নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুশফিকের টাইগার লোগো টেপে ঢাকা ও তাঁর দেশোদ্রোহিতা

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৩৯

পরিচিত একজন একটি ছবি ইনবক্সে দিয়ে বললেন, "আপনার মন্তব্য কী?"
আমি কোন ঘোড়ার আন্ডা ব্যক্তি না যে প্রতিটা বিষয়ে আমার মন্তব্য গুরুত্ব বহন করবে। এবং সব বিষয়ে নাক গলানো পছন্দও করিনা। তবে যে ছবির কথা বলছি, সেটা নিয়ে দুয়েকটা কথা লেখা বোধয় উচিৎ। যেহেতু অনেক বিজ্ঞ অভিজ্ঞ শিক্ষিত অশিক্ষিত লোকজন নিজের অবস্থান তুলে ধরেছেন। আমিও না হয় তুলে ধরলাম।
তবে তার আগে একটি প্রশ্ন করি। সততার সাথে জবাব দিবেন।
যদি বলি "আমি একজনকে চিনি যিনি কুরআন শরীফ আগুনে পুড়িয়ে ফেলেছিলেন।"
এই তথ্য শুনে আপনি কী করবেন?
উত্তরটা আমিই দিচ্ছি।
আপনি মুসলিম হিসেবে এইটুকু শুনেই সেই লোকটিকে গালাগালি শুরু করে দিবেন। এবং মুসলিম বিদ্বেষী হলে মনে মনে পরিতৃপ্ত হবেন। মনে মনে বলবেন, "খুব ভাল করেছে।" হয়তো আপনার লেখনী, আপনার কথাবার্তায় সেই ফুর্তি ফুটেও উঠবে। ঠিক না?
এখন যদি বলি লোকটি একজন গন্যমান্য ইসলামিক স্কলার, তাহলে আপনি মুসলিম হলে লোকটিকে অবশ্যই "মুনাফেক" গালি দিবেন। ইহুদি নাসারার দালাল, ছদ্মবেশী ইবলিস, দাজ্জাল ইত্যাদি উপাধি দিবেন। মুসলিমবিদ্বেষী হলে অনুসন্ধানী দৃষ্টিতে আমার কাছে জানতে চাইবেন তাঁর নামটা কী। তাহলে আপনার ভবিষ্যতের কোন "মুসলিমদের ভণ্ডামি" নিয়ে লেখা বা তর্ক বিতর্কে এই রেফারেন্সটা দিতে পারবেন।
এখন যদি বলি লোকটির নাম উসমান ইব্ন আফ্ফান (রাঃ), ইসলামের তৃতীয় খলিফা, নবীজির (সঃ) অন্যতম প্রিয়তম সাহাবী, তাঁর পরিবারের একান্ত আপন সদস্য,......তখন?
এতক্ষন গালাগালি করা মুসলিমদের মুখে জোকের লবন পড়ে যাবে। আর মুসলিমবিদ্বেষীরা ভুরু কুঁচকে আমার উপর বিরক্ত হবেন। মশলা কষার আগেই পানি ঢেলে দিলাম।
দুই পক্ষই ভালভাবে জানে ঘটনা সত্য।
এবং উসমান(রাঃ) কুরআনের "একক ভার্সন" নিশ্চিত করার জন্য, কুরআনকে প্রটেক্ট করার জন্য তাঁর সময়ে সমাজে প্রচলিত অন্যান্য ভার্সন পুড়িয়ে ফেলেন। অন্যান্য ভার্সনে হয়তো বাকারা ছিল তেরো নম্বর সূরা, কারোর ভার্সনে পঞ্চাশ। সেটা না করে সূরার ধারাবাহিকতা মেইনটেইন করে একক ভার্সন তিনি নির্ধারণ করে দেন। আজকে তাঁর মাধ্যমেই আল্লাহ পুরো বিশ্বের মুসলিমদের জন্য একক ভার্সনের কুরআন প্রোটেক্ট করেছেন।
কুরআনের প্রতি ঘৃণা থেকে নয়, কুরআনকে ভালবেসেই এই কাজ তিনি করেন।
এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট।
যেকোন বিষয়ে কিছু জেনে না জেনে বিচার শোনাবার আগে বিষয়টা ভালভাবে জানাটা জরুরি। অভিযুক্ত ব্যক্তির নিয়্যত শোনাটাও জরুরি। পুরো পরিস্থিতির উপর যথেষ্ট জ্ঞান রাখা জরুরি। একবার বলা কথা ফিরিয়ে নেয়া অসম্ভব। সেটা হয়তো যে শুনেছে, তাঁর কলিজায় গিয়ে বিদ্ধ হয়। পরে হাজার অনুতপ্ত হলেও যা ক্ষতি করার করা হয়ে যায়।
বলছি মুশফিক রহিমের কথা।
বেচারা পুরো দল সহ মারা পড়তে গিয়েছিল এই কয়েকদিন আগেই। সময়মতন সবকিছু হলে সেদিন তাঁরা মসজিদের ভিতরে থাকতেন। পাঁচটা মিনিট এদিক ওদিক হলেই আজকে আমরা জাতীয় শোক পালন করতাম।
জাতীয় দলের কোচ সুনীল যোশী বলছেন, সেদিন প্রতিটা ক্রিকেটার একজন আরেকজনকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছে।
তামিম ইকবাল নিজেই বলছেন এই ঘটনা ভুলতে তাঁদের অনেকদিন লাগবে।
বুলেট একদম কানে শিস কেটে গেছে। এই ধরনের মেন্টাল ট্রমার মাঝে দল যে নিরাপদে দেশে ফিরেছে, মুশফিক রহিম সেটাই দেশবাসীকে জানাতে ছবি সহ একটি পোস্ট করেছিল। এবং লোকজন সেই ছবিতে দেখলেন তাঁর বুকের উপর বিসিবির লোগোয় টেপ দিয়ে বাঘের ছবি ঢাকা। ব্যস, শুরু হয়ে গেল তোলপাড়!
"রাখ তোদের নিরাপদে দেশে ফেরা, নিকুচি করি তোদের জানের - শালার ব্যাটা, তুই কোন সাহসে বাঘের লোগোতে টেপ লাগালি? ছাগু কোথাকার! বেঈমান রাজাকার বান্ধব, দেশদ্রোহী কোথাকার!"
কেউ কেউতো প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করলেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার দিবেন। তিনি যেন বিচার করেন এই দেশদ্রোহী খেলোয়াড়ের।
সিরিয়াসলি? তাঁদের কী ধারণা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর খেয়ে দেয়ে কোনই কাজ নেই? তিনি বিচার করবেন দেশের কোন ক্রিকেটার বিসিবির লোগোর উপর টেপ লাগিয়েছে সেই ঘটনার? প্রধানমন্ত্রীর পদবি এতই ফেলনার?

এই ঘটনায় আমাদের দেশি ভাইবোনদের চরিত্রের একটি চরম সত্য প্রকাশ পেয়েছে। আমরা ডানে বামে দুই দিকেই চরমভাবে অসহিষ্ণু একটি জাতি। শিক্ষিত, উচ্চশিক্ষিত থেকে শুরু করে স্বল্প শিক্ষিত বা মূর্খ - সবাই একই রকম আচরণ করি। এবং তা হলো, "My way or no way." নিজের মতাদর্শের বিরুদ্ধে এক চুল পরিমান বিচ্যুতি দেখলেই এমনসব কথা বলতে শুরু করি যা নিজের কাছেও make sense করে কিনা সন্দেহ।
দেশপ্রেমের প্রশ্নে কিছুদিন আগে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণেরই উদাহরণ টানা যাক।
একদিন এক ভাই চরম আহ্লাদে গদগদ হয়ে বলছিলেন, "ভাই, বিশ্বাস করবেন না, রকেটটা যখন যাত্রা শুরু করলো, তখন আমার শরীরের প্রতিটা পশম দাঁড়িয়ে গেল। রক্ত দুলে উঠেছিল। চোখ দিয়ে অঝর ধারায় ঝরছিল অশ্রু। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাস্তবায়ন!"
ভদ্রলোকের কথাবার্তা শুনে আমার নিজেকে এত ছোট মনে হলো। শালার, আমিও স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ঘটনায় আনন্দিত হয়েছিলাম। কিন্তু "অশ্রুতো" ঝরেনি।
তিনি তারপরে ফতোয়া জারি করলেন, "এই ঘটনায় যাদের চোখ সিক্ত হয়না, তাঁরা বাঙালি নয়। তারা একাত্তরের পরাজিত শক্তি, জামাত শিবির।"
আমি আরও চুপসে গেলাম। তখনই খেয়াল হলো, সেদিন সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রতিক্রিয়া লাইভ দেখেছিলাম। তাঁর গালেও কোন অশ্রুধারা দেখিনি।
আমাদের প্রধানমন্ত্রীকেও দেখলাম ছবিতে। তাঁর চোখ ও গাল শুকনো। হ্যা, দুইজনেরই ঠোঁটে হাসি ছিল বটে। বিজয়ের হাসি।
এখন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে, তাঁর পরিবারের লোকজনের চোখে যদি পানি না আসে, তাহলে বুঝতে হবে আমিও কোন অপরাধকর্ম করিনি। আমার দেশপ্রেম এই ভাইয়ের মতন উচ্চশ্রেণীর না হলেও, মোটামুটি পাশ মার্ক্স পাবার যোগ্য।
সাথে এও মনে পড়ে গেল, বঙ্গবন্ধুর মায়ের মৃত্যুতে হাউমাউ করে কাঁদা পাবলিকের নাম শেখমুজিব নয়, বরং খন্দকার মোশতাক।
বাকিটা বুঝে নিন।

মুশফিককে দেশদ্রোহী বলার আগে শুধু দুইটি ঘটনা মনে করিয়ে দিই। গোল্ডফিশ মেমোরির বাঙালি জাতি যা বেমালুম ভুলে গেছেন বোধ করি।
২০১৭ সালের এই নিউজিল্যান্ড সফরেই ডান হাতের আঙুলে চোট নিয়ে দলের "প্রয়োজনে" খেলতে নেমেছিলেন মুশফিক। টিম সাউদির এক বাউন্সারে তাঁর মাথার পেছনে বল আঘাত হানে। পিচে লুটিয়ে পড়েন মুশফিক। ফিলিপ হিউজের মৃত্যুর ঘটনা তখনও পুরানো হয়নি। সাথে সাথে এম্বুলেন্স ডাকা হয়। হাসপাতাল থেকে ফিরেই আবার ব্যাট হাতে নেমেছিলেন তিনি। এইরকম বীরত্ব খুব বেশি ক্রিকেটার দেখায় না। এত সহজে সেই ঘটনা ভুলে গেলেন?
কিংবা এশিয়া কাপে তামিমের এক হাতে ব্যাট করতে নামা সেই ইনিংসটি? মুশফিক সেই ম্যাচে যে ইনিংসটি খেলেছিল, দেশের ওয়ানডে ইতিহাসের অন্যতম সেরা ম্যাচউইনিং নক ছিল সেটি। জানেন কী, মুশফিক পাঁজরের ইনজুরি নিয়ে সেই টুর্নামেন্টে গিয়েছিল? বিশ্রাম নিলেই পারতেন। কিন্তু জানেন যে আমাদের পঞ্চপান্ডব ছাড়া আমাদের জাতীয় দল অথর্ব। তাই ইনজুরির পরোয়া না করেই তাঁরা কেবল ইমোশনের জোরে খেলতে নামেন।
দলের প্রতি আমাদের ক্রিকেটারদের কমিটমেন্ট এই পর্যায়ের।
ড্রয়িংরুমের আরাম কেদারায় বসে একটি ছবি দেখে তাই জাজমেন্টাল পোস্ট, "দেশদ্রোহী" "রাজাকার" "পাকিবীর্য" ইত্যাদি ডাকার আগে একটু দয়া করুন ওদের উপর। প্লিজ লাগে।
আমাদের সমস্যা হচ্ছে, খুশি হলে আমরা আহ্লাদে মাথায় তুলে ফেলি। আবার একটু এদিক সেদিক হলেই মাটিতে আছড়ে পা দিয়ে কচলাই। বিন্দুমাত্র সময় ব্যয় করিনা। ভাইয়েরা, আমি হয়তো আপনাদের মতন ইমোশনাল না, এবং হতে চাইও না। তাই অনুরোধ করছি, তাঁদের মাথায় তোলার দরকার নেই। প্লিজ, মাটিতে আছড়ে ফেলবেন না। আজকে যদি ছেলেগুলো মরে যেত, তাহলে খুশি হতেন?

হ্যা, অবশ্যই "ক্রিকেটীয় দৃষ্টিকোণ" থেকে মুশফিক বোর্ডের লোগো ঢেকে কোন ভাল কাজ করেনি। বোর্ডের উচিৎ কারন দর্শাও নোটিস দেয়া। মুশফিকেরও ব্যাখ্যা শোনা উচিৎ। কেউ বলছেন নামাজের কারনে তিনি ঢেকেছেন। হতেই পারে, নামাজের একটা ড্রেসকোড আছে। সেটা মেনে চলতেই হয়।
শুধু নামাজই না, এমনিতেও মুসলিমদের অনেক কোড মেনে চলতে হয়। আপনারা মানেন না, সেটা আলাদা ব্যাপার। কিন্তু যে মানছে, তাঁর উপর এত আক্রোশ কেন?
ইংল্যান্ডের বিজয়োৎসবে "শ্যাম্পেন স্নানে" মঈন আলী ও আদিল রশিদ অংশ নেন না। তাঁরা একটু দূরে দাঁড়িয়ে হাতে তালি দিতে দিতে সতীর্থদের আনন্দ হাসিমুখে উপভোগ করেন। ইংল্যান্ড দল বা ব্রিটিশ জাতির কাউকে এই নিয়ে ইস্যু বানাতে শুনিনি।
হাশিম আমলা তাঁর দলের প্রধান স্পন্সর castle lager এর লোগো জার্সিতে পড়েন না। কারন এটি বিয়ার কোম্পানি। ইসলাম চরমভাবে মদ্যপান বিরোধী। এবং ঐতিহাসিকভাবেই চরমভাবে বর্ণবাদী সাউথআফ্রিকার মতন দেশেও এই নিয়ে ইস্যু তৈরী হয়না।
আমাদের দেশে এমন ঘটনা ঘটলে কী হতো বলেনতো?
জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের নামাজ পড়া যদি কারোর কাছে "অপরাধ" মনে হয়ে থাকে, তাহলে কিছু বলার নেই।
আমি বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। মত প্রকাশের স্বাধীনতা সবারই আছে। এবং সাথে এও বিশ্বাস করি, এরও কিছু কায়দা কানুন আছে। সময় আছে। আউট অফ কনটেক্সট গালমন্দ করা কোন সভ্য মানুষের কর্ম হতে পারেনা।
আর যারা দাবি করেন তাঁরাও ফ্রীডম অফ স্পীচ, এক্সপ্রেশন এবং রিলিজনে বিশ্বাসী - তাঁরা বাস্তবে সেটা প্র্যাকটিস করেনতো? উদাহরণেতো দেখিনা।

উপরের লেখার সারসংক্ষেপ লিখেই ইতি টানি।
যদি আসলেই নামাজ কারন হয়ে থাকে, তবে মুশফিকের উচিৎ ছিল নামাজ শেষে টেপ খুলে ফেলা। জাতীয় দলের ক্রিকেটার পুরো বিশ্বের কাছে নিজের দলকে, দেশকে উপস্থাপন করেন। তাঁদের অনেক কিছুই মেনে চলতে হয়।
সেটা না করে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দেয়া অবশ্যই তাঁর ঠিক হয়নি। "টাইগারের লোগো" ইসলামের সাথে সরাসরি কন্ট্রাডিক্টও করেনা যে ওটা গায়ে চড়ালেই দোযখে যাবার মতন গুনাহ হবে।
কিন্তু এইটাও মাথায় রাখতে হবে, যে মেন্টাল ট্রমার মধ্য দিয়ে তাঁরা গেছেন, সে অবস্থায় মস্তিষ্ক সুস্থভাবে কাজ করেনা।
বুদ্ধিমান ও বিবেকবান হলে অবশ্যই আপনাদের বোঝা উচিৎ, এসব নিয়ে ধরাধরি, কাদা ছোড়াছুড়ির সময় এখন না। ছেলেগুলো মাত্রই নিশ্চিত মৃত্যুর হাতে থেকে বেরিয়ে এসেছে। একটু দয়া করুন তাঁদের উপর। একটু সময় দিন। প্লিজ!

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৫৪

স্বপ্নের আগামী বলেছেন: যুগেযুগে কিছু ছাগল বাংলাদেশে ছিলো আছে থাকবে।
আপনার লেখাটি সুন্দর হয়েছে।

২| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:০৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমরা যেভাবে অতশত ভেবেছি, মুশফিক এত কিছু মাথায় নিয়ে এটা পোস্ট করেনি। তার চোখেমুখে আতঙ্ক স্পষ্ট ছিল জাস্ট আমাদের জানাতে চেয়েছে তারা দেশে ফিরে এসেছে। এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি না করাই উত্তম।

৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:১১

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: প্রথমে ভেবেছিলাম, আপনি মুশফিকের এই কাজের সরাসরি বিপক্ষে অবস্থান করে পোস্ট দিয়েছেন। নাহ। পড়ে দেখি সুন্দর আলোচনা করেছেন।

"এই ঘটনায় যাদের চোখ সিক্ত হয়না, তাঁরা
বাঙালি নয়। তারা একাত্তরের পরাজিত
শক্তি, জামাত শিবির।"

এই মন্তব্য দেখে হাসতে হাসতে শেষ আমি...


এইদেশের মানুষের কথা বলে আর লাভ নেই। হয় ডাইরেক্ট পক্ষ নেবে নয় বিপক্ষে অবস্থান করবে?

মধ্যসস্থানে এইদেশের মানুষ থাকতে পারে না।

আর ভাইই, আমি মুশফিকের এই কাজকে অবশ্যই সাপোর্ট করি। জাতীয় দলে খেলার সময় তা করলেওও নিন্দা করতাম না।

কোন এক আলেম বলেছিলেন একবার, সওয়াব হয় এমন কাজের ক্ষেত্রে ভেব না সওয়াব কতটুকু । এটা সওয়াব হয়। অতএব করে ফেল।

গুনাহ এর ক্ষেত্রে ভেবো না ছোট গুনাহ বড় গুনাহ। যে কাজটা গুনাহের সে কাজটটা করোনা। কোন কাজে আল্লাহ খুশি হয় বলা যায় না। ছোট্ট একটি ভাল কাজের জন্য আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করে দিতে পারেন।

কথাটি ভাল লেগেছিল। আর এখন মনে করেছি এইটা এখানে কমেন্ট করা দরকার, তাই কমেন্ট করলাম।



শুভ রাত্রি...

৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:৪৫

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: একটা কথা বলি যত পারবেন ফেসবুকটাকে এড়িয়ে যাবেন ....................

৫| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ২:৩০

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: সুন্দর আলোচনা। +

৬| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৪:১৩

রিফাত হোসেন বলেছেন: +

৭| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: কিছু নির্বোধ লোক চিরকালই থাকবে।
এরা সমাজের শত্রু।

৮| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:৩৮

একে৪৭ বলেছেন: কিছু মানুষ আছে, যারা ছাগু ছাগু করতে করতে কখন যে নিযের অযান্তেই নিজে রাম-ছাগলে পরিণত হয়ে গেছে, তারা তা বুঝতেই পারে না। জামাত-শিবির, পাকিস্তান-রাজাকার এসব বিষয়ে গালিগালাজের মধ্যেই তাদের দেশপ্রেম সিমাবধ্য।
এরা দেশ দেশ করে করে মুখে ফেনা তুললেও বেশিরভাগকেই কখনো এদের মুখে বা লিখায় দেশের জন্য উপকারি গঠনমূলক বিষয় দেখিনি। এরা এতটাই ছাগল, গালিগালাজ সমাধান নয়, সামনে এগিয়ে যাবার কথা বললেও এরা জামাত-শিবির ট্যাগ লাগিয়ে দিবে। এদের মলমন্ত্র একটাই, হয় জামাত-শিবির-পাকিস্তানকে গালি মারো, নাহয় তুমি দেশদ্রোহি, এসব বিষয়ে চুপ থাকাও যাবে না।

আপনার লিখায় শক্তভাবে সহমত।
পরিস্থিতি লজ্যিক্যালি বিচার বিবেচনা না করে মনগরা মত প্রাকাশ, ও সেই মতকে সত্য প্রমানে বেকুব ও নির্লজ্যের মতো একপেশে তর্ক বিতর্কে আমাদের জুরি মেলা ভার।
মত প্রকাশের স্বাধিনতা সবারই দরকার, তবে আমাদের মত প্রকাশের স্বাধিনতাটা অনেকটা বানরের হাতে রাইফেলের মতো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.