নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঋতুচক্র

০৫ ই মে, ২০১৭ রাত ৩:০৩

সিলেটের এমসি কলেজে প্রথমবর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা দিচ্ছিলাম - বায়োলজি। প্রশ্ন এসেছিল বয়ঃসন্ধিকালে পুরুষ ও নারীদেহে যেসব পরিবর্তন আসে, সেসব বর্ননা করো।
আমার প্রিয় বন্ধু লজ্জার কারনে সেটা উত্তরই করলো না। পরীক্ষায় এমনি এমনি মার্ক্স্ ছেড়ে আসলো।
আমি অবাক হয়ে বললাম, "তুই ছেড়ে দিলি কেন?"
সে সিলেটি ভাষায় বললো, "শরম করে ব্যাটা - টিচার কি না কি মনে করবে।"
বয়ঃসন্ধির সময়ের কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের সরাসরি খোলাখুলি কথাবার্তা বলা উচিৎ। পেশাব পায়খানার মতোই এসব অতিস্বাভাবিক প্রাকৃতিক ঘটনা। ব্যক্তিগত বিষয় বটে, ঢাকঢোল পিটিয়ে ঘোষণা করার প্রশ্নই উঠেনা, তবে লজ্জা-শরমেরও কিছু নেই। অপরাধবোধেরতো প্রশ্নই উঠে না।
কিন্তু আমাদের দেশের যেহেতু সামাজিক নিয়মরীতির কারনে আমরা সেসব নিয়ে কথা বলিনা। ফলাফল কনফিউশন এবং কেওস।
মেয়েদের ঋতুচক্র তেমনই একটি ব্যাপারে।
এই বিষয়ে খুব লুকাছুপা চলে, মেয়েরা হয় কনফিউজ্ড, কিছু মানসিক রোগাক্রান্ত পুরুষ একে ঘিরে নানা ফ্যান্টাসিও করে। ফলে মেয়েরা আরও কনফিউজ্ড হয়ে যায়। আরও লুকানোর চেষ্টা করে। বিষয়টা হয়ে যায় খারাপ ও লজ্জার।
সমাধান অতি সহজ।
তবে তার আগে আমার প্রিয় রাসূলের (সঃ) জীবনের একটি উদাহরণ দেই, তাহলেই বুঝবেন।
এক অভিযানে এক বাচ্চা মেয়ে অন্য কারোর উটে স্থান না পাওয়ায় নবী (সঃ) তাঁকে তাঁর সাথে রাইড শেয়ার করার প্রস্তাব দিলেন। চিন্তা করুন, রাষ্ট্রপতির সাথে এক বাহনে সফরে যাওয়া! বাচ্চা মেয়ে এ সম্মানের কতটুকু উপলব্ধি করলো কে জানে, তবে সে স্বানন্দে রাজি হলো।
উটের পেছনে তাঁর আসনে মেয়েটির প্রথম রক্তপাত ঘটলো। বাচ্চা মেয়েটি মন ছোট হয়ে একদম এতটুকু হয়ে গেল।
রাসূলুল্লাহর (সঃ) সাওয়ারিকে সে অপবিত্র করে দিয়েছে!
লজ্জায়, অপরাধবোধে সে ব্যাপারটিকে ঢাকার চেষ্টা করলো, ফলে আরও ছড়িয়ে গেল।
নবী (সঃ) ব্যাপারটি লক্ষ্য করলেন। তিনি প্রথমেই হেসে তাঁকে আস্বস্ত করলেন। বুঝিয়ে দিলেন এটি কোন বিষয়ই না। এমন ঘটতেই পারে। আতংকিত হবার কিছু নেই।
তারপর তিনি মেয়েটিকে বললেন, পোশাক পাল্টে ফেলতে, এবং লবণ পানি ঘষে স্থানটি পরিষ্কার করে ফেলতে।
অভিযান শেষে ফেরত আসার সময়ে তিনি মেয়েটিকে আরও সহজ করতে একটি নেকলেস (হার) উপহার দিলেন।
এই মেয়েটি তাঁর বাকি জীবন সেই নেকলেস পরে ছিল। এবং মৃত্যুকালে নির্দেশ দিয়ে গেল, তাঁকে যেন সেই নেকলেসের সাথেই কবর দেয়া হয়।
আ পিওর জেন্টেলম্যানের প্রেমে সবাই পরে। নবীজি (সঃ) তাঁর ব্যবহার দিয়ে প্রমান করে দিতেন তিনি কোন পর্যায়ের ভদ্রলোক।
অথচ এখন এই যুগে কোন মেয়ে যদি ফার্মেসিতে গিয়ে নিজের জন্য ন্যাপকিন কেনে, কিছু লোকে এমন দৃষ্টি দেয় যেন সেই মেয়ে বাজারে নিজের শরীর বিক্রি করতে এসেছে। চোখ থেকে লাম্পট্য একদম বেয়ে বেয়ে পরে।
শুধুমাত্র পার্ভার্টরাই পারে এসব নিয়ে ফ্যান্টাসাইজ করতে।
কিছু ফ্যান্টাসি করার আগে জেনে নিন, আপনার মা, বোন, স্ত্রী, দাদি, নানী, মেয়ে সবাই এই চক্রের মধ্য দিয়ে গিয়েছেন অথবা যাচ্ছেন কিংবা যাবেন। অতীতে নবী রাসূলদের স্ত্রী কন্যারাও এর মধ্য দিয়ে গেছেন।
পরমকরুণাময়ের অশেষ করুনার একটা হচ্ছে এই চক্র। এর সুফল নারী মাত্রই টের পান - এবং এটি না হওয়াটাই বরং চরম অসুস্থতা। এতে অপরাধবোধ, বা লজ্জাবোধের কিছু নেই। প্রাইভেট বিষয়, প্রাইভেটই থাকুক, ফরবিডেন নয়।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মে, ২০১৭ ভোর ৬:২৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাল একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন
শুভেচ্ছা রইল

০৫ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৪৫

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!

২| ০৫ ই মে, ২০১৭ সকাল ৮:০৩

আলপনা তালুকদার বলেছেন: এইডসের উপরে একটি কনফারেন্সে গিয়েছিলাম। প্রেজেন্টেশন চলছে এইডসের নানা দিক নিয়ে। আলোচনা চলছে - কিভাবে এ রোগের ভয়াবহতা সম্পর্কে মানুষকে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে সচেতন করা যায়। আমাদেরকে কিছু কাগজপত্র আর এইডসের লোগোসহ একটা করে চাবি রিং দেয়া হল। আমার পাশে বসা কলেজের এক ম্যাডাম বললেন, "আমি এই চাবি রিংটা ফেলে দেব, বাসায় নিয়ে যাবনা। ছেলে বড় হচ্ছে, টেনে পড়ে।" এই হল আমাদের মানসিকতা! আমরা কোনদিনও সত্যিকারের সচেতন হবনা।

০৫ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৪৫

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: দারুন বলেছেন। :)

০৫ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৪৬

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আমি আমার ভবিষ্যতের কোন লেখায় ব্যবহার করতে পারবো এমন উদাহরণ।

৩| ০৫ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:০২

আলপনা তালুকদার বলেছেন: জ্বি, নিশ্চয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.