নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেদা(ত) এবং ইসলাম

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৩

ইসলাম ধর্মের যাবতীয় ভুল প্র্যাকটিস এবং কুসংস্কার দূর করে মূল ইসলামকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য আমি এবং আমার বন্ধু সৈয়দ সাজিদ মাহমুদ ফেসবুকে একটি গ্রূপ খুলেছিলাম যার নাম "সত্যান্বেষী।" আমরা দুইজনই ছাত্র, অনেক কিছুই জানি, এবং প্রায় প্রতিদিনই কিছু না কিছু শিখি যা সবার সাথে শেয়ার করতে চাই। এখনও এমন কিছু শিখি যা আমাদের অতীতের বিশ্বাসকে জড় থেকে নাড়িয়ে দেয়। তবে সুখের কথা হচ্ছে, আমরা এই নতুন শেখা সঠিক জ্ঞানকে স্বাগত জানাই। সেদিন যেমন সে এমন একটি লেকচার ভিডিও আমাকে শোনালো, যা শোনার পরে বেদা(ত) সম্পর্কে আমাদের অতীতের কিছু ধারণা পুরোপুরি পাল্টে গেছে। বিষয়টি অত্যন্ত ব্যাপক, চেষ্টা করছি অতি সংক্ষেপে সহজ ভাষায় বর্ণনা করতে। সাথে থাকবেন।
ইসলাম ধর্মে বিদা(ত) একটি মহা যন্ত্রণার নাম। এর মানে হচ্ছে নতুন কিছু সংযোজন, বা বিয়োজন। রাসূল (সঃ) স্পষ্টভাবে নিষেধ করার পরেও আমাদের ধর্মে অনেক বেদাতি কর্মকান্ড ঢুকে গেছে। ক্লাসিক্যাল স্কলার ইমাম মালেকের মতে কেউ যদি মনে করে কোন নতুন কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়া যাবে, যা আল্লাহ বা তাঁর রাসূল পূর্বে উল্লেখ করেননি, তার মানে হচ্ছে সেই ব্যক্তি বোঝাতে চাইছে মুহাম্মদ (সঃ) রাসূল হিসেবে তাঁর দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারেননি। এবং আল্লাহ যে ঘোষণা দিয়েছেন, "আজ আমি তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ন করে দিলাম.." - এই কথার উপরও তার কনফিডেন্স নেই। কারন কোনকিছু "পরিপূর্ন" (নিখুঁত, পারফেক্ট) মানে হচ্ছে এর আর কোন পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই। কিন্তু তুমি নতুন কিছু যোগ করছো এতে। তুমি বিরাট তালেবর!
এই পর্যন্ত আমরা সবাই একমত। আমরা নিজেরাই দেখি মাঝেমাঝে "ডিস্কো হুজুরদের" ভিডিও খুব ভাইরাল হয়। জিকির করতে করতে উপর নিচে লাফাতে শুরু করে, তালে তালে মাথা ঝাকায়, যা কোন হার্ড রক ব্যান্ডের লাইভ কনসার্টেই কেবল দেখা যায়। ওদের কাজ কারবার কিন্তু আজকে কালকে থেকে ঘটে আসছে না। একদম ক্লাসিক ইসলামের যুগ থেকেই ওরা এমন করে। ক্লাসিক অর্থোডক্স মুসলিম স্কলাররাতো এদের মানসিক সুস্থতা নিয়েই প্রশ্ন তুলতেন। পাগল না হলে এই কাজ কেউ করতে পারে?
এরা উল্টো এতে আরও খুশি হয়। ওরা তখন গর্ব করে বলে, "হ্যা, আমরা আল্লাহর পাগল, রাসূলের আশেক। তাঁদের প্রেমে ফানাহ হয়ে যাই!"
এখানে একটি ব্যাপার উল্লেখ্য, আমরা দুনিয়া উল্টেপাল্টে ফেললেও রাসূলের (সঃ) প্রতি ভালবাসায় তাঁর সাহাবীদের ধারেকাছেও ভিড়তে পারবো না। তাঁর সাহাবীরা এমন উদ্ভট কর্মকান্ড করতেন? না। তাহলে আমাদের এই আলগা মাতবরি না করলেও চলবে।
তাহলে দেখা যাচ্ছে, ইসলামের নামে এইসব স্পষ্ট পাগলামি কর্মকান্ড আমরা সহজেই শনাক্ত করতে পারছি বিদা(ত) হিসেবে। কিন্তু সমস্যা এর অনেক গভীরে অবস্থান করে। কিছু বেদাত আছে যা শরিয়া সম্মত।
এখন কিছু উদাহরণ দেব, খুব ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে দেখেন। যেহেতু এই লেখাটি অতিরিক্ত সেনসিটিভ বিষয় নিয়ে লেখা। একটু ভুল বুঝলেই খবর হয়ে যাবে।
১. আমরা যে কুরআন পড়ি, সেই সংকলনও কিন্তু ছিল বিদা(ত)। রাসূলুল্লাহ (সঃ) মারা যাবার পরে ইসলামের খলিফা হন হজরত আবু বকর (রাঃ)। এক যুদ্ধে সত্তুরজন কুরআনের হাফেজ শহীদ হলে উমার (রাঃ) উপলব্ধি করেন কুরআন লিখিতাকারে সংরক্ষণ করা উচিৎ। কিন্তু হজরত আবু বকর (রাঃ) প্রচন্ড কনজারভেটিভ মানসিকতার ছিলেন। যা নবী (সঃ) বলেননি, করেননি, সেটা তিনিও বলতে বা করতে রাজি নন। তাঁর দৃষ্টিতে এটিই বিদা(ত)।
উমারকে (রাঃ) অনেক কাঠ খড় পোড়াতে হয়েছিল তাঁকে রাজি করাতে। এবং আজকে এই কারণেই আমরা কুরআন পড়তে পারি। নাহলে ক্বারী/হাফেজের মুখ থেকে শুনে শুনে মুখস্ত করতে হতো।
এবং সেই ঘটনা থেকেই শুরু হয়েছিল কনজারভেটিভ ঘরানার স্কলার এবং ওপেন মাইন্ডেড ঘরানার স্কলারদের দ্বন্দ্ব।
২. রমজান মাসে আমরা যে জামাতে দাঁড়িয়ে তারাবীহ নামাজ আদায় করি, সেটিও বেদা(ত)।
উমার (রাঃ) যখন খলিফা, এক রাতে তিনি দেখেন মসজিদ ভর্তি সাহাবী আলাদা আলাদাভাবে তারাবীহ নামাজ আদায় করছেন। তিনি ঘোষণা দিলেন, একসাথে জামাতেই না হয় পড়া যাক। এবং তারপর থেকে আজ পর্যন্ত এই রীতি চালু আছে।
এখানে একটি ব্যাপার বিশেষভাবে উল্লেখ্য। উমার (রাঃ) কিন্তু নতুন কিছু ইন্ট্রোডিউস করেননি। তারাবিহর নামাজ আগেও লোকে পড়তেন, এবং নফল নামাজের জামাতে পড়ারও উদাহরণ আগে ছিল। অথবা কুরআন আগেও গাছের বাকলে বা পশুর চামড়ায় লিখে রাখা হতো। তিনি কেবল ফাইন টিউন করেছিলেন। তাঁকে ভুল বুঝলে এখানে পাপ হবে।
৩. রমজান মাসে তারাবীহর নামাজে এক কোরআন খতমের যে নিয়ম বিশ্বব্যাপী চালু আছে, এটিও কিন্তু সাহাবীগণ করেননি। তাঁরা কুরআন পাঠ শুনতেন। তেলাওয়াতের মাধুর্যে কাঁদতেন। আমরা এখন রেলগাড়ি ছুটাই। দ্রুত শেষ করতে হবে! নাহলে লোকে খেপবে।
৪. কুরআন খতম শেষে যে সমবেত দোয়া করা হয়, যা হারাম শরীফেও অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে, এবং এই দোয়ায় হজ্জ্বের চেয়েও বেশি মানুষ সামিল হন, এটিও কিন্তু বেদা(ত)। সাহাবীগণ এটি করতেন না। যদিও একবার বৃষ্টির জন্য তাঁরা হজরত আব্বাসের (রাঃ) নেতৃত্বে সমবেত দোয়া করেছিলেন। এখানেও উমার (রাঃ) ছিলেন খলিফা।
৫. মৃত আত্মীয় স্বজনের নামে কুরআন পাঠ করে সোয়াব বকশিয়ে দেয়া। এইটা হাদিস কুরআনে নেই। অনেক ক্লাসিক্যাল স্কলারই একে স্বীকৃতি দেন। তাঁদের যুক্তি, যেহেতু মৃতের স্মরণে সদগাহ দেয়ার নিয়ম আছে, সেক্ষেত্রে কেউ যদি তাঁদের ভালবেসে কুরআন পাঠ করেন, তাহলে ক্ষতি কী? আল্লাহতো দেনেওয়ালা। তিনিই ভাল জানেন।
এইরকম বহু কর্মকান্ড, রিচ্যুয়াল আমাদের ধর্মে চালু আছে, যা রাসূল (সঃ) বা আল্লাহ সরাসরি নির্দেশ দেননি, কিন্তু আমরা করে আসছি। এবং এ থেকে বুঝা যাচ্ছে, সব বেদাতই খারাপ নয়। কোথাও কোথাও বেদাত ওয়াজিব হয়ে যায়, যেমন কুরআন সংরক্ষন। এবং সাধারণ ক্ষেত্রে বেদাত সম্পূর্ণ নিষেধ। যেমন, ডিস্কো হুজুরদের লাফালাফি।
তাহলে রাসূল (সঃ) বা আল্লাহ যে বেদাত নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন, সেক্ষেত্রে ভাল বেদা(ত)গুলোর কী হবে?
এক্ষেত্রে ক্লাসিক স্কলারগণ (ইমাম শাফিই, মালেক, ইব্ন তাইমিয়্যাহ প্রমুখ) উল্লেখ করেন, আল্লাহ এবং রাসূল হারাম বেদাতকেই তিরস্কার করেছেন।
আমরা রাসূলের (সাঃ) জীবনী ঘাটলেই দেখতে পাই, কোথাও কোথাও তিনি কিছু বেদাতের প্রশংসাও করেছিলেন। সবচেয়ে ভাল উদাহরণ হবে হজরত বিলালের(রাঃ)। একবার রাসূল (সঃ) বলেছিলেন, "হে বিলাল, আমাদের একটু বলতো তুমি কী এমন করো যে কারনে আমি বেহেস্তে তোমার পায়ের শব্দ শুনতে পেলাম?"
বিলাল বলেন, "আমি প্রতিবার ওযু শেষে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ি।"
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট, রাসূল (সঃ) কিন্তু কাউকে বলেননি ওযু শেষে এই কাজ করতে, বিলাল নিজে থেকেই সেটা করেছেন। এবং আল্লাহর খুবই পছন্দ হয়েছিল। যা পরে স্বীকৃতি পায়।
তাহলে দেখা যাচ্ছে, সাহাবীগণ হুজুর (সঃ) জীবিতাবস্থাতেই কিছু "বেদাতি" কর্মকান্ড করেছিলেন। এবং তাঁর মৃত্যুর পরে প্রধান সাহাবীগণও কিছু বেদাতি কর্মকান্ড করেছিলেন। যেমন জুম্মায় দুই আজানের নিয়ম। উসমান (রাঃ) নিজে ব্যবসায়ী ছিলেন বলে উপলব্ধি করতেন, জুম্মার নামাজের মূল আজানের আগে যদি আরেকটি আজান দেয়া হয়, তাহলে ব্যবসায়ীগণ সংকেত পাবেন। তাঁরা তাঁদের ব্যবসা গুটিয়ে বাড়ি ফিরে গোসল সেরে সময়মতন নামাজে শামিল হতে পারবেন। রাসূল (সঃ) কিন্তু এই দুই আজানের নিয়ম চালু করেননি।
এইসবই ফাইন টিউনিং। নতুন ধরনের কোন ইবাদতের ইন্ট্রোডাকশন নয়।
এইবার আসা যাক যে কারনে এই লেখা শুরু করেছি।
আমাদের দেশে "মিলাদ" "মিলাদুন্নবী" নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে খুব। এক গ্রূপ আরেক গ্রূপকে তিরস্কার করে। জাতির মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি হয়।
আগেই বলে নেই, কবর জিয়ারতের নামে কবর পূজা, মোমবাতি, আগরবাতি জ্বালানো, সিজদাহ দেয়া, মানত করা, চাদর বিছানো, গোলাপজল ছিটানো ইত্যাদি কর্মকান্ড নিয়ে কোনই প্রশ্ন নেই যে এইসব শিরক এবং হারাম।
কথা বলছি সাধারণ মিলাদে সাধারণ জিকির আসগার নিয়ে।
গ্রূপ জিকিরের কোন উদাহরণ কুরআন, সুন্নায় নেই। রাসূল (সাঃ) বা তাঁর সাহাবীগণ কখনই এক জায়গায় বসে মিলিত হয়ে গ্রূপ জিকির আদায় করতেন না। সমবেত মোনাজাতও না। লাইলাতুল (শবে) বরাত, লাইলাতুল (শবে) মেরাজ বা ঈদে মিলাদুন্নবী কিছুই পালন করেননি তাঁরা। এইটা ফ্যাক্ট।
অথচ টার্কিতে গেলে দেখবেন জামাতে নামাজ শেষে সবাই মিলে গ্রূপ তসবিহ পাঠ করছে, আবার আমাদের দেশে নামাজ শেষে সবাই একসাথে মোনাজাত করছে। বেদাত? জ্বি।
মিলাদের সময়েও যদি সবাই কুরআন সুন্নাহ মেনে চলে, আল্লাহ এবং রাসূলের প্রশংসা করে, কোন রকমের শিরকী (রাসূলের আত্মার জন্য সিংহাসন খালি রেখে দেয়া, তাঁর কাছে কিছু চাওয়া বা এইরকম কিছু) বা অনৈসলামিক (ডিস্কো-লাফালাফি) আচরণ না করে, তাহলে এইটা স্পষ্ট বেদাত হলেও, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হবে, এসব কী হারাম? মানে মহা পাপ? স্কলারগণ এগুলোকে "গ্রে" এরিয়াতে ফেলেন।
ইসলামে "হারাম" শব্দটিরও একটু ব্যাখ্যা করা দরকার। আমাদের বুঝতে হবে "হারাম" শব্দটি বিরাট এরিয়া কভার করে। যেমন সব অপরাধ কর্মকান্ডই হারাম। কিন্তু অপরাধ কর্মকান্ডের মধ্যেও খুন যেমন প্রধান পাপ, তেমনি ছোটখাট অপরাধ যেমন রাস্তাঘাটে থুথু ফেলা, দুটি এক ক্যাটাগরির পাপ নয়। তেমনি, বেদাত হারাম হলেও এরও অনেক রকমফের আছে। কিছু স্পষ্ট নিষেধ। কিছু বেদাতে উৎসাহ দেয়া হয়েছে, আবার কিছু বেদাতে না উৎসাহ দেয়া হয়েছে, না তিরস্কার করা হয়েছে। এইগুলোই গ্রে এরিয়াতে পরে আর কি।
তাহলে আমরা যারা মিলাদ পড়িনা, তাঁরা কী যারা মিলাদ পড়েন, তাঁদের জাহান্নামী ট্যাগ দেয়ার অধিকার রাখি?
যদিও স্পষ্ট হাদিস আছে বেদাতের বিরুদ্ধে, কোন ডাউট নেই নতুন ধরনের ইবাদতের ইন্ট্রোডাকশন স্পষ্ট নিষেধ, হারাম, গুনাহ, তারপরেও ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হচ্ছে, না। আমরা কাউকে জাহান্নামী বা জান্নাতি বলার অধিকার রাখি না।
সূরা হাদীদের ২৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, "অতঃপর আমি তাদের পশ্চাতে প্রেরণ করেছি আমার রসূলগণকে এবং তাদের অনুগামী করেছি মরিয়ম তনয় ঈসাকে ও তাকে দিয়েছি ইঞ্জিল। আমি তার অনুসারীদের অন্তরে স্থাপন করেছি নম্রতা ও দয়া। আর বৈরাগ্য, সে তো তারা নিজেরাই উদ্ভাবন করেছে; আমি এটা তাদের উপর ফরজ করিনি; কিন্তু তারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্যে এটা অবলম্বন করেছে। অতঃপর তারা যথাযথভাবে তা পালন করেনি। তাদের মধ্যে যারা বিশ্বাসী ছিল, আমি তাদেরকে তাদের প্রাপ্য পুরস্কার দিয়েছি। আর তাদের অধিকাংশই পাপাচারী।"
ব্যাখ্যা করছি।
আল্লাহ এখানে খ্রিষ্টান কিছু ধার্মিককে নিয়ে কথা বলছেন, যারা বৈরাগ্য (বিয়ে শাদি না করে সন্ন্যাসীর জীবন যাপন করা) নিয়েছিল আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য। অথচ আল্লাহ বা ঈসা (আঃ) কেউই এমন কিছু তাঁদের বলেননি। ওটা তাঁদের উদ্ভাবন (বেদাত)। আল্লাহ এর প্রশংসা করছেন না, তবে তিনি বলছেন, "তাদের মধ্যে যারা বিশ্বাসী ছিল, আমি তাদেরকে তাদের প্রাপ্য পুরস্কার দিয়েছি।"
তিনি এও তিরস্কার করছেন যে যারা এই বৈরাগ্যের উদ্ভাবন করেছিলেন, তারা নিজেরাই বৈরাগ্য ধরে রাখতে পারেননি। তারপরেও সরল মনে আল্লাহকে বিশ্বাস করে যারা চালিয়ে গেছেন, তাঁরা পুরস্কার পেয়েছেন।
মানে, দিনের শেষে আল্লাহ নিয়্যত দেখবেন। তিরস্কার করছেন, কিন্তু তিনি আর রাহমানুর রাহিম, অতিরিক্ত সীমাতিক্রম না করলে, তিনি যাকে খুশি তাঁকে মাফ করবেন।
উপসংহারে বলে ফেলি, আমি মিলাদ করিনা, যাওয়াটা পছন্দও করিনা। নবীকে ভালবাসি বছরের ৩৬৫টা দিন, কেবল বারই রবিউল আউয়াল নয়। যেকোন রকমের বেদাতের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান সুস্পষ্ট।
কিন্তু আমাদের দেশেই হাজার হাজার, লাখে লাখে ছেলে আছে, যারা কেবল সেসব দিনেই আল্লাহর ঘরে যায়, ধর্ম নিয়ে একটু হলেও নাড়াচাড়া করে। এছাড়া সারাবছর তাদের আর কোন খোঁজ পাওয়া যায় না। তাঁরা ঠিকমতন জানেই না ইসলাম কী, বেদাত বোঝাতো বহু দূরের পথ। আমি চাইনা, মাইনর ইস্যু নিয়ে ওদের নিরুৎসাহিত করে ওদের দূরে ঠেলে দিতে। হ্যা, যদি ডিস্কো হুজুরদের জিকিরে সে যাওয়া শুরু করে, অথবা মাজার পূজায় অংশ নেয় - তখন বাঁধা দিব। তবে ছোটখাট বেদাতের ক্ষেত্রে দোয়া করি ওরা একদিন এসব ঘাটাঘাটি করতে করতে সঠিক পথের সন্ধান পাবে।
বিস্তারিত জানতে লেকচার ভিডিওর লিংক দিলাম। অবশ্যই দেখুন।

https://www.youtube.com/watch?v=QAeoqH8kzXY&t=2679s

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩৯

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: এসব বন্ধ হবে কবে?

২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:২৬

ডাঃ আকন্দ বলেছেন: পৃথিবীতে ভিন্ন দল এবং ভিন্ন মত থাকবেই এবং সব মুসলিম দলই কোরান হাদিস থেকে দলিল দিয়ে থাকে ।

৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:২২

এ আর ১৫ বলেছেন: মুসলমানদের গতিটা কি হবে ? মুসলমানরা কি মুক্ত চিন্তা বা ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা পাবে না । এবার বলুন আমার এই সমস্ত দিবসে কি করা উচিৎ ? এগুলোকে ভুলে কি আঙ্গুল চোষা উচিৎ ? -- যেমন --

ধর্ম নিরোপেক্ষ চেতনায় বিজয় দিবস, ভাষা দিবস, স্বাধীণতা দিবস, মে দিবস যদি আমার পালন করি তাহোলে সেটা হবে হারাম
এখন আমরা ঐ সমস্ত দিবস যদি ইসলামিক কায়দায় কোরানখানি , নামাজ , দোয়াদরুদ পাঠ এবং শেষে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে পালন করি -- তাহোলে ওগুলো হবে বিদ'আত । কারন সোয়াব পাবার উদ্দেশ্য ইসলামে কোন কিছু অন্তর্ভুক্ত করাকে বিদ'আত বলে ।
যেমন মিলাদ , শবেবরাত , ঈদেমিলাদুন নবী , বিশ্ব এস্তেমা সব কিছু হোল বিদ'আত ।

এবার বলুন এই হারাম ও বিদ'আতের ভিতরে পড়ে মুসলমানরা কি ভাবে মুক্ত বুদ্ধির চর্চা করবে । কোন কিছু ধর্মনিরোপেক্ষ চেতনায় করলে হবে হারাম আর ইসলামী চেতনায় করলে হবে বিদ'আত । এখন কি মুসলমানরা তাদের কৃষ্ঠি কালচার এবং ঐতিয্যকে ভুলে যাবে ?

৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: সমস্যা হলো- মানুষের ভিতরে করুনা ও নিষ্ঠুরতা দু রকমের বীজই থাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.