নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আগুন সংক্রান্ত জরুরি পোস্ট

২৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১:১৬


আগুন লাগার ঘটনা সবচেয়ে বেশি বোধয় আমেরিকায় ঘটে। আমাদের বাড়িঘর সব কাঠের। তার উপর আমাদের আছে বারবিকিউর অভ্যাস। শর্টসার্কিটের কারনেও ধরে আগুন। এছাড়া আরও নানান ইস্যুতো আছেই। মোট কথা, আগুন লাগলে আমাদের এখানে ছড়াতে সময় লাগেনা।
তাই এখানকার ফায়ার ফাইটারদের নিয়মিত দৌড়ের উপর থাকতে হয়। ইমার্জেন্সি কল পাওয়ার দুই মিনিটের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে হয়।
আমাদের সাধারণ জনতাকেও আগুনের ব্যাপারে শিক্ষিত করা হয়। স্কুল কলেজে শেখানোতো হয়ই, কর্মক্ষেত্রেও নিয়মিত ট্রেনিং দেয়া হয়।
আমার মনে আছে, যখন ওয়ালমার্টে কাজ করতাম, স্থানীয় ফায়ার ফাইটারদের দল আমাদের দোকান থেকেই শপিং করতেন। যারা ওয়ালমার্টে কখনও শপিং করেননি, তাঁদের জ্ঞাতার্থে, ওয়ালমার্ট একটি বিশাআআআআল দোকান। বিশাল মানে আসলেই বিশাল। কমসেকম এক থেকে দুই ঘন্টাতো যাবেই। মাছ-মাংস দোকানের এক প্রান্তে হলে ঘরের জিনিসপত্র দোকানের সম্পূর্ণ উল্টো প্রান্তে। মাঝে দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে ইলেক্ট্রনিক্স, জামা কাপড়, আসবাবপত্র, বইখাতা ইত্যাদি। তো এই ঘন্টাখানেক সময় ব্যয় করে ফায়ারসারিভসের জওয়ানেরা শপিং কার্ট ভর্তি করে বাজার করতেন। ক্যাশিয়ারের কাছে চেকআউট করতে যাবেন, এমন সময়ে ডিস্প্যাচারের বার্তা আসতো। সব ছেড়েছুড়ে সেই দোকান থেকেই দৌড়। এই যে বিগত ঘন্টা খানেকের শপিং আবারও শূন্য থেকে শুরু করতে হবে, এইসবের পরোয়া করার সময় নেই।
আগুন লেগেছে! মানুষের সাহায্য দরকার। প্রতিটা সেকেন্ড জীবন মৃত্যুর মাঝে ব্যবধান গড়ে দেয়। এই শিক্ষাটা কেবল ফায়ার ফাইটারদেরই নেই, সাধারণ জনতারও আছে।
তাই রাস্তায় ফায়ার ট্রাকের সাইরেন শুনলে লোকে সাইড দিয়ে দেয়। যারা দিতে চায়না, তারাও সাইড দিতে বাধ্য। কারন তা না করলে কঠিন শাস্তির বিধান আছে।
রাস্তায় যদি বাম্পার টু বাম্পার ট্রাফিকও হয়, তারপরেও কিভাবে কিভাবে যেন সাইড দেয়া হয়ে যায়। আমি নিজেও আইল্যান্ডের উপর নিজের গাড়ি তুলে দিয়ে একবার সাইড দিয়েছিলাম। আরেকবার রং ওয়েতে গাড়ি সরিয়ে এনে জায়গা দিয়েছিলাম। আর এমনিতে রাস্তায় ভিড় না হলে আমরা সবাই স্রেফ ব্রেক কষে দাঁড়িয়ে যাই, ইমার্জেন্সি ভিহাইক্যাল উল্কার বেগে ছুটে যায়।
তো গত কয়েকদিনে আপনারাও নিশ্চই বুঝে গেছেন যে, আগুন লাগাটা খুবই সিরিয়াস বিষয়। আপনার বাড়িতে আগুন লাগলে আপনি যদি পুড়েও না মরেন, তারপরেও নিঃশ্বাসের সাথে কার্বন টেনে অজ্ঞান হয়ে মরতে পারেন। প্রতিটা সেকেন্ড লাখ টাকার চেয়েও দামি। তাই ফায়ার সার্ভিসের কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করা নৈতিকই নয়, সামাজিক অপরাধও বটে। আমাদের দেশের আইনে এজন্য বিপুল পরিমান অর্থদণ্ডের বিধান চালু করা উচিৎ। পুলিশ জাল ফেলে উৎসুক জনতাকে গ্রেপ্তার করবে। আদালত ওদের লাখ খানেক টাকা জরিমানা করবে। তারপরে সোনার চান্দ বাবাজীদের রাস্তায় দাঁড়িয়ে মোবাইলে ছবি তোলার শখ কিছুটা হলেও মিটবে।

এখন জেনে নেই আগুনের ব্যাপারে কী কী সাবধানতা আমাদের নেয়ার প্রয়োজন।
সবার আগে বুঝতে হবে অগ্নিকাণ্ডের জন্য কী কী উপাদান কাজ করে। যদি সেটা জানতে পারি, তাহলে সাবধান হতে সুবিধা হয়।

১. আগুন অথবা অত্যধিক তাপ। ইংলিশে বললে a source of ignition (heat), হতে পারে সেটা বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট, অথবা অন্য কোন মাধ্যম থেকে। আগুন যদি নাও থাকে, অত্যধিক তাপ থেকেও কিন্তু অগ্নিকান্ড ঘটতে পারে। পুরান ঢাকায় একবার বিয়েবাড়ির রান্নার তাপে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। ঘরে রান্নাবান্নার ফলে অত্যধিক তাপ সৃষ্টি হয়েছিল, নিচে কেমিক্যাল ফেক্টরি থাকায় সেটা আগুন ছড়িয়ে দেয়।

২. জ্বালানি (a source of fuel (something that burns)), আগুন জ্বলার পরে যদি আশেপাশে জ্বালানি থাকে, তবে সেটা সেই আগুনকে শক্তিশালী করে তোলে এবং সেটা ছড়াতে শুরু করে। এইবারও পুরান ঢাকাকে উদাহরণ হিসেবে টানবো। কেমিক্যাল মজুদ করে রাখলে কোন অবস্থায় সেখানে এক স্ফুলিঙ্গ আগুনও যদি পৌঁছে, তাহলেই দাউ দাউ করে আগুন ছড়াতে শুরু করবে।

এবং

৩. অক্সিজেন। অনেকেই জানেন না। অক্সিজেন ছাড়া আগুন জ্বলতে পারেনা। আগুন ধরার সাথে সাথে প্রথম কাজ হচ্ছে ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে ফেলা। বদ্ধ ঘরের হাওয়ায় অক্সিজেন যদি না থাকে, আগুন দূর্বল হয়ে যায়। আপনি নিজেই গ্লাস উল্টো করে কাজকে আগুন ধরিয়ে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। আগুন লাগার সাথে সাথে তাই কেউ বেকুবের মতন জানালার কাঁচ ভাঙার চেষ্টা করবেন না। তাহলেই পুড়ে মরবেন।
একই সাথে খেয়াল রাখতে হবে, সেই ঘরে যেন মানুষ না থাকে। তাহলে অক্সিজেনের অভাবে তিনিও মারা যাবেন।


এই হচ্ছে অগ্নিকাণ্ডের তিনটি কারন। এছাড়া আর কোনই কারন নেই।

তাহলে আমাদের করণীয় কী?

১. আগুন যেন না লাগে, সেটা খেয়াল করা। অফিস আদালতে আগুন নিয়ে কাজকারবার না করাই ভাল। বার্থডে কেকে মোমবাতি জ্বালানো ফরজ না। তারপরেও যদি জ্বালাতে চান, সেখানে অগ্নিকাণ্ডের রিস্ক নেয়া হবে। সেটা কী ঠিক হবে?
এইভাবেই ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতম সম্ভাবনা থাকলেও এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভিতরে ম্যাচের কাঠি, সিগারেট, লাইটার ইত্যাদি এলাউ না করা। চুলা জ্বালানো কাজে ওসব লাগলে নির্দিষ্ট স্থানে রাখুন। অনেক সময়ে শিশুরা না বুঝেই ওসব নিয়ে খেলতে গিয়ে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিতে পারে। বাড়ির বাইরেও জ্বলন্ত সিগারেট, জ্বলন্ত ম্যাচের কাঠি যেখানে সেখানে ছুড়ে না ফেলা। খুব ছোটবেলায় আমাদের চিটাগংয়ের বাসার অদূরে এক বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা দেখেছিলাম। ওটা নাকি কারোর ছুড়ে ফেলা সিগারেটের থেকে শুরু হয়েছিল। আস্ত বস্তি পুড়ে ছাই হয়েছিল, মরেছিল অনেক গরিব মানুষ। কেবলমাত্র একজনের সিগারেটের কারনে।

৩. বৈদ্যুতিক তার, সার্কিট ইত্যাদি নিয়মিত চেক করা। যদি কোথাও কোন ত্রুটি পাওয়া যায়, তাহলে দেরি না করে সাথে সাথে মেরামতের ব্যবস্থা নেয়া। অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে, বৈদ্যুতিক আগুনে পানি ঢালা চলবে না। এতে আগুন ভয়াবহ রূপ নিবে। সেক্ষেত্রে আপনাকে মেইন সুইচ অফ করে দিতে হবে। তারপরে ফোম বা বালি ছিটাতে হবে। কিন্তু পানি না।

৪. দাহ্য পদার্থ বাড়িতে না রাখা। রাখলেও চরম সাবধানতা অবলম্বন করা। বিশেষ করে যেখানে আগুন লাগার বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা থাকে, সেখানে অবশ্যই এসব পদার্থ না রাখা।

৫. প্রতিটা কমার্শিয়াল দালানে ইমার্জেন্সি ফায়ার এক্সিট আছে কিনা সেটা দেখা। যদি না থাকে, তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা করা। যদি তারপরেও কেউ ব্যবস্থা করতে না চায়, তাহলে আইনের আওতায় এনে শাস্তির বিধান করা।

৬. ফায়ার এক্সিট না থাকলে কোন কমার্শিয়াল ভবন নির্মাণের অনুমতি না দেয়া।

৭. প্রতিটা দালানের প্রতি তলায় কিছু দূরত্বে ফায়ার এক্সটিঙ্গুইশারের ব্যবস্থা থাকা। যাতে হাতের নাগালে পাওয়া যায়। এবং সেই দালানে নিয়মিত কাজ করা প্রায় প্রতিটা কর্মচারীকেই কিভাবে ফায়ার এক্সটিঙ্গুইশার ব্যবহার করতে হয় সেটার ট্রেনিং দেয়া। এটা রকেট সায়েন্স না। একটা পিন টেনে একটা লিভার চাপ দিতে হয়। কিন্তু ট্রেনিং না থাকলে এই অতি সহজ কাজটিই তাঁরা করতে অক্ষম হবেন।

৮. মাসে একবার হলেও নিয়মিত ফায়ার ড্রিলের ব্যবস্থা করা। ফায়ার এলার্ম বাজিয়ে ভবন খালি হলে কোনদিক দিয়ে বেরুতে হবে সেটা অনুশীলন করা। যাতে বাস্তবে আগুন লাগলে লোকে দিশেহারা হয়ে না যান।

৯. ফায়ার ডিটেক্টর/এলার্ম প্রতিটা বাড়িতে, প্রতিটা অফিসে রাখা। ব্যাটারি চালিত এইসব এলার্ম ছাদে ঝুলে থাকে। বিন্দুমাত্র শব্দ করেনা। কিন্তু সামান্য ধোয়ারও অস্তিত্ব টের পেলে এমনভাবে চিৎকার চ্যাঁচামেচি শুরু করে দিবে যে আপনি সাবধান হতে বাধ্য। অনেক ক্ষেত্রে অগ্নিকাণ্ডের সময়ে মানুষজন অন্য কাজে ব্যস্ত থাকেন। বুঝতেই পারেননা পাশের ঘরই আগুনে পুড়ছে। যতক্ষনে টের পাবেন, ততক্ষনে সব শেষ।

১০. নিয়মিত উপরের নিয়মগুলোর অনুশীলন করা।

আমাদের দেশে ফ্লাইওভারের চেয়েও জরুরি বিষয় হচ্ছে ফায়ার হাইড্রেন্টের ব্যবস্থা করা। বিদেশের অলিতে গলিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট থাকে। রাস্তাঘাটের অনুষঙ্গ বলা যায়। মানলাম আমাদের দেশের জনসংখ্যা একটু বেশিই। তাই বলে কী তাঁদের প্রাণের মূল্য নেই?

আরেকটা কথা, যেকোন বড় বিপদ আসার আগে ছোটখাটো বিপদ আসতেই থাকে। সিগন্যাল বলতে পারেন। আমরা যাতে সাবধান হতে পারি। আমরা কী আসলেই হচ্ছি? একটা ঠিকঠাক মাত্রার ভূমিকম্প হলে আমরা কী প্রস্তুত জান মালের এই বিপুল ক্ষয়ক্ষতির জন্য? অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা ঢাকা শহর তখন মৃত্যুপুরী হয়ে যাবে। আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন।
এখন সবাই আঙ্গুল তুলে বলছেন রাজউকের নকশা মেনে ঐ সব ভবন নির্মাণ হয়নি। এই কাজটা যদি দশ বছর আগে করতেন, তাহলে কী এই দুর্ঘটনা ঘটতো? ঘুষখোর সরকারি কর্মচারী থেকে বিল্ডিংয়ের লোভী মালিক, সবাই এই মৃত্যুর মিছিলের জন্য দায়ী।
এখনই সময়, ঢাকা শহরের যাবতীয় "আনফিট" বাড়িঘর, যা আছে, হোক সেটা ভূমিকম্পের জন্য রিস্কি, অথবা অগ্নিকাণ্ডের জন্য - সেগুলোকে ফিট বানাতেই হবে। সাময়িক অসুবিধা হবে, কিন্তু আমার সন্তানের অপঘাতে মৃত্যুর সম্ভাবনা যে কমবে, সেটাই কী যথেষ্ট নয়? নাহলে আল্লাহ না করুক, এমন একদিন আসবে যখন আমরা হায় হায় করে কূল পাবো না।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৩:১০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমেরিকায় ও উন্নত দেশসমুহে বহুতল ভবনের প্রতি ইউনিটে স্মুক ডিটেক্টর + ফায়ার এলার্ম থাকে।
সব এলার্ম একসাথে বাজে না, একটা একটা করে বাজে, যাতে শিড়িতে ঠেলাঠেলি হুড়াহুরি না হয়।
ওয়ার হাউস/গোডাউনে নিজস্য সেলফ এক্সটেংগুইশিং স্প্রিঙ্কলার থাকে।
এরপর সিটি ফায়ার সার্ভিস।

২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:০৪

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: সচেতনমূলক পোস্ট। ধন্যবাদ আপনাকে..

৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:৫০

হাবিব বলেছেন: আমাদের দেশের ভবনগুলোতে আগুন লাগলে আমরা কত অসহায় তা দেখেছেি। আপনার পোস্টটা কাজে দিবে অনেককেই।

৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: আমরা যারা ঢাকা শহরে থাকি সারাক্ষন মৃত্যু হাতে নিয়ে চলা ফেরা করি। এছাড়া আমাদের আর অন্য কোনো উপায় নেই।
আমাদের কথা ১০০% বিশ্বাস করবেন। আর নেতারা যা বলে তা মোটেও বিশ্বাস করবেন না।

৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৫

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: সবাই নির্দেশনা দেয় এবং ভালো ভালো নির্দেশনা দেয় কিন্তু সেগুলো মানেই বা কয়জন?

৬| ২৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৪৮

সুমন কর বলেছেন: এতো সুন্দর এবং পরিপাটি পোস্ট থেকেও কেউ কোন দিন কিছু শিখবে না !! রক্ষাকর্তারা সব জানেন কিন্তু ব্যবস্থা নেবে না !!

চমৎকার পোস্ট। +।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.