নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
পূজার সময়ে কিছু প্রশ্ন সবাই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে করেন, মুসলিম এবং মাঝে মাঝে অমুসলিমরাও। ভাবলাম ইনবক্সে জবাব দেয়ার পরিবর্তে গ্রূপে সরাসরি বলাই ভাল। তবে প্রথমেই ডিসক্লেইমার দিয়ে দেই - আমি কোন ইসলামিক স্কলার না। ফিক্হ নিয়ে কোন জ্ঞান আমার নেই। স্বল্প জ্ঞানে যা জানি, তার উপর ভিত্তি করে বলছি। কেউ ফিক্হ (আইন) হিসেবে ইন্টারপ্রিট করবেন না। বিস্তারিত জানতে নিজে আরও গবেষণা করুন। নিজেরই উপকার হবে।
১. পূজার সময়ে মুসলিম বন্ধুবান্ধবের বাড়িতে শুভেচ্ছা জানাতে মিষ্টি এবং খাবার নিয়ে হিন্দু বন্ধু এসেছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, আমি কী সেই খাবার গ্রহণ করবো?
উত্তর হচ্ছে, অবশ্যই। কেবল হাসিমুখে গ্রহণই করবেন না, সাথে সেই থাল ভর্তি করে নিজের থেকেও কিছু খাবার দিয়ে দিবেন। রাসূল (সঃ) আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রিয়জনদের সাথে উপহার বিনিময় করতে। তাছাড়া প্রতিবেশী হিসেবে তাঁদের তিনটি অধিকার আছে আমাদের উপর। প্রথমটি ইসলামের অধিকার, দ্বিতীয়টি আত্মীয়তার (kinship) অধিকার, এবং তৃতীয়টি কেবলমাত্র প্রতিবেশীর অধিকার। ব্যাখ্যা করি, ধরা যাক আমার মামাতো ভাই আমার প্রতিবেশী। ওর তাহলে আমার উপর তিনটি হক দাঁড়িয়ে গেল। একই সাথে সে মুসলিম, আমার আত্মীয় এবং প্রতিবেশী। আবার ধরা যাক অমিতাভ বচ্চন আমার প্রতিবেশী। তখন তিনি কেবলমাত্র প্রতিবেশী হবার জন্যই আমার উপর অধিকার রাখেন।
এক্ষেত্রে আমার হিন্দু প্রতিবেশী আমার বাড়িতে পূজা উপলক্ষে খাবার নিয়ে এলে আমার বিন্দুমাত্র অধিকার নেই তাঁর মন ভেঙে দেয়ার। "এই খাবার আমার জন্য হারাম! আপনি ফেরত নিয়ে যান।" - এইসব বর্বর আচরণ আপনি করতে পারবেন না। আপনি স্বানন্দে খাবার নিবেন। তারপর নিজে থেকে তাঁকে কিছু দিবেন। তারপর থালি খুলে দেখবেন কি আছে। এরপর আসবেন হালাল হারামের বিচারে।
তো, প্রথম প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। সবাই বুঝতে পেরেছেনতো?
২. পূজার খাবার কী আমার জন্য হারাম?
খুবই ক্রিটিকাল প্রশ্ন। সবাই অতি সহজেই হ্যা, না তে উত্তর দিয়ে দেয়। কিন্তু আমাদের ধর্ম এত সহজেই হ্যা, না বলে না। "হারাম" একটি অতি বিরাট শব্দ। একে ঘোষণা করতে হলে অনেক দালিলিক প্রমান লাগে। কুরআনের আয়াত অথবা সহীহ হাদিসের রেফারেন্স না থাকলে কোন কিছু এইভাবে হালাল হারাম ঘোষণা করতে পারেন না কেউ। যেমন শূকর হারাম, এইটা কুরআনে এক্সপ্লিসিট। কোন কনফিউশন নেই। আল্লাহর নাম ছাড়া জবাই করা বা ভিন্নভাবে হত্যা করা প্রাণী হারাম - সেটাও এক্সপ্লিসিট। কথা প্রসঙ্গে আরেকটা কথা বলে ফেলি দ্রুত। বন্যপশু (হরিণ) গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এটা কী হালাল হবে? উত্তর জানার আগে আপনিই আমাকে বলেন, আপনি কী হরিণকে জবাই করতে পারবেন? ছুরি নিয়ে দৌড়ে তার সাথে পারবেন? বা উড়ন্ত পাখি? শিকার করা হালাল প্রাণীর মাংস খাওয়া হালাল - শুধুমাত্র এইটা নিশ্চিত করতে হবে যে সে যেন রক্তক্ষরণে মরে। যেমন বন্দুকের গুলি, বর্শা বা তীরধনুক। গর্তে ফেলে বা পাথর চাপা দিয়ে হত্যা করা শিকারের প্রাণী হারাম।
জবাই রুল সেসব প্রাণীর উপর এপ্লাইড যেগুলো আপনার অধীনে (কাবুতে) থাকে। যেমন ছাগল, গরু ইত্যাদি। এগুলোকে ইচ্ছা করলে আপনি জবাই করতে পারেন, কিন্তু তা না করে ইলেকট্রিক শক বা গুলি করে, বা শ্বাস রোধ করে হত্যা করলে সেটা হারাম। (নিয়মটি ইয়াসির ক্বাদীর কাছ থেকে শোনা। বিশ্বাস রাখতে পারেন লোকটির জ্ঞানের উপর।)
তো যা বলছিলাম। হারাম খাবার সর্বাবস্থায় হারাম। আমাকে যদি দাড়িওয়ালা মুসলিমের বাড়িতে শূকর বা অজবাইকৃত পশুর মাংস পরিবেশন করা হয়, সেটা হারাম। কিন্তু হিন্দু বাড়িতে জবাই করা পশুর মাংস দেয়া হলে সেটা হালাল। এইটা ক্লিয়ার? এখন আসি মূল প্রশ্নে, যা হচ্ছে পূজার খাবার।
পূজার খাবারে যদি মাংস থাকে, তাহলে আপনাকে ভাবতে হবে। ভেজিটেবল বা মিষ্টান্ন নিয়ে বড় বড় স্কলারদের মধ্যেই দ্বিমত আছে। কারন কুরআনে নিষেধ করা হয়েছে আল্লাহর নাম ছাড়া হত্যা করা প্রাণীর "মাংস" খাওয়া হারাম। ভেজিটেবল বা মিষ্টান্নের ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। সেটা বিভিন্ন স্কলারের বিভিন্ন রকমের ইন্টারপ্রিটেশনের উপর বিভিন্ন অঞ্চলে/স্কুলিংয়ে বিভিন্ন রুল চালু হয়েছে। এবং দুই পক্ষেই এমন সব স্কলার আছেন যারা বিশ্ববরেণ্য। কাজেই আপনি যেকোন একজনকে ফলো করতে পারেন। মানে হচ্ছে, আপনি ইচ্ছা করলে খেতেও পারেন, ইচ্ছা করলে নাও খেতে পারেন। বাকি আল্লাহ জানেন।
ঠিক যেমনটা কাঁকড়া বা ঝিনুক খাওয়ার মতন। এক গ্রূপ বলে পানির নিচের যেকোন কিছু হালাল। আরেক গ্রূপ বলে যা দেখতে "কুৎসিত" তা হালাল নয়। এখন এই গ্রূপ আবার কুৎসিতের ডেফিনেশন দিতে পারেনা। আমার চোখেতো আল্লাহ সৃষ্ট কোন প্রাণীকেই কুৎসিত মনে হয়না। তাহলে কী সব হালাল হবে আমার জন্য?
কাজেই আপনি যদি মিষ্টি, ফলমূল ইত্যাদি খান - আপনি কাফির হয়ে যাবেন না। বাকিটা আল্লাহ জানেন।
যাই হোক, মাংসের ব্যাপারে সবারই রুল এক। কারন সেটা কুরআনের স্পষ্ট আয়াতের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত।
এখন আপনি যদি জানেন (হিন্দু প্রতিবেশী এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারেন, দেবার সময়েই অনেকে বলে দেন এই মাংস অমুক দোকানের কেনা) যে খাসির মাংসটি শাহ মোহাম্মদ বঙ্গাই মিয়ার মাংসের দোকান থেকে কেনা হয়েছে, তাহলে আপনি সেই মাংস খেতে পারবেন। কারন ওটা জবাই করা খাসির মাংস। আপনি যদি শিওর না হন, মনে খচখচানি থাকে, বা আপনি দেখেছেন তাঁদের বাড়িতে পাঠা বলি হতে - তাহলে আপনি আপনার অপর কোন হিন্দু প্রতিবেশীর কাছে মাংসটি উপহার/শুভেচ্ছা হিসেবে পাস করে দিতে পারেন। উপহার পাস করাকে ছোট চোখে দেখার কিছু নেই। এক্ষেত্রে পাস না করলে শুধুশুধু মাংসটুকু নষ্ট হবে। সেটাই বরং অপমান হবে।
এখন যদি কেউ পূজার খাবার খায়, তাঁকে নাস্তিক, কাফির মুরতাদ ডাকা, অথবা যারা খায় না, তাঁদের কট্টর মোল্লা, নয়া ছাগু, ফেসবুক মুমিন ইত্যাদি ট্যাগ দিয়ে উম্মাহর মাঝে বিভক্তি করাটা বরং আরও বড় পাপ। ওহুদের যুদ্ধময়দানে মুনাফিকরা যখন আলাদা হয়ে গিয়েছিল, একদল সাহাবী প্রস্তাব করেছিলেন, আগে ওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে তারপরে যুদ্ধময়দানে যেতে। আরেক গ্রূপ বলেছিলেন, আগে কুরাইশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তারপরে ওদের ব্যবস্থা নিতে। এই নিয়ে দুইদল দ্বন্দ্বে জড়িয়ে গেলে আল্লাহ কুরআনে আয়াত নাজেল করেন এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি না করতে। বরং ঐক্য ধরে রাখাটাই মুসলিমের কাজ।
পূজার খাবার খাওয়া সেই তুলনায় কোন ঘটনাই না। কাজেই এই পারস্পরিক ট্যাগা ট্যাগি বন্ধ করেন। ঐক্যে ফোকাস করুন।
৩. হিন্দুদের পূজার সময়ে কী মুসলিমদের আনন্দ করা যাবে?
বন্ধুবান্ধব এক হলে এমনিতেই সময় আনন্দে কাটে। পূজার সময়ে যদি আপনাকে আপনার প্রতিবেশী বা বন্ধু তাঁর বাড়িতে নিমন্ত্রণ করেন, আড্ডা জমে, খাওয়া দাওয়া হয়, কেন যাবেন না? নবী (সঃ) নিজে এক ইহুদি নারীর বাড়িতে খেতে গিয়েছিলেন, সেই ঘটনা কী ভুলে গেলেন? হ্যা, মহিলা তাঁকে বিষ খাইয়ে দিয়েছিল সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু আমাকে বুঝতে হবে মূল বিষয়টা, নবী (সঃ) দাওয়াতে গিয়েছিলেন। এবং তাঁর সাথে অনেক সাহাবীও ছিলেন। যদি যাওয়া নিষেধ হতো, তাহলে তিনি যেতেন না। এবং নবীর (সাঃ) চেয়ে বড় মুসলিম নিশ্চই আপনি আমি না। হ্যা, আপনার প্রতিবেশী বা বন্ধু যদি আপনাকে বিষ খাওয়ানোর ধান্ধায় থাকে, তাহলে প্লিজ যাবেন না। জানের মায়া বড় মায়া।
পূজা চলাবস্থায় মন্দিরে যেতে হলে কিছু সমস্যা হতে পারে, সেটা নিয়ে আমি আগের এক লেখায় লিখেছি। এবং সেটাও হিন্দুদের ইনসাল্ট করতে নয়, বরং নিজের ধর্মকে সম্মান করতেই। অতি সংক্ষেপে সামারাইজ করলে আল্লাহকে সাকার আকৃতি দিয়ে পূজা করতে দেখলে আমাদের শক্ত ঈমানের লোকজনের মনে পূজারীদের উপর রাগ উঠতে পারে, যা আমাদের ধর্মে কঠিনভাবে নিষিদ্ধ।
আবার দুর্বল ঈমানের লোকজন অনেক কিছুই নিজ ধর্মে যোগ করে ফেলতে পারে। যেমন মিলাদুন্নবী, ওরস, পীর ফকিরে বিশ্বাস, তাবিজ কবজ ইত্যাদি - সব ইসলাম ধর্মে পরে যোগ করা হয়েছে, যা হারাম।
কিন্তু পূজা বাদে বাকিটা সময় আমি মন্দিরে যেতে পারবো। হিন্দুরা আনন্দ করছে বলে আমি ওদের সাথে আনন্দে যোগ দিতে পারবো না - এমনতো কোন কথা নেই।
অনেকেই এতে হজরত উমারের (রাঃ) একটি উক্তি বর্ণনা করেন। তিনি নাকি নিষেধ করেছেন "তোমরা কেউ বিধর্মীদের পূজার সময়ে ওদের মন্দিরে যেও না। কারন ঐ সময়ে আল্লাহর গজব/লানত নাজিল হতে থাকে। তোমরাও গজবের শিকার হবে।"
কথা হচ্ছে, উমার (রাঃ) যে কথাটা বলেছেন, এটি কতটা অথেন্টিক সেটা আমরা জানিনা। আমাদের ধর্মে যেখানে হযরত মুহাম্মদের (সাঃ) নামেই অনেক জাল হাদিস ভেসে বেড়ায় (যেমন জ্ঞানার্জনের জন্য সুদূর চিনে যাও। বা শিক্ষকের বেতের আঘাত ছাত্রের শরীরের যেখানে পরবে, তা বেহেস্তে যাবে), সেখানে উমারতো (রাঃ) কেউই নন। তারপরেও যদি ধরে নেই উমার এমন কথা বলেছেন, তাহলেও কিছু ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে।
ক. উমারের অডিয়েন্স ছিলেন সবাই মুসলিম। আমি মুসলিমদের মধ্যে যেসব কথা, ভোকাবুলারি ব্যবহার করতে পারবো, অনেকক্ষেত্রে বিধর্মীদের ক্ষেত্রে সেই একই ভোকাব ব্যবহার করতে পারবো না। এক্ষেত্রে যেমন একজন মুসলিম মাত্রই বুঝেন শিরক তাঁর জন্য কতটা গুনাহ, কিন্তু একই সাথে এক শিরকই একজন বিধর্মীর কাছে ইবাদত - ঈশ্বরের কাছে যাওয়ার মাধ্যম। তাঁকে ব্যাপারটা বুঝাতে হলে আমাকে তাঁর পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে বুঝাতে হবে। নবীর (সঃ) জীবনভর্তি এমন উদাহরণে। আমাদের দেশের নয়া মোল্লারা যার কিছুই জানেনা। নেমে যায় দ্বীনি দাওয়াত দিতে।
খ. উমার (রাঃ) তাঁর শব্দচয়নের জন্যও বিখ্যাত ছিলেন। নিজেও ছিলেন একজন কবি এবং দার্শনিক। তাই কুরআনের আয়াত প্রথম শুনেই চমকে উঠে বলেছিলেন, "কুরাইশরা এতদিন এর বিরোধিতা করে আসছে?" সেই উমারকে (রাঃ) বদনাম করা হচ্ছে এইভাবে তাঁর উক্তিটি প্রচার করে। উপরেই বললাম, যদি কথাটি তিনি বলে থাকেন, তবে তিনি বলেছিলেন মুসলিম জনসভায়, এবং অডিয়েন্সের মধ্যে একজনও যদি বিধর্মী থাকতো তবে অবশ্যই তিনি ভিন্ন শব্দ চয়ন করতেন। এখন মূর্খের দল তাঁর উক্তি বিধর্মীদের কাছে ফালতুভাবে প্রচার করছে। এতে বদনাম রটছে সেই ব্যক্তির যে তাঁর সাম্রাজ্যে বিধর্মীদের স্বাধীনভাবে ধর্মচর্চা নিশ্চিত করেছিলেন। আহাম্মকেরা যদি একটু হলেও বুঝতো!
৪. পূজার সময়ে অনেকেই সিঁথিতে সিঁদুর দেন। এইটা কতটা ইসলাম সম্মত?
ইসলাম সম্মত ড্রেসই যদি পরেন, তাহলেতো আপনার চুলই দেখানোর কথা না। তাহলে সিঁদুরের প্রশ্ন আসছে কোত্থেকে? ইসলামকে নিজে রিজেক্ট করে হিজাব ছাড়া ঘুরবেন, তারপর অন্য কেউ সিঁথিতে সিঁদুর দিয়েছে বলে তাঁকে অমুসলিম বলে গালাগালি করবেন, এইটাতো ইসলামের শিক্ষা না। ইসলাম কখনই কাউকে জাজ করার দায়িত্ব আপনাকে দেয় নি। বোরখাওয়ালী শয়তানও দেখেছি, বিকিনিওয়ালী ফেরেস্তাও দেখেছি। মানুষের বিচার করা হবে তাঁর মনের ভিত্তিতে, যেটা কেবল মাত্র আল্লাহর দ্বারাই করা সম্ভব। তাই কেউ হিজাব পড়লেই বেহেস্তে চলে যাবে, এবং বাকিরা দোজখী - এই জাতীয় ধারণা থেকে বেরিয়ে আসুন।
৫. পারফিউমে এলকোহল থাকে, সেই পারফিউম কী গায়ে মাখা হারাম?
আগে চিন্তা করেন, এলকোহল হারাম, নাকি মদ হারাম? এলকোহল মদের স্রেফ একটি কম্পোন্যান্ট। ওটা ওষুধেও ব্যবহৃত হয়। তখনতো হারাম হচ্ছেনা। মদ হারাম হয়েছে কারন এর ফলে আমরা হিতাহিতজ্ঞানশূন্য হয়ে যাই। পারফিউমতো আপনি সেবন করছেন না, গায়ে মাখছেন। এতে কী আপনি হিতাহিতজ্ঞানশূন্য হয়ে যাচ্ছেন? না। তাহলে কেন হারাম হবে?
উদাহরণ দেই। আল্লাহ যেদিন মদ পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষণা দিলেন, সাহাবীরা তাঁদের বাড়িতে সঞ্চিত মদ রাস্তায় ফেলে দিলেন। এক সাহাবীর বর্ণনায় "মদিনার রাস্তায় সেদিন শরাবের নদী বইছিল।"
তারপর নামাযের সময়ে সাহাবীগণ সেই রাস্তা দিয়েই হেঁটে মসজিদে এসেছিলেন। নবী (সঃ) কী কোন নির্দেশ দিয়েছিলেন পা/জুতা ধুয়ে পরিষ্কার করে মসজিদ প্রাঙ্গনে আসতে? এমনতো কোন বর্ণনা শোনা যায় না। তাহলে গায়ে পারফিউম মাখলে নামাজ কেন নিষিদ্ধ হবে?
৬. এইবারে আসি সবচেয়ে অসভ্য আচরণে। সেটা হচ্ছে গোমাংস ভক্ষণ প্রসঙ্গ। অনেকে যুক্তি দেন "হিন্দুরা কোরবানির গরুর মাংস খায়না, তবে আমি কেন পূজার মাংস খাব?"
প্রশ্নটাতেইতো সমস্যা। হিন্দুরা যদি গোমাংস খেত, তাহলে কী আমি পূজার মাংস খেতাম? না, তাহলেও আমার জন্য পূজার মাংস (আল্লাহর নাম ছাড়া জবাই বা হত্যা করা যেকোন প্রাণী) খাওয়া হারাম থাকতো। তাই এই ফালতু যুক্তি প্রথমেই বাদ।
হিন্দুরা কিন্তু কোরবানির ঈদে খাসির মাংস খাচ্ছে। খ্রিষ্টানরা এসে খাচ্ছে গোমাংস। আমার বাবার এক হিন্দু বন্ধু ছিলেন, যিনি আমাদের বাড়িতে এসে গরুর কাবাব খেয়ে যেতেন। এমনকি এই ডালাসেই আমার এক সিনিয়র বন্ধু আছেন, যিনি আমার ছেলের আকিকার গরুর কিমা কাবাব খুব আনন্দ নিয়ে খেয়েছেন। যদিও আমি সার্ভ করার আগেই বলে দিয়েছিলাম কোনটা বিফ, কোনটা খাসি, কোনটা ভেজিটেবল। এখন কি আমি গিয়ে তাঁর বাড়িতে জবাইছাড়া মাংস খাব?
কিংবা কেউ বলতে পারেন "ওরাতো আমাদের ইবাদতে আসেনা। আমরা কেন যাব?"
আমাদের ডালাসে প্রায়ই (জুম্মা বা ঈদ) দেখা যায় চার্চের লোকজন বা এমনিতেই খ্রিষ্টান লোকজন মসজিদে আসেন। আমাদের নামাজ শেষে তাঁরা বক্তব্য দেন। কেউ ইলেকশনে দাঁড়ালে ভোট চান, অথবা কোন ইন্টার ফেইথ আলোচনা থাকলে বা সোশ্যাল ইস্যুজ থাকলে কথা বলেন। আমি নিশ্চিত, বিশ্বের আরও অন্যান্য খ্রিষ্টান প্রধান দেশের মসজিদেও একই দৃশ্য দেখা যায়। এখন যেহেতু ডালাসের মসজিদে তাঁরা আমাদের ইবাদতে নিয়মিত আসেন, তাহলে কী ডালাসে তাঁদের ইবাদতে আমাদের যাওয়া হালাল হবে এবং বাংলাদেশে হারাম হবে? ইসলাম কী এলাকাভিত্তিক ধর্ম? সৌদিতে যা হালাল, বাংলাদেশে তা হারাম? না। আমাদের নিয়ম ইউনিভার্স্যাল।
প্রথম কথা হচ্ছে, হিন্দুদের গোমাংস খাওয়ানোটাকে অনেক পার্ভার্ট ঈমানী দায়িত্ব মনে করে থাকে। যদিও আমাদের ধর্মে গোমাংস ভক্ষণ ফরজ নয়। ইনফ্যাক্ট, এইটা সত্য, উপমহাদেশ ছাড়া আমার মনে হয়না অন্যান্য দেশের মুসলিমদের মধ্যে গোমাংস ততটা জনপ্রিয়। এর কারন হতে পারে গরুর কালা ভুনা, বা শিক কাবাব, বা শুধু ভুনা, বা একশো মশলা ব্যবহার করে কাবাব ইত্যাদি ওরা বানাতে পারেনা। ওদের দৌড় কাঁচা মাংসে হালকা লবন এবং ব্ল্যাক পেপার ছিটিয়ে স্টেক, অথবা বারবিকিউ করে ব্রিসকেট বা রিব্স খাওয়া পর্যন্ত। ইউরোপে ভেড়ার মাংস, এবং মেডিটেরেনিয়ানদের ল্যাম্ব শ্যাক ছাড়া আর কিছু বিখ্যাত আছে কিনা জানিনা।
লোকাল এক ফার্মে এক আফগান "আমরা গরুর মাংসের ভক্ত" শুনে খুবই অবাক হয়েছিলেন। চোখ কপালে তুলে বলেছিলেন, "তোমরা বীফ খাও? ভেড়া না? কিভাবে?"
ওদের এলাকায় ভেড়ার মাংসের চাহিদা এক নম্বরে। পারলে একেকজন একেক বসায় একেকটা ল্যাম্ব খেয়ে ফেলতে পারে। বিফের চাহিদা সবার নিচে। তাই ভারতের কোন কোন রাজ্যে গোমাংস ভক্ষণে নিষেধাজ্ঞা জারিতে লোকজন যে জান দিয়ে দিচ্ছে, এইটা একটু বাড়াবাড়িই মনে হচ্ছে আমার কাছে। বেহেস্তে যাবার জন্য গরুর মাংস খেতেই হবে, এমন কোন শর্ত নেই। আমার মনে নেই কোথাও পড়েছিলাম কিনা যে আমাদের নবী (সঃ) জীবনেও গোমাংস খেয়েছেন। আরবে তাঁরা উট এবং দুম্বার (ভেড়া) মাংস খেয়ে জীবন কাটিয়েছেন।
যাই হোক, পূজার সময়ে, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি বন্ধ করেন। যারা করছেন তাদের কথা চিন্তা করেই রাসূলুল্লাহ তাঁর বিদায় হজ্বের ভাষণে বলে গেছেন, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে। আল্লাহ নিজে বলেছেন তিনি চাইলে পৃথিবীতে কেউই শিরক করতো না।
মানে হচ্ছে, সবই তাঁর বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ। আমাদের উচিৎ তাঁর নির্দেশ মেনে চলা। তাঁর দরবারে টোটাল সারেন্ডার। তাঁদের দেবদেবীকে নিয়ে মন্দ কথা না বলা।
অন্যের ধর্মকে ছোট করার চিন্তা মাথায় আসলে প্রথমেই ভাবুন, আপনি নিজের ধর্মকে কতটুকু জানেন? আপনি কী নবী এবং রাসূলের পার্থক্য জানেন? নবীর (সঃ) জীবিনী কখনও পড়েছেন? কুরআন খুলে কয়বার অর্থসহ পড়েছেন?
জানার জন্য পড়াশোনা করুন। যতই জানবেন, ততই বুঝবেন, অন্যকে ছোট করার চেষ্টা করলে নিজেকেই কেবল ছোট করা হয়।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৫৭
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।
লেখা ভালো লাগলো।
ধর্ম নিয়ে যারা বাড়াবাড়ি করে তারা নির্বোধ। আর এই নির্বোধ হিন্দু আর মুসলমান। এই দুই শ্রেনী ধর্ম নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করে।
৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:০৪
যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন:
#রাজিব নুরের সাথে সহমত।
#খুব ভালো লাগল।
# ধর্মান্ধরা কিছু না বুঝেই কিছু একটা বলে ফেলে নিজেকে জাহির করে।
# আমার ব্লগে একটু যাবেন কাইন্ডলি ।
৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:১৬
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ।
"ধর্ম যার যার, উৎসব সবার" এই মতবাদের একটি লিখা পোস্ট করুন, প্লিজ। পক্ষ এবং বিপক্ষ যুক্তিগুলোও তুলে ধরতে পারেন।
৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৩
কে ত ন বলেছেন: আপনি নিজের মতামত ও যুক্তি প্রকাশ করে গেলেন। অথেন্টিক কোন রেফারেন্স দেননি। আমিও দেবনা। তবে আল্লাহ মানুষকে দুনিয়াতে প্রতিনিধি করে পাঠিয়েছেন। এ্কমাত্র মানুষই দুনিয়াতে আল্লাহর মহত্ব ঘোষণা করতে পারে, তার ইবাদত করতে পারে, অন্যেরা কেবল প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী চলতে পারে।
সেই আল্লাহ আমাদেরকে দুনিয়াতে চলার জন্য সন্ধান দিয়েছেন সিরাতুল মুস্তাকীম - কুরআনের মাধ্যমে। সেই কুরআনের সূরা মায়েদার ৯০ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা মূর্তিপুজাকে শয়তানের কাজ বলে হারাম করে দিয়েছেন। অন্যত্র আল্লাহ তায়ালা হারাম থেকে দূরে থাকতে বলেছেন। তাই সিরাতুল মুস্তাকীম বা সহজ পথ হচ্ছেঃ
- মূর্তিপূজার অনুষ্ঠান থেকে দূরে থাকা।
- মূর্তিপূজার সাথে সংশ্লিষ্ট যে কোন ধরণের অনুষ্ঠান থেকে দূরে থাকা।
- পূজায় ব্যবহৃত যে কোন ধরণের খাদ্য সামগ্রী গ্রহণ না করা।
এই কাজ করতে গিয়ে যদি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের আশঙ্কা করেন, তাহলে খুব সুন্দর ভাষায় মার্জিত ভাবে ধর্মীয় বিধি নিষেধের ব্যাপারটা তাদেরকে বুঝিয়ে দেবেন, যাতে তারা মনে কষ্ট না পায়। তাদের মন রক্ষার জন্য মনগড়া যুক্তি বানানো একেবারেই অনুচিত - যেহেতু আপনি স্বীকার করেছেন যে ফিকাহ শাস্ত্রের ব্যাপারে আপনার জ্ঞান তেমন নেই।
আমার এই মন্তব্য সম্পর্কে কারও যদি কোন অস্পষ্টতা থাকে, দয়া করে প্রশ্ন করবেন। কিন্তু ভুল জেনে আত্মতৃপ্তিতে ভুগবেন না প্লীজ!
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৫৫
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: https://www.youtube.com/watch?v=KkNWbQ8eNw0
৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:০৬
নীল আকাশ বলেছেন: আপনি কি ফিকহ বিদ হয়ে গেলে না নাকি! হাতি ঘোড়া গেল তল, পিপড়া বলে কত জল! ইসলাম নিয়ে এত অল্প জেনে কাউকে কিছু বলতে আসবে না। আপনি কি জানেন না, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "যে কাউকে অনুকরণ করে, সে তাদের মধ্যে অন্তর্গত হয়"।
ইসলাম নিয়ে কথা বলার ব্যাপারে সাবধান হোন। কোন রকম বিদায়াত প্রবেশ করানোর চেস্টা করবেন না।
কারন প্রতিটা কাজের জন্য একমাত্র আপনাকেই জবাব দিতে হবে.....সেদিন পাশে কাউকে পাবেন না......সাবধান.....।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৫৬
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: https://www.youtube.com/watch?v=KkNWbQ8eNw0
৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:১৭
এ আর ১৫ বলেছেন: কেতন বলেছেন
সেই কুরআনের সূরা মায়েদার ৯০ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা মূর্তিপুজাকে শয়তানের কাজ বলে হারাম করে দিয়েছেন। অন্যত্র আল্লাহ তায়ালা হারাম থেকে দূরে থাকতে বলেছেন। তাই সিরাতুল মুস্তাকীম বা সহজ পথ হচ্ছেঃ
মুর্তিপুজা করাকে শয়তানের কাজ বলেছেন -- আমরা তো পুজা দেখি পুজা করি না
- মূর্তিপূজার অনুষ্ঠান থেকে দূরে থাকা।
আসল কথা হয়েছে পুজা করা থেকে দুরে থাক , আমরা পুজা দেখি করি না ।
- মূর্তিপূজার সাথে সংশ্লিষ্ট যে কোন ধরণের অনুষ্ঠান থেকে দূরে থাকা।
কোথায় আছে এমন কথা ?
- পূজায় ব্যবহৃত যে কোন ধরণের খাদ্য সামগ্রী গ্রহণ না করা।
ডাহা মিথ্যা কথা । মাংস ছাড়া সব কিছুই খাওয়া যাবে ,
আমার মনে হয় আপনি নীচের লিংটা পোড়লে , সব কিছু আপনার নিকট ক্লিয়ার হয়ে যাবে , ধন্যবাদ
ধর্মীয় উৎসব নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি কবে বন্ধ হবে ধর্মীয় উৎসব নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি কবে বন্ধ হবে
৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৪
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: আমি শুধু বলেছি, আপনার লেখা সুন্দর ছিল। এর বাইরে তো আমি আর কোন মতামত এখানে জানাইনি..
জানতে চেয়েছি..
এখানে অথেনটিক রেফারেন্স দেয়ার কি আছে...
যেহেতু আপনার ইসলামী জ্ঞান ভাল তাই আপনাকে অনুরোধ করেছি এই বিষয়য়ে একটি পোস্ট করার জন্যে....
৯| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:১১
মো: তৌহিদ ইসলাম আবির বলেছেন: "তোমরা মুশরিকদের উপসনালয়ে তাদের উৎসবের দিনগুলোতে প্রবেশ করোনা। কারন সেই সময় তাদের উপর আল্লাহর গজব নাজিল হতে থাকে"। (বায়হাক্বী)
যে স্থানে আল্লাহর গজব নাজিল হয় আমার ধর্মমতে, আমি যদি ধার্মিক হই তবে আমি সেইখানে যাই কি করে?
অসাম্প্রদায়িকতা মানে এটা নয় যে আপনি আমার মসজিদে গিয়ে আমাদের নামাজ পরা দেখবেন, আর আমি আপনার পুজো মণ্ডপে গিয়ে পুজো করা দেখব। এটা অসাম্প্রদায়িকতা নয়, এটা অধার্মিকতা। এতে আপনার ধর্মও থাকবে না, আমার ধর্মও থাকবে না।
খাবারারের ব্যাপারে আমি সেরকম কিছু জানা নেই তবে দেব-দেবীর নামে উৎসর্গকৃত কিছু খাওয়া হারাম হোক মাংস, হোক সবব্জি আর যদি দেবদেবীর নামে উৎসর্গ না করে এবং তা যদি হারাম না খাদ্য না হয় তবে মনে হয় খাওয়া যাবে। আমি এই ব্যাপারে নিশ্চিত কিছু বলতে পারছি না।
১০| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৭:৪২
এ আর ১৫ বলেছেন: মো: তৌহিদ ইসলাম আবির ---- আপনার সব প্রশ্নের উত্তর পাবেন এখানে ----
হুজুর :: এই যে আতাহার সাহেব আপনি মুসলমান হয়ে পুজা মন্ডপে কেন গেছেন , জানেন না পুজা মন্ডপে যাওয়া শিরিক করা এবং কবিরা গুণা !!
আতাহার হোসেন :: আপনার কথাটা মানলাম না , আমি তো পুজা করিনি ওখানে শুধু দেখেছি এবং ওদের মন্ডপের পাশে যে মন্চ বানিয়েছে সেখানকার সংস্বকৃতি অনুষ্ঠান মুলত দেখেছি । বড় বড় পুজা মন্ডপে একদিকে পুজার বেদি থাকে যেখানে পুজা হয় এবং অন্য দিকে সংস্বকৃতিক মন্চে নাচ গান কির্তন শ্যামা সংগিত ইত্যাদি হয় । প্রথমে ঢুকে দেখলাম হিন্দুরা পুজা করছে মুর্তির সামনে সেই সাথে ঢোল বাজানো হচ্ছে , দুই তিন মিনিট পুজা দেখে সংস্বকৃতিক মন্চের সামনে বসে অনুষ্ঠান দেখেছি , তার পর নৃপেনদা এসে লাড্ডু সিঙ্গারা দিল এবং সেই সাথে ভেজিটেল খিচুরি খেয়ে চলে এলাম ।
হুজুর ::: তোবা তোবা আপনি পুজার প্রশাদ খাইছেন , আপনি জানেন না পুজার প্রশাদ খাওয়া হারাম
আতাহার ::: ইসলামের নামে উল্টা পাল্টা কথা মিথ্যা কথা বন্ধ করেন দয়া করে , প্রশাধ টা তো কোন মাংস ছিল না , মাংস হোলে হামার বলা যেত , লাড্ডু সিঙ্গারা কি করে হারাম হয় ।
হুজুর ::: পুজার প্রশাধ হারাম , এর প্রমাণ কি আপনি দেখতে চান
আতহার ::::: মাংস ব্যথিত পুজার প্রশাধ যে হারাম না সেটা কি আপনি দেখতে চান ??
হুজুর :::: খালি খালি আজাইড়া পেচাল পাড়েন কেন
আতাহার :::: শুনুন কোরানে আল্লাহ তালা বলেছেন শুধু --- আল্লাহর নাম ছাড়া অন্য কারো নামে জবাই করা পশু পাখির মাংস হারাম এবং এই বিষয়টি শুধু মাংসের ক্ষেত্রে প্রজোয্য ,এবার আপনাকে একটা প্রশ্ন করি জীবনে কি কখনো পুজার মন্ডপে গেছেন ।
হুজুর :::: তোবা তোবা প্রশ্নই আসে না ।
আতাহার :::: শুনুন পুজার বেদির উপরে মুর্তির সামনে পুজার সময়ে যে খাবারটা থাকে তাকে প্রশাধ বলে , এবং বাহিরে প্যান্ডেলের পাশে বড় বড় হাড়ি ডেকচিতে সারা দিন যে রান্না হয় ঐ খাবার গুলোকে বলে ভোগ , ঐ মন মন হাড়ি ডেকচি ভরা ভোগ পুজার বেদির সামনে আনা হয় না এবং আলাদা ভাবে বিতরন করা হয় । যদি আপনার প্রশাধ খাওয়াকে হারাম মনে হয় তাহোলে ভোগটা খেতে পারেন ।
হুজুর :::: আমার মাথা খারাপ হয় নি যে ভোগ খাবো যাহা প্রশাধ তাহাই ভোগ এবং তাহাই হারাম
আতাহার ::: কোরানের আয়াত থেকে উদাহরন দিতে পারবেন একটাও , যেখানে কোরানে শুধু আল্লাহর নামে জবাই ছাড়া পশু পাখির মাংসকে হারাম করেছেন অন্য কোন খাবারকে নহে । প্রশাধ হোল যে খাবার দেবতার মুর্তির সামনে থাকে এবং দেবতার উদ্দেশ্য উৎসর্গ করা হয় এবং ভোগ হোল উৎসর্গকৃত খাবার গুলো নহে ।
শুনুন মাওলানা সাহেব পুজা দেখা মানে তাদের বিশ্বাষ গ্রহন করা নহে , যদি বিশ্বাষ গ্রহন করা হোত যদি আমি পুজা করতাম । আপনার লেকচার মারেন পুজা দেখলেই নাকি শিরিকি করা হয়ে যায় তাদের বিশ্বাষের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করা হয়ে যায় , আমি জীবণে বহু পুজা দেখেছি কিন্তু কখনো তাদের বিশ্বাষ গ্রহন করি নি । যাদের ঈমাণ দুর্বল তাদের পুজা না দেখাই ভালো কারন দেখলেই মুর্তির প্রতি তাদের ঈমাণ এসে যাবে ।
এবার হুজুর আপনাকে একটা প্রশ্ন করি - আমি একজন মুসলমান এবং আমার সামনে কয়েক জন মুসুল্লি নামাজ পড়ছে এবং আমি সেই নামাজ পড়া দেখছি কিন্তু পড়ছি না তাহোলে কি দেখার জন্য আমার নামাজ পড়া হবে ???
হুজুর :::: কি পাগলের মত কথা বলেন অন্যের নামাজ পড়া দেখলে কি কোন দিন নামাজ পড়া হয় !!!!!!
আতাহার :::: ও হয় না বুঝি কিন্তু মুসল্লিদের ঈমাণ আর আমার ঈমাণ এক তাহোলে ও নামাজ পড়া দেখার জন্য নামাজ হবে না !!!
হুজুর :::::: নিয়ত করে ওজু করে নামাজ নিজে না পোড়লে অন্যের নামাজ পড়াতে নিজের নামাজ কোন দিন হবে না যতই নামাজ পড়া দেখেন না কেন ।
আতাহার ::: ও মুসলমান হয়ে অন্য মুসলমানের নামাজ পড়া দেখলে নামাজ হবে না কিন্তু মুসলমান হয়ে অন্য বিশ্বাষের মানুষের পুজা করা দেখলে আমার পুজা করা হয়ে যাবে শিরিক করা হয়ে যাবে এবং হিন্দুদের বিশ্বাষ গ্রহন না করলেও আমার পুজা করা হয়ে যাবে ।
হুজুর ::: বড় বড় চোখ করে তাকায়
আতাহার :::: শুনুন হুজুর আপনি মাঠে বা টিবিতে যদি কোন খেলা দেখেন তখন আপনি দর্শক খেলোয়ার নহেন , আমি যদি অন্যের নামাজ পড়া দেখি আমি দর্শক নামাজি নহি এবং আমি যদি অন্যের পুজা করা দেখি তাহোলে আমি দর্শক পুজারি নহি । পুজা মন্ডপে যাই পুজা করতে না দেখতে এবং সেটা অল্প কিছুক্ষণ , বেশি ভাগ সময় কাটে মন্চের সামনে কালচারাল অনুষ্ঠান দেখে । আমি হিন্দুদের বা অন্য ধর্মের মানুষের সাথে এত মিশি এবং আমি তাদের ধর্ম গ্রন্থ ও পড়ি কিন্তু কখনো তাদের বিশ্বাষ গ্রহন করি নি , আমার ঈমাণ অত দুর্বল নহে ।
হুজুর ::::: থামেন খুব বেশি প্যাচাল পাড়েন , শুনুন কোরানে আট দশটা আয়াত আছে যেখানে আল্লাহ মুর্তি বা অন্য কোন কিছুকে পুজা করতে শক্ত ভাবে নিষেধ করেছেন, তাহোলে আল্লাহর আদেশ অমান্য কোরে মোনাফেকদের ফতুয়া শুনতে আমরা রাজি নই
আতাহার ::::: শুনুন হুজুর কোরানের ঐ সকল আয়াত আমার পড়া আছে ওখানে পুজা করতে মানা করেছে এবং আপনাকে এতো বার বলার পর কেন বার বার একই কথা বোলছেন কোন কিছু দেখা মানে সেই কাজটা করা নহে , নামাজ দেখা মানে নামাজ পড়া নহে , খেলা দেখা মানি খেলা করা নহে , নাটক দেখা মানি নাটকে অভিনয় করা নহে , পুজা দেখা মানি পুজা করা নহে ।
হুজুর :::: "তোমরা মুশরিকদের উপাসনালয়ে তাদের উৎসবের দিনগুলোতে প্রবেশ করো না। কারণ সেই সময় তাদের উপর আল্লাহর গযব নাযিল হতে থাকে।" ' - 'উমার ফারুক (রা) (তথ্যসূত্রঃ ইবনুল ক্বাইয়্যিম(রাহিঃ), আহকামুল জিম্মাহ ১/৭২৩- ----- এর পরে ও কি আপনার কোন প্রশ্ন আছে ???
আতাহার ::::: এটা কোন কোরানের আয়াত নহে এবং হাদিস নহে এবং হযরত ওমর ফারুক (রা: ) নামে যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে সেটা কোরানের নিচের আয়াতের সাথে সাংঘর্ষিক .
---- আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য এবাদতের নিয়ম কানুন নির্ধারন করে দিয়েছি যা ওরা পালন করে , তুমি ওদের তোমার প্রতিপালকের দিকে ডাক.. ওরা যদি তোমার সাথে তর্ক করে বল, তোমরা যা কর সে সম্পর্কে আল্লাহ ভাল করেই জানেন। তোমরা যে বিষয়ে মতভেদ করছ আল্লাহ কিয়ামতের দিন সে সে বিষয়ে তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন , সুরা হজ ৬৭-৬৯ ।
তার মানি হিন্দুদের স হ অন্য সব ধর্মের ইবাদতের নিয়ম কানুন আল্লাহ ঠিক করে দিয়েছেন ।যদি আল্লাহ নিজে অন্য ধর্মের রিচুয়াল নিয়ম কানুন ঠিক করে দেন তাহোলে গজব নাজিল হবে কেন ??? যদি তাদের উপর গজব নাজিল হয় যারা পুজা করছে, তাহোলে যারা পুজা করছে না দেখছে তাদের উপর কেন নাজিল হবে ??? আল্লাহ যদি ইবাদতের নিয়ম কানুন ঠিক করে দেন তাহোলে কেন গজব দিবেন ।
হযরত ওমর ফারুক (রা: ) এর নামে যে কথা বলা হয়েছে সেটা কোরান বা হাদিস নহে এবং সুরা হজ ৬৭-৬৯ এর সাথে সাংঘর্ষিক ।
১১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪
মো: তৌহিদ ইসলাম আবির বলেছেন: এব্যপারে আপনার মন্তব্য হল আপনি পুজাতে যাবেন প্রসাদ খাবেন পুজাও করবেন এখন আপনার এইটার পরেও আমাকে বলতে হবে আপনি একজন ধার্মিক মানুষ এবং আপনার ধর্ম ইসলাম। কারণ আপনিতো মন থেকে পুজা করেন নি সম্পৃতি রক্ষার জন্য করেছেন।
হাদিস হিসাবে আপনি উল্লেখ করেবন সহীহ্ বুখারী শরীফের ১ নং হাদিস।
"আমলের ফলাফল নিয়তের উপর নির্ভরশীল"
১২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৭
মো: তৌহিদ ইসলাম আবির বলেছেন: কথা কে অর্ধেক করে নিবেন না যদি তারাও আল্লাহ্ প্রদত্ত নিয়ম পালন করত তাইলে তারাও মুসলিম হত।
কথা কে অর্ধেক করে নিবেন না যদি তারাও আল্লাহ্ প্রদত্ত নিয়ম পালন করত তাইলে তারাও মুসলিম হত।
মারেফুল কুরআন।
১৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫২
এ আর ১৫ বলেছেন: মো: তৌহিদ ইসলাম আবির বলেছেন: এব্যপারে আপনার মন্তব্য হল আপনি পুজাতে যাবেন প্রসাদ খাবেন পুজাও করবেন
আপনি কি লিখাটা ভালোভাবে পড়েছেন ? যদি পড়ে থাকেন তাহোলে কি করে বললেন পুজাও করবেন ? পুজা করা আর পুজা দেখা যে এক জিনিস নয় , এই নিয়ে বেশ কয়েক লাইন লেখা হয়েছে । দয়া করে আবার পড়ে দেখুন । অন্য জনে নামাজ পড়ছে সেটা দেখলে যেমন নামাজ হয় না , ঠিক তেমনি অন্য জন পুজা করছে সেটা দেখলে পুজা হয় না । দয়া করে ঐ প্যারাটা অরেকবার পড়ুন ।
খাবারের ব্যপারে শুধু মাংসের ব্যপারে কোরানের গাইড লাইন আছে । প্রসাদ এবং ভোগ পুজাতে দুই ধরনের খাওয়া দেওয়া হয় । খাবার বিষয়ে হুজুরের কথা নিম্নের লিংকে গিয়ে শুনুন দয়া করে --
Please Click here to open the link , Thanks
আপনার দেওয়া মারেফুল কোরানের পাতাটি জুম করে ও পড়া যাচ্ছে না , ধন্যবাদ
১৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:২৩
কে ত ন বলেছেন: এ আর ১৫ এর প্রায় সমস্ত যুক্তিই খন্ডন করা যায়। আমি একটা করছিঃ
"আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য এবাদতের নিয়ম কানুন নির্ধারন করে দিয়েছি যা ওরা পালন করে" সূরা হজ্জের ৬৭ নং আয়াত দ্বারা আল্লাহ তায়ালা যেসব সম্প্রদায়ের কাছে আসমানি গ্রন্থ পাঠিয়েছেন, সেসব সম্প্রদায়ের কথা বলেছেন। হিন্দু ও পৌত্তলিকতায় বিশ্বাসী যারা মনগড়া দেবদেবীর মূর্তিপূজা করে, তাদের কথা বলেননি। যে কোন তাফসীর গ্রন্থে সূরা হাজ্জের এই ব্যখ্যাই পাবেন।
কথাটা যদি নবীজি (স) না বলে ঊমর (রা) ও বলে থাকেন, তাহলে ঢালাওভাবে অবিশ্বাস করতে হবে। তার কথার কোন গুরুত্বই নেই? উমর (রা) এর কথা বাদ দিন - এই আমিও যদি বলি যে মূর্তিপূজা শয়তানের কাজ, তাই যেখানে মূর্তি পুজা হয়, সেখানে আল্লাহর লানত নাজিল হয়, কোন বাপের ব্যাটা আছে, আমাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারবে?
আপনি যদি পূজা করেন, তাহলে তো আপনার ঈমানই থাকলনা, নিঃসন্দেহে কাফের হয়ে গেলেন। আর যদি পুজা না করে কেবল মন্ডপ দেখতে যান, বা নাচানাচি করতে যান, আপনার ঈমান হয়তোবা অতি কষ্টে বেঁচে যাবে, কিন্তু তা ইন্টেনসিভ কেয়ারে চলে যাবে আল্লাহর বাণী উপেক্ষা করার কারণে।
কোন পূজার অনুষ্ঠানকে কোন ঈমানদার পছন্দ করতে পারেনা - এই রিচুয়ালের প্রতি অভক্তি থাকাটাই বরং ঈমানের লক্ষণ। তবে সরকারী ব্যবস্থাপনায় যেখানে পূজার অনুষ্ঠান হয়, সেখানে মুসলিম জনপ্রতিনিধি পরিদর্শনে গেলে কোন সমস্যা হবেনা বলে আমার ধারণা কিন্তু তিনি দেব দেবীর প্রশস্তিমূলক কোন বক্তব্য রাখতে পারবেন না।
যার সেখানে কোন কাজ নেই, তার না যাওয়াই সবদিক থেকে নিরাপদ।
১৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:১৪
এ আর ১৫ বলেছেন: কে ত ন বলেছেন: এ আর ১৫ এর প্রায় সমস্ত যুক্তিই খন্ডন করা যায়।
দেখুন আপনাদের যুক্তি গুলোই হুজুরের কথার মাধ্যমে ফুটে উঠেছে এবং আতাহার সাহেব সে সব গুলোর জবাব দিয়েছে । আপনার যদি আরো পাল্টা যুক্তি থাকে তাহোলে উত্থাপন করুন এবং আপনার যুক্তি যদি সঠিক হয় , তাহোলে অবশ্য গ্রহনীয় হবে ।
"আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য এবাদতের নিয়ম কানুন নির্ধারন করে দিয়েছি যা ওরা পালন করে" সূরা হজ্জের ৬৭ নং আয়াত দ্বারা আল্লাহ তায়ালা যেসব সম্প্রদায়ের কাছে আসমানি গ্রন্থ পাঠিয়েছেন, সেসব সম্প্রদায়ের কথা বলেছেন। হিন্দু ও পৌত্তলিকতায় বিশ্বাসী যারা মনগড়া দেবদেবীর মূর্তিপূজা করে, তাদের কথা বলেননি। যে কোন তাফসীর গ্রন্থে সূরা হাজ্জের এই ব্যখ্যাই পাবেন।
আপনার এই ব্যাখা ও গ্রহন যোগ্য নহে , সকল সম্প্রদায় বলতে শুধু কিতাবিদের বুঝিয়েছেন এটা হতে পারে না । যেহেতু শুধু কিতাবিদের কথা স্পষ্ঠ ভাবে বলা হয় নি তাই । আর যদি শুধু কিতাবিদের কথা নিয়ে আসেন, তাহোলে ও আপনার যুক্তি টিকে না কারন খৃষ্টান ইহুদিদের মধ্যেও পৌতালিকতা আছে যেমন কিছু ইহুদি গোত্র গরু পুজা করে এবং খৃষ্টানদের মধ্য জেসাস খ্রাইস্ট এবং মাদার মেরির মুর্তির উপাসনার প্রবনতা আছে এবং সান অব গডের কন্সেপ্ট আছে , যে সমস্ত জিনিস পৌতালিকতার পর্যায় পড়ে ।
আল্লাহ তালা মানুষের হেদায়েতের জন্য ১ লক্ষ ২৫ হাজার মতান্তরে ৬ লক্ষ পয়গম্বর পাঠিয়েছিলেন পৃথিবীর সব খানে যেখানে মানুষ বাস করতো । অনেক ইসলামিক স্কলার মনে করেন অন্য ধর্মের আইডল গুল হয়ত সেই সমস্ত পয়গম্বর হতে পারে ।
কোরানের পরে সব চেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ হোল কোরান সম্মত সহি হাদিস । হযরত উসমান (রা: ) কথা গ্রহন যোগ্য হতে পারে যদি ঐ কথা কোরানের সাথে ম্যাচ করে কিন্তু এই ক্ষেত্রে ম্যাচ করে নি । যেহেতু এই সমস্ত কথা কয়েক শত বৎসর পরে লিখা হয়েছে , তাই আদো হযরত উসমান (রা: ) সঠিক কি কথা বলেছিলেন সেটা বলা মুসকিল । তাই তার কোন কথা যদি কোরানের সাথে না মেলে তাহোলে সেটা গ্রহন যোগ্য হবে না ।
আপনি যদি পূজা করেন, তাহলে তো আপনার ঈমানই থাকলনা, নিঃসন্দেহে কাফের হয়ে গেলেন। আর যদি পুজা না করে কেবল মন্ডপ দেখতে যান, বা নাচানাচি করতে যান, আপনার ঈমান হয়তোবা অতি কষ্টে বেঁচে যাবে, কিন্তু তা ইন্টেনসিভ কেয়ারে চলে যাবে আল্লাহর বাণী উপেক্ষা করার কারণে।
আল্লাহর সকল বাণীতে শুধু মুর্তি কেন যে কোন জিনিসকে পুজা করতে কঠোর ভাবে নিষেধ করা হয়েছে । পুজা দেখলে ঈমাণ নষ্ঠ না হয়ে আরো মোজবুদ হবে কারন অন্য ধর্মের রিচুয়াল অবলোকন করার পর যে মানুষ তাদের রিচুয়াল গ্রহন না করে নিজ ধর্মের উপর ঈমাণ ধরে রাখে , সে সমস্ত মানুষের ঈমাণ খুবই শক্ত এবং উন্নত । যে সমস্ত মানুষ পুজা দেখার কারনে নিজ ধর্মের ঈমাণ চুত হয়ে যায়, তাদের ঈমান খুবই দুর্বল এবং যে সমস্ত মানুষ পুজা দেখলে তার ঈমাণ চলে যেতে পারে, বলে ভয় করে তাদের ঈমাণ খুবই দুর্বল ।
ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।
লেখা ভালো লাগলো।
ধর্ম নিয়ে যারা বাড়াবাড়ি করে তারা নির্বোধ। আর এই নির্বোধ হিন্দু আর মুসলমান। এই দুই শ্রেনী ধর্ম নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করে।