নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
পবিত্র কুরআন শরীফকে আমরা মুসলমানেরা খুবই হেলাফেলার সাথে নেই। এর গুরুত্ব কী সেটা আগে বুঝানোর চেষ্টা করি, তারপরে মূল কথায় আসছি।
ধরুন কোন শিক্ষক ক্লাসে লেকচার দিচ্ছেন, কিংবা মহাগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, ধরা যাক দেশের প্রধানমন্ত্রী আপনার সামনে বসে কথা বলছেন। এই সময়ে ক্লাসে হট্টগোল করা, কিংবা কথোপকথন চলাকালীন সময়ে আপনার অন্যান্য কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাওয়াটা কী সেই শিক্ষক বা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অসম্মান প্রদর্শন নয়? তাহলে কুরআনের ক্ষেত্রে আমরা কী করি সেটা কখনও অনুভব করেছি? কুরআনে কোন শিক্ষক বা প্রধানমন্ত্রী নন, স্বয়ং আল্লাহ কথা বলেন আমাদের সাথে। কখনও অনুভব করেছি এই ব্যাপারটা?
সকালবেলা দোকান খুলেই লাউড স্পিকারে কুরআন ছেড়ে আমরা দোকান গুছানোর কাজ করি, কিংবা পত্রিকা খুলে বসি, কিংবা মেঝে ঝাড় দেই। কাস্টমার আসলে আমরা কথোপকথন চালাই, বন্ধু বান্ধবের সাথে আড্ডা দেই। ব্যাকগ্রাউন্ড "নয়েজ" হিসেবে কুরআন চলতে থাকে। একটা সময়ে নির্দিষ্ট কোন সূরা শেষ হয়, আমরা কুরআন বন্ধ করে গান ছেড়ে দেই। হিন্দি বা বাংলা গানের লিরিকে বরং আমরা বেশি মনোযোগ দেই কুরআনের আয়াত থেকে। এই কারণেই রেস্টুরেন্ট বা লাইব্রেরি বা অন্য যেকোন স্থানে টেপ রেকর্ডার বা সিডিতে কুরআন প্লে হতে শুনলে আমার খুবই মেজাজ খারাপ হয়। যেখানে আল্লাহ কথা বলছেন আমাদের সাথে, আমরা তাঁর কথাবার্তা পাত্তা না দিয়ে যার যার কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকি। এটা কুরআনের সর্বোচ্চ অবমাননা। এরচেয়ে অনেক ভাল হয় যদি কেউ কুরআন রেকর্ডারে না ছাড়ে। সম্মান করতে না পারো ঠিক আছে, অন্তত অসম্মান করোনি।
কুরআন আক্ষরিক অর্থেই মানুষের জন্য আল্লাহর লেখা চিঠি। জিব্রাইলের (আঃ) মাধ্যমে নবীর (সাঃ) ঠিকানায় আমাদের উদ্দেশ্যেই পৌঁছেছে। যাবতীয় সমস্যার সমাধান - গাইডেন্স আছে তাতে। আমি যখনই কোন সমস্যায় পড়বো - অথবা কোন বিষয়ে আমার দিক নির্দেশনার প্রয়োজন হবে, আমাকে কেবল তিরিশ চ্যাপ্টারের বইটি খুলে দেখতে হবে কোথায় আল্লাহ কিভাবে আমাকে কি নির্দেশনা দিয়েছেন।
আমরা সেখানে কী করছি? কাপড়ে মুড়িয়ে বাড়ির উঁচু স্থানে রেখে দেই। কোন শুভ কাজে বেরুবার সময়ে চুমু দিয়ে কপালে ঠেকিয়েই দায় সারি। তেইশটি বছর ধরে কুরআন এই কারনে নাজেল হয়নি যাতে আপনি কেবল চুমু খেতে পারেন। ওটা খুলে পড়ুন, দেখুন কী লেখা আছে তাতে।
এখন আসা যাক কুরআনের আমার অতি প্রিয় একটি আয়াতে। সূরা নিসার ১৩৫ নম্বর আয়াতে তিনি বলেছেন, "হে ঈমানদারগণ, তোমরা ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থাক; আল্লাহর ওয়াস্তে ন্যায়সঙ্গত সাক্ষ্যদান কর, তাতে তোমাদের নিজের বা পিতা-মাতার অথবা নিকটবর্তী আত্নীয়-স্বজনের যদি ক্ষতি হয় তবুও। কেউ যদি ধনী কিংবা দরিদ্র হয়, তবে আল্লাহ তাদের শুভাকাঙ্খী তোমাদের চাইতে বেশী। অতএব, তোমরা বিচার করতে গিয়ে রিপুর কামনা-বাসনার অনুসরণ করো না। আর যদি তোমরা ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে কথা বল কিংবা পাশ কাটিয়ে যাও, তবে আল্লাহ তোমাদের যাবতীয় কাজ কর্ম সম্পর্কেই অবগত।"
কী গভীর কথাবার্তা কী চমৎকারভাবে মাত্র কয়েক লাইনেই তিনি বলে দিয়েছেন। কেবল মাত্র এই একটি আয়াত ফলো করেই আস্ত জীবন কাটিয়ে দিতে পারবেন। আপনাকে আর কিচ্ছু নিয়ে চিন্তা করতে হবেনা।
বর্তমান প্রেক্ষাপটের সাথে একটু লাইন বাই লাইন ব্যাখ্যায় যেতে চাইছি। দেখুন কিভাবে কি মিলে।
প্রথম ভাগে আল্লাহ বলছেন, "হে ঈমানদারগণ, তোমরা ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থাক; আল্লাহর ওয়াস্তে ন্যায়সঙ্গত সাক্ষ্যদান কর, তাতে তোমাদের নিজের বা পিতা-মাতার অথবা নিকটবর্তী আত্নীয়-স্বজনের যদি ক্ষতি হয় তবুও।"
মানে হচ্ছে, অন্যায়কারী যদি নিজের আপন আত্মীয়স্বজনও হন, কিংবা নিজে - তারপরেও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াতে হবে। কোন অজুহাত এতে কাজে দিবেনা।
এই যে বাস ড্রাইভারগুলো বিনা লাইসেন্সে গাড়ি চালিয়ে রাস্তায় মানুষ পিষে মারছে, এর দায়ভার অনেকের উপরই এসে পরে।
১. সবার আগে ড্রাইভার, যে লাইসেন্স সহ অথবা ছাড়া এইভাবে বেআইনিভাবে গাড়ি চালিয়ে মানুষ মেরেছে।
২. পরিবহন সংস্থার কর্তৃপক্ষ। যারা বিনা লাইসেন্সের ড্রাইভারের হাতে স্টিয়ারিং ধরিয়ে দেয়। আনফিট গাড়ি রাস্তায় নামায়।
৩. লাইসেন্স প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। তাঁদের উচিৎ ভালভাবে পরীক্ষা করে তবেই লাইসেন্স দেয়া। গরু ছাগলের চিহ্ন বুঝতে পারলেই লাইসেন্স না দেয়া। লাইসেন্সবিহীন অবস্থায় কেউ গাড়ি চালাচ্ছে কিনা সেটাও লক্ষ্য রাখা।
৪. ট্রাফিক পুলিশ। যাদের একমাত্র কাজ সড়ককে নিরাপদ রাখা, সেটা করতে চূড়ান্তভাবে তাঁরা ব্যর্থ। লাইসেন্স ছাড়া আনফিট গাড়ির অপরাধী ধরার পরেও ঘুষ খেয়ে ওদের ছেড়ে দেয়া। মানে প্রত্যক্ষভাবেই এইসব খুনের সাথে তারা জড়িত।
এবং এইভাবে লিস্ট লম্বা হতে থাকে। কারোরই কোন উপায় নাই নিজের দায়ভার এড়ানোর।
যখন সাংবাদিকরা মন্ত্রীকে প্রশ্ন করবেন, তখন তিনি যেন ভারতের উদাহরণ দিয়ে কিংবা "এই শ্রমিক নেতারা একটা সময়ে জননেত্রীর জন্য জীবন দিয়েছিলেন...." টাইপ হাস্যকর কথাবার্তা না বলে সোজা পয়েন্টে এসে বলেন, "যারা এই কাজটা করেছে - আমরা তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবো।"
এবং শুধু কথাতেই নয়, কাজেও তিনি শাস্তির ব্যবস্থা নিবেন।
কিন্তু মন্ত্রী সাহেব হয়তো ভয় পেয়ে চিন্তা করছেন, শ্রমিক দলকেতো তার প্রটেক্ট করতে হবে। আফটার অল তিনি তাদের নেতা। তাদের ভালমন্দ তিনি যদি না দেখেন, তাহলেতো তারা তার হয়ে নির্বাচনে কাজ করবে না। তার মন্ত্রিত্ব বা সংসদ সদস্য পদ বাতিল হয়ে যাবে। এরই উত্তর আল্লাহ দিয়েছেন, "কেউ যদি ধনী কিংবা দরিদ্র হয়, তবে আল্লাহ তাদের শুভাকাঙ্খী তোমাদের চাইতে বেশী। অতএব, তোমরা বিচার করতে গিয়ে রিপুর কামনা-বাসনার অনুসরণ করো না।"
মানে হচ্ছে, আল্লাহ তাঁর প্রতিটা বান্দাদের শুভাকাঙ্খী। সে ধনী হোক, গরিব হোক, আসামি কিংবা ফরিয়াদি - যেই হোক। কেউ অপরাধী হলে তার জন্যও মঙ্গলজনক যে সে যেন এই জগতেই নিজের অপরাধের শাস্তি পেয়ে যায়। নাহলে কেয়ামতের দিন আল্লাহ কঠোর শাস্তি দিবেন।
মন্ত্রী সাহেব নিজের লোকেদের ভাল করতে গিয়ে আজকে ছাড় দিবেন, কালকে এই লোকটা আরও বড় অপরাধ করবে। কিন্তু আজ যদি তিনি শাস্তি দিয়ে দেন, তাহলে ভবিষ্যতে অন্তত সে আরও বড় অপরাধ করা থেকে বিরত থাকবে। বিনা লাইসেন্সে গাড়ি চালানোর অপরাধে যদি ড্রাইভারটা আগেই শাস্তি পেত, তাহলে আজকে মানুষ হত্যার মতন জঘন্য অপরাধ তাকে দিয়ে হতো না। এইটা চেইন রিয়েকশন। সবই একটার সাথে আরেকটা জড়িত।
এবং এমন পরিস্থিতিতে যারা ধান্ধাবাজ, যারা দুই পক্ষকেই খুশি রাখার চেষ্টা করে, যারা হাওয়া বুঝে পাল উড়ায়, বা পুরো ঘটনাই এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে, তাদের জন্য আল্লাহ চমৎকার একটি হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন, "আর যদি তোমরা ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে কথা বল কিংবা পাশ কাটিয়ে যাও, তবে আল্লাহ তোমাদের যাবতীয় কাজ কর্ম সম্পর্কেই অবগত।"
আজকে আপনি নিরপেক্ষ সাজার চেষ্টা করবেন, বা ক্ষমতাবানদের পক্ষে তৈলবাজি করবেন - জেনে রাখবেন, উপরে যিনি আছেন, তিনি ঠিকই সব দেখছেন। একটা সময়ে তিনি যখন ধরবেন, তখন আসমান জমিন হাতড়ে বেড়ালেও কাউকে পাবেন না আপনার উদ্ধারে এগিয়ে আসবে। সেই দিনটিকে যদি ভয় পান, তাহলে এখনই ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ান। অন্যায়কারী যদি আপনি নিজেও হন, মানে আপনার নিজেরও গাড়ি চালাবার লাইসেন্স না থাকে, তাহলে কষ্ট করে ড্রাইভিং কোর্স শেষ করে লাইসেন্স নিয়ে নিন। আপনার উচিৎ সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আপনার পক্ষ থেকে যা সম্ভব পুরোটা করা। আপনার নিজের গাড়ির ড্রাইভারের লাইসেন্স আছে কিনা সেটা পরীক্ষা করা। না থাকলে চাকরি থেকে বিদায় করে দিন। আপনার বন্ধু বান্ধবের লাইসেন্স না থাকলে সেই গাড়িতে চড়বেন না।
আজকে যদি ভাবেন, "আহারে গরিব ড্রাইভারটার চাকরি বাদ দিয়ে দিলে বেচারা খাবে কী?" তাহলেই আপনি ভুল করে বসবেন।
আপনি চাকরি থেকে বের করে দিলে সে পেটের দায়েই লাইসেন্স নিবে। নাহলে সে একদিন না একদিন মানুষ মারবেই।
শেক্সপিয়ার ভাই খুবই ভাল কথা বলে গেছেন এধরণের পরিস্থিতি সম্পর্কে, "i have to be cruel only to be kind." গরিব ড্রাইভারের মঙ্গলের জন্যই আপনাকে কঠোর হতে হবে।
মিরপুরে ছাত্রছাত্রীদের উপর পুলিশের সাথে একদল অজ্ঞাত পরিচয়ের লোকজনের ঝাঁপিয়ে পরা ভিডিও দেখে সেটির প্রতিবাদ আপনাকে করতেই হবে। আপনি যদি ছাত্রলীগ হন, আপনি যদি পুলিশ হন, আপনি যদি মন্ত্রীও হন - অন্যায় হলে অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিন। যদি সেটা নিজের আপন লোকজনও করে থাকে।
হ্যা, প্রমান না পেয়ে এসিউম করাটাও অন্যায়। পুলিশের সাথে যারা ঝাঁপিয়েছে তারা হতে পারে ছাত্রলীগ, হতে পারে বাস ড্রাইভার বা শ্রমিক দলের লোকজন, কিংবা অন্য কেউ। অনুমানের ভিত্তিতে আপনি কোন গোষ্ঠীর বারোটা বাজিয়ে দিতে গেলে সেটাও হবে অন্যায়।
আর যদি আপনি মন্ত্রীর মতোই বলেন, "অতীতে ছাত্রলীগ এই করেছিল ঐ করেছিল, তখন আপনারা ঘুমাচ্ছিলেন...." তাহলে কিছু বলার নাই। অতীতে কেউ ফেরেশতা ছিল মানে এই না যে ভবিষ্যতে কেউ অন্যায় করলে তার গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। ইবলিস নিজের পুণ্যবলে আল্লাহর খুব কাছের বান্দা ছিল - কিন্তু সেটাই নিজেকে এত অহংকারী করে ফেলেছিল যে অপরাধ করা থেকে সে নিজেকে আটকাতে পারেনি। অভিশপ্ত হওয়া থেকে তার অতীতের রেকর্ড কোন কাজে আসেনি।
ন্যায় অন্যায়ের বিষয়গুলোতে জুম ইন জুম আউট করে সব খাতিরদারি তেলবাজ স্বাৰ্থ ইত্যাদির উপরে গিয়ে আপনাকে ন্যায়ের পক্ষেই বিচার করতে হবে। যদি নিজের বিরুদ্ধেও সেই সিদ্ধান্ত যায় - তবে তাই সই।
একটি বাস্তব উদাহরণ দেই।
বেশ কিছু বছর আগে আমার এক বন্ধু ফেসবুকে লিখেছিল, "গতকাল স্টেডিয়াম এলাকায় আমি দেখলাম অমুক দলের একটি মিছিল শান্তিপূর্ণভাবে এগুচ্ছিল। আচমকা তাতে পুলিশ বাঁধা দিল। তারপরে দেখলাম ছাত্রলীগ এসে তাতে যোগ হওয়ায় মারামারি ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়ে গেল। তাড়া খেয়ে অমুক গোষ্ঠীর লোকজন পালিয়ে গেল। পুলিশের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগ আশেপাশের দোকান ভাংচুর করলো। এবং তারপরে সাংবাদিকগন এসে ছবি তুললেন। পত্রিকায় এলো, অমুক আন্দোলনকারীদের ভাংচুর।"
এই পোস্ট থেকে আমার স্কুল জীবনের ক্লাসমেট এক ছাত্রলীগ কর্মী স্বীকারই করতে চায় না তার দল এই কাজ করেছে। সে অতি আক্রমণাত্মক ভাষায় সেই ছেলেটিকে বলল, "যখন ওরা অস্ত্র নিয়ে আসে, তখন তোরা কী আশা করিস আমরা কোলে তুলে চুমা খাবো? কোথায় ছিলি তোরা যখন অমুক জায়গায় অমুকের উপর হামলা হয়েছিল - কোথায় ছিলি তোরা...."
মানে এই ঘটনায় যে অন্যায় হয়েছে, সেই বিষয়টি এড়িয়ে সে "ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে কথা বলে কিংবা পাশ কাটিয়ে যাওযার" চেষ্টা করছিল। কুরআন অনুযায়ী এই ফাত্রামি করতে পারবেন না।
আমার কথাটি ফুরালো, নটে গাছটি মুড়ালো !
শেষ করি একটি আশংকার কথা বলে।
চলমান ছাত্র আন্দোলনের জন্য একটি ভয় কাজ করছে। বাংলাদেশ ভর্তি ধান্ধাবাজ লোক গিজগিজ করছে। এরা সুযোগ পেলেই ধান্ধাবাজিতে নেমে আসে। ইতিমধ্যেই দেখা গেছে যার যার ফায়দা তোলার জন্য ধান্দাবাজেরা নেমে পড়েছে। সেটা রাজনৈতিক ময়দান হোক, বা "সেলিব্রেটি" ফিল্ড। ছাত্ররা কাউকে কাউকে সফলতার সাথে ফিরিয়েও দিয়েছে - কিন্তু এইসব ধান্দাবাজি বা পলিটিক্সে অনভিজ্ঞ বাচ্চারা কতদিন এইসব বুড়ো ঝানুদের সাথে পেরে উঠবে - সেইটাই ভয়। দেখা যাবে এমন কিছু ঘটিয়ে দিয়েছে যে পুরো হাওয়া পাল্টে যাবে ওদের বিরুদ্ধে। এরা এরই মধ্যে মন্ত্রী, পুলিশ, মিডিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে ফেলেছে। ওরা কি প্রতিশোধ নিবেনা? অবশ্যই নিবে। এবং সেটা খুব নোংরা হবে নিশ্চিত থাকুন। কেবল নিজের বাচ্চাকাচ্চাদের উপর ভরসা হারাবেন না। সামনে অনেক কঠিন দিন আসছে - প্রস্তুত থাকুন। তাঁদের পাশে থাকুন। ন্যায়ের পাশে থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর একটি দৃশ্য -
কোন ট্রাফিক বা পুলিশ নেই, পুরো ট্রাফিক সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ করছে ছাত্ররা!
এতো সুশৃঙ্খল রাস্তা আগে কখনো দেখেনি জনগণ I
দুদিনের জন্য হলেও পুলিশের নির্যাতন থেকে রক্ষা পেয়ে হাসি মুখে ছাত্রদের নির্দেশ মেনে নিচ্ছে সবাই...