নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামের প্রতি আক্রমন

২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:১৭

কুরাইশরা সেনাবাহিনী নিয়ে মদিনা আক্রমণের জন্য রওনা দিয়ে দিয়েছে। যে গতিতে তারা এগুচ্ছে, দুই একদিনের মধ্যেই শহরে পৌঁছে যাবার কথা। কুরাইশদের যুদ্ধনীতি হচ্ছে যে তাদের কোন যুদ্ধনীতি নেই। শহরে পৌঁছে তারা যে কাউকে সামনে পাবে, হোক সে বৃদ্ধ-শিশু কিংবা নারী - স্রেফ খুন করে ফেলবে। কাজেই ওদের বাঁধা দিতে হবে শহরের বাইরেই।
তাই ওহুদের ময়দানে দ্রুত পৌঁছাবার জন্য হজরত মুহাম্মদ (সঃ) মুসলিম সেনাবাহিনী নিয়ে জুম্মার নামাজ শেষ করেই "গলি পথে" (শর্টকাট) রওনা হলেন। "হাইওয়ে" ধরে পৌঁছাতে পৌঁছাতে অনেক সময় চলে যাবে। তারচেয়ে বড় কথা, কুরাইশদের কাছে খবর পৌঁছে যাবে যে তাঁরা শহরের বাইরে আসছে। যুদ্ধে শত্রুর কাছে কোন রকমের তথ্যই পাচার হতে দেয়া বোকামি।
তো গলিপথে যাবার সময়ে এক অন্ধ বৃদ্ধের বাড়ির সামনে দিয়ে তাঁরা যাচ্ছিলেন। এতলোকের পদধ্বনি শুনতে পেয়ে লোকটা চিৎকার জুড়ে দিল, "কে যায়? মুহাম্মদ (সঃ) আর তাঁর চ্যালারা? খবরদার! আমার উঠানে একদম পা রাখবা না!"
বলে লোকটা পাথর ছুড়ে মারতে লাগলো।
সাহাবীরা তখন যুদ্ধের মুডে আছেন। যুদ্ধের নিয়মই হচ্ছে শত্রুর প্রাণ হরণ। এই বুড়োও তখন কোন বন্ধুত্বপূর্ণ কর্মকান্ড করছে না। এমনিতেও মদিনায় তখন মুনাফিকরা বড্ড যন্ত্রনা করছে। কাজেই এক সাহাবী নিজের তলোয়ারের হাতলে হাত দিলেন।
নবী (সঃ) সাথে সাথে বললেন, "ওকে ওর মতন ছেড়ে দাও। ও চোখ থেকে যেমন অন্ধ, অন্তর থেকেও তাই।"
একজন লোক, কিংবা এক দল লোক, কিংবা একটি দেশসুদ্ধ লোক যদি ইসলামের দিকে পাথর ছুড়ে মারে, তাতে ইসলামের কিছুই যাবে আসবেনা। কেন জানেন? আল্লাহ বলেছেন তিনি নিজে এর প্রতিরক্ষার দায়িত্ব নিয়েছেন। আমার যথেষ্ট বিশ্বাস আছে তাঁর উপরে। কথা হচ্ছে, আপনার আছেতো? থাকলে ঐ বৃদ্ধের মতন ওদেরকে ওদের মতন ছেড়ে দিন। লেট আল্লাহ টেক কেয়ার অফ দেয়ার বিজনেস। শুধুশুধু নিজের সময় অপব্যয়ের কোন মানে আছে?

মন্তব্য ১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:০৪

নাইম রাজ বলেছেন: নবী (সঃ) সাথে সাথে বললেন, "ওকে ওর মতন ছেড়ে দাও। ও চোখ থেকে যেমন অন্ধ, অন্তর থেকেও তাই।"
বুঝেছি এবং সহমত,তাকে তার মতই চালাতে দেয়া উচিত । একদিন অবশ্য তার উপযুক্ত হিসাব পাবে । তাই দেশের যারা
বিবেকবান মানুষ কিছু কিছু বিষয় নিয়ে তাদের মাথা গরম করার মত কিছু দেখি না।
ধন্যবাদ সুন্দর লেখাটির জন্য ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.