নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে যেদিন হামলা হলো, অর্ধশত মুসলিমকে কেবল মুসলিম হবার অপরাধে মারা হলো, ভিডিও করে লাইভ স্ট্রিম করে গোটা বিশ্বকে দেখানো হলো এই নৃশংসতা। খুনি ছিল একজন হোয়াইট সুপ্রিমিস্ট সন্ত্রাসী। সেইদিনই, একই জুম্মাবারে, বর্ণবাদী হোয়াইট সুপ্রিমিস্টদের স্বর্গভূমি টেক্সাসে, ওদের দেবতা ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে, চার বছর বয়সী একমাত্র সন্তানকে কোলে নিয়ে, বৌ সহ পুরো পরিবার মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েছি।
হামলার সুযোগ ছিল, কিন্তু আমরা কেউ আতঙ্কিত ছিলাম না। পুরো মসজিদ মুসল্লিতে গিজগিজ করছিল। এতটাই যে দরজা থেকে মুসল্লিদের ফেরত পাঠিয়ে বলা হয়েছিল পরের জামাতে আসতে। আমাদের একটা বার্তা ছিল সেইসব সন্ত্রাসীদের প্রতি, তোমরা যা করার করে দেখাও, আমরা আমাদের রবের আনুগত্য প্রকাশে ভীত নই।
একেই বলে ঈমান।
এখন চারিদিকে ঘাতক ব্যাধি ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে। একজন থেকে চারজন, চারজন থেকে ষোল, ষোল থেকে চৌষট্টি, এবং এইভাবে হাজারে হাজারে, লাখে লাখে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে যাচ্ছে ঘাতক ভাইরাস, এতটাই দ্রুত যে যত বেশি পরীক্ষা করা হচ্ছে, ততই বেশি সংখ্যায় নতুন রোগী পাওয়া যাচ্ছে। হাসপাতালে স্থান হচ্ছেনা রোগীদের, নিউইয়র্কের সেন্ট্রাল পার্কে তাবু খাটিয়ে জরুরি চিকিৎসা সেবা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অবস্থা এতটাই খারাপ যে মিশিগানে এক হাসপাতালের ডাক্তারদের নির্দেশ হয়েছে যদি অতিরিক্ত রোগী বেড়ে যায়, এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতি পড়ে, তাহলে ডাক্তাররা তাঁদের বিবেচনানুযায়ী সিদ্ধান্ত নিবেন কোন রোগী বাঁচবে, এবং কে মরবে; ঠিক যেমনটা ইটালিতে এখন ঘটছে। এমতাবস্থায়, জেনে শুনে ইচ্ছা করে ছোঁয়াচে রোগকে আরও ছড়ানোর সুযোগ দিয়ে সরকার, ডাক্তার, বিজ্ঞানী, নবী এবং আল্লাহ সহ সবার নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মসজিদে গিয়ে জামাতে নামাজ আদায় করাকে বলে মূর্খামি। কারন, এতে নিজের ক্ষতি হোক কি না হোক, অন্যের ক্ষতি যে হবে, এইটা নিশ্চিত। এবং ইসলাম কখনই এমন অবিবেচকের মতন আচরণ করতে অনুমতি দেয় না।
আফসোস!
একপাল মূর্খ ছাগল আমাদের ঈমান শেখাতে আসে।
আফসোস!
২| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ মরছে বেশুমার। তাদের ধর্ম-বর্ণ-গোত্র ও ভৌগোলিক অবস্থান নিয়ে কটাক্ষ করার সময় কি এখন?!!
৩| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:২৪
ইমরান আশফাক বলেছেন:
৪| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:২৪
অগ্নিবেশ বলেছেন: আপনার ইমান নিয়ে টানাটানি করে? আফসোস!
৫| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:১০
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: মূর্খ ‘ধর্ম ও মনুষ্যত্ব’ বোঝে না।
৬| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৫০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: এই সময় ভন্ডদের মাঠ গরম থাকে। নিজের রাগকে ঠান্ডা রাখুন
৭| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:১২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমার মন্তব্যটি কেন মুছে দিলেন বুঝতে পালামনা।
সে যাই হোক, বিশ্বাস যার একান্ত বিষয়। আমি বিশ্বাস করি
মুসলমানের পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআনকে যেখানে বিন্দুমাত্র
ভুল নাই।
কোরআনে বিশ্বাস আপনার সকল দুঃখ দুর করে দিতে সক্ষম।
আল্লাহ তায়ালা সুরা হাদীদে এরশাদ করেনঃ
পৃথিবীতে এবং ব্যক্তিগতভাবে তোমাদের উপর কোন বিপদ আসে না;
কিন্তু তা জগত সৃষ্টির পূর্বেই কিতাবে লিপিবদ্ধ আছে। নিশ্চয় এটা আল্লাহর পক্ষে সহজ। [ সুরা হাদীদ ৫৭:২২ ]
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) হযরত ইবনে আব্বাসকে বললেন হে ইবনে আব্বাস
যদি সারা দুনিয়ার মানুষ তোমার উপকার করতে চায় তারা ততটুকু উপকার করতে পারবে
যতটুকু আল্লাহ তায়ালা তোমার কিসমতে লিখেছেন।
আর যদি সারা দুনিয়া তোমাকে যদি ক্ষতি পৌঁছাতে চায় তাহলে ততটুকু ক্ষতি পৌঁছাতে পারবে
যতটুকু আল্লাহ তায়ালা তোমার কিসমতে রেখেছে। সুতরাং আমরা যদি এসব হাদীস ও তকদীরের
বিষয়ে আমরা পাকা পোক্ত জ্ঞান রাখি তাহলে দুনিয়ার অসংখ্য পেরেশানি আমাদেরকে স্পর্শ করতে পারবে না।
বিশ্বাস করা না করা যার যার ব্যাক্তিগত ব্যাপার।
৮| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৫৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ছাগল সব সময়ে মূর্খই হয়। আমি আজ পর্যন্ত কোন জ্ঞানী ছাগল দেখি নাই!!!
আবার কিছু মনে কইরেন না। আপনেরে বলি নাই কিন্তু।।
৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৩৬
অপু তানভীর বলেছেন: এই মূর্খ ছাগলদের কিছু বলে লাভ নেই । লিখে তো বোঝানোই যাবে না ।
সেই চেষ্টা না করাই ভাল । বৃথা শ্রম ।
১০| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:৪০
ক্ষুদ্র মানব বলেছেন: আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ধর্ম পালন আর ধর্মান্ধতা দুটো ভিন্ন জিনিস। যারা রাসূলের হাদীস মানেনা তারা ধর্মান্ধ। আল্লাহ সত্যকে বুঝার তেীফিক দিন।
১১| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৪৩
অধীতি বলেছেন: এখন একটু হলেই ঈমান নিয়ে টান দেয়।
১২| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:২৪
পুলক ঢালী বলেছেন: ব্লগার মঞ্জুর চৌধুরীর অনুমতি স্বাপেক্ষে বলছি
নুরু ভাই।
বিশ্বাস করা না করা যার যার ব্যাক্তিগত ব্যাপার।
বিশ্বাস মনের ব্যাপার কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন।
ধর্ম নিয়ে কথাই বলতে ইচ্ছে করেনা ওটা মনের ভিতরেই থাক।
ধর্মে কন্ট্রাডিকশন থাকেই যেমন বলেছেন: সারা দুনিয়া তোমাকে যদি ক্ষতি পৌঁছাতে চায় তাহলে ততটুকু ক্ষতি পৌঁছাতে পারবে যতটুকু আল্লাহ তায়ালা তোমার কিসমতে রেখেছে।
আল্লাহ্ মহান দয়াবান তিনি নিষ্ঠুর হয়ে ক্ষতি চাইবেন কেন?
বলবেন গুনাহ্-র শাস্তি, কিন্তু আল্লাহ্ না চাইলে কার পক্ষে গুনাহ্ করা সম্ভব ?
বলবেন বিবেক দিয়েছেন তিনি । বিবেক দিয়ে কর্ম স্বাধীনতা দিলে কর্মের দায়ে বিচার করার অধিকার থাকে কি ?
যদি থাকে তাহলে সেই কর্মের দায় স্রষ্টার উপর বর্তায় কিনা?
এখন বলবেন বিশ্বাস কে যুক্তি দিয়ে প্রতিষ্ঠা করা যায়না।
মেনে নিলাম আসলেই তাই।
তাহলে কম্প্রোমাইজ করি বিশ্বাস বিশ্বাসের জায়গায় থাক।
বাস্তবে সূর্য পূর্ব দিকে উঠে এটা মেনে নেই কারন বিশ্বাস দিয়ে সূর্য পশ্চিমে উঠানো যাবেনা।
আমি মনে করি বাস্তব কোন ঘটনা যেটা সারা বিশ্বের মানব জাতির জন্য ফলাফলে পার্থক্য তৈরী করেনা সেখানে ধর্ম না আনাই ভাল।
ভাল থাকুন।
১৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৪১
محمد فسيح الاسلام বলেছেন:
ঘৃণা ছড়ায়ে লাভ কি বলো যদি তা দুঃখই বয়ে নিয়ে আসে! ক্ষতি তো হচ্ছে আশরাফুল মাখলুকাতদেরই!
@পুলক ঢালী,
খোদাতায়ালা আমাদের ইচ্ছা-কে স্বাধীন করে দিয়েছেন।
তবে, আমরা কি ইচ্ছা প্রকাশ করবো সেটাও উনি জানেন। কিন্তু, কিছু কালের জন্যে সেই ইচ্ছা প্রকাশের 'স্বাধীনতা' উনি আমাএর উপর দিয়ে রেখেছেন। যেমন- গরুর দড়ি রাখাল কিছুকাল ছেঁড়ে দিয়ে রাখে।
১৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:২৫
পুলক ঢালী বলেছেন: محمد فسيح الاسلام ভাই
আমি সব মেনে নিচ্ছি।
তাপরও বলতে ইচ্ছে করে: আল্লাহর হুকুম ছাড়া একটা পাতারও নড়ার সাধ্য নেই।
যেমন- গরুর দড়ি রাখাল কিছুকাল ছেঁড়ে দিয়ে রাখে।
ভাই পৃথিবীর রাখাল জানেনা গরুকে ছেড়ে দিলে গরুটা কি করবে?
স্রস্টা (রাখাল) আগে থেকেই জানেন (গরু) তার বান্দা স্বাধীনতা দিলে কি করবে?
তাহলে স্রস্টার পুতুল খেলার দায় বান্দার ঘাড়ে আসবে কেন ?
যুক্তির কাছে ধর্ম দুর্বল কিন্তু বিশ্বাসে মহা শক্তিমান তাই ধর্ম বিশ্বাসের মধ্যেই থাকুক।
আমরা শুধু সব কিছুতে ধর্মের দোহাই দেওয়া বন্ধ করি।
আপনি সুন্দর বলেছেন: ক্ষতি তো হচ্ছে আশরাফুল মাখলুকাতদেরই!
একদম সত্য কথা পৃথিবীর সব মানুষই তো সৃষ্টির সেরা জীব তাহলে আমরা মানুষে মানুষে ভেদ করছি কেন ?
ভাল থাকুন।
১৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:০৬
নাসির ইয়ামান বলেছেন: কোরানের কথা, যে শব্দই উচ্চারণ করা হোক না কেন, বিচক্ষণ পর্যবেক্ষণকারী আছে (সাথে সাথে তা টুকে নেয়)।
আমাদের কিছু ব্যক্ত করার আগে ভাবা দরকার!
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:০১
রাফা বলেছেন: জেহাদ শব্দের বিকৃত অর্থ করে যেমন জেহাদি হয়ে যায়। ঠিক অনুরুপ ঈমান কাহাকে বলে তাই জানা নেই বলেই ঈমানের শিক্ষা দিতে আসে।অল্প বিদ্যা ভয়ংকরি এদেরকেই বলে।