নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজহারির কোটি টাকার গাড়ি

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:০৬

একটি আরব ছেলে, যে আমেরিকায় পড়াশোনা করছে, সে তাঁর বাবাকে চিঠি লিখেছে, "আমার বন্ধু বান্ধবেরা সবাই ট্রেনে চেপে আসে, আর আমি গোল্ড প্লেটেড ল্যাম্বরগিনিতে। ব্যাপারটা নিজের বিবেকের জন্যই ক্ষতিকর। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এখন থেকে আর ল্যাম্বরগিনি চড়ে আসবো না। তাঁদের মতন ট্রেনে চেপেই ক্যাম্পাসে আসবো।"
চিঠি পড়ে আরব বাবা মা ইমোশনাল হয়ে গেলেন। তাঁরা পুত্রকে জবাবে লিখলেন, "প্রিয় পুত্র! তোমার ব্যাংক একাউন্টে এই মুহূর্তে দুইশো মিলিয়ন ডলার ট্রান্সফার করে দিয়েছি। তোমাকে বিব্রত করার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। এই টাকায় নিজের জন্য একটা ভাল ট্রেন কিনে ফেলো, যাতে তুমিও তোমার বন্ধু বান্ধবের মতন ট্রেনে চেপে ক্যাম্পাসে যেতে পারো। ইয়াল্লা, হাবিবি! জাযাকাল্লাহ খায়ের!।"

জোকস ছিল। তবে এতে কিঞ্চিৎ সত্য লুক্কায়িত। সেটি হচ্ছে, আরবরা এতটাই ধনী। যারা আরবদের চেনেন, তাঁরা নিশ্চই কথাটা মানেন।

আমাদের শহরের আরবিদের এলাকায় গেলে চোখ কপালে উঠে যায়। আলিশান আলিশান সব প্রাসাদ তৈরী করে রেখেছে একেকজন। বিএমডব্লিউ মার্সিডিজ বেঞ্জের নিচে কোন গাড়ি আছে, সেটা যেন ওরা জানেই না। আমাদের দেশের পাংকু আবুলরা আশির দশকের টয়োটা গাড়ির পেছনে স্পয়লার আর স্পিকার লাগায়ে বুম বুম আওয়াজ করতে করতে শো অফ করে। আরবি ছেলেদের শো-অফের বিষয় কী জানেন? বাড়িতে পোষা সিংহ, পোষা বাঘ, পোষা চিতা নিয়ে খেলাধুলা করা। কারন ল্যাম্বরগিনি, ফেরারি, বুগাটি দিয়ে শো অফের কিছু নাই। ওদের ঘরে ঘরে এইসব মাল পড়ে আছে।

স্বাভাবিকভাবেই অনেকেই তাই প্রশ্ন তুলেন, মুসলিমদের এত ধন সম্পত্তি থাকা উচিৎ কিনা। সম্পত্তিতো ফিৎনা, আল্লাহ বলেছেন অপচয় না করতে।
আমাদের সমাজে একটি বিষয় মানুষের মনের মধ্যে সিমেন্ট দিয়ে বাঁধাই করা আছে, এবং তা হলো, যারা ধর্মকর্ম করে, তাঁদের টাকাপয়সা থাকতে পারবে না। আরবরা যেহেতু মুসলিম, মক্কা ও মদিনা তাঁদের অঞ্চলেই অবস্থিত, আমাদের ধর্মের মূল এসেছে তাঁদের অঞ্চল থেকেই, তাই ওদের এমন সম্পত্তি থাকা কতটা জায়েজ? বিশেষ করে যেখানে হাজারে হাজারে, লাখে লাখে মুসলিম না খেয়ে মরছে।
অন্য ধর্মে কি বলা আছে জানিনা, তবে যেহেতু আমি মুসলিম, তাই ইসলাম নিয়েই বলি।
আমাদের দেশে একটা মসজিদের ঈমামের যদি টয়োটা করোলা গাড়িও থাকে, তাহলেও লোকজন বাঁকা চোখে তাকায়। মার্সিডিজ থাকলেতো লোকে মরেই যাবে। কথা হচ্ছে, ইসলাম কী টাকা পয়সা উপার্জন নিষেধ করে দিয়েছে?
তার আগে আমাকে বলেন, আমাদের নবী সুলাইমান(আঃ) ও তাঁর বাবা দাউদ (আঃ) কী ছিলেন? উত্তর হচ্ছে, "সম্রাট।"
কোন সম্রাট কখনও দরিদ্র হয়ে থাকে? না।
উল্টা সুলাইমান নবী আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন তাঁকে যেন এমন সাম্রাজ্য ও ক্ষমতা দেয়া হয় যা আগে কখনই কাউকেই দেয়া হয়নি, ভবিষ্যতেও কাউকে দেয়া হবেনা। তিনি তা জনকল্যাণে ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন।
এইটাই পয়েন্ট। আল্লাহর কাছে অর্থ সম্পদ চাইবেন, কেন চাইবেন না? তবে সেটি অবশ্যই তার একাংশ জনকল্যাণে ব্যয় করতে হবে।
আমাদের একটি বহুল পরিচিত দোয়া আছে, "রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাহ, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাহ, ওয়াকিনা আজাবান্নার।"
"হে আল্লাহ, আমাকে দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ দান করুন, এবং আগুনের আজাব থেকে রক্ষা করুন!"
দোয়াটা কারোর মাথা থেকে আসেনি, এসেছে সরাসরি কুরআন থেকে। সূরা বাকারার ২০১ নম্বর আয়াত দেখে নিন।
তাহলে দেখতে পারছি, আল্লাহ নিজেও বলছেন, তাঁর কাছেই দুনিয়ার অর্থ সম্পদ ও আখিরাতের কল্যাণ কামনা করতে হবে।
এবং অর্থ সম্পদ উপার্জন করলে অবশ্যই আল্লাহর হক আদায় করতে হবে, সেটি হচ্ছে জাকাত ও হজ্জ্ব। সদকা দিলে এক্সট্রা সোয়াব। এরপরে আপনি আপনার সম্পদ দিয়ে আপনার হালাল কি কি শখ পূরণ করলেন, তাতে কোনই বাঁধা নেই। আপনি দামি গাড়ি কিনুন, বিদেশে ছুটি কাটাতে যান, দামি রেস্টুরেন্টে খান, কোনই সমস্যা নাই।
হ্যা, এইটা ঠিক যে পৃথিবী ব্যাপী প্রচুর অনাহারী মানুষ আছেন। আপনাকে আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন তাঁদের জন্য কিছু করতে। আপনি করবেনও। কিন্তু এইটাও সত্য, সবার দুঃখ কষ্ট দূর করার একক দায়িত্বও আপনার নয়। আপনি আপনার সাধ্য অনুযায়ী করবেন। আপনি আপনার পরিবারের সুখ-স্বাচ্ছন্দের জন্য যা ব্যয় করবেন, সেটাও কিন্তু সদকা। এই যে আমরা স্ত্রী সন্তানদের জন্য পেঁয়াজ টমেটো মাংস কিনি, সবই সদকা হিসেবে কবুল হয়। জানেন? কারন আল্লাহ আপনাকে পরিবার দিয়েছেন, আপনি সেই উপহারের (পরিবারের) যত্ন নিচ্ছেন।

অনেকে এখন বলবেন, "কিন্তু ইসলামে যে বলা হয়েছে কুরআন শিক্ষার বিনিময়ে টাকা নেয়া যাবে না?"
তাহলে আপনারাই বলেন, কুরআন শিখানো "হুজুর" তাহলে সকালে নাস্তায় কী খাবেন? দুপুরের খাবারে? কোন সূরা পাঠ করলে তাঁর ক্ষুধা নিবারণ হবে? "কুরআন বিক্রি করা যাবেনা" বলতে এটি বোঝানো হয়েছে যে আমি আমার মন মতন ফতোয়া কুরআনের বাণীর নামে পয়সার বিনিময়ে প্রচার করতে পারবো না। যা কুরআনে নেই, হাদিসে নেই, কেউ পয়সা দিল, আর আমি বলতে শুরু করলাম "আছে।" এইটা করতে পারবো না।
এবং আরেকটি শর্ত হলো, ধরুন কেউ আমাকে কুরআনের একটি আয়াত সম্পর্কে জানতে চাইলো। আমি জানি, কিন্তু তাঁকে বললাম, "আমাকে এক হাজার ডলার না দিলে আমি তোমাকে বলবো না।" - এই ফাজলামি আমি করতে পারবো না। আমি অবশ্যই আমাদের জ্ঞানের সর্বোচ্চ দিয়ে তাঁকে সাহায্য করবো। বিনিময়ে সে কিছু দিলে আলহামদুলিল্লাহ। না দিলে ডবল আলহামদুলিল্লাহ। কারন সেটার বিনিময় তখন সরাসরি আল্লাহ দিবেন।
বুঝতে পেরেছেন?

এখন আসি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে।
"ওয়াজ" সম্পর্কে আমার কী মতামত।
আমার লেখালেখির সাথে যারা পরিচিত, তাঁরা ১০০% নিশ্চিত, আমি এইসব ওয়াজ-মাহফিলের ঘোর বিরোধী। অনেক কারনই আছে। প্রধানতম কারণটি হচ্ছে, আমার নবী (সঃ) কখনই বাংলাদেশের প্রচলিত নিয়মে ওয়াজ করেননি। তাঁর সাহাবীগণও না। এবং যেহেতু আমি আলগা মাতবরিতে বিশ্বাস করিনা সেহেতু ওয়াজের পক্ষে না।
তাঁরা মসজিদে খুৎবা দিতেন। সেটাই ইসলামী পথ, এবং কার্যকরী পথ।
দ্বিতীয় কারন হলো ইতিহাস থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা।
ইসলামের খিলাফতের প্রথম শতকে (দুই তিন জেনারেশন পরেই) ইসলামিক রাষ্ট্র জুড়ে একটি ট্রেন্ড চালু হয় যেখানে তথাকথিত "আলেমগণ" বিভিন্ন এলাকায় এলাকায় গিয়ে ধর্মীয় কেচ্ছা কাহিনী প্রচার করে বেড়াতেন। লোকজনের জন্য সেটাই ছিল বিনোদন। পাবলিককে যে যত খুশি করতে পারতো, তাকে তত বেশি হাদিয়া দান করা হতো। সে হতো ততবার সেলিব্রেটি, তত বড় আলেম।
সমস্যা ছিল এই যে, এইসব মনপ্রসূত ধর্মীয় কেচ্ছাকাহিনীকে হাদিসের নামে চালানো হতো। যেমন, মেরাজের ঘটনায় অথেন্টিক হাদিস সংখ্যা প্রচুর। কিন্তু সেখানে মশলা যুক্ত করতে তারা আরও ডিটেইল যোগ করতেন। কিংবা কেয়ামত সম্পর্কিত হাদিসেও অনেক ভুয়া ঘটনাকে হাদিসের নামে চালানো হয়েছে। এতে পাবলিক শুনে শিহরিত হতো। ফলে কেচ্ছাকাহিনী কথকদের প্রচুর আয় হতো। একটা সময়ে দেখা গেল প্রচুর জাল হাদিস সমাজব্যাপী ছড়িয়ে গেছে। তখন আসল আলেম এবং খলিফাগণ এইসব কেচ্ছাকাহিনীর আসর পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেন। ফিল্টার করে করে তখন সহীহ আর জাল হাদিস আলাদা করা হয়। কিন্তু আজ তেরো-চৌদ্দ শতক পরেও সেই সব জাল হাদিস থেকে আমাদের মুক্তি মেলেনি। "জ্ঞানার্জনের জন্য চীনে যাও" "দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ" ইত্যাদি তারই নমুনা।
এখন এই ঘটনার সাথে কী ওয়াজের মিল খুঁজে পাচ্ছেন? ওয়াজতো ধর্মীয় দাওয়াতের জন্য আয়োজন করা হয় না। সেখানে উপস্থিত জনতার ৯৯.৯৯% মানুষই মুসলিম। তাহলে কিসের জন্য আয়োজন করা হয়?
আমাদের দেশে শীতকালে চাষের টাকা আসার ফলে গ্রামের মানুষের অবস্থা তখন একটু ভালোর দিকে থাকে। তখন এরা ধর্মীয় চেতনা থেকে ফাঁকা মাঠে ওয়াজের আয়োজন করেন। বক্তারা বক্তব্য দেন। অশিক্ষিত লোকজন বেহেস্তে যাবার আশায় তা শোনেন। ইসলামী বয়ান শুনতে তাঁদের ভাল লাগে। হালাল বিনোদন, সোয়াবও কামানো হয়। ঈমানও চাঙ্গা হয়। সর্বোপরি, প্রচুর জ্ঞান লাভ হয়।
কথা হচ্ছে, বক্তারা যা বলেন, তা কী ১০০% অথেন্টিক? অবশ্যই না। আমি নিজে কিছু ভিডিও ক্লিপ শুনেছি যেখানে একজন বক্তা বলছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম নাকি কোন এক হাদিসে আছে, যেখানে রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন সে মুসলিমদের খুব অত্যাচার করবে।
আরেকজন বলে বেড়ান মাটির তলে পিতিবি আছে, সেখানে চাঁদ, সূর্য, আলাদা আলাদা মহাদেশ লুক্কায়িত। এইসব ইনফরমেশন কুরআন থেকে তিনি পেয়েছেন।
একটা ভন্ডকে পেয়েছিলাম যে আজগুবি আরবি উচ্চারণ করে কুরআনের আয়াতের নামে চালিয়ে দিচ্ছিল। তারপরে সেটার তর্জমা। পাশে বা সামনে বসা একজন মুসলিমও লোকটির কলার চেপে ধরেনি। আস্ত মাহফিলে একজনও হাফেজ ছিলেন না? অদ্ভুত!
এছাড়া বিধর্মীদের বিরুদ্ধে লোকজনকে উস্কে দেয়ার ঘটনাতো নতুন কিছু না।
শব্দদূষণের কথা আপাতত বাদই যাক। প্রয়োজন নাই, তারপরেও ঝাঁকে ঝাঁকে মাইক লাগানো হবে। হার্টের রোগী, বাচ্চা শিশু, যাদের পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন, পরীক্ষার্থী, যাদের নিরবিচ্ছিন্ন পরিবেশ প্রয়োজন, তাঁদের পরোয়া না করে এইধরনের অসভ্য আচরণ ইসলামে কোন লজিকে জায়েজ হবে?
রাতভর ওয়াজ শুনে ফজরের নামাজের সময়ে ঘুমিয়ে কাটিয়ে লোকজন বেহেস্তে যাবার স্বপ্ন দেখে?
তাহলে দেখা যাচ্ছে, ওয়াজে ভালোই "সমস্যা" আছে। এর মাধ্যমে লোকজনকে ভুলভাল শেখানো হচ্ছে। কোথাও কোথাও হিংসার পথে উষ্কে দেয়া হচ্ছে। প্রকাশ্যে বলা হচ্ছে "নাস্তিকদের জবাব একটাই, কোপ!"

এই সমস্যা দূরীকরণ সম্ভব কিভাবে? স্ট্রিক্ট মনিটরিং। প্রথমেই বলে দেয়া হবে খোলা ময়দানে ওয়াজ হবেনা, হয় মসজিদে, নাহয় ইনডোর ফ্যাসিলিটিতে হতে হবে। আর যদি মাঠে ময়দানে হয়, তবে মাইকের শব্দ যেন নির্দিষ্ট ডেসিবেলের বেশি না উঠতে পারে সেটা নিশ্চিত করবে প্রশাসন।
ওয়াজে কেউ উল্টাপাল্টা কিছু বললে জবাবদিহিতার ব্যবস্থা থাকতে হবে। ইসলামের নামে ভুলভাল কথাবার্তা থেকে শুরু করে পুলিশ, আর্মি সরকার সম্পর্কিত ভিত্তিহীন কথাবার্তা ইত্যাদি সবই ভ্যারিফাইড সোর্স ছাড়া বললে মোটা অর্থ দন্ড থেকে শুরু করে কারাদন্ড পর্যন্ত সবকিছুই এর আওয়াতায় আনতে হবে।
এছাড়া প্রকৃত আলেম সমাজের একটি সংগঠন থাকতে হবে। যারা লাইসেন্স দিবে কে কে ওয়াজ করতে পারবে, কে কে না। যে উল্টাপাল্টা ওয়াজ করবে, তার লাইসেন্স কেড়ে নেয়া হবে। খুব কঠিন বা জটিল বিষয় না। একটু সদিচ্ছা থাকলেই চলে। ড্রাইভিং লাইসেন্স, ডাক্তারি লাইসেন্স ইত্যাদি যেমন শরীরের জন্য জরুরি, তেমনি ধর্মীয় লাইসেন্সও আত্মার জন্য জরুরি। এর ফলে ওয়াজ মাহফিলের মধ্যে ফাজলামি বন্ধ হবে, এবং আসল আলেমরা সামনে আসার সুযোগ পাবেন।

যাই হোক, আমি বলছিলাম ধর্মের কাজে অর্থ উপার্জন নিয়ে। আপাতত সেটাতেই ফোকাসড থাকি।
আমাদের দেশের মসজিদের ঈমাম ও মুয়াজ্জিনের বেতন কত বলতে পারেন? আমাদের অনেকেরই বাচ্চাদের পকেটমানির টাকায় এদের পুরো মাসের সংসার চালাতে হয়। আমাদের মসজিদগুলোতে এসি লাগানোর জন্য, মোজাইক পাল্টে টাইলস এবং টাইলস পাল্টে মার্বেল বসানোর জন্য তহবিল সংগ্রহ করা হয়। তাঁদের বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব করা হলে হারেরেরে বলে মসজিদ কমিটির লোকজন তেড়ে আসেন। আমার বাবা যখন মারা যান, তখন আমাদের এলাকার মসজিদের ঈমাম এবং মুয়াজ্জিন দুইজনই এসে আমাকে বলেছিলেন, "আমরা আজ আমাদের অভিভাবক হারালাম। একমাত্র তোমার বাবার কারণেই প্রতি বছর আমাদের বেতন বাড়তো। এখন কেউ আমাদের হয়ে কথা বলবে না।"
কথা সত্য। যতবার তাঁদের বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব তোলা হতো, ৯০% মসজিদ কমিটির সদস্য বলে উঠতেন, "তাঁরা হুজুর মানুষ। তাঁদের এত খাই খাই কেন?" আর বাকি ১০% চুপ থাকতেন।
হুজুরদের বাড়তি আয় বলতে এই মিলাদ, কুরআন খতম আর ওয়াজ মাহফিলই ভরসা। সাথে শিশুদের কুরআন শিক্ষা দিয়ে যদি কিছু আয় হয়! সেখানেও লোকেরা এখন বলে বেড়াচ্ছে, "ইসলাম শিক্ষার বিনিময়ে তাঁরা কেন টাকা নিবেন?"
আমাদের দেশের মসজিদের নিয়ম কী হওয়া উচিৎ জানেন? এসি, টাইলস ইত্যাদিতে ফোকাস না করে ঈমাম, মুয়াজ্জিনরা যাতে গবেষণাধর্মী পড়াশোনা করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করা। মসজিদে লাইব্রেরি থাকা। কম্পিউটার, ইন্টারনেট থাকা। আশি নব্বইয়ের দশক থেকে বিশ্ব উলামারা যে ফতোয়া দিয়ে এসেছেন, এই ২০২০ সালে এসেও আমাদের দেশের মসজিদের ঈমামরা জানেন না, এইটা বিস্ময়কর। জানবেন কিভাবে? তাঁদের সোর্স অফ নলেজ হয়ে গেছে ফাজায়েলে আমাল, নেয়ামুল কুরআন, নূরানী অজিফা জাতীয় ভুয়া আজগুবি তথ্যে ভরপুর বইগুলো।

আপনি বলতে পারেন, আমাদের নবীজি (সঃ) খেজুর পাতায় ঘুমাতেন, তাহলে তাঁরা কেন হেলিকপ্টার চড়েন।
আমি বলবো, আমাদের নবীজি (সঃ) কিন্তু আমাদের কাউকে নিষেধ করেননি হেলিকপ্টার চড়ার ব্যাপারে। তাঁর নিজেরই সাহাবীগণ তাঁর মৃত্যুর পরে বিলিওনিয়ার হয়েছিলেন। উমারের (রাঃ) খেলাফতে মুসলিম সাম্রাজ্য এতটাই বিস্তৃত হয়েছিল (ইজিপ্ট থেকে পাকিস্তান) যে চারদিক থেকে বৃষ্টির জলের মতন টাকা আসতে শুরু করে। উমারের (রাঃ) নিয়ম ছিল মুসলিমদের ranking অনুযায়ী ভাতা প্রদান। এক নম্বর ক্যাটাগরি আহলে বাইত, বা রাসূলুল্লাহর (সঃ) স্ত্রীগণ ও পরিবার। সবচেয়ে বেশি বেতন পেতেন তাঁরা। তারপরে মক্কার চরম নির্যাতনের ঘটনায়ও যারা ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন, তাঁরা। বিলাল, খাব্বাব, আম্মার প্রমুখ এই ক্যাটাগরিতে পড়েন। তিনি নিজেও নন। এইভাবে নামতে নামতে মক্কা বিজয়ের পরে যারা মুসলিম হয়, তাঁদের মধ্য দিয়েই এই ranking শেষ হয়। তাঁর লজিক ছিল, অন্তরে তাকওয়া যাই থাকুক, বিলালের সাথে কিভাবে আবু সুফিয়ান, সোহেলদের তুলনা হবে যারা আরাম আয়েশের সময়ে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন? যাই হোক, এই সময়টায় হজরত আয়েশা (রাঃ) এত বিপুল অর্থ ঐশ্বর্যের প্রাচুর্য দেখে কেঁদে উঠে বলতেন, "আমি রাসূলুল্লাহকে (সঃ) কখনই ভরপেট আহার করতে দেখিনি।" তিনি এই সম্পদ গরিবদের মাঝে বিলিয়ে দিতেন। নিজে এক পয়সাও রাখতেন না।
তিনি কিন্তু বলেননি, প্রতিটি মুসলিমেরও তাই করা উচিৎ।

আমার পয়েন্ট হচ্ছে এই যে, অর্থ সম্পদ আল্লাহর দান, রহমত ও নেয়ামত। তিনি যদি আপনাকে দিয়ে থাকেন, সেটি অবশ্যই গ্রহণ করবেন। শর্ত একটাই, অবশ্যই অহংকার করবেন না। অবশ্যই স্বীকার করবেন এটি আল্লাহর দান, তিনি আপনাকে দিয়েছেন বলেই পেয়েছেন, এবং তিনি যখন খুশি নিয়ে নিতে পারেন। তাই যতক্ষণ এটি আপনার কাছে আছে, ততক্ষন এর হক আদায় করুন। জাকাত দিন, গরীবের হক আদায় করুন, হজ্জ্ব পালন করুন। পারলে উমরাহ আদায় করুন। এরপরে আপনার "হালাল" শখ পূরণ করতে চাইলে করুন। কোনই সমস্যা নাই।
ইসলামে অর্থ উপার্জন মোটেও হারাম না। উসমানের (রাঃ) অর্থ সম্পদ ছিল বলেই তিনি মসজিদে নববীর জন্য জায়গা কিনতে পেরেছিলেন। আজকে আমাদের নবী (সঃ) সেই জমির উপরই শুয়ে আছেন। যাকে জান্নাতের টুকরা বলা হয়ে থাকে।
তিনি কুয়া কিনতে পেরেছিলেন, যার পানি পান করে মুসলিমরা তখন প্রাণে বেঁচেছিলেন।
দুর্ভিক্ষের সময়ে তিনি এক বিশাল ক্যারাভান ভর্তি সম্পদ দান করতে পেরেছিলেন। সবই সম্ভব হয়েছিল, কারন তাঁর টাকা পয়সা ছিল।
দুনিয়ায় কেবল দুই ধরনের মানুষ আছে। একজন দেন, আরেকজন গ্রহণ করেন। আপনাকে আল্লাহ যদি দাতা হিসেবে নির্বাচন করেন, তাহলে সমস্যা কোথায়? আলহামদুলিল্লাহ বলে দান করতে থাকুন।

সমস্যা হয় তখন যখন ‘যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা।’
সে যাই করবে, আমরা সেখানে খুঁত খুঁজে পাব। সে হাসলে আমরা বলবো তার চেহারা শুয়োরের মতন। সে কারোর মাথায় হাত দিলে বলবো ব্যাটা ভন্ড। সে কারোর জন্য যদি মরেও যায়, বলবো বাটে পড়ে মরেছে। পেছনে অন্য ঘটনা আছে।
সে যদি দামি গাড়ি কিনে ছবি দেয় - আমি তখন অন্তর জ্বালায় জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাব। "আমি শালা এখনও রিকশা কিনতে পারলাম না, এই ব্যাটা এত দামি গাড়ি কিনলো কিভাবে?"
আমি সামনের পিঁপড়া নিয়ে হৈহুল্লোড় করছি, এদিকে আমার পেছন দিয়ে হাতি চলে যাচ্ছে, আমার কোন খবর নেই।
আমার প্রিয় দলের রাজনৈতিক নেতারা হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে ফেলছে, আমি জিভ বের করে বলছি জ্বি হুজুর।
আমার প্রিয় নেতা নেত্রীরা প্রকাশ্যে আদর্শ বিরোধী কাজ করছে, আমি চুখ বুজে প্রশান্তির হাসি হেসে বলছি, সহমত ভাই!
আমার প্রিয় নেতা নেত্রীর ছানা পোনার কোটি টাকার সম্পদ দেখে বলছি, "ও দেশের জন্য এইটা করেছে, ঐটা করেছে, একটু আধটুতো ডিজার্ভ করেই।"
হিপোক্রেসিটা ধরতে পারছেন?

কেউ ওয়াজ-মাহফিল ইত্যাদি করে টাকা কামিয়েছে, হালাল হারামের ইস্যুতে এখন যাচ্ছি না। তবে এই টাকা অনেক অনেক ভাল সেই টাকা থেকে যারা সরকারি কোষাগার লুটে খাচ্ছে। "দেশে দুর্নীতি নাই, শেখ হাসিনার আমলে দুর্নীতি বন্ধ হয়েছে" টাইপ আজগুবি কথাবার্তা আমাকে শোনাতে আসলে গালি খেয়ে বসতে পারেন। গতবার দেশে গিয়ে নিজের জমি নাম জারি করতে গিয়েই ঘুষ দিয়ে আসতে হয়েছে। আমার শ্বশুর শ্বাশুড়ি নিজেদের বাড়ি নিজেদের মেয়েদের নামে নাম জারি করতে গিয়ে এক লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছেন। নাহলে ফাইল এই টেবিল থেকে ঐ টেবিলে নড়ে না। আমাদের ন্যায্য দুইটি চা বাগানের ফাইল আজকে প্রায় এক দশক ধরে সচিবালয়ে আটকে আছে কারন অমুক স্যার তমুক স্যার হাদিয়া চেয়ে বসেছেন।
কিংবা, করোনা ভাইরাসের মতন সিরিয়াস পরিস্থিতিতে প্রটেকশন "মাস্কের" দাম কয়েকগুন বাড়িয়ে হঠাৎ ধনী হতে চাওয়া অমানুষ ব্যবসায়ীদের আয়ের তুলনায় ওয়াজের বিনিময়ে অর্থ উপার্জন কিছুই না।

বলতে পারেন যেসব ওয়াজে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক কথাবার্তা চলে, তাদের ব্যাপারে কী?
ভাই, ওদেরকে আপনার সরকারই পৃষ্ঠপোষকতা করছে। সহজ রাজনীতি যদি এখনও না বুঝেন, তাহলে কিছু বলার নাই। সবই মুদ্রার এপিট ওপিঠ।

একটি উপদেশ দিয়ে শেষ করি।
কারোর যদি উন্নতি দেখেন, তাহলে হিংসার পরিবর্তে দোয়া করবেন। "হে আল্লাহ, ওকে একটা কেন, একশোটা বেন্টলি (দুই লক্ষ ডলারের গাড়ি) কেনার সামর্থ্য দান করো। সেই সুযোগে দুয়েকটা যেন আমিও কিনতে পারি, এই সুযোগ দাও।"
জেনুইন মন থেকে এই দোয়া করুন, দেখবেন আপনার হয়ে ফেরেশতারা আল্লাহর কাছে সুপারিশ করবেন যেন আপনাকেও দুয়েকটা বেন্টলি কেনার সামর্থ্য আল্লাহ দেন। আল্লাহ যদি আপনাকে তারপরেও না দেন, তাহলেও ক্ষতি নাই। অন্তত নিজের মনটা যে পরিষ্কার করলেন, সেইটার মূল্যও কয়েক কোটি টাকা।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:২৬

বিষন্ন পথিক বলেছেন: পাঠক হিসাবে আপনার ভক্ত কিন্তু আজকের লেখায় ডুয়াল খেললেন। আমরা মহানবীর উম্মত, যিনি ক্ষুধায় পেটে পাথর বেধে রাখতেন, আল্লার কাছে চাইলে পাহাড় সমান স্বর্ন পেতে পারতেন, কিন্তু ছেড়া চাদরে আর শোয়ার অযোগ্য যায়গায় ঘুমাতেন। তাই আমাদের অন্তরে সিমেন্ট বাধানো ধারনাটা অমুলক না।
আপনি কি জানেন কতজন মওলানা এক খতম কোরান পড়াতে আগে থেকেই কত টাকা দাবী করে বসে?
যেমন দেশ তেমন ওয়াজ, লক্ষ লোকের সামনে তাই 'বেল গেড, আইফোনের মালিকের সাথে সাক্ষাতের গল্প' আয়েশ করে বলা যায়, তারপর জোর করে জোর গলায় 'সোবহান আল্লাহ' আদায় করা যায়।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ভোর ৫:১০

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: স্পষ্ট করে বলেছি, কুরআন শিক্ষার বিনিময়ে কখন টাকা নিতে পারবো, কখন না।
প্রথম কথা, কাউকে দিয়ে কুরআন খতম করানোর নিয়মটাই ইসলামে নেই। ওটা আমাদের বাংলাদেশী মুসলিমদের মূর্খতা। ওরা যদি দাবি করে, তাহলে কেন ওদের টাকা দেয়া হয়? টাকা দিয়ে কেনা কুরআন তিলাওয়াতের সওয়াব কতটুকু?
সাথে, ওয়াজের সমস্যাগুলোও তুলে ধরা হয়েছে। আজগুবি কথা বলে জোর করে সুবহানাল্লাহ আদায় কতটা ইসলাম স্বীকৃত?
এখানে ডুয়েল খেলার কিছু নেই। যারা আজহারির ছবি নিয়ে হাহুতাশ করছেন, তাঁদের এরচেয়ে বড় বড় ইস্যুতে অন্ধ থাকতে দেখি। তাদের জন্যই এই পোস্ট তুলে ধরা।

২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:৪৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: আল মিশরি হুজুর কিছুদিন আগে ইন্তেকাল করেছেন। উনি একবার একটা লেকচারে টাকার উৎস সম্পর্কিত এক হৃদয়স্পর্শী ঘটনার কথা বলেন। নানা অট্টালিকার পাশে ছিলো এক ভঙ্গুর মসজিদ। তো উনি একদিন মসজিদের ইমামের কাছে জানতে চাইলেন- আপনার এলাকায় কি কোনো ধনী মানুষ নেই। যারা এই মসজিদটি তৈরি করে দিতে পারে। ইমাম হুজুরের কথা শুনে হাসেন। কিছুই বলেন না। ইমাম চলে গেলে- জনৈক মুরুব্বী এসে হুজুরকে বলেন- সেইদিন একজন দীনার হিসাবে প্রায় ৬০ হাজার দীনার নিয়ে ইমাম সাহেবকে দিতে মসজিদে এসেছিলেন। ইমাম সাহেব বললেন- আপনি এতো টাকা মসজিদের জন্য নিয়ে এসেছেন। আমি খুবই খুশী হয়েছি। কিন্তু দয়া করে কি বলবেন- আপনার এই টাকার উৎস কি? যদি না বলেন- তবে এর এক টাকাও আমি নিতে পারিনা। যদি অসত আয়ে মসজিদ তৈরি হয় এবং আয়ের উৎস না জেনে সেই টাকা মসজিদের কাজে লাগানো হয়- সেই দায়ভার আমাকেই বহন করতে হবে। মসজিদের চাকচিক্যের চেয়ে মসজিদেের পবিত্রতা আমার কাছে জরুরি। আল মিশরি হুজুর বলেন-যতবার আমি এই ভাঙ্গা মসজিদে নামাজ পড়তে যাই- ততবার আমি একজন ফিরিশতাকে দেখতে পাই। সুবহানল্লাহ!!

আমাদের কোনো হুজুর কি লাখ টাকার প্যাকেট পকেটস্ত করার আগে একবারও জানতে চেয়েছেন-এই টাকার উৎস কি?
এটা বললে অনেকেই আবার যুক্তি দেখান- হাজার কোটি টাকা পাচার হয়, লুপাট হয়- এগুলো না বলে- শুধু হুজুরদের আয়ের উৎস নিয়ে এতো কথা কেন?
কারণ হলো হুজুররা ধর্মের কথা বলেন। সততার কথা বলেন। ন্যায় পরায়ণতার কথা বলেন। হালাল আয়-ব্যয়ের কথা বলেন। সাধারণ জীবন যাপনের কথা বলেন। নবী-রাসুল সাঃ আর সাহাবারা পেটে পাথর বেঁধে ক্ষুধার দুঃখ অনুভবের কথা বলেন। ক্ষনস্থায়ী জীবনে বিলাসে জড়িয়ে যাওয়াকে অনুৎসাহিত করেন। মৃত্যুর পর সাড়ে তিনহাত জায়গা ব্যতীত কোনো সম্বলই থাকবেনা বলে - রোনাজারি করেন- সেজন্য। চোর , ডাকাত, মাফিয়া, দূর্নীতিবাজ, অর্থপাচারকারীদের মানুষ যেভাবে দেখতে চায়। হুজুরদের সেরকম দেখতে চায়না সেজন্য। হুজুরদের প্রতি ভালোবাসা আছে, ভক্তি আছে, শ্রদ্ধা আছে সেজন্য।

হুজুর যদি শখের বসে অন্যের গাড়ীও চালান, অন্যের প্রাইভেট হেলিকপ্টার , জেটেও চড়েন। সেটাও হুজুরকে খেয়াল রাখতে হবে।
কারণ- উনি যাদের সঙ্গ নিচ্ছেন, কিংবা দিচ্ছেন। এরা আদৌও সৎ মানুষতো। এদের আয়-ব্যয় স্বচ্ছতো?

তবে, ধর্মে কি শুধু গরীব থাকতে বলেছে। জ্বিনা বলেনি। হযর‌ত ওসমান রাঃ, হযর‌ত আব্দুর রাহমান ইবন আওফ রাঃ ধন-সম্পদে অনেক ধনী ছিলেন। উনারা ঐ সময়ের জন্য বিলগেটসের চেয়েও কম ছিলেন না। কিন্তু তাদের প্রত্যেকটি আয় স্বচ্ছ ছিলো। ভালো মানুষের কাছে যদি অর্থ থাকে, ধন-সম্পদ থাকে, ক্ষমতা থাকে -সেটা সবার জন্য মঙ্গল। তবে, হ্যাঁ। সেই ধনী হওয়াটা একেবারে ক্লিন হতে হবে।

ধর্মের বাণী বিক্রি করে যদি আয় করা হালাল হয়- তবে সেটা হুজুররা বলুন।
কে কত টাকা প্রতি ওয়াজে আয় করেন-সেটাও বলুন।
কে কত টাকা বাইরের দেশে নিয়ে গেছেন-সেটাও বলুন।
বাৎসরিক আয় থেকে কতটাকা সরকারকে পরিশোধ করেছেন-সেটাও বলুন।
লাখ টাকার প্যাকেট পকেটে নেয়ার আগে সেই টাকার উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন।
এরপর হুজুররা শুধু মাটিতে গাড়ী কেন পারলে আকাশে প্রাইভেট জেট চালান- কোনো সমস্যা নেই। বরং এইরকম মেধাবী, সৎ, ধনী হুজুরদের জন্য আমরা গর্বিত।

৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:৪২

ইমরান আশফাক বলেছেন: বাহ্, কি চমৎকার জ্ঞান গভীরতায় পূর্ন পোষ্ট! সম্ভব হলে একাধিকবার লাইক দিতাম। অনেক কিছুই উঠে এসেছে এই আলোচনায় যেগুলি সুন্দরভাবে গুছিয়ে বলেছন আপনি। এই রকম পোষ্ট পড়ার সুযোগ পেয়ে আমি যারপরনাই কৃতজ্ঞ।

৪| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৪২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধর্ম নিয়ে ক্যাচাল আমার একদম
ধাতে সয় না।

৫| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৫৬

নীল আকাশ বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর একটা পোস্ট এবং এর একটা মন্তব্য পড়লাম। দুইটাই আমাকে মুগ্ধ করেছে। লেখক সহ খেয়া ঘাট ভাই'কে ধন্যবাদ।
হারাম টাকা নেয়ার ব্যপারে আমাদের হুজুরদের খুব একটা বাধা দিতে দেখা যায় না।
আপনাকে আমি একটা উদাহরণ দেই, হযরত ঈসা (আলাইহিস সালাম) এর সময় একটা কঠিন পরিস্থিতিতে উনাকে একটা পতিতা মেয়েকে (ম্যারি ম্যাগদালিন) কে তাওরাতে দেয়া নিয়ম মোতাবেক শাস্তির ফতোয়া দিতে বলা হয়েছিল। উনি দেখলেন এই মেয়ের চরিত্রের চাইতে উপস্থিত ইয়াহূদী রাব্বাঈদের চরিত্র আরও খারাপ। তখন তিনি বললেন তাওরাতের নিয়ামানুসারে, যার চরিত্রে কোন কলংক নেই সেই পাথর ছুড়ে এই মেয়েকে মেরে ফেলতে পারবে। উনার কথা শুনে এক এক করে সব ইয়াহূদী রাব্বাঈ পিছন দিক দিয়ে ভেগে গেল।
এখন প্রশ্ন হলো কেন এই দেশের হুজুর'রা এই সব মসজিদ মারদাসাতে দান খওরাতে সময় হালাল রোজগারে কথা জোর দিয়ে বলেন না? বলুন এটা বলা কী তাদের ঈমানে অংশ নয়?
ধন্যবাদ।

৬| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১৩

রাজীব নুর বলেছেন:

আরে ভাই সে হুজুর বলে কি তার ভোগ বিলাসের শখ নাই নাকি? ৩ মাসের শীতের সিজনে ওয়াজ করে বাংলাদেশ থেকে ৩-৪ কোটি টাকা আয় করে সেই টাকা অবৈধ হুন্ডির মাধ্যমে মালয়শিয়াতে নিয়ে যান, সেই টাকা তো আর দান সদকা করেন না। টাকা ব্যাংকে ফালায়া রাইখা সুদ ও খাওয়া হারাম সাথে আবার মালয়েশিয়া ইনকাম ট্যাক্স অফিসের ঝামেলা। তাই সেই টাকা দিয়া ভোগ বিলাস করেন।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৪১

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: না ভাই, আপনি পুরো মিথ্যা বানোয়াট কথা বিশ্বাস করেছেন, এবং ফাঁদে পা দিয়েছেন।
প্রথম কথা, গাড়িটা মালেশিয়ার না। নাম্বার প্লেট খেয়াল করলেই বুঝতে পারতেন। এটি সিঙ্গাপুরের।
দ্বিতীয় কথা, গাড়িটির পোস্ট এক বছর আগে ভদ্রলোকের নিজের ফেসবুকেই দেয়া হয়েছিল। এবং সেটাও তখন যখন তিনি সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন, এক ভদ্রলোকের আতিথ্য নিয়েছিলেন, এবং তাঁর গাড়ি চালিয়েছিলেন।
লোকজনের নামে মিথ্যা গুজব ছড়াতে বাঙালি কি পরিমান পরিশ্রম করে সেটা হাতে নাতে প্রমান এই ছবি ও পোস্টের অপপ্রচার।

৭| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:০১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভালোভাবে পড়লাম। সুন্দর কথা।

৮| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:১১

রাশিয়া বলেছেন: হুজুরেরা টাকা দিয়ে মার্সিডিজ চালান নাকি রকেটে করে চাঁদে যান, সেটা মোটেও বিবেচ্য না। তাদেরকে টাকা দিয়ে আমরা কি পেলাম, সেটাই বিবেচ্য।
- আজহারী হুজুরের ওয়াজ শোনার পর থেকে আমাদের দাম্পত্য জীবেনের বোঝাপড়া আরও বেড়েছে - পরিবার ব্যালান্সড হয়েছে।
- আমীর হামজা হুজুরের ওয়াজ শোনার পর আমার কাজকর্মে কিছুটা রেগুলারিটি এসেছে - আগে অনেক বিক্ষিপ্ত ছিল।
- এইসব ওয়াজ মাহফিল শোনার পর থেকে কুরআনের প্রতি আগ্রহ বেড়ে গেছে - প্রতিদিনই দু চার পাতা স্টাডি করা হয়।

৯| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৩৯

অজ্ঞ বালক বলেছেন: ওয়ান অফ দ্য বেস্ট পোস্ট আই এভার রেড। ফুল স্টপ।

১০| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৩৯

অজ্ঞ বালক বলেছেন: ওয়ান অফ দ্য বেস্ট পোস্ট আই এভার রেড। ফুল স্টপ।

১১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৩৯

অজ্ঞ বালক বলেছেন: ওয়ান অফ দ্য বেস্ট পোস্ট আই এভার রেড। ফুল স্টপ।

১২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৩৯

অজ্ঞ বালক বলেছেন: ওয়ান অফ দ্য বেস্ট পোস্ট আই এভার রেড। ফুল স্টপ।

১৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৫০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশে ওয়াজ নতুন কিছু না।
দেশে ডজন ডজন শত শত ওয়াজি মওলানা। এরা গ্রামে গঞ্জে ওয়াজ করতো, যাচ্ছেতাই ভাষায় সত্য মিথ্যা মুখে যা আসে তাই বলতো। এখনো বলে।

কিন্তু বর্তমানে প্রযুক্তির কারনে এদের জারিজুরি প্রকাশ হয়ে যাচ্ছে। আজেবাজে মিথ্যা তথ্য বলা ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। ইংরেজি জ্ঞান, শিক্ষাগত যোগ্যতা ফাঁস হয়ে যাচ্ছে।
তবে আজহারির কথা আলাদা।
আজহারি এদেশে একটি চিহ্নিত 'ঘাতক শয়তানদের' প্রতিনিধী হয়ে কাজ করতেন। সংগত কারনে চিহ্নিত প্রতিক্রিয়াশীল রাজনৈতিক মুখপত্ররা সামাজিক মাধ্যমে ঝাপিয়ে পড়েছে তাকে বাঁচাতে।
৩য়মাত্রায় সেদিন দেখলাম (আলচিত সাবেক এম্পি) কাদের মোল্লাকে যিনি সমর্থন করেছিলেন, একই ভাবে উনি উলংগ ভাবে আজহারির সাফায় গাচ্ছেন। খোলাখুলি নির্লজ্জ ভাবে।
ফেবু ব্লগেও সেই পরিচিত সমর্থকরাই এখন ইনিয়ে বিনিয়ে 'আজহারি বাচাও' বলে আহাজারি শুরু করে দিয়েছে।

১৪| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:০৪

নীল আকাশ বলেছেন: @ হাসান কালবৈশাখী ভাই, আজহারী সমস্যা নয়, আসল সমস্যা হচ্ছে ওয়াজের নামে এরা যে টাকাপয়সা বানানোর সিস্টেম বানিয়েছে সেটা। এটা সরাসরি ইসলাম ধর্মের নিয়মের সাথে সাংঘর্ষিক। এক আজহারী যাবে আরেকটা আসবে। আগে আমাদের এই ধান্দাবাজীর সিস্টেম বন্ধ করতে হবে।

১৫| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০৯

রানার ব্লগ বলেছেন: এত দিনে সহমত হওয়ার মতো একটা ধর্মিয় পোস্ট পেলাম। আমি সম্পুর্ন রুপে আপনার সাথে সহমত। ওয়াজের নামে অত্যাচার ও দান খয়রাতের নামে অর্থের লোপাট বন্দ হোক। প্রত্যেকটা মসজিদের একটা ব্যাংক একাউন্ট থাকা উচিত যার যখন ইচ্ছা হবে সে একাউন্টে দিয়ে দিবে। আমার একটা ছোট্ট দাবি আছে কওমি মাদ্রাসা গুলর অর্থের উৎস জানান উচিত। দানের অর্থের নামে তারা নিজেদের ভোগ বিলাসের যে মচ্ছব করছে এটা বন্ধ করা উচিত।

১৬| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এই ধান্দাবাজীর সিস্টেম বন্ধ করতে হবে।
@নীল আকাশ , একমত আপনার সাথে।

১৭| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৩৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: ওয়াজ মাহফিল যদি সমাজ থেকে অপরাধ কমাতে সমর্থ হত, তাহলে এর পক্ষে থাকতে আমার আপত্তি নাই। কিন্ত বাস্তবেতো এইসব ওয়াজের ইতিবাচক কোন প্রভাব চোখে পড়ে না।

অটঃ লেখকের কাছে প্রশ্ন '' আপনি প্রতিউত্তর দেন না কেন?'' প্রতিউত্তর দিলে আপনার পোস্ট বুঝতে সহজ হত।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৪৪

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আমি অফিসের ফাঁকে ফাঁকে ব্লগ পোস্ট করি। লিখতে লিখতেই সময় চলে যায়, উত্তর দেয়ার সময় হয়ে উঠে না। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৮| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৯

একাল-সেকাল বলেছেন:

ধর্ম নিয়ে ক্যাচাল কেন? ফলবান বৃক্ষেই ঢিল ছোঁড়া হয় বেশি। একটা শ্রেণী এন্টি মুসলিম পারসেপ্সনে আবদ্ধ। ডাবল স্ট্যান্ডার্ডধারী

হুমায়ুন আহমেদ গর্ভবতী মেয়েদের কে গর্ভবতী গাভীর সাথে তুলনা করলে আমরা জাতে উঠি। আর শফি হুজুর অভাসের উদাহরন টানলেই তেঁতুল হুজুর, জাত গেলো বলে ফালাফালি শুরু হয়।

মমতাজের বুকটা ফাইট্যাঁ যায়, এই সুন্দরীর দুধ, একবার খাইলে মজা পাইলে কইবা ভেরি গুড। এই গান অশ্লিলতার সার্টিফিকেট পায়না। হুজুর যখন হায়েজ / মাসিক/ ঋতুকালীন সময় নিয়ে ইসলামের ব্যাখ্যা দেয় তখনি লজ্জাবতী লতারা নেড়ে চড়ে বসে।

১৯| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫

একাল-সেকাল বলেছেন: চালানো গাড়িটির মালিক আজহারী নন

২০| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫০

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: খুব ভাল লাগল লেখাটি।
মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে সঠিক বুঝ বোঝার তৌফিক দেন।

২১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩৫

মেটালক্সাইড বলেছেন: মাশাআল্লাহ!!!
চমৎকার লেখনশৈলী ও পান্ডিত্য আপনার লেখায়। "দুইশো মিলিয়ন ডলার ট্রান্সফার করে দিয়েছি, নিজের জন্য ভাল একটা ট্রেন কিনে ফেল" --ভাবার্থটা হুবহু মিলে গেছে টাইটেল প্লাস ব্লগ প্লাস মন্তব্যগুলোই।
জাযাক্কাল্লাহু খয়রা

২২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:২৭

অভি চৌধুরী বলেছেন: আপনার ভালো কথা গুলো নিলাম কিন্ত পক্ষান্তরে আহাজারীর সাফাই গেয়ে বসলেন সেটা নিলামনা, আমি যতটা ক্ষিপ্ত তাহেরীর উপর তার চেয়ে কয়েকশ গুন ক্ষিপ্ত আহাজারির উপর, আমি যতটা ক্ষিপ্ত মুখ বাকিয়ে নিজের মন গড়া কোরাআন পড়া হুজুর নজরুলের উপর তার চেয়ে বেশি ক্ষিপ্ত তারেক মনোয়ারের উপর, তারা পড়া লেখা করেছে ,দেশ বিদেশ ঘুরেছে।তারা যতটুকু জানে বুঝে জানার বোঝার সুযোগ পেয়েছে আমাদের গ্রামে পড়ে থাকা সেই হুজুর গুলো ততটা জানেননা ।তাদের ভুল কে অতটা ভুল হিসেবে নিতে পারিনা যতটা আহাজারি তারেক মনোয়ারদের বেলায় নিতে হয়।
এমন সব অহংকারী বক্তাদের আল্লাহ কি করবেন আল্লাহ জানেন এবং আমাদেরও কিছুটা ইঙ্গীৎ দিয়েছেন ।, অহংকার শুধু ধর্মের ক্ষেত্রে নয় সকল ক্ষেত্রের অহংকারীদের আল্লাহ কঠিন সাজা দিবেন,। নবীজি বলেছেন নালত তাদের উপর। আর আপনার মধ্যেও অহংকার দেখা যায়।লেখক হিসেবে আপনার দাম্ভিকতা দৃষ্টিকুটু। আপনার মতামত আপনার কাছে সেরা, পাঠকদের মুল্যায়ন করতে শিখুন।

আপনার পোষ্ট আমি পড়ি, ভালো গুলো নেই আর মন্দ গুলো আপনার পোষ্টে ছুড়ে মারি। মনে রাখবেন আপনার ভুল হবে সব সময় মারাত্মক বিধ্বংশী। কারণ আপনি জানা মানুষ রেফারেন্স দেন।যদি জেনে শুনে ভুল তথ্য দেন তো আপনার রেহাই নেই।

ভালো থাকবেন

২৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩৬

কিবরিয়া জাহিদ মামুন বলেছেন: সব আরবরা ধনী এই বক্তব্যর সাথে একমত হতে পারছিনা । আর দুশো মিলিয়ন ডলার যখন কোন ছাত্রর ব্যাংক একাউন্টে থাকবে তখন সে ট্রেন কিনবে না সে বেশ্যা কিনবে । লাসভেগাসে উড়াবে । যেমনটা আরবের শেখরা রাশিয়ান বেশ্যাদের উপরে উড়ায় । দুবাই গিয়ে গে দের পেছনে উড়ায় ।

যার যত সম্পদ কম আখিরাতে তার তত হিসাব কম । এইটাও হাদিস । আপনি বলছেন বিলিওনিয়ার হতে ইসলামে নিষেধ নাই হেলিকপ্টার চড়তে নিষেধ নাই । ইসলাম কি ডাবল স্টান্ডার্ড নাকি । রেলের জায়গা মাদা্রসার নামে লিখে নেয়া মওলানা তেতুল শফি হেলিকপটারে চড়েন সেটা কি বৈধ ...

মওলানা মিজানুর রহমান কে কেন এককোটি টাকার গাড়ী কিনতে হবে ....ওই গাড়ী কি আকাশ দিয়ে উড়বে । ওনি তো ত্রিশ লাখ টাকা দিয়ে গাড়ী কিনে বাকী টাকা বাংলাদেশে গরীব কে দিতে পারতেন । মাহফিল করতে নেন পনের লাখ বিশ লাখ । থাকেন আলীশান বাড়ীতে ঘোরেন এক কোটি টাকার গাড়ীতে । আর মাহফিলে আসা জনগনকে হাদিস শোনান যার যত সম্পদ কম অখিরাতে তার তত হিসাব কম । সেই একি লোক এক কোটি টাকার গাড়ীতে চড়েন ।

হযরত উমরের সময় খ্রিস্টানরা কি ট্যাকসের টাকার সরকারী ভাতা পেত .....নাকি শুধু মুসলিমরা পেত জানাবেন ..... আর অমুসলিমদের কি পরিমান ট্যাকস দিতে হত উমরের সময় জানাবেন দয়া করে ।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৪৮

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আপনি নিজে কতটা ইসলাম মানেন? আপনার গাড়ি আছে? কত টাকা দামের? আপনার গাড়ি কেনার কী দরকার ছিল? রিক্সা/বাসে চড়লেই পয়সা বাঁচতো, বাকিটা দান করে দিলেই পারতেন।
বাড়িতে থাকেন? কত বড়? দরকার কী ছিল? ঝুপড়ি বাড়িতে থেকে বাকিটা টাকা দান করে দিলেই পারতেন।
অন্যকে কী করতে হবে না করতে হবে বলার আগে দেখুন আপনি নিজে কতটা করছেন।
আমরা সবাই পাপী। কাজেই, অন্যকে হেদায়েত না দিয়ে আগে নিজেদের হেদায়েত নিয়ে চিন্তা করতে হবে।

২৪| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০৮

এসএম দেলোয়ার হোসেন বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

২৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:১৬

শের শায়রী বলেছেন: একজন স্বাভাবিক মুসলমান হবার জন্য মনে হয় না ওয়াজ খুব একটা জরুরী। ওয়াজ কোন দিন শুনিনি। আমার কাছে পবিত্র কোরান আর হাদীস পড়াই অনেক কিছু। আপনার লেখা গুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ছি। আপনি অনুসারিত।

২৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:১৯

সুপারডুপার বলেছেন:




(১)
টাকা ইনকাম করা দুনিয়ার জন্য দরকার। সওয়াব ইনকাম করা আখিরাতের জন্য দরকার।

যেসব হুজুরদের টাকা ইনকাম কম তারা নিশ্চয় আখিরাতের জন্য বেশি সওয়াব ইনকাম করেছেন। কারণ তারা আখিরাতের জন্য তাদের বেশিরভাগ শ্রম, মেধা ও সময়কে কাজে লাগিয়েছেন।

তেমনি উল্টাভাবে, যেসব হুজুরদের টাকা ইনকাম বেশি তারা নিশ্চয় আখিরাতের জন্য কম সওয়াব ইনকাম করেছেন। কারণ তারা দুনিয়ার জন্য তাদের বেশিরভাগ শ্রম, মেধা ও সময়কে কাজে লাগিয়েছেন।
___

(২)
ওয়াজ মাহফিলে পীরদের ও হুজুরদের অনেক ট্রিকি বুদ্ধি দিয়ে মানুষকে ব্রেইন ওয়াশ করে টাকা আদায় করতে হয়। মোবাইল কোম্পানি যদি মানুষকে ধোকা দিয়ে টাকা আদায় করতে পারে , পীর /হুজুররা কেন ট্রিকি বুদ্ধি দিয়ে ওয়াজ মাহফিলে মানুষের পকেট থেকে টাকা বের করে নিলে সমস্যা হবে ! এখানে মোবাইল কোম্পানি বা পীর /হুজুরদের সমস্যা না। যে ধোকার শিকার হচ্ছে , তারই মূল সমস্যা। কারণ সে অসচেতন ভাবেই ধোকার ভিতরেই থাকতে চায়

এটা থেকেও দেখা যায়, সুবিধাভোগীরা টাকা ইনকাম করার জন্য তাদের অনেক শ্রম, মেধা ও সময়কে কাজে লাগিয়ে অসচেতন মানুষকে ধোকা দিতে পেরেছে। তাদের বুদ্ধির প্রশংসায় করতে হয়।

২৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:০৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনার মত শিক্ষিত আমেরিকায় থাকা ব্যক্তি যদি এইসব ভন্ড হেলিকপ্টার হুজুরদের পক্ষে সাফাই গয় তবে সেটা শুধু দুঃখজনকই নয় অত্যন্ত লজ্জাজনক। এই সব ভন্ড হুজুররা ইসলামকে আরো কলংকিত করছে তাদের বিতর্কিত জীবন ধারার মাধ্যমে। দেশে বিদেশে এই সব হুজুরদের লালন পালন করে বাংলাদেশের লুটেরা গোষ্ঠী। ঔয়াজ মাহফিলের নামে জনগনের টাকা লুট করাই এদের মুখ্য উদ্দেশ্য।

২৮| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৫৭

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আপনার পূর্বের পোস্টগুলো আমি মনোযোগ দিয়ে পড়েছি | বেশ কিছু যুক্তি যথেষ্ট বুদ্ধিদীপ্ত বলেই মনে হয়েছে এবং ভালো লেগেছে | কিন্তু এই লেখাটি পড়ার পর মনে হলো আপনি চরম বিভ্রান্ত ও দিকভ্রান্ত - প্রচন্ড স্ববিরোধিতায় ভুগছেন | অর্থ, সম্পদ অবশ্যই আল্লাহর দান, তবে মধ্য প্রাচ্য সহ মুসলিম বিশ্বের ধনীদের কতজনের অর্থ, বিত্ত ও আয় সৎ বা হালাল পথে অর্জিত তা জানার জন্য চরম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজন নেই | কিছুদিন পাকিস্তান বা ইন্দোনেশিয়া বা সৌদি আরবের বিত্তশালীদের কাছ থেকে দেখার সুযোগ হলেই যে কারো কাছেই তা দিবালোকের মতোই পরিষ্কার হয়ে পড়বে | আপনি নিজেও ওই সকল দেশের রাজনীতিবিদ ও আমলা চক্র সম্পর্কে ভালোভাবেই অবগত আছেন বলে আমার বিশ্বাস | রমজানের সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম বাড়িয়ে বড়োলোক হওয়া ও সেই অর্থ ইচ্ছা মতো খরচ করা আমাদের নিজের দেশেরই সংস্কৃতি তা আপনার দৃষ্টি এড়িয়ে যাওয়ার কথা নয় |

আর বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামের সময় কিছু সংখ্যক বিভ্রান্ত তথাকথিত ধর্মের ধ্বজাধারী কর্তৃক এদেশের অসংখ্য নিরীহ জনগণকে হত্যা ও অমানুষিক নিপীড়ন করার কারণই হচ্ছে ক্ষমতা ও অর্থের প্রতি অসম্ভব লোভ | এই লোভই মানুষকে প্রচন্ড অমানুষ করে ফেলে এবং তখন সে এই পাপবোধ থেকে নিজেকে বাঁচাবার জন্য ধর্মকে কাস্টমাইজ করে ফেলে - বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়ে | লোভকে আপনি কোনো হাদিস বা যুক্তি দিয়ে জায়েজ করতে পারবেন না |

এই সব নিকৃষ্ট ও ঘৃণ্য কার্যকলাপকে জায়েজ করার জন্য শুধু ইসলামই নয়, কোনো মহান ধর্মই সমর্থন করে না - করার কথা নয় |

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০৭

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: মধ্যপ্রাচ্যের ধনীদের মূল আয়ের উৎস তেল ও স্বর্ণ সম্পদ বিক্রি। এখানে এই উপার্জন কিভাবে অসৎ হয়ে গেল একটু সংজ্ঞা সহ ব্যাখ্যা দিলে সুবিধা হতো।
ওদের আরেকটা সিস্টেম আছে, যা হচ্ছে, আরবে কোন ব্যবসা করতে হলে, আরবিদের কাউকে পার্টনার বানাতেই হবে। সে কাজ করুক, অথবা না করুক। ফলে বিদেশী যেকোন প্রতিষ্ঠান ওদের ওখানে ব্যবসা করতে গেলে ওদের কাউকে না কাউকে পার্টনার বানায়। ফলে বিপুল সংখ্যক আরব আপনাতেই ধনী হয়ে যায়।
রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি কী ওরা করে? নাকি ওরা দাম কমায়? বাংলাদেশে বৃদ্ধি করে বাংলাদেশী অসাধু ব্যবসায়ীরা। "অসাধু" যেকোন সময়েই খারাপ। আরবরা করলেও, বাংলাদেশিরা করলেও।

২৯| ০৭ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৭:৫৫

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আপনি হাসালেন আমাকে | প্রাকৃতিক সম্পদ নরওয়ে, কানাডারও রয়েছে, কিন্তু তা বলে ওই সম্পদ মন্ত্রী মিনিস্টাররা ভোগ করে না, জনগণের কল্যাণার্থেই ব্যয় হয় ওই সম্পদর্জিত অর্থ | তেল ও স্বর্ণ সম্পদের মালিক দেশের জনগণ, কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে এর সিংহভাগ ভোগ করে ক্ষমতাসীন চক্র ও তাদের ঘনিষ্ঠ মহল | মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদ কম খরচে লুটের জন্য ডিক চেনীরা রাজা বাদশাহদের কি পরিমান উৎকোচ প্রদান করে আপনার জানা নেই ! মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কি পরিমান দুর্নীতি হয় তা সবাই জানে | এতে অবশ্য আপনার অসাধুতা দেখতে পাওয়ার কথা নয় |

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.