নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের বিশ্বকাপ স্বপ্ন শেষ

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:০০

আমাদের বিশ্বকাপ স্বপ্ন শেষ। তাই এখন কিছু কথা মন খুলে বলা যেতে পারে। তা আমাদের ক্রিকেটারদের নিয়ে নয়, বরং দর্শকদের নিয়ে। মানে আমি, আপনি, আমরা। যারা এককালে ছিলাম বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সারির দর্শক। বর্তমানে নিজেদের স্ট্যান্ডার্ড কোথায় নিয়ে গিয়েছি সেটা এই লেখার শেষে বুঝতে পারবেন।
প্রথমেই জাতিগতভাবে আমাদের একটি স্বভাব তুলে ধরা যাক।
হুমায়ূন আহমেদের মঞ্চনাটক "১৯৭১" এর একটি ডায়লগ মনে পড়ে গেল। সেটি হচ্ছে, "বাঙালি হইতাছে কান কথার জাতি।"
মানে হচ্ছে, বাঙালির কানে কোন কথা পৌঁছালে সে সত্যমিথ্যা যাচাই করার জন্য বিন্দুমাত্র অপেক্ষা না করে তা বিশ্বাস করে লাইক ও শেয়ার দিয়ে ছড়িয়ে দেয়াকে নিজের পরম ধর্ম মনে করে। কথা ছড়ানোর সময়ে সেখানে মেশানো হবে দেশপ্রেমের আবেগ, কেউ মেলাবে ধর্মীয় মূল্যবোধ, কেউ মেশাবে "আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র" থিওরি। শ্রোতার কাছে যে টপিক পছন্দ হবে সে সেটাই মেনে নিবে। একটু কষ্ট করে যে সত্যতা যাচাই করবে, তা না।

যেমন ইদানিং একটি "গুজব" বেশ আলো বাতাস পাচ্ছে। তা হচ্ছে, "নিউজিল্যান্ডের কোন এক খেলোয়াড়ের সাথে নাকি আকরাম খান কোন এক কালে হ্যান্ডশেক করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু যেহেতু বাংলাদেশ তখন ছিল একটি ছোট দল, তাই তিনি হ্যান্ডশেক করেননি।"
কথাটা কতটা বিশ্বাসযোগ্য?
১. আকরাম খান নিজে বলেছেন?
২. আকরাম এবং সেই খেলোয়াড়ের মাঝের ঘটনায় এই গুজব রটনাকারী উপস্থিত ছিল?
৩. নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়রা নিজেদের আচার আচরণের জন্য পৃথিবীখ্যাত। তাঁদের স্বভাব চরিত্রের সাথে এই তত্ব যায়?
৪. বাংলাদেশের চেয়েও ছোট দল কী পৃথিবীতে তখন ছিল না? নেদারল্যান্ড, কেনিয়া, পাপুয়া নিউগিনি ইত্যাদি দলের খেলোয়াড়দের কখনও এমন অভিযোগ করতে শোনা গেছে? আইসিসি কী এইসব অভিযোগ শুনলে সহজে মাফ করে দিবে বলে আপনাদের ধারণা? সাউথ আফ্রিকাকে বর্ণবাদের অভিযোগে কত বছর নিষিদ্ধ করেছিল জানেন?
এইরকম অনেকগুলো পয়েন্ট দাঁড় করানো যাবে, এবং বেশিরভাগের পাশে টিক চিহ্ন থাকতে হবে। ক্রস চিহ্ন মানেই বাতিল।
এখানে যত পয়েন্ট দাঁড় করাই, সবইতো ক্রসড। অথচ দাবানলের মতন গুজবটি ফেসবুকে ছড়ানো হচ্ছে। আমাদের সমস্যাটা কী?

কিছুদিন আগেই মাশরাফির গায়ে হাত দিয়েছিল এক ভক্ত, মাশরাফি গা ঝাড়া দিয়ে নিজেকে ছাড়িয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিও, কারোর চোখ এড়ানোর কথা না। তাহলে কী এই ভিডিও থেকে ধরে নেয়া যায় ভক্তটিকে ছোট করতেই মাশরাফি এই কাজ করেছে? জ্বি না। সহজ লজিক হলো যেকোন সময়ে যার তার শরীরে হাত দেয়ার অধিকার কারোর নেই। মানুষের মেজাজ সবসময়েই ভাল থাকে না যে, যে কেউ যখন তখন এসে গা হাতড়ে দিবে। আউট অফ কন্টেক্স্ট কোন কথা শুনে দেখে বুঝে চট করে বিশ্বাস করা মূর্খামি।

এই যে বিশ্বকাপের শুরুতেই আমরা যখন সাউথ আফ্রিকাকে হারালাম, সবাই মিলে ব্র্যান্ডন ম্যাকালামের পেজ খুঁজে বের করে তাঁর কমেন্ট বক্সে যে অসভ্য ইতরামি করলাম, সেটার কোন ব্যাখ্যা আছে কী? সে তাঁর প্রেডিকসনে লিখেছিল সাউথ আফ্রিকার সাথে বাংলাদেশ হারবে। খুন করার মতন অপরাধ নাকি? ক্রিকেট লজিক কী বলে? বিশ্বের তৃতীয় ranked দল সপ্তম ranked দলকে হারানোরই কথা। যেমন আমাদের চেয়ে নিচু ranked দল আফগানিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের আমাদের বিরুদ্ধে হারার কথা। তাঁর কাছে অমুককে ফেভারিট মনে হয়েছে, আমার অন্য কাউকে মনে হয়েছে। অতি স্বাভাবিক বিষয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ভক্তরা কী তাঁর পেজে গিয়ে এই অসভ্যতা করেছে?
আচ্ছা, ম্যাচের আগে যদি বলতাম নিজের পকেট থেকে এক হাজার ডলার (বিরাশি হাজার টাকা) বাজি ধরুন বাংলাদেশের পক্ষে। তখন কয়জন দেশভক্ত এগিয়ে এসে বাজি ধরতেন নিজের দলের পক্ষে? অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে কত রণহুঙ্কার দিলাম, হারলামতো ঠিকই। নাকি?
আমরা সাউথ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জিতেছি, সেটা আমাদের কৃতিত্ব। সাথে বেশ কিছু বিষয় আমাদের পক্ষ্যেও গেছে। স্টেইনের ইনজুরি, এবির অবসর, আমলার ফর্মহীনতা ও ইনজুরি, রাবাদার ক্লান্তি ইত্যাদি সবই আমাদের পক্ষে গেছে। এবং আমাদের খেলোয়াড়রা এর পূর্ণ ফায়দা তুলেছে। এটাই ক্রিকেট। প্রতিপক্ষের দুর্বলতম অংশ খুঁজে বের করে ক্রমাগত আঘাত করে যাও ততক্ষন পর্যন্ত যতক্ষণ না সে ধরাশায়ী হচ্ছে।
কিন্তু তাই বলে এইভাবে একজন তারকা ক্রিকেটারের পেজে গিয়ে লিখতে হবে, "যে কলম দিয়া লিখছোস সেটা তোর পিছন দিয়ে ভরুম!"? সিরিয়াসলি?
অথচ এই ম্যাকালাম যখন কিউই অধিনায়ক ছিলেন (২০১৩), তখন বাংলাদেশের সাথে প্রথম টেস্ট (চিটাগং) নিশ্চিত ড্র জেনেও সাকিবকে ফিফটি করতে দেয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলেন। সাকিবের ফিফটি হতেই অফিসিয়ালি ম্যাচ "কল অফ" করেন। সেই ম্যাকালামকে গালাগালি করা কোন পর্যায়ের ছোটলোকিপনা?

গুজব রটনা আজকের কালকের ঘটনা না। সেই অনাদিকাল থেকে ঘটে আসছে।
একবার খুবই আবেগময় লেখা পড়েছিলাম বাংলাদেশ পাকিস্তান ম্যাচকে ঘিরে। ১৯৮৬ সালের এশিয়া কাপে ইমরান খানের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর বাংলাদেশ দলের প্রথম এনকাউন্টারে নাকি ইমরান খান বাংলাদেশকে তাচ্ছিল্য করতে পার্ট টাইম বোলারদের দিয়ে বল করিয়েছিলেন। এছাড়া আরও অনেক অখেলোয়াড়সুলভ আচরণ করেছিল ঔদ্ধত্বপূর্ণ পাকিস্তান।
অথচ একবার স্কোরকার্ড দেখুন। বোলারদের নাম ইমরান খান, ওয়াসিম আকরাম, জাকির খান, মঞ্জুর এলাহী এবং আব্দুল কাদির। এই পাঁচজনের কে পার্টটাইম বোলার বলে আপনাদের ধারণা? ওয়াসিম করেছিল ৯ ওভার, ইমরান এবং কাদির ৭ ওভার। তাহলে তাচ্ছিল্য করলো কোথায়?
বাংলাদেশ ৯৪ রানে অলআউট হয় এবং ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানের নিয়মিত ব্যাটসম্যানরাই নামে।
আর ঔদ্ধত্বপূর্ণ আচরণের বর্ণনা ঘটনার একমাত্র সাক্ষী গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর জবানী থেকে আসেনি। উল্টো শুনেছি তিনি নাকি পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর একজন ভাল বন্ধু।
তাহলে এইসব মিথ্যা গুজব রটানোর মানে কী? পাকিস্তান ক্রিকেট দলের বিরোধিতা করতে চান, সেভেন্টি ওয়ান টেনে আনুন। সেটা ফ্যাক্ট, এবং সেটাই যথেষ্ট। এক চিমটি ক্রিকেটীয় ভেজাল মশলা কেন যোগ করতে হবে? নাকি আপনার কনফিডেন্স নেই একাত্তুরের উপর, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের উপর?

আসা যাক ভারতের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডায়।
কিছু হলেই "ওরা আমাদের ভয় পায়" থিওরি। একটু মাথা খাটান ভাই। ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে আমাদের সাকসেস রেট দেখুন। ৩০ ম্যাচ হেরেছি। "মাত্র" পাঁচটা জিতেছি। ranking এ ওরা বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা দল। এই মুহূর্তে কাগজে কলমে ওয়ার্ল্ডকাপের সবচেয়ে শক্তিশালী ও ব্যালেন্সড দল। আমাদের স্থান ranking টেবলের সাতে। আমাদের ভয়ে তাঁদের থরথর করে কাঁপার একটা লজিক্যাল এক্সপ্লেনেশন দিন। হ্যা, সাম্প্রতিক সময়ে আমরা তাঁদের বিরুদ্ধে ভাল ফাইট দিয়েছি। কিন্তু ঐ শক্ত ফাইট দেয়া পর্যন্তই আমাদের সাকসেস। জিততে কিন্তু পারিনি। তাহলে সেই ভারত কেন "ইচ্ছে করে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হারবে যাতে আমরা বেরিয়ে যাই"? ইংল্যান্ডকে (যাদের বিরুদ্ধে ওরা সেমিফাইনাল খেলবে) আপনারা মনে করেন বাংলাদেশের চেয়ে দুর্বল দল? সিরিয়াসলি? বেয়ারস্টো, মরগ্যান, রুট, বাটলার, স্টোকস... নামগুলোকে আপনার কী মনে হয়?
একই কথা আফগানরা আমাদের বিরুদ্ধে বললে আমরা ক্ষেপে যাই। ওদের অহংকারী বেয়াদব বলে গালি দেই। অথচ একই কাজ আমরা আমাদের চেয়ে শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে করি। ব্যাপারটা হিপোক্রেসি নয়?
আবেগ দূরে রেখে মাঝে মাঝে মাথা খাটান। কাজে লাগবে। লোকেও কম হাসবে।
হ্যা, মাঝে মাঝে ওদের বিরুদ্ধে খেলায় কিছু সিদ্ধান্ত আমাদের বিরুদ্ধে গেছে। মাঝে মাঝে কিছু সিদ্ধান্ত আমাদের পক্ষেও এসেছে। যেই আলিমদারকে নিয়ে আমাদের অভিযোগের শেষ নেই, সেই আলিমদারই গতকাল সৌম্যকে বেনিফিট অফ ডাউট দিয়েছে। আম্পায়ারের "সফ্ট সিগন্যাল" ছিল নট আউট। আগের ম্যাচে যেমন সফ্ট সিগন্যাল ছিল "আউট।" কনক্লুসিভ এভিডেন্স ছাড়া আম্পায়ারের ডিসিশন ওভার টার্ন করা যায় না। ক্রিকেটের নিয়মাবলী পড়ুন। তারপরে কারোর বিরুদ্ধে জোচ্চুরির অভিযোগ করুন।
কোহলির সেই সিদ্ধান্ত পছন্দ হয়নি, আম্পায়ারের দিকে তেড়েফুঁড়ে গিয়ে ঝগড়া বাঁধিয়েছে।
কোহলির অ্যাগ্রেশন নিয়ে আমাদের কমপ্লেন। ও কী শুধুই আমাদের বিরুদ্ধেই অ্যাগ্রেসিভ? নাকি দুনিয়ার যেকোন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধেই? ভাল করে তাঁর খেলা লক্ষ্য করুন। কোহলিকে ধোনি বা শচীনের সাথে কম্পেয়ার করবেন কেন? প্রত্যেকের খেলার ধরণ আলাদা, প্রত্যেকের পার্সোনালিটিও আলাদা।
সবগুলোকেই ক্রিকেটীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখুন। সবকিছুই "আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র" নয়। এই মেন্টালিটি নিজেকেই ছোট করে।
"আজ আমি মুসলিম বলে এইটা পেলাম না।"
"আজ আমি হিন্দু বলে ওটা হলো না।"
"আজ আমি কালো বলে বঞ্চিত হলাম।"
অনেক ক্ষেত্রেই ব্যাপারটি সত্য হলেও সর্বক্ষেত্রে নয়। আমি সেনাবাহিনীতে সুযোগ পাইনি মেডিক্যালি আনফিট ছিলাম বলে। এখন আমি যদি ইস্যু তৈরী করি যে আমি সিলেটি বলেই "বেঙ্গলি অফিসার" আমাকে ইচ্ছে করে নেয়নি। তাহলে অবশ্যই আমার কথা বিশ্বাস করে "বেঙ্গলি-বিরোধী" আন্দোলনের ডাক দিবে একপাল বেকুব। কথা হচ্ছে আপনি আমি এইরকম ভিত্তিহীন কথায় লাফালাফি করে একই বুদ্ধিহীনতার পরিচয় কী দিচ্ছি না?
ইদানিং সাদা চামড়ার অ্যামেরিকানরাও একই ফাজলামি শুরু করেছে। "ইমিগ্র্যান্টরা এসে আমাদের চাকরি নিয়ে নিচ্ছে। মেক অ্যামেরিকা গ্রেট এগেইন!"
আরে ব্যাটা ফাজিল, তুই হচ্ছিস হাইস্কুল ড্রপ আউট, আর যে চাকরি নিচ্ছে সে মাস্টার্স শেষ করেছে। তুই কিভাবে দোষ দিস সে তোর চাকরি খাচ্ছে? তুই নিজে আগে তাঁর চেয়ে যোগ্য হয়ে দেখা। চামড়া শুধু সাদা হলেই গিফট পেপারে wrap করে তোর হাতে চাকরি তুলে দেয়ার দিন কয়েক যুগ আগেই ফুরিয়েছে। মানতে পারলে মান, নাহলে অফ যা।

তেমনি, "আজ বাংলাদেশ ইমার্জিং টাইগার বলে আইসিসি আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।" "ভারত আমাদের হিংসে করে।" "আওয়ামীলীগ সরকারের সাথে মোদী সরকারের ডিল হয়েছে, ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ইচ্ছা করে হারবে।" "সৌম্য, লিটনদের আনুগত্য ভারতের প্রতি বেশি।" "সাকিব তামিম মুশফিকদের পাকপ্রীতি অনেক।" ইত্যাদি ইত্যাদি কথাবার্তা শুনতে একই রকম মনে হয়।

ক্যানভাসে (ফেসবুক গ্রুপ) বহু আগে এক ছেলে ছিল যে এই তত্ব দিয়েছিল যে "বিপিএলের অভাবনীয় সাকসেসের কারনে আইপিএলের অস্তিত্ব এখন হুমকির পথে। তাই বিসিসিআই হিংসে করে বিপিএল তথা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে ধ্বংস করতে আশরাফুলের বিরুদ্ধে ফিক্সিং কেলেঙ্কারি নাটক সাজিয়েছে। বিসিসিআই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে এই গোপন সংবাদ দিয়েছেন।"
আরও লম্বা থিওরি। সবশেষে তিনি ক্যানভাস অ্যাডমিন প্যানেলকে গালাগালি করেছে ভারতের দালাল বলে। আমরা কেন আশরাফুলকে অবিশ্বাস করেছি। আমরা দেশদ্রোহের কাজ করেছি। আমাদের এজেন্ডা, আমাদের মুখোশ জনসম্মুখে উন্মোচন প্রয়োজন।
আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, "ভাই, আশরাফুল নিজে স্বীকার করেছে। তাকে অবিশ্বাস করবো কিভাবে? তাছাড়া বিসিসিআইর ষড়যন্ত্র রিপোর্টে আপনার সোর্স কী?"
তিনি "বাঁশের কেল্লা" নামের অতি জনপ্রিয় (!) এক পেজের অ্যাডমিনের নাম বললেন।
মানে হচ্ছে, বিসিসিআইর কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুনিয়ার কারোর সাথে যোগাযোগ না করে বাংলাদেশী ফেসবুক গ্রূপ বাঁশের কেল্লার অ্যাডমিনের সাথে যোগাযোগ করে সব গোপন তথ্য ফাঁস করে দিয়েছেন।
শুনতে হাস্যকর লাগছে?
তাহলে জেনে নিন আপনার বক্তব্যও অনেকের কাছে হাস্যকর ঠেকবে যদি সেখানে ১০০% সত্য না থাকে।
আমাদের দল টুর্নামেন্ট থেকে বেরিয়ে গেছে। কে বিশ্বকাপ নিল, কে নিল না ইত্যাদি নিয়ে না ভেবে বাড়িতে যান। চা নাস্তা খেয়ে পরিবার বন্ধুবান্ধবের সাথে চমৎকার কিছু কোয়ালিটি সময় কাটান। আগামী বিশ্বকাপে যেন বাংলাদেশ নিজ যোগ্যতায় সেমিফাইনাল খেলতে পারে সেই প্রস্তুতি নিক। কন্সপাইরেসি থিওরি মাথায় স্থান দিবেন না। কোন কথা শোনা মাত্রই সোর্স ভ্যারিফাই না করে গুজব ছড়াতে শুরু করবেন না।
ধন্যবাদ।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:১১

রাজীব নুর বলেছেন: গুজব আজীবন থাকবেই। গুজব আজীবন থাকবেই। গুজব আজীবন থাকবেই। গুজব আজীবন থাকবেই। গুজব আজীবন থাকবেই। গুজব আজীবন থাকবেই। গুজব আজীবন থাকবেই। গুজব আজীবন থাকবেই। গুজব আজীবন থাকবেই। গুজব আজীবন থাকবেই।

২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৫০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: গুজব কারীর সাথে গুজবের মুল সুত্র ধরে টান না দিলে গুজব চলতেই থাকবে ।
গুজব বন্ধ করতে হলে গুজব রটনাকারীর পিছনের সুত্রটির গোমর ফাক করা প্রয়োজন ।
ভাল লিখেছেন ।
সকলের সচেতনতা আসা প্রয়োজন ।

৩| ০৫ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৫২

করুণাধারা বলেছেন: বরাবরের মতই চমৎকার লিখেছেন আপনি!

এখন আমি যদি ইস্যু তৈরী করি যে আমি সিলেটি বলেই "বেঙ্গলি অফিসার" আমাকে ইচ্ছে করে নেয়নি। তাহলে অবশ্যই আমার কথা বিশ্বাস করে "বেঙ্গলি-বিরোধী" আন্দোলনের ডাক দিবে একপাল বেকুব। খুবই হাসলাম। :D :D :D

আমার মনে হয়, আমি ছাড়া আর কেউ এই বাক্যটির রস গ্রহণ করতে পারেননি। আর সবাই বেঙ্গলি কিনা! :D

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.