নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
এক মহিলার ঘটনা শুনলাম। আপনাদের বলি।
ভদ্রমহিলা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স কমপ্লিট করেছেন। তাঁর বিয়ে হয়েছে (এরেঞ্জড) এমন এক ছেলের সাথে সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের বিভাগে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হওয়া ছেলে। প্রচন্ড মেধাবী বোঝাই যায়। মহিলার বিয়ের পেছনে শিক্ষাগত যোগ্যতার চেয়েও বেশি প্রাধান্য পেয়েছে তাঁর রূপ, ঢাকা শহরে তাঁর বাবার বাড়ি ইত্যাদি।
বিয়ের পরে জানা গেল মাস্টার্স পাশ করলেও মহিলা ততটা স্মার্ট নন। আইকিউ কম, সহজ সরলই কেবল নন, বোকাও।
আদর্শ গৃহিণীর মতন তিনি বছর ঘুরতেই সংসারে বাচ্চা নামিয়ে আনলেন। স্বামীর সংসার সামলালেন। শ্বাশুড়ি ননদের অত্যাচার সহ্য করেও হাসিমুখে সংসার করে গেলেন।
এখানে একটি পয়েন্ট মাথায় রাখুন। কিছু ননদ-শ্বাশুড়ীকে ঐশ্বরিয়া রাই এনে দিলেও ফাজলামি বন্ধ করবে না। এদের হাড্ডিতে হাড্ডিতে বদমাইশি। দুর্ভাগ্যবশত মহিলার ভাগ্যে ছিল এমন শ্বাশুড়ি ননদ।
স্বামীরও মেজাজ খারাপ থাকে মহিলার উপর। স্বাভাবিক। রূপে মুগ্ধ হয়ে কতদিন সংসার করা যায়? সে নিজে ভীষণ বুদ্ধিমান, স্মার্ট এক ছেলে। সে যখন নিজের বৌয়ের সাথে কথাবার্তা, নিজের ইমোশন শেয়ার করবে, বৌ যদি সমান রেস্পন্স না দেয়, তাহলেতো ঝামেলা বাঁধবেই। সে বৌর সাথে দুর্ব্যবহার করে। কথায় কথায় অপমান করে। মহিলা মুখ বুজে সহ্য করেন।
ভদ্রমহিলার নিজের বাবা মারা গেছেন। যে শ্বশুর বিয়ে দিয়েছেন, তিনিও মারা গেছেন। স্বামীর সংসারে তাঁর কোন অভিভাবক নেই। বুড়ো মায়ের কাছে ফেরত যাবেন? কিভাবে বৃদ্ধ বয়সে তিনি তাঁর ডিভোর্সি মেয়ের দায়িত্ব নেবেন? ও আচ্ছা, বলা হয়নি, মহিলা কোন চাকরি করেন না। কারন, "স্বামীর কামাই যথেষ্ট, মহিলাদের এত টাকার লোভ কেন থাকবে যে চাকরি করতে হবে?"
তো বৃদ্ধা মা সব শুনে নিজের চোখের পানি ফেলতে ফেলতে মেয়েকে স্বামীর বাড়িতে ফেরত পাঠান।
"সহ্য করে যা মা। মেয়েদের ধৈর্য্য ধরা শিখতে হয়।"
মহিলার ভাইবোন নিজেদের সংসার নিয়েই হিমশিম খাচ্ছে। কার ঠ্যাকা পড়েছে বাড়তি বোঝা টানার? সবারই সংসারে টুকিটাকি ঝামেলা হয়। সামলাতে না পারলে তোমার দোষ।
অতি সম্প্রতি জানা গেছে মহিলার স্বামীর বাইরে এফেয়ার আছে। কথায় কথায় আগে অপমান করতো, এখন ডিভোর্সের হুমকি দেয়। মহিলার শ্বাশুড়ি ননদ সে কথায় তাল দেয়। বলেছিলাম না, কিছু শ্বাশুড়ি ননদ জন্ম থেকেই হারামি হয়ে থাকে।
মহিলার বাচ্চারাও তাঁকে সম্মান করেনা। ওদের দোষ দিবেন কোন যুক্তিতে? ওরা জন্ম থেকেই দেখে এসেছে, শিখে এসেছে তাঁদের মাকে সবাই অপমান করে। তারাও সেটাই করে। যে বাচ্চা এখনও স্কুল পাশ করেনি, সে মাকে অশিক্ষিত, মূর্খ ইত্যাদি বলে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে।
এই কারণেই আমি সব সময়ে বলি, ছেলে মেয়েদের মানুষ বানাতে চাইলে ওদের সামনে দেখান আপনি আপনার স্পাউসকে কতটা সম্মান করেন। যদি দেখেন ছেলে মেয়ে তাঁর বাবা বা মায়ের সাথে বেয়াদবি করছে, জায়গায় দাঁড়িয়ে কষে চড় দিবেন। আপনার স্বামী/স্ত্রীর সাথে ঝগড়া মনোমালিন্য করার অধিকার আপনার আছে, ওদের নেই। ওদের বাবা/মা - কাজেই ওদের সম্মান করতেই হবে।
মহিলা স্বামীর পা চেপে ধরে সংসারে টিকে আছে। স্বামী বাইরে এফেয়ার করুক, কোন সমস্যা নাই। তাঁকে যেন তালাক না দেয়।
সে ভাল করেই জানে, তালাক দিলেই সে রাস্তায় নেমে যাবে। তাঁর যাবার কোন জায়গা নেই। যেহেতু কোন জব এক্সপিরিয়েন্স নাই, মাস্টার্স ডিগ্রি এখন কোন কাজে আসবেনা। মহিলার বোধশক্তিও কম। আগেই বলেছি, সহজ সরল। কর্পোরেট দুনিয়া স্মার্ট মানুষদের জন্য। কর্পোরেট দুনিয়া খুবই নিষ্ঠুর।
এখন আপনারা বলেন, আপনারা কী চান আপনার মেয়ে, আপনার বোন, আপনার মা এই মহিলার মত অবস্থায় পড়ুক?
আজকের পত্রিকার শিরোনাম, শফি হুজুর নাকি লোকজনের থেকে ওয়াদা নিচ্ছেন মেয়েদের ক্লাস ফোর ফাইভের বেশি না পড়াতে। স্বামীর টাকায় সংসার চালাতে। স্বামীর টাকা পয়সার হিসেবে রাখতে পারলেই যথেষ্ট। আর শিক্ষার দরকার নাই। বিএ এমএ পাশ করে ফেললে মেয়ে আর নিজের থাকেনা, অন্যের হয়ে যায়।
যার যার অপিনিয়ন শেয়ার করার অধিকার স্বাধীন বাংলাদেশে আছে। তিনি তাঁর অপিনিয়ন দিয়েছেন। তিনি চান, তাঁর মেয়ের জামাই বদমাইশি করলেও তাঁর মেয়ে লোকটার পা জড়িয়ে ধরে সংসারে টিকে থাকুক।
গোল বাঁধিয়ে ফেলেছেন একটি কথা বলে। "মহানবীর (সা.) আদর্শের মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত শান্তি। যাঁরা মহানবীর (সা.) আদর্শ অনুসরণ করবেন তাঁরা দুনিয়া ও আখিরাতে শান্তিতে থাকবেন। পরকালে তাঁরাই হবেন সফল ব্যক্তি।"
কথা হচ্ছে, মেয়েদের শিক্ষা না দেয়াটা কী আসলেই মহানবীর (সঃ) আদর্শ? ফাজলামি করো?
মহানবী(সঃ) কোথাওই বলেন নাই, নারীদের শিক্ষা গ্রহণ নিষেধ। তাঁর সময়ে শিক্ষার জন্য কোন স্কুল কলেজ ছিল না। হাদিস কুরআন বাড়িতে বসেই শেখানো হতো। এবং তাঁর নিজের স্ত্রী, হজরত আয়েশা সেই হিসেবে একজন ইনস্টিটিউশন। আমাদের ধর্ম টিকে আছে তাঁর বর্ননা করা হাদিসের ভিত্তির উপর। ইসলামের ইতিহাসের সেরা স্কলারদের একজন তিনি। উম্মুল মুমিনীন।
তাঁর স্ত্রী হাফসাকে (রাঃ) লেখাপড়া শেখাতেন শিফা বিনতে আব্দুল্লাহ নামের আরেক নারী। যেই মহিলা উমারের (রাঃ) খিলাফতে মদিনা মার্কেটের "সিকিউরিটি এবং এক্সচেঞ্জ কমিশন" ছিলেন। দুর্নীতি রোধে তাঁর আইনই ছিল উমারের (রাঃ) আইন।
নবী (সঃ) নিজে মসজিদে নববীতে বসে নারীদের "ইসলাম শিক্ষা" শিখিয়েছেন। তখনকার যুগের ইসলামিক ইউনিভার্সিটি বলতে এই মসজিদে নববীই ছিল। আহলে সুফ্ফাতো (people of Suffa) এখানে বসেই শিক্ষা নিতেন।
কুরআনের নাজেল হওয়া প্রথম শব্দ ইক্বরা, যার মানে পড়। সেখানে কোথাও বলা হয়নি পুরুষ হলেই কেবল পড়বে, মেয়ে হলে নয়।
শফি হুজুর কোন লজিকে কী বলেন আল্লাহ মালুম। বার্ধক্য গুণনাশীনি। তিনি বুড়ো হয়ে গেছেন, কী বলতে কী বলেন সেটা তিনি নিজেও বুঝেন কিনা জানিনা। তবে চিন্তার বিষয় হচ্ছে যেসব ফলোয়ার কিছু না বুঝেই "ওয়াদা" করে ফেলেন তাঁদের নিয়ে। কমন সেন্স বলে, যদি আক্ষরিক অর্থেই আমাদের সুন্নাহ ফলো করতে হয়, তাহলে আমাদের নবী (সঃ) নিজেও ছিলেন উম্মি। তাঁর অক্ষরজ্ঞান ছিল না। তখনকার আরবে খুব কম মানুষ লেখাপড়া শেখার মতন সৌভাগ্যবান ছিলেন। যদি নারী শিক্ষা ইসলামে নিষিদ্ধই হয়, তাহলে এই যে আমরা ছেলেরা পড়াশোনা করি, স্কুল কলেজে যাই - সেটাওতো একই লজিকে হারাম হয়ে যাবে।
ইসলাম বরাবরই শিক্ষার্জনের উৎসাহ দিয়ে আসে। সাহাবীগণ এইটা উপলব্ধি করেছিলেন বলেই মাত্র কয়েক বছর বর্বর বেদুইনদের নিয়ে তাঁরা বিশ্বের পরাশক্তি হয়ে গিয়েছিলেন। গ্রীক, ভারতীয়, পারস্য - যাবতীয় সভ্যতার শিক্ষা গ্রহণ করেই ইসলাম নিজের সাম্রাজ্য বিস্তার করেছিল।
আমাদের আফসোস, আমাদের মাওলানারা এখনও নব্যপ্রস্তর যুগেই পড়ে আছেন। যেখানে তাঁদের বয়ান হবার কথা কিভাবে নিজের ছেলেমেয়েদের আদর্শ সন্তান হিসেবে গড়ে তুলতে হয়, কিভাবে চরিত্রবান করে তুলতে হয়, কিভাবে বিরুদ্ধে স্রোতেও নিজেকে সামলাতে হয়, কিভাবে নিজ ধর্মকে জানতে হয়, ভালবাসতে হয়, জ্ঞান-বিজ্ঞানের সর্বক্ষেত্রে "এক্সেলেন্ট" হতে হয় - সেখানে এরা ফালতু ওয়াদা নিয়ে বেড়ায়। যেই মেয়ে পড়াশোনাকে ভালবাসে, যে স্বপ্ন দেখে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হবার, সে যখন দেখবে তাঁর এলাকার হুজুর ফতোয়া দিয়ে বেড়াচ্ছে ইসলামে নারী শিক্ষা হারাম, সে তখন কাকে ঘৃণা করবে? হুজুরকে? না। সে ঘৃণা করবে ইসলামকে। কারন তাঁর কাছে তাঁর ধর্মকে এইভাবেই প্রচার করা হচ্ছে।
একটা ব্যাপারে খুব অবাক হই। এই হুজুররাই নিজের প্রেগন্যান্ট স্ত্রী, কন্যা বা পরিবারের মহিলাদের যে কোন অসুস্থতায় নারী ডাক্তারের খোঁজ করেন। আল্লাহ না করুক, যদি কোন কারনে কোন মুসলিম নারীর অপঘাতে মৃত্যু হয়, এবং তাঁর পোস্টমর্টেমের প্রয়োজন হয়, আন্তর্জাতিক ইসলামিক শরিয়া আইন অনুযায়ী সেই নারীর মরদেহ পরীক্ষা করার জন্য মেয়ে ডাক্তারকে নিয়োগ দেয়ার কথা বলা হয়েছে। না পেলে ভিন্ন কথা। এখন মেয়েদের ফাইভ পর্যন্ত পড়ালে ডাক্তারি পাশ কী আসমানী কিতাব পড়ে করবে? এদের মাথার লজিক আসলে কই থাকে? আদৌ কী লজিক কাজ করে?
আপনার মেয়েকে এখন আপনি কী বানাবেন সেটা আপনার সিদ্ধান্ত। উপরে যে উদাহরনটা দিলাম, সেটা আল্লাহ না করুক, আপনার মেয়ের সাথেও ঘটতে পারে। সেই মেয়েটিকে তাঁর বাবা মা শিক্ষিতা বানিয়েছেন, তারপরেও তাঁর এই পরিণতি। ফাইভ পাশ হলেতো মরেই যেত। আজকে সেই মেয়ের চাকরি করার মানসিকতা থাকলে, হয়তো পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারতো। আপনার মেয়ের যদি এই পরিণতি হয়, সেজন্য আপনিও দায়ী থাকবেন বহুলাংশে।
সিদ্ধান্ত আপনার।
২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:০৮
ঢাকার লোক বলেছেন: আল্লাহ পাক বলেন, ". . .যারা জানে এবং যারা জানে না; তারা কি সমান হতে পারে?
أَمَّنْ هُوَ قَانِتٌ آنَاء اللَّيْلِ سَاجِدًا وَقَائِمًا يَحْذَرُ الْآخِرَةَ وَيَرْجُو رَحْمَةَ رَبِّهِ قُلْ هَلْ يَسْتَوِي الَّذِينَ يَعْلَمُونَ وَالَّذِينَ لَا يَعْلَمُونَ إِنَّمَا يَتَذَكَّرُ أُوْلُوا الْأَلْبَابِ
"যে ব্যক্তি রাত্রিকালে সেজদার মাধ্যমে অথবা দাঁড়িয়ে এবাদত করে, পরকালের আশংকা রাখে এবং তার পালনকর্তার রহমত প্রত্যাশা করে, সে কি তার সমান, যে এরূপ করে না; বলুন, যারা জানে এবং যারা জানে না; তারা কি সমান হতে পারে? চিন্তা-ভাবনা কেবল তারাই করে, যারা বুদ্ধিমান ।" (৩৯:৯)
৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৫:২৪
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: নারীরাই নারীদের শত্রু। আর সাফী হুজুরদের ভুল ব্যাখ্যা, ভুল উপদেশ তো আছেই।
উনারা ১৪০০-১৫০০ বছর আগের দুনিয়া আর এখনকার দুনিয়ার এক করে ফেলেন- এটাই উনাদের সমস্যা।
এসব ফাও পরামর্শ না দিয়ে যদি মেয়েদের জন্য ইসলামি পর্দা, আদবকায়দা গুরুত্ব স্কুল-কলেজ, ভার্সিটি নির্মাণের পরামর্শ দিতেন তাহলে মানুষ উপকৃত হতো।
৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৩০
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে যুক্তিপূর্ণ লেখাটির জন্য | শফি হুজুরের বয়ান শুনে আমি আপনার মতোই ভাবছিলাম | এই সকল চরমপন্থীদের জন্যই দুনিয়া জুড়ে মুসলিমদের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে | এরা ধর্মকে নিজের মতো কাস্টমাইজ করে থাকে তাদের অনুসারীদের নিকট জনপ্রিয়তা অর্জন এবং তাদের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য | এরা ক্ষমতা ও অর্থের লোভে সাপের গেলেও চুমু খেতে পারে | ইসলামকে এরা সামনে এগিয়ে নেয়ার বদলে মধ্যযুগে নিয়ে যেতে চায় তাদের নিজেদের সুবিধার জন্য | জাতি হিসাবে আমাদের চরম দুর্ভাগ্য যে তেঁতুল হুজুর এবং লেজে হোমো এরশাদের মতো বকধার্মিকদের অনুসারীদের সংখ্যা নেয়াহেত কম নয় |
৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৪৪
ভাবুক শিশু বলেছেন: আগের চেয়ে এখন অধিক মেয়ে স্কুলে যাচ্ছ । আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে ।কিম্তু নীতি নৈতিকতার দিকদিয়ে সমাজ কি এগিয়েছে নাকি পিছিয়েছে ? কোনভাবেই বলতে পারবেননা এগিয়েছে । সারাদিন স্কুল, বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড, সং, পর্ণ আর হ্যাগউট ।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:০১
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: এসবের সমাধান কী তাহলে? নিজের ধর্ম, নিজের সীমারেখা সম্পর্কে বেশি জানা, নাকি পড়ালেখাই বন্ধ করে দেয়া? ছেলে মেয়ে পর্ন দেখছে, রাউটার ফিল্টার/রেস্ট্রিক্তেড করে দিন যাতে পর্ন দেখতে না পারে। হ্যাংআউট করছে, নিষেধাজ্ঞা জারি করুন। নজর রাখুন যাতে বয়ফ্রেন্ড না বানায়। মাথায় ঢুকিয়ে দিন কেন যার তার সাথে প্রেম করা খারাপ এবং বিপজ্জনক।
৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: এই ধরনের শফি হুজুরেরা দেশকে পেছনে নিয়ে যেতে চায়।
ভাবতে অবাক লাগে এই যুগে এসেও এরকম মানসিকতার লোক আছে।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৫৭
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আফসোস এখানেই।
৭| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:১৬
অভি চৌধুরী বলেছেন: এখনো খাট থেইক্কা পুরোপুরো উঠি নাই, আধা শুইয়া ব্লগে চোখ রাখতেই শফি হুজুর শিরোনাম পোস্টে ঢু মারলাম, চোখে ঘুম লইয়া কোন বিষয় কতা কওন যায়না, আমারতো এইহানে কিছু কওনি লাগবো, কি কমু হেইডাই ভাবতাছি,
শফি হুজুররা বাইরের জগতের কথিত শিক্ষিত মানুষদের ভয় পায়,তাই তারা তাদেরকে একটা সীমানার মধ্যে ধরে রাখে, তারা জানে মুর্খ মানুষের ক্ষমতা কম, শিক্ষিত শয়তানরা ক্ষমতা ধর তাদের সাথে তারা পেরে উঠবেনা কোন কালেই, শফি হুজুরের এই ছোট মাথার মানুষ গুলো জীবনের সাথে লড়াই করা মানুষ,প্রচন্ড খেটে বাঁচা সংসারই তাদের শেষ সম্বল, এরা ভাতের চেয়ে বউ ঝিএর হাত পাখার বাতাস বেশি খেয়ে বাঁচা মানুষ। এরা ভাত কম খেয়ে সংসারের মমতা ভালোবাসাই বেশি খেয়ে বাঁচে,এরা ভয় পায় বাইরের জগতটাকে,ভয় পায় শিক্ষত কিছু শয়তানদেরকে,তাই তাদের এমন দুর্বল যুক্তিই মেনে নিতে হয় জেনে শুনে, সমাজে শিক্ষিত শয়তান কমে গেলে ওদেরকে বের করে নিয়ে আসা যাবে একদিন।এই কাজ একদিন সু-শিক্ষিতরাই করবে যেদিন সবাই ধর্ম বুঝবে,ধর্ম সেদিন শফি হুজররাও বুঝবে।
৮| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:২১
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: একটা সত্য কথা বলি, উনার বয়স হয়ে গেছে অনেক।তাই এসব কথা বলছে।বুদ্ধিমানের কাজ হবে এসব কথায় কান না দেয়া।
৯| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৭
আরোগ্য বলেছেন: আপনার লেখা আমার সবসময়ই ভালো লাগে। এই ধরনের যুক্তিযুক্ত ইসলামিক লেখা ব্লগে খুব কম দেখি।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:০২
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ
১০| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১৯
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: দেখুন, আপনার এই লেখাটি তো শফী হুজুরের বয়ানকেই বরং শক্তিশালী করবে। ভদ্র মহিলা মাস্টার্স পাশ, তার উপরে সুন্দরী। অথচ উনার দাম্পত্য জীবন পুরোপুরি ব্যর্থ। এদিকে বাংলাদেশের বিদ্যমান সমাজ ব্যবস্থার কারনে তালাক নেবার সাহসটুকুও উনার নেই। শফী হুজুর তো সেরকমটিই বলে থাকেন যে পড়াশোনা করিয়ে কি লাভ, বরং মেয়েদের ঘরের কাজে সুনিপুনা বানিয়ে দাও। তাহলেই তাদের দাম্পত্য জীবন সুন্দর হবে। ওটাই নারীদের একমাত্র ঠিকানা।
বিবাহ বিচ্ছেদ আমি নিজেও সমর্থন করিনা, কিন্তু যখন বিয়েটা হয়ে পড়ে জীবন ধ্বংসের কারন তখন তো আর কোন উপায় থাকে না। ভদ্র মহিলা সম্ভবত প্রতিকূল পরিবেশের প্রতিকূলতায় অসহায়ভাবে আত্মসমর্পন করেছেন। নতুবা সন্তানদের কাছ থেকে কেন সাপোর্ট পাচ্ছেন না? জীবন একটি যুদ্ধক্ষেত্র ব্যতিরেকে কিছুই নয়। উনার উচিত হবে সব প্রতিকূলতাকে পায়ে ঠেলে সন্তানদের সেবা যত্ন করে তাদের নিজের কাছে টেনে নেয়া। তিনি মনে হয় না সেটা করছেন। সেকারনে সন্তানরা উনার থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। মাতৃত্ব এক অমূল্য সম্পদ। শুধু এই কারনেই নারীরা পৃথিবী শাসন করে থাকে। তিনি সেখানে কেন ব্যর্থ হচ্ছেন সেটা উনার খতিয়ে দেখা দরকার। মাস্টার্স পাশ একজন এতটা আহাম্মক হতে পারে না।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৫৭
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: জ্বি, না, এই গল্পে দেখছেন যে ভদ্রমহিলা মাস্টার্স পাশ করার পরেও কেবলমাত্র বুদ্ধিকম থাকার কারনে উচ্চশিক্ষিত এবং মেধাবী স্বামীর মন জয় করতে পারলো না - সেক্ষেত্রে মূর্খ হলেতো কথাই ছিল না।
এই মহিলা যদি পড়ালেখার পর চাকরি বাকরি করে নিজের ভিত্তি শক্ত করতেন, তাহলেও স্বামীর এমন অন্যায় তাঁকে মানতে হতো না।
১১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩২
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: এবার আসা যাক শফী হুজুর সহ যারা নারী শিক্ষাকে ভয় পায় তাদের বিষয়ে। তাদের ধারনা মেয়েরা পড়াশুনা করলে অবাধ্য হয়ে যাবে, স্বামীর কথা শুনবে না, পরিবারে ভাংগন আসবে ইত্যাদি ইত্যাদি। সে কারনে নিজেদের এসব মতামতকে উনারা ইসলামের মোড়ক দিয়ে বাজারজাত করতে চান। কিন্তু আজকের নারীরা পড়াশোনার মাধ্যমে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমান করতে পেরেছেন বলেই বিয়ের বাজারে সবার আগে দেখা হয় মেয়েটির পড়াশোনা কতদূর। আমি এখন আর শিক্ষিত মেয়েদের জন্য ভয় করি না, কারন সে নিজেই নিজের জীবনের দায়িত্ব নিতে সক্ষম। আমি ভয় করি অশিক্ষিত মেয়েটির জন্য, নানা কারনে যে মেয়েটি পড়াশোনা করতে পারেনি তার জন্য। সে মেয়েটিকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে আমাদের সমাজের আরো সচেতন হওয় প্রয়োজন। পড়াশোনা ব্যতিরেকে অন্যান্য যেসব প্রফেশন রয়েছে সেসবে গুরুত্ব আরোপ করা। সবাই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে নারীরা তো বটেই, বরং প্রতিবন্ধীরাও সম্পদে পরিনত হবে। এই শফী হুজুরকে আর নিজের প্রতিবন্ধী মেয়েকে বিয়ের জন্য বেহেশতের মূলা ঝুলাতে হবে না। তখন শফী হুজুরই বরং আশ্বস্ত বোধ করবেন যে তার প্রতিবন্ধী কন্যা সমাজের কাছে একজন সম্পদ, বোঝা নন।
১২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৫৫
জাহিদ হাসান বলেছেন: শফি হুজুরদের মত মানুষদের কারণে পৃথিবীতে মুসলমানদের এত দুর্দশা। ইসলামের চরম ক্ষতি করায় শফি হুজুরের বিচার করা উচিত।
১৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:১১
ইব্রাহীম আই কে বলেছেন: এটুকু বলা যায় পোস্ট এর প্রথমে উল্লেখ করা গল্পটা গল্প বই কিছুই নয়!
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:০৩
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: জ্বি না ভাই, আমাদের নিচতলার ভাড়াটের কাহিনী। এমনভাবে দাবি করলেন যেন এমন ঘটনা আশেপাশে ঘটে না। যদি আপনার মনে হয়ে থাকে ঘটে না, তাহলে চোখ খুলুন, আশেপাশে দেখুন। আপনি এখনও কোমলমতি শিশু রয়ে গেছেন।
১৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:৫৫
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আধুনিক যুগে বাস করে
বোকার র্স্বগে ভ্রমন
..............................................................
তাহলে সভ্যতার প্রয়োজন কি ???
১৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৪৪
সোহানী বলেছেন: মন্জুর ভাই, এই বুড়ার আয় রোজগারই এইসব ছাগল মার্কা কথাবার্তা বলে। যত বেশী এ ধরনের উল্পাপাল্টা কথা বলবে ততবেশী তার মুুরিদ বাড়বে। এ নিয়ে আমরা কেন চিন্তিত!!! যত বেশী গুড়ুত্ব দিবো ততবেশী সে উল্পাপাল্টা কথা বলবে। ওকে এখন নেত্রীর পাশের সিটে না বসিয়ে মানসিক হাসপাতালে বসানো দরকার ।
১৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:১২
ইব্রাহীম আই কে বলেছেন: জ্বি না ভাই, আমাদের নিচতলার ভাড়াটের কাহিনী। আমি আপনার লেখা পড়ার পূর্বেই এই গল্পটা বিভিন্ন অনলাইনে গ্রুপে পড়েছি, অনেক যায়গায় এটার প্রকৃত লেখা থেকে বিকৃত লেখাও পড়েছি (কোনটা আসল লেখা যদিও আমি জানিনা)। অথচ ব্লগে এই গল্পটা পরে পড়লাম আর আপনি বলছেন যে আপনাদের নিচতলার ভাড়াটের কাহিনী। (হতে পারে।)
এমনভাবে দাবি করলেন যেন এমন ঘটনা আশেপাশে ঘটে না। আশেপাশে কিছু ঘটা, সেটার বাস্তবতা আর গল্প ভিন্ন জিনিস। (সরি টু সে, আপনার দ্বিতীয় লাইনটা পড়ে প্রথম লাইনটা আপনিই লিখেছিলেন কিনা সেই সন্দেহে পরে গেলাম।)
যদি আপনার মনে হয়ে থাকে ঘটে না, তাহলে চোখ খুলুন, আশেপাশে দেখুন। আপনি এখনও কোমলমতি শিশু রয়ে গেছেন। ঘটে, এর থেকেও জঘন্য ঘটনা ঘটে। অস্বীকার করার উপায় নেই।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৪:২৫
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ফেসবুক গ্রূপ ক্যানভাসে এই লেখাটিই আমি লিখেছি। এবং যথারীতি সবাই কপি পেস্ট করে নিজের নিজের ওয়ালে এবং গ্রূপে নিজের নামে শেয়ার করেছে।
আমাদের নিচ তলার মহিলার গল্প যদি আপনি এর আগে অন্য কোথাও পড়ে থাকেন, খুবই ভাল। এর মানে ঘটনাটি খুবই কমন, অহরহই ঘটছে।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৪৪
ডিএস তারেক বলেছেন: কি বলবো ? কোন পক্ষে বলবো তাও মাঝে মধ্যে ভেবে পাই না ।