮| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:২৪
আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: @ইহসান আকসার মাহমুদ
কাদীয়ানী মতবাদ ছাড়া কি অন্য কিছু ছিল না?
৯| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৪৪
সমুদ্রচারী বলেছেন: সহমত পোস্টের সাথে।সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নামে অন্য ধর্মের অনুষ্ঠানে গিয়ে নাচানাচি ,রং মারামারি করে তাদের বিরক্ত না করে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান গুলো নিবির্ঘ্নে পালন করতে দিলেই এসব অনাকাংখিত ঘটনা এড়ানো সম্ভব।
১০| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৫০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
উমর (রাঃ) আইন - শাসনের ব্যাপারে ভিষন কড়া।
কিন্তু হজরত ওসমানকে একদল আততায়ী মদিনা মসজিদে কুপিয়ে হত্যা করেছিল।
হজরত আয়শা মক্কায় হজে, হজরত আলী বেশকিছুদিন মদিনার বাইরে
সেই সুযোগে হজরত আবু বকর পুত্র মুহাম্মদ বিন আবু বকরের নেতৃত্তে কিছু সাহাবী নৃসংস হত্যাপরিকল্পনা করে। এই হত্যাকান্ডের এক্টিভ সহযোগি ছিলেন সাহাবি সাবা বিন আব্দুল্লাহ, মালিক বিন আশতার সহ অনেকেই।
আইন - শাসনের ব্যাপারে ভিষন কড়া উমর (রাঃ) এদের কারোরই কোন বিচার করেননি।
বরং খেলাফতের সময় এইসব ক্ষুনিরা বিশেষ সুবিধা, পদ ও পদবী পায়।
১৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৫৬
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আপনার মন্তব্যে তাজ্জব বনে গেলাম!
সিরিয়াসলি!
ইসলামের প্রথম খলিফা আবু বকর, দ্বিতীয় উমার, তৃতীয় উসমান এবং চতুর্থ আলী। রাদিআল্লাহ আনহু।
প্রত্যেকে আমৃত্যু খলিফা ছিলেন। কাজেই উসমানের মৃত্যুর সময়ে উমার জীবিত ছিলেন না। এখন একজন মৃত মানুষের পক্ষে কিভাবে বিচার করা সম্ভব - সেটা যদি আপনি আমাকে বুঝাতেন, তাহলে অশেষ উপকৃত হতাম।
মুহাম্মদ ইবনে আবু বকর উসমানের হত্যাকারী দলের মধ্যে ছিলেন, কিন্তু তাঁর নেতৃত্বে ঘটনা ঘটেছে - এই তথ্যটি কোথায় পেলেন? প্রতিটা অথেন্টিক বই বলে, মুহাম্মদকে নিজের কক্ষে অন্যান্য বিদ্রোহীদের সাথে দেখতে পেয়ে উসমান বলেছিলেন, "আজ তোমার বাবা জীবিত থাকলে ভীষণ কষ্ট পেতেন।"
এবং মুহাম্মদ সাথে সাথে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়।
তারপরে উসমানের (রাঃ) হত্যা ঘটনা ঘটে।
আপনি বললেন সাহাবীরা জড়িত ছিলেন। এই তথ্যই বা কোথায় পেলেন? প্রতিটা অথেন্টিক বই বলে, বিদ্রোহীদের হাস্যকর দাবিগুলো কোন সাহাবীই সমর্থন করেনি। বিদ্রোহী দলটি এসেছিল ইরাক অঞ্চল থেকে - যারা নতুন মুসলিম হয়েছিল, ইসলামিক জ্ঞানের দিক দিয়ে যারা মূর্খ ছিল এবং যার ফলে কট্টরতা অবলম্বন করতো। ওদের হাস্যকর সব দাবিগুলো কোন সাহাবী সমর্থন করবার কথাও নয়। যেমন ওরা বলেছিল, উসমান নাকি বদর যুদ্ধে ইচ্ছা করেই যায়নি। ওরা অভিযোগ করেছিল ওহুদের ময়দানে উসমান পিঠ দেখিয়ে পালিয়েছিল। সবচেয়ে হাস্যকর ছিল, বাইয়াতুল রিদওয়ানে উসমানের অনুপস্থিতি।
আপনি যদি বলেন কোন সাহাবী এইসব দাবির পক্ষে ছিল - তাহলে সে সাহাবীই না।
যাই হোক - পড়তে থাকুন ভাই। যত পড়বেন, তত শিখবেন, জানবেন।
অথেন্টিক বই পড়ুন। তাহলে জ্ঞান বাড়বে।
১১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:০৬
মো: খায়রুল ইসলাম বলেছেন: সবার মন্তব্যে আমার মন্তব্য বেরিয়ে এসেছে তাই নতুন কিছু মন্তব্য করার নেই। ধন্যবাদ।
১২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:১৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: একজন নারীর গায়ে বিনা অনুমতিতে হাত দেয়া যেকোন অবস্থায় যেকোন পরিস্থিতিতে অন্যায়। সেটা মুসলিম নারী হোক, হিন্দু হোক, কি পাহাড়ি অথবা বিদেশী। সেটা দূর্গা পূজা হোক, ক্রিসমান হোক, ঈদ হোক এমনকি কোন নাইট ক্লাবের ডিজে পার্টি। কোন অবস্থাতেই জাস্টিফায়েড না।
কাজটা যে করবে, সে মুসলিম হোক, হিন্দু হোক, এথিস্ট হোক - অবশ্যই অবশ্যই অবশ্যই চড়-থাপ্পড় এবং মুখে চুন কালী মেখে পাড়ায় চক্কর দেয়ানোর শাস্তি ডিজার্ভ করে।
++++++++++
১৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৪৪
এ আর ১৫ বলেছেন: হযরত উমর ( রা) কি এমন কিছু কোরবেন না যা কোরানে মানা করা হয়েছে। সম্ভবত সুরা নিসাতে একটা আয়াত আছে যেখানে বলা হয়েছে ----- কেউ অন্যের পাপ বহন করবে না, একজনের পাপের শাস্তি অন্যের উপর বর্তাবে না। ( কেউ যদি আয়াত নাম্বারটা দিতে পারেন তাহোলে ভালো হয়) ।।
এই আয়াতের প্রেক্ষিতে যদি তিনি মিশরে গভর্নরকে পুত্রের অপরাধের জন্য শাস্তি দিতে চান তাহোলে সেটা কোরন লংঘন হয়ে যায়
১৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৫২
নতুন নকিব বলেছেন:
ইহসান আকসার মাহমুদ,
যে কাদিয়ানীদের জন্ম হয়েছিল সাম্রাজ্যবাদী বৃটিশ কুচক্রিদের দ্বারা। ভারতীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের ভেতরে অনৈক্য, ভাঙ্গন, বিদ্ধেষ আর হানাহানি তৈরির উদ্দেশ্যে; যে কাদিয়ানীদের ইরান, পাকিস্তানসহ মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলো রাস্ট্রীয়ভাবে কাফের ঘোষনা করেছে, কেবলমাত্র বাংলাদেশ ভারতে এবং পাশ্চাত্যের কিছু দেশে ঐসব দেশের পৃষ্ঠপোষকতায় যাদের সামান্য অপতৎপরতা চলমান - এই খতমে নবুয়তে অবিশ্বাসী অর্থাৎ, আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে শেষ নবী অস্বীকারকারী আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কাফেরদের ওয়েবসাইটের লিঙ্ক দেয়ার উদ্দেশ্য কি? আপনি কি ওদের কেউ?
১৫| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।
১৬| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৪২
ধ্রুবক আলো বলেছেন: একজন নারীর গায়ে বিনা অনুমতিতে হাত দেয়া যেকোন অবস্থায় যেকোন পরিস্থিতিতে অন্যায়। সেটা মুসলিম নারী হোক, হিন্দু হোক, কি পাহাড়ি অথবা বিদেশী। সেটা দূর্গা পূজা হোক, ক্রিসমান হোক, ঈদ হোক এমনকি কোন নাইট ক্লাবের ডিজে পার্টি। কোন অবস্থাতেই জাস্টিফায়েড না।
কাজটা যে করবে, সে মুসলিম হোক, হিন্দু হোক, এথিস্ট হোক - অবশ্যই অবশ্যই অবশ্যই চড়-থাপ্পড় এবং মুখে চুন কালী মেখে পাড়ায় চক্কর দেয়ানোর শাস্তি ডিজার্ভ করে।
++++++++++++
যা বলেছেন ভাই একদম আকাশচুম্বী ভালো লাগলো
তাই ভালো লাগা রইলো। ভালো থাকবেন ভাই।
১৭| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৭
ধ্রুবক আলো বলেছেন: যারা এরকম ভাবে ফিতনা ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে সুন্দর জীবন যাত্রায়, আমি মনে করি মুসলিম বা হিন্দুও না এরা খারাপ লোক।
যেই ধর্মের লোক হোক না কেন, যারা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয় তাদের তীব্র ঘৃণা জানাই।
১৮| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০০
ইউনিয়ন বলেছেন: উমর (রাঃ) আইন - শাসনের ব্যাপারে ভিষন কড়া।
কিন্তু হজরত ওসমানকে একদল আততায়ী মদিনা মসজিদে কুপিয়ে হত্যা করেছিল।
হজরত আয়শা মক্কায় হজে, হজরত আলী বেশকিছুদিন মদিনার বাইরে
সেই সুযোগে হজরত আবু বকর পুত্র মুহাম্মদ বিন আবু বকরের নেতৃত্তে কিছু সাহাবী নৃসংস হত্যাপরিকল্পনা করে। এই হত্যাকান্ডের এক্টিভ সহযোগি ছিলেন সাহাবি সাবা বিন আব্দুল্লাহ, মালিক বিন আশতার সহ অনেকেই।
আইন - শাসনের ব্যাপারে ভিষন কড়া উমর (রাঃ) এদের কারোরই কোন বিচার করেননি।
বরং খেলাফতের সময় এইসব ক্ষুনিরা বিশেষ সুবিধা, পদ ও পদবী পায়।
হাসান কালবৈশাখী, এটা ওমরের আমলে ঘটেনি। কারণ, ওমর মারা যাওয়ার পর ওসমান খলিফা হন। সুতরাং এখানে ওমর কর্তৃক বিচার করার প্রশ্নইই আসে না। আর সে সময় যেটা ঘটে ছিল সেটা ক্ষমতার অন্তদ্বন্দের কারণে। শাসণ ব্যবস্হায় এটা ঘটে থাকে। আমাদের বঙ্গবন্ধু, ভারতের মহাত্মগান্ধী সহ বিশ্বের বড় বড় নেতারা এ রকম হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন। হত্যা কান্ড ঘটলে সাথে সাথে এর বিচার করা সম্ভব হয়না। কারণ সে সময় পরিস্হিতি দুষ্কৃতিককারীদের পক্ষে চলে যায়। আলী এই জন্য সময় নিতে চেয়ে ছিলেন কিন্তু মুয়াবিয়ার সাথে দ্বন্দের কারণে সেটা সম্ভব হয়নি।
সাহাবি সাবা বিন আব্দুল্লাহ,- এই লোকটি সাহাবী ছিল না। মুহাম্মদ মারা যাওয়ার পর সে নামে ইসলাম গ্রহণ করেছ, প্রকৃত পক্ষে সে ছিল ইহুদিদের ছিল দালাল। শিয়াজম প্রচারে তার অবদান আছে।
১৯| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২২
ইউনিয়ন বলেছেন:
হযরত উমর ( রা) কি এমন কিছু কোরবেন না যা কোরানে মানা করা হয়েছে। সম্ভবত সুরা নিসাতে একটা আয়াত আছে যেখানে বলা হয়েছে ----- কেউ অন্যের পাপ বহন করবে না, একজনের পাপের শাস্তি অন্যের উপর বর্তাবে না। ( কেউ যদি আয়াত নাম্বারটা দিতে পারেন তাহোলে ভালো হয়) ।।
এই আয়াতের প্রেক্ষিতে যদি তিনি মিশরে গভর্নরকে পুত্রের অপরাধের জন্য শাস্তি দিতে চান তাহোলে সেটা কোরন লংঘন হয়ে যায়
এ আর ১৫- এটা ছিল ওমরের ইলমে তাসাউফ (দূরদর্শী) চিন্তা ভাবনা, এবং সেটা ছিল সঠিক। কারণ পিতার সে খানে শাস্তি পাননি। এটা তিনি অগ্রিম আন্তাজ করতে পেরে ছিলেন। এ দ্বারা তিনি উপস্হিত অভিজাত কুরাইশদের বার্তা দিয়েছেন, কারো ক্ষমতার জোড়ে পুত্র যেন আকাম-কু-কাম করতে না পারে এবং পিতা যেন এব্যাপারে ছেলেকে যেন কোন রকম ছাড় না দেয়।
বিধর্মী লোকটি ছিল শঙ্কিত কারণ অপরাধীর পিতা ছিল গর্ভ র, তিনি হয়ত ভেবেছিলেন তার নিকট ন্যায় বিচার পাবেন না, তাই খলিফার নিকট বিচারের আর্জি দিলেন।
২০| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৬
মাহিরাহি বলেছেন: “I cannot present before you the examples of Sri Ram Chandr and Sri Krishn as they are not personalities recognized by history. I cannot help but present to you names of Abu Bakar (ra) and Umar (ra). They were leaders of a vast empire, yet they lived a life of austerity", Gandhi wrote.
রাম কৃর্ষ্ণকে ইতিহাস স্বীকৃতি দেয় না। আমি আমাকে হযরত আবু বকর (রা) এবং হযরত উমর (রা) কথা বলতেই হয়। তারা বিশাল সাম্রাজ্যের শাসক ছিলেন, কিন্তু জীবন যাপনে ছিলেন কঠোর সংযমী। - গান্ধি
২১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০
মাহিরাহি বলেছেন: ‘I am extremely impressed by governance of Caliph Omar (the second caliph of Islam) and will try to follow his model of governance for the betterment of people’- Mr Arvind Kejriwal
আমি খলিফা হযরত উমর (রা) শাসন ব্যবস্থায় মুগ্ধ। মানুষের উন্নতির জন্য আমি তাকে মডেল হিসাবে নিব। - কেজরিওয়াল, দিল্লির গভর্নর।
২২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:০৯
নীলপরি বলেছেন: দারুন লিখেছেন ।
২৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২৪
টারজান০০০০৭ বলেছেন: উলু বনে মুক্ত ছড়াইয়া কি লাভ ভাইজান ! বিরাট বিচিওয়ালা পাঁঠাদের জন্য রঙিন পুঁতির মালাই ভালো ছিল !
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:১৬
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: sb]একজন নারীর গায়ে বিনা অনুমতিতে হাত দেয়া যেকোন অবস্থায় যেকোন পরিস্থিতিতে অন্যায়। সেটা মুসলিম নারী হোক, হিন্দু হোক, কি পাহাড়ি অথবা বিদেশী। সেটা দূর্গা পূজা হোক, ক্রিসমান হোক, ঈদ হোক এমনকি কোন নাইট ক্লাবের ডিজে পার্টি। কোন অবস্থাতেই জাস্টিফায়েড না।
আমি ধর্মান্ধ নই, কিন্তু এটাতে বিশ্বাসী।।