নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
১.
আর্জেন্টাইনদের চোখে ম্যারাডোনা কেবলই দেশের ইতিহাসের সেরা ফুটবল জিনিয়াস না, বরং গড। ওরা তাঁকে ফুটবল ঈশ্বর বলে থাকে। ছিয়াশির বিশ্বকাপে একা হাতে যেভাবে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন, ৯০ এ ফাইনালে নিয়ে গেলেন, এবং ৯৪তে যদি ড্রাগ কেলেঙ্কারি না হতো, তাহলে সেই বিশ্বকাপেও একটা কোন ঘটনা (হয়তো প্রথমবারের মতন ব্রাজিল আর্জেন্টিনা ফাইনাল) ঘটতো এইটা মোটামুটি নিশ্চিত। বাতিস্তুতা তখন আগুনে ফর্মে, ম্যারাডোনার সহায়তা পেলে একটা কিছু করে দেখাতো নিশ্চিত। এদিকে ব্রাজিলের ছিল রোমারিও - সেই রকম টুর্নামেন্ট হতো।
সেই তুলনায় মেসি তাঁদের কারও কারোর চোখে মহানায়ক, কারও কারোর চোখে ভিলেন।
যাদের চোখে ভিলেন, তাঁদের কথা হচ্ছে, "ওতো স্পেনে বড় হয়েছে, সেখানেই খেলেছে, বার্সেলোনার জন্যই ট্রফি জিতেছে। আমাদের জন্য ও কী করেছে? ও একজন ইউরোপিয়ান, মোটেও আর্জেন্টাইন না।"
আর্জেন্টিনা ব্রাজিল এদের সমর্থকদের কাছে শিরোপা জয়ই শেষ কথা। আমাদের মতন না যে হারলেও মাথায় তুলে রাখি। তুমি পৃথিবী কাঁপানো ফুটবলার হলেও দলকে শিরোপা জিতাতে না পারলে তোমার সব অর্জন বাতিল।
এক নজরে দেখে ফেলা যাক জাতীয় দলের হয়ে মেসির অবদান।
অভিষেকের পর মেসির সবচেয়ে বড় অর্জন তিনি একা হাতে দলকে ২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনালে তুলেছিলেন। ফাইনালে দল হেরেছিল আমার ধারণা জার্মানির বিপক্ষে অতিরিক্ত সাবধানী ফুটবল খেলতে গিয়েই। বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়ে গোল্ডেন বল জিতলেও মেসির দোষ, কারন শিরোপা জেতা হয়নি।
এরপর কোপা আমেরিকার ফাইনালে টাইব্রেকারে পরাজয়। মেসি ছাড়া কেউই গোল করতে পারেন নি। কিন্তু তারপরেও দোষ পড়লো মেসির ঘাড়ে।
এরপরের কোপা ফাইনালেও টাইব্রেকারে পরাজয়। এবং এইবার মেসি নিজে পেনাল্টি শুট মিস করলেন। পুরো দেশ জুড়ে রব উঠলো মেসিই অভিশপ্ত। জাতীয় দলের হয়ে সে কিছুই করতে পারেনি, তাঁকে দিয়ে কিছু হবেনা।
বুক ভাঙা কষ্টে বেচারা জাতীয় দল থেকে অবসরের কথাই ভাবছিলেন।
কেউ এইটা বিবেচনায় নিল না, যখন গ্রোথের সমস্যার কারনে তাঁর গরিব পিতামাতা তাঁর চিকিৎসা করতে অপারগ, দেশের কেউ এগিয়ে আসেনি, তখন এই স্প্যানিশ ক্লাবটিই তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল। যদি বার্সেলোনা না থাকতো, মেসি আজকের মেসি হতে পারতো না। এবং ছেলেটির কতটুকু কৃতজ্ঞতাবোধ দেখুন, সে সেই ক্লাব ছেড়ে অন্য কোথাও যাবার কথা মাথাতেও আনেনি।
শৈশব থেকে বেড়ে ওঠা স্পেনে, ইচ্ছে করলেই স্পেনের জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারতেন। সেটা করলে কেউ দোষও দিত না তাঁকে। সেটাও হতো ঋণ শোধ। এবং যদি খেলতেন, আর্জেন্টিনার চেয়ে কমতো না, বরং আরও শক্তিশালী (কিছুদিন আগেই এই স্পেনের কাছেই আর্জেন্টিনা ৬-১ এ হেরেছিল, ব্রাজিল সেভেনআপ হলে আর্জেন্টিনাও সিক্স আপ ) একটি দল নিয়ে বিশ্বকাপে যেতে পারতেন, এবং সেই দল চ্যাম্পিয়নও হতো। কিন্তু তারপরেও ছেলেটা মাতৃভূমির ঋণের টানে সাদা আকাশি জার্সি গায়ে নামেন। নিজের দেশের লোকেরা দুয়োধ্বনি দেয়, তারপরেও। কারন, সেই দেশেরই মানুষ ভালবেসে তাঁর জন্য প্লেকার্ড তুলে ধরে, যেখানে লেখা, "তুমি যদি স্বর্গে যাও মেসি, তাহলে তোমার দেখা পেতে আমি মরতেও রাজি আছি।"
এই বিশ্বকাপে কিভাবে রূপকথার মতন কোয়ালিফাই করলো আর্জেন্টিনা সেটাতো সবাই জানেনই। মেসিই একা টেনে এনেছেন। এবং এখানেই একজন ব্রাজিল সমর্থক হিসেবে আমার ভয়। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, আগেও এইরকম ফিনিক্স পাখিরা ছাইয়ের গাদা থেকে উঠে এসে আকাশে ডানা মেলেছিল। ব্রাজিলের প্রথম বিশ্বকাপ জয়, যেখানে এডিসন নাসিমুনতো নামের এক সতেরো বছরের বাচ্চা "পেলে" হলো, সেই বিশ্বকাপেও ব্রাজিল বাদ পড়তে পড়তে সুযোগ পেয়েছিল। এবং গ্রেট খেলোয়াড়রা বড় মঞ্চকেই বেছে নেন লেজেন্ড হবার জন্য।
মেসির পেছনে বহু ব্যালেন ডিঅর আছে, আরও বহু স্বীকৃতি আছে তাঁর গ্রেটনেসের, কিন্তু কেন যেন মনে হচ্ছে, এই বিশ্বকাপে কিছু একটা করে দেখানো তাঁর নিয়তি।
এবং সেটা করতে পারলে স্বাভাবিকভাবেই কপাল পুড়বে ব্রাজিলের।
২.
ব্রাজিলের এই দলটা ভাল, ভয়াবহ শক্তিশালী। অনেকের মতেই হট ফেভারিট। বিশেষ করে মাঝমাঠ ও সামনের যে ত্রিশূল ফলা, অনেককেই মনে করিয়ে দিচ্ছেন রোনালদো, রিভালদো, রোনালদিনিওর দিনগুলোর কথা। ব্রাজিলের গোলকিপিং এবং ডিফেন্সও এইবার শক্তিশালী, যা তাঁদের বরাবরের দুর্বলতা ছিল। এবং মধ্যমনি নেইমারতো আছেই। কিন্তু গত বিশ্বকাপে এই অতিরিক্ত নেইমার নির্ভরশীলতা ডুবিয়েছিল। এইবার আশা করি সেই ভুল হবেনা।
যদিও এইবার ব্রাজিল যথেষ্ট স্বয়ংসম্পূর্ন দল। প্রতিটা খেলোয়াড় যার যার অবস্থানে বিশ্বমানের।
ব্রাজিলিয়ানরা এইবার যাচ্ছেও ঢাকঢোল পিটিয়ে। শেষ কবে হেরেছিল সেটা হিসেব করতে গুগলের সাহায্য লাগে। জার্মানিতে গিয়ে জার্মানিকে ১-০তে হারিয়ে মোটামুটি বুঝিয়ে দিয়েছে সামনে যেই আসুক না কেন, তাঁদের খবর আছে। প্রস্তুতি ম্যাচে ক্রোয়েশিয়া, এবং আজকে অস্ট্রিয়াকে উড়িয়ে দিয়ে রাশিয়ার জন্য ভালই প্রস্তুত মনে হচ্ছে।
তবে একটাই ভয়, প্রতিটা খেলোয়াড়ই দুনিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে খেলে থাকে। দলগত কেমেস্ট্রি যেটা, দল হিসেবে খেলার যে মানসিকতা, সেটা যদি মিসিং হয়, তাহলে এইবারও হেক্সা মিশন হবেনা।
আর তাছাড়া ইতিহাসের একটা বদভ্যাস বলছে, যারাই এমন বিশ্ব কাঁপিয়ে বিশ্বকাপে এসেছে, তাঁরাই রহস্যজনকভাবে উড়ে গিয়েছে। নিকট অতীতেরই উদাহরণ দেই।
২০০২ বিশ্বকাপে ফ্রান্স এসেছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হয়ে। দলের তিনজন স্ট্রাইকারের তিনজনই ছিল বিশ্বের তিনটি শক্তিশালী লীগের সর্বোচ্চ গোল স্কোরার। সাথে জিনেদিন জিদানতো ছিলেনই।
উড়ে গেল। প্রথম রাউন্ড থেকেই স্রেফ উড়ে গেল। একটা গোলও স্কোর করতে পারলো না।
আর্জেন্টিনাও এসেছিল সেইরকম শক্তিশালী দল নিয়ে। ঢাকঢোল পিটিয়ে। সবাই ধরে নিয়েছিল ৮৬ এর পর ২০০২ এ ঘটনা ঘটে যাবে।
তাঁরাও বাদ।
লোকে বলতো এ কেমন ভুতুড়ে বিশ্বকাপরে বাবা!
সেই ভুতুড়ে বিশ্বকাপেই ব্রাজিল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এমন একটা দল নিয়ে, যেখানে রোমারিওর মতন মহাতারকাকে ইচ্ছা করেই কোচ দলে রাখেননি। প্রেসিডেন্টের অনুরোধ উপেক্ষা করেও। তিনি বলেছিলেন, "আমি এমন কোন খেলোয়াড়কে রাখতে চাইনা, যে দলে বিভক্তি সৃষ্টি করে।"
রোনালদোর উপর কারোরই ভরসা ছিল না। ৯৮ ফাইনালে চোক করার পর চারটা বছর স্রেফ হারিয়ে গিয়েছিলেন দ্য ফেনোমেনন। রোনালদিনিও তখনও স্কিলফুল নতুন খেলোয়াড়। কিন্তু ম্যাজিশিয়ান নন। রিভালদো মোটামুটি ভাল খেলেন, এই যা।
এইবার সম্পূর্ণ বিপরীত দৃশ্য ব্রাজিলকে ঘিরে। দেখা যাক কী ঘটে। আল্লাহ ভরসা।
৩.
লাতিন দলগুলোর যা দুর্বলতা, জার্মানি এবং স্পেনের এইটাই এডভান্টেজ। ইনফ্যাক্ট ইউরোপিয়ান দলগুলোরই এইটা এডভান্টেজ বলতে হবে। দলের মধ্যকার খেলোয়াড়রা নিজের দেশেই খেলে, বেশিরভাগই ক্লাব সতীর্থ। গত তিনটা বিশ্বকাপ দেখুন, জার্মানি, স্পেন এবং ইতালি, তিনটাই ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন।
তবে জার্মান ফরোয়ার্ডদের কেন যেন আগের দলগুলোর তুলনায় দুর্বল মনে হলো। আগে যেমন ডি বক্সের বাইরে থেকে বহু দূর পাল্লার শটও নিখুঁত নিশানায় জালে ভরে দিতে পারতো, এখনকার স্ট্রাইকারদের সেই স্কিল কম দেখছি। আমার ধারণা ভুলও হতে পারে। আবার এও হতে পারে, বিশ্বকাপ আসতে আসতেই তাঁরা নিজেদের আসল চেহারায় দেখা দিবে।
তবে রাশিয়ায় জার্মানির অতীত রেকর্ড একটু খারাপ। স্তালিনগ্রাদেই হিটলারের অপরাজেয় বাহিনী প্রথমবারের মতন ধরা খেয়েছিল। বিশ্ব প্রথম দেখেছিল সর্বজয়ী নাৎজি বাহিনীকেও যুদ্ধে হারানো সম্ভব।
এখান তাঁরা যুদ্ধে যাচ্ছে না। খেলতে যাচ্ছে। কিন্তু ইতিহাস মাঝে মাঝেই জীবন নিয়ে মজা করতে পছন্দ করে। দেখা যাবে বিশ্বের এক নম্বর ranking এর দলটি এই রাশিয়াতেই মুখ থুবড়ে পড়েছে।
এ ছাড়া বেলজিয়ামকে এই টুর্নামেন্টের ডার্ক হর্স মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে এরাও কিছু একটা ঘটায় দিতে পারে। এই বিশ্বকাপেই বিশ্ব পাবে নতুন কোন চ্যাম্পিয়নকে।
আর পুতিনের দেশে যেহেতু খেলা হচ্ছে, রাশিয়াতো কিছু এডভান্টেজ পাবেই। ৩৮ সালে মুসোলিনি যেভাবে একাই ইতালিকে চ্যাম্পিয়ন করে দিয়েছিলেন, দেখা যাবে এই বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের নাম ভ্লাদিমির পুতিন।
ব্রাজিলের জন্য শুভ কামনা! হেক্সা মিশন যেন এইবার পূরণ হয়।
১২ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:৫৬
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!
২| ১১ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: ব্রাজিল শেষে মেষ ঠিকবে না।
আর্জেন্টিনা এগিয়ে যাবে বীরদরপে।
১২ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:৫৬
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: দেখা যাক।
৩| ১৪ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:৩৬
হাসান রাজু বলেছেন: "ওতো স্পেনে বড় হয়েছে, সেখানেই খেলেছে, বার্সেলোনার জন্যই ট্রফি জিতেছে। আমাদের জন্য ও কী করেছে? ও একজন ইউরোপিয়ান, মোটেও আর্জেন্টাইন না।"
"তুমি পৃথিবী কাঁপানো ফুটবলার হলেও দলকে শিরোপা জিতাতে না পারলে তোমার সব অর্জন বাতিল। "
এই কথাগুলো আর্জেন্টিনা সমর্থকদের না। বরং যারা মেসি বিদ্বেষী তারা এটা বলে। হ্যাঁ তবে আবেগি আর্জেন্টিনা সমর্থকরা বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকার ফাইনালে হারার পর প্রাথমিক রাগ থেকে হয়ত বলেছে। তবে সেটা সাময়িক । আমার মত আর্জেন্টিনা সমর্থকরা সব সময় বলে এসেছে হারুক কিংবা জিতুক মেসিই সেরা। সেক্ষেত্রে বিপক্ষের সমর্থকদের দাবি থাকে, সে দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জিতুক তবেই মানব।
বাদবাকি মূল্যায়নে আমি আপনার সাথে ১০০ ভাগ সহমত পোষণ করছি। অনেক তথ্যপূর্ণ পোস্ট মানতেই হবে। বিশ্লেষণ আরও অসাধারণ। সুন্দর পোস্টের জন্য অবশ্যই একটা লাইক আপনার পাপ্য। ধন্যবাদ জানবেন।
৪| ১৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ৩:৩৬
কিশোর মাইনু বলেছেন: ডাইহার্ড ব্রাজিল ফ্যান আমি।ব্রাজিল কাপ জিতলে খুশি হব।
কিন্তু একটা কথা আমি বিশ্বাস করি,বিশ্বকাপ মেসি হাতে না উটলে সেটা মেসির ব্যাডলাক না,বিশ্বকাপের ব্যাডলাক।আর যেই দল মেসির মত সর্বকালের সেরাদের তালিকায় থাকার যোগ্যতা রাখা খেলোয়াড় পাওয়ার পরো তাকে প্রাপ্য সম্মান দিতে জানেনা,সে দল কাপ জিতবে কেমনে?!?!?
৫| ১৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৫০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ৯০ এ আর্জেন্টাইন গোল কিপার গাইকোচিয়ার বড় ভূমিকা ছিল ।
৬| ২৮ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৫২
পদ্মপুকুর বলেছেন: ভাই, আপ্নেতো আসলেই ভালো বিশ্লেষক, জার্মানী আজ বাদ হয়ে গেল। জার্মানী বাদ হয়ে যাবে, সেটা আমিও বলেছিলাম, কিন্তু সেটা ছিল নিতান্তই আবেগ, গত বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্হেন্তিনাকে হারানোর প্রতিশোধের আবেগ.... কিন্তু আপনি যেভাবে পুরো বিশ্বকাপকে বিশ্লেষণ করেছেন, হ্যাটস অফ!
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:১৫
কাইকর বলেছেন: বাহ....সুন্দর বলেছেন