নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
অ্যামেরিকায় কিছুদিন পরপর স্কুল ক্যাম্পাসে মাস শুটিং হয়। ছোটছোট বাচ্চারা কোন এক উন্মাদের উন্মাদনার শিকার হয়। প্রচুর রক্ত ঝরে, অকালেই হারিয়ে যায় অগণিত নিষ্পাপ প্রাণ। অ্যাসল্ট রাইফেল হাতে ক্যাম্পাসে ঢুকে গুলি করে শিশুদের মেরে ফেলা পাবলিকগুলো যেহেতু মোটামুটি সর্বক্ষেত্রে চামড়ায় সাদা, কাজেই ওদের উন্মাদ ধরেই নেয়া যায়। অন্য কেউ হলে নাহয় সন্ত্রাসী বলা যেত।
তো যাই হোক, এই নিয়মিত ঘটনায় গোটা দেশ একটু নড়ে চড়ে বসে। আন্দোলন শুরু হয় গান কন্ট্রোল নিয়ে। সরকার নানা কারণেই চুপ থাকে। এবং তারপর আমাদের দেশের অনেক ইস্যুর মতন ওদের এই ইস্যুটিও একসময়ে চাপা পড়ে যায়। এবং তারপরই আবারও কোন স্কুল প্রাঙ্গনে অ্যাসল্ট রাইফেল হাতে ঢুকে যায় কোন এক সাদা চামড়ার "বদ্ধ উন্মাদ।" গুলি করে হত্যা করে শিশুদের। কিছুদিন তদন্ত শেষে এফবিআই রিপোর্ট দেয় আসামি ডিপ্রেশনের রোগী ছিল, একটু সহমর্মিতা, একটা ভালবাসার আলিঙ্গন হয়তো এই ঘটনা রোধ করতে পারতো।
প্রতিবার এক ঘটনা। আমাদের দেশের Rab এর ক্রসফায়ারে সন্ত্রাসীদের নিহত হওয়া স্ক্রিপ্টের মতন। "অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে বেরিয়েছিলাম, ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়, আমরাও পাল্টা গুলি চালালে ও ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছে।"
তো যাই হোক।
অ্যামেরিকার এই right to bear arms এর সংবিধান দ্বারাই সংরক্ষিত। অৰ্থাৎ, আপনি ইচ্ছা করলেই আপনার বাড়িতে ইচ্ছা মতন যতখুশি তত বন্দুক রাখতে পারবেন। সত্যি বলতে আমারও শখ ছিল বন্দুক রাখার। সাথে শিকারের লাইসেন্স নেবার। দেয়ালে কয়েকটা বন্দুক ঝুলছে, কয়েকটা রাইফেল, এক দুইটা শট গান, কয়েকটা পিস্তল.... তার উপরে শিকারের ট্রফি হিসেবে ট্যাক্সিডার্মি করা হরিনের মাথা, যেকোন শিকারির স্বপ্নের গৃহসজ্জা। সমস্যা হয়ে গেল আমার বৌ এর ঘোর বিরোধী। তাঁর স্পষ্ট কথা, "বাসায় যদি বন্দুক আসে, তাহলে আমি সেই বন্দুক দিয়ে প্রথমেই তোমাকে গুলি করে মারবো। এতই যদি শিকারের শখ উঠে, তাইলে গিয়ে মাছ মারো।"
এরপর আর কোন কথা থাকেনা।
আমার এসিস্ট্যান্ট একটা সাদা চামড়ার টেক্সান। ও প্রায়ই দলবল মিলে শিকারে যায় শুনে বলেছিলাম আমারও শখ ছিল শিকারের, কিন্তু আমার বৌ বন্দুকই কিনতে দেয় না।
ও হেসে বলল, "বুঝেছি। তোমার বৌকে আমার বাড়িতে একবার আসতে বলো। আমার বন্দুকের কালেকশন দেখাবো।"
"তাই? তোমার বন্দুক কয়টা?"
"এখন পর্যন্ত আঠাশটা, এবং কাউন্টিং (মানে প্রতি দুয়েক মাস পরপর আরও যুক্ত হচ্ছে)।"
ছেলের বয়স তেইশ চব্বিশ হবে, এর বন্দুকের সংখ্যা তাঁর বয়সের চেয়েও বেশি। সাবাস!
বন্দুক রাখার পক্ষের লোকেদের একটা যুক্তি দেই।
কিছুদিন আগে নাইন ওয়ান ওয়ানে এক মহিলা ফোন করে বললেন, "আমি বাড়িতে একা আছি। কেউ যদি আমার বাড়িতে বিনা অনুমতিতে ঢুকার চেষ্টা করে, এবং আমি তাকে গুলি করে হত্যা করি, তাহলে এটা কী ফেডারেল ক্রাইম হবে?"
অপারেটর টাস্কি খেয়ে বললেন, "একটু ধৈর্য্য ধরেন ম্যাডাম। বিস্তারিত বলেন। কোত্থেকে বলছেন, কোথায় কী ঘটছে।"
মহিলা বললেন, "এত সময় নাই। আমি এবং আমার মেয়ে ঘরে একা থাকি, আমার ঘরের জানালা ভেঙে দুইটা লোক বাড়িতে ঢুকছে। হয়তো আমাকে রেপ করে ডাকাতি করবে। এখন আমি কী ওদের গুলি করতে পারি?"
"করেন ম্যাডাম।"
দুম! একটা গুলির শব্দ।
অপারেটর জানতে চাইলেন, "ম্যাডাম, আপনি ঠিক আছেন?"
"হ্যা, একটাকে মেরে ফেলেছি। আরেকটা বোধয় পালিয়ে গেছে।"
"ওকে, তাহলে এখন আপনি আপনার ডিটেইল বলেন, আমি পুলিশ পাঠাচ্ছি।"
পুলিশ পাঁচ-দশ মিনিটের মধ্যেই চলে এলো। এর দুইদিনের মধ্যেই পালিয়ে যাওয়া অপরাধীকে ধরে ফেললো। সে স্বীকার করলো তারা কয়েকদিন ধরেই মহিলাকে ফলো করছিল, তাদের উদ্দেশ্য ছিল সেই রাতে মহিলাকে রেপ করে খুন করে লুটপাট করে চলে যাওয়া।
এখন মহিলার বাড়িতে যদি বন্দুক না থাকতো, তাহলে অবশ্যই পরদিন সংবাদপত্রের শিরোনাম হতো, "অমুক শহরে এক বাচ্চার মা ধর্ষন, খুন ও ডাকাতি।"
আরেকবার আমার নিজের সামনের ঘটনা। আমি তখন ওয়ালমার্টে ক্যাশিয়ার। এক মহিলা হঠাৎ করে বললো সে ম্যানেজারের সাথে কথা বলতে চায়।
সাধারণত লোকজন ম্যানেজার খোঁজে কারোর নামে কোন কমপ্লেন করতে। এবং ম্যানেজারদেরও নির্দেশ থাকে, তোমরাই ঝামেলা মেটানোর চেষ্টা করবা। আমাদের পর্যায়ে যেন না আসে।
কাজেই আমি জিজ্ঞেস করলাম "আমাকে বলতে পারো, দেখি আমি কী করতে পারি।"
"তুমি কী পুলিশ ডাকতে পারবে?"
খাইছে! কে কী করেছে যে সরাসরি পুলিশ ডাকাডাকি!
মহিলা জানালেন যে যখন থেকে তিনি শপিং করছেন, একটি লোক তাঁকে ফলো করছে। এখন সে যখন বেরিয়ে যাবার জন্য তৈরী, ঐ লোকটা আগে থেকেই গেটে দাঁড়িয়ে আছে। মহিলা যথেষ্ট ভয় পেয়েছেন। বলে রাখি, পৃথিবীর আশি ভাগেরও বেশি সিরিয়াল কিলার এই মার্কিন মুল্লুকে অবস্থান করে। কোন এক বিচিত্র কারনে এরা মানুষ খুন করে মজা পায়। আমি ওদের মানসিক বিশ্লেষণগুলো ঘাটাঘাটি করেছিলাম। আশ্চর্য্য! মনোবিজ্ঞানীরা বা ক্রিমিনোলোজিস্টরা যেসব কারণ চিহ্নিত করেন, তার বেশিরভাগই আমাদের দেশে ঘটে একদম ওয়ান টুর মতন। আমরাতো সিরিয়াল কিলার হইনা। এদের সমস্যা কী?
আমি ম্যানেজার ডাকলাম।
এবং পাশ থেকে দুইটি ইয়ং মেয়ে, যাদের বয়স কোন অবস্থাতেই একুশ বাইশের বেশি হবে না, তাঁরা বলে উঠলো, "ডোন্ট ওয়ারি। আমরা তোমাকে পার্কিং লটে তোমার গাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিবো। আমাদের ব্যাগে পিস্তল আছে।"
এতই নির্বিকারভাবে বললো যেমনটা আমরা বলি, "কল করতে হলে চিন্তা করবেন না, আমার মোবাইলে ব্যালেন্স আছে।"
তা অ্যামেরিকায় বন্দুক রাখতেই হবে। আমার কোন তর্ক নাই এই বিষয়ে। এই বন্দুক রাখার অভ্যাসের কারণেই এই দেশের বাড়ির দরজা খোলা রেখেই লোকজন চলে যেতে পারে বাইরে, এবং ফিরে এসে দেখে বাড়ি চুরি হয়ে যায়নি। কারন বিনা অনুমতিতে কারোর বাড়ির সীমানায় ঢুকলে মালিক গুলি চালিয়ে মেরে ফেলতে পারে, এবং তাঁর বিরুদ্ধে কোন আইনি ব্যবস্থা নেয়া যাবেনা। বরং তাঁদের পক্ষেই আইন থাকবে। একটা চোর কেন এই রিস্ক নেবে? অবশ্য নিউইয়র্কের কথা আলাদা। শুনেছি, সেখানে প্রায়ই বাঙালি বাড়ির ব্যাকইয়ার্ড থেকে লাউ চুরি হয়। চোর অবশ্যই কোন বঙ্গ ললনা। আমাদের হাসান তানকিউল ভাইতো একদিন হাতে নাতেই এমন চোর মাতাপুত্রকে ধরেছিলেন। তা যাক, বাঙালির কথা।
চিন্তা করে দেখুন, আমাদের দেশে তনুর হাতে যদি অস্ত্র থাকতো, ইয়াসমিনের হাতে থাকতো, কিংবা পূর্ণিমা শীল নামের সেই মেয়েটির বাড়িতে রাইফেল থাকতো, তাহলে তাঁদের নরক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যেতে হতো না। এইটা ফ্যাক্ট। জানোয়ার মারতে গেলে বন্দুকের বিকল্প নেই।
হ্যা, আপত্তি একটা জায়গায় আছে, এখানে বন্দুকের লাইসেন্স পাওয়া ড্রাইভার্স লাইসেন্স পাওয়ার চেয়েও সহজ। যে কেউ বন্দুক রাখতে পারে। যে কারোর বাসায় বন্দুক আছে। যে কেউ বন্দুক নিয়ে যেখানে সেখানে যেতে পারে। টেক্সাসে আমাদের অফিস বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান যেখানে বন্দুক অ্যালাও করে না, প্রবেশদ্বারে অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে নোটিস দেয়, "অনুগ্রহ করিয়া বন্দুক জাতীয় অস্ত্র লইয়া প্রবেশ করিবেন না।" হুকুম নয়, যেন অনুরোধ করছে।
এইটা খুবই বিপজ্জনক। তাই দেখা যাচ্ছে অমুকের সাথে তমুকের ঝগড়া লাগলো, ক্রোধের মাথায় লোকটা বন্দুক নিয়ে বেরিয়ে গেল। এবং দুম্দুম্ দুম! কয়েকটা লাশ ফেলে দেয়ার পর তার হুশ ফিরলো। লাস ভেগাসের ঘটনা মনে নেই? কিছুদিন আগেইতো। আটান্নজন নিহত এবং ৮৫১ জন আহত। ইয়ে, এইটাও কিন্তু সন্ত্রাসী হামলা ছিল না। জাস্ট একটা হাগ দিলেই এই দুর্ঘটনা এড়ানো যেত।
ফ্লোরিডার ঘটনার ঠিক পরের দিন এই ডালাসের আশেপাশের দুই শহরে দুইটি শিশুকে স্কুলে অস্ত্র নিয়ে প্রবেশের অপরাধে গ্রেপ্তার করা হলো। এর একজন আবার আমাদের এক এডমিনের স্কুলের ছাত্র। মানে ঘটনা এখন ঘর পর্যন্ত চলে এসেছে।
তা কিছুদিন আগে হোয়াইট সুপ্রিমিস্টদের (কুখ্যাত কুক্লাক্সক্ল্যান (KKK), নিও নাৎজি ইত্যাদি) ব্যাপারে ডকুমেন্টারি দেখছিলাম। এই এক ফাজিল জাত। আহাম্মকগুলি এই যুগেও বিশ্বাস করে সাদা চামড়ার লোকেরাই একমাত্র ঈশ্বরের আশীর্বাদপুষ্ট জাত। বাকিরা, বিশেষ করে কালোরা অভিশপ্ত। ওদের কোনই অধিকার নেই একসাথে বাস করার। ওদের দাবি অ্যামেরিকাকে ভাগ করে দেয়া হোক। সাদারা সাদাদের অঞ্চলে থাকবে, এবং কালোরা পৃথিবীর অন্যান্য আবর্জনার সাথে নিজেদের ব্যবস্থা করে নিক। ওরা কিছুতেই মানতে পারছিল না বারাক ওবামা অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়ে গেছে। হাসিমুখে একজন বলল, "আমি প্রতি সপ্তাহে ঐ নিগ্রোটাকে গালাগালি করে হোয়াইট হাউজে চিঠি লিখি।" কত ধৈর্য্য মানুষের! কত আজাইরা সময়!
ভয়ংকর তথ্য হচ্ছে এই গ্রূপের প্রতিটা সদস্যের হাতে অস্ত্র আছে। এরা এই দাবিও করে যে এরা যখন ইচ্ছা অ্যামেরিকান আর্মিকে হারিয়ে দিতে পারে। এবং এরা বিশ্বাসী খুব শীঘ্রই একটি সিভিল ওয়ার শুরু হবে, যা অ্যামেরিকার নকশা পাল্টে দিবে। তখন শুধু সাদারাই ক্ষমতায় থাকবে। "হোয়াইট পাওয়ার" স্লোগান এই গ্রূপের লোকেরাই দেয়।
উল্টো গ্রূপও আছে। "ব্ল্যাক পাওয়ার" দাবি করা কালোদের গ্রূপও আছে। এদের দাবি সব সাদা খারাপ।সাদারা বদমাইশ আর বেঈমান। এদের বিশ্বাস করা উচিৎ না। এদের সাথে একসাথে বসবাস করা সম্ভব না। কাজেই একটি দেশ হোক, যেখানে কোন সাদা চামড়ার লোক থাকতে পারবে না। শুধু কালোরাই থাকবে।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, এরাও বারাক ওবামাকে সহ্য করতে পারেনা। ওদের বিশ্বাস ওবামাকে সাদারাই সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্র করে সিংহাসনে বসিয়েছে, আসলে ও সাদাদের এজেন্ট।
"বাচ্চারা কাঁদলে মুখে চুষনি ভরে দেয় না? ওবামাও সেই চুষনি। যাতে আমরা কালোরা চুপ থাকি। কিন্তু আমরা এতটা বোকা নই....."
বেচারা ওবামা। দুইদিকেই মার খেল।
তো যা বলছিলাম। ভয়ের ব্যাপার হচ্ছে এই যে এক্সট্রিমিস্ট গ্রূপগুলো, এদের সবার হাতেই কিছু অস্ত্র আছে। ছাগলের পায়ে খুর এবং বাঘের পায়ে নখ মানায়। ছাগলের পায়ে নখ দিয়ে দিলে আহাম্মকটা কী করতে কী করবে কে জানে! এদের হাতে অস্ত্র থাকাটাও একই ব্যাপার।
কালোরা এখনও খুব একটা একটিভ না মাস কিলিংয়ে। যদিও কয়েক বছর আগে এক কালো লোক স্নাইপার দিয়ে কয়েকজন পুলিশ অফিসারকে মেরে ফেলেছিল। তাঁর ভাষায় সে পুলিশ কর্তৃক নিহত কালো ভাইদের খুনের বদলা নিয়েছে।
এদিক দিয়ে সাদা চামড়ার লোকেরাই এগিয়ে। কিছুদিন পরপরই অমুক তমুক জায়গায় রাইফেল নিয়ে ঢুকে পড়ছে। গুলি করে হত্যা করছে সাধারণ মানুষ। এরা কেমন এক্সট্রিমিস্ট শুধু একটা ধারণা দেই। একটা সাদাদের তৈরী চার্চে কালোরাও ইবাদত করতে আসে। স্রেফ এই অপরাধে একজন জিহাদি সেনা বন্দুক হাতে সেই চার্চে ম্যাসাকার ঘটিয়ে দিল। মিডিয়াতে এইসব খবর খুব একটা হৈচৈ ফেলে না, কারন অপরাধী সাদা।
যাই হোক - অ্যামেরিকায় যেহেতু থাকি, এর সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করতেই হয়। কিন্তু চোখের সামনেই দেখছি এই অস্ত্র রাখার ব্যাপারটা ক্যান্সার আকার ধারণ করেছে। সরকারও নির্বিকার। কিছু করতে হয়তো ভয়ও পায়। অতীতে Waco, টেক্সাসে এবং ওকলাহোমার ওকলাহোমা সিটিতে ভয়াবহ সন্ত্রাসী ঘটনার পুনরাবৃত্তি চায়না সরকার। কিন্তু প্রতি দুই তিনমাস পরপর যে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হচ্ছে মানুষ, এর বিরুদ্ধে কী ওরা কিছুই করবে না? এখন রীতিমতন আতঙ্ক জাগে, এত এত বাচ্চাদের রক্তও যখন কাউকে কোন ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বুদ্ধ করে না, তখন আর কিছুতেই কিছু হবে না। বরং পুরোপুরি আল্লাহ ভরসায় বেঁচে থাকা আর কি। আমি নাও ভাসালাম, বিসমিল্লাহ! তীরে তরী ভেড়াবার দায়িত্ব এখন উপরওয়ালার। কেউ কোন ফাঁক থেকে বন্দুক হাতে এসে নৌকা না ফুটো করে দেয়!
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:১১
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: কিছুই না, হুদাই আপনার টাইম নষ্ট করলাম। এইটাই উদ্দেশ্য ছিল।
২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:৫৩
নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: সত্যি বলতে কি আমেরিকার আইন শৃংখলা পরিস্থিতি এই বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ।একটা স্কুলে ঢুকে একটা উন্মাদ বাচ্চাদের এভাবে গনহারে মারছে, তারপরেও দেশের পাবলিক মোটামোটি নিরব !! এই বিশ্বের আর কোন দেশে এই বিভৎসতার নজির নাই।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১২
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: না ভাই, "আইনশৃঙ্খলা" বলতে যেটা বুঝায়, সেটার অবস্থা "বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ" বললে ভুল বলা হবে। এই দেশে গভীর রাতে একা একটি মেয়ে হেঁটে বাড়ি ফেরার সাহস রাখে, এইটা ফ্যাক্ট, এবং এইটা এই আইন শৃঙ্খলার জন্যই।
হ্যা, স্কুলে ঢুকে হত্যা করছে বিষয়টা মাথাব্যথার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে, লাখ লাখ স্কুলের কোটি কোটি ছাত্রছাত্রীর মধ্যে হঠাৎ দুই একজন মাথা নষ্ট পাবলিক বেরিয়ে আসছে, সেই হিসেবে স্ট্যাটিস্টিক্যালি ০%এরও নিচে। এবং "দেশের পাবলিক নীরব" কথাটাও ভুল। দেশের পাবলিক ভালোই সরব, সরকার নীরব বলতে পারেন।
৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৪৮
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আমেরিকা এই জাতিকে নিয়ে এ কথায় বলা যায়, যে জাতি যত শিক্ষিত সে জাতি তত মূর্খ
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৪
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: না ভাই, মূর্খ হলে গত একশো বছর ধরে বিশ্ব শাসন সম্ভব হতো না। মাথায় ঠিকই বুদ্ধি আছে। এখানে ঘটনা ভিন্ন।
৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: এটা খুব দুঃখজনক ঘটনা।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১২
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: জ্বি, সত্য বলেছেন।
৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৩৩
সোহানী বলেছেন: চমৎকার লিখা।+++++
আমিতো আতংকে আছি, আম্রিকার ভুত যেন কানাডায় না ঢুকে। এরাতো দেখি বদ্ধ উম্মাদ। পুরো দেশের মানুষের ট্রিটমেন্ট দরকার।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:০০
এলিয়ানা সিম্পসন বলেছেন: Eto golpo bole ki holo?