নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

"সকল মূর্তিই ভাষ্কর্য্য কিন্তু সকল ভাষ্কর্য্যই মূর্তি নহে" জাতীয় থিওরি আমি কপচাবো না।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৩৬

"ভাষ্কর্য্য নিয়ে কিছু লিখেন নাই?"
ফালতু বিষয় নিয়ে লিখতে ইচ্ছা করেনাই, তাই লেখা হয়নাই।
তবে যেহেতু কেউ কেউ এপ্রোচ করেছেন, তবে নিজের কিছু ধারণার কথা বলি।
প্রথম কথা, আমরা এমন একটা দেশে বাস করি যেখানে যেদিকেই তাকাই, সমস্যাই সমস্যা নজরে আসে। জনসংখ্যা বিস্ফোরণ থেকে শুরু করে ট্রাফিক জ্যাম হয়ে রাস্তাঘাটে খানাখন্দ, গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকট ইত্যাদি হয়ে সরকারি দপ্তরে পিয়ন থেকে মন্ত্রী পর্যায়ে দুর্নীতি, চিটারি, বাটপারি, অরাজকতা, ছিনতাই, গুম, সন্ত্রাস, ধর্ষণ, পুলিশ কর্তৃক চাঁদা আদায়, অনাদায়ে খুন, ক্রসফায়ার, বিচারহীনতা, ধর্মের নামে ধর্মান্ধতা, জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদ ইত্যাদি ইত্যাদি কি নেই দেশে? সেখানে এসব কিছু ফেলে কেবল ভাষ্কর্য্য নিয়ে পড়ে থাকা কতটা যৌক্তিক? ইসলামিক দলের কি ধারণা ভাষ্কর্য্য গায়েব করে দিলেই দেশের সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে? মাদ্রাসা শিক্ষক শিশু বলাৎকার বন্ধ করে দিবে?
"সকল মূর্তিই ভাষ্কর্য্য কিন্তু সকল ভাষ্কর্য্যই মূর্তি নহে" জাতীয় থিওরি আমি কপচাবো না। ওসব ইসলামিক পন্ডিতদের কাজ। তাঁরা ব্যাখ্যা করবেন। আমি শুধু জানি ইসলামের সবচেয়ে বড় শত্রুর নাম মিসরাধিপতি ফেরাউন। পবিত্র কুরআন শরীফে আল্লাহ এই বদমাইশকে তীব্রভাবে তিরস্কার করেছেন। সেই ফেরাউনের দেশ মিশর হজরত উমারের (রাঃ) খেলাফতেই মুসলিমদের হাতে আসে। পতন ঘটান হজরত আমর ইবনে আল আস (রাঃ)। বিখ্যাত সাহাবী। মক্কা থেকে হিজরত করা শেষ সাহাবীদের একজন তিনি। তাঁর সম্মান কিন্তু আল্লাহর কাছে অনেক। তা হজরত উমারের (রাঃ) শাসনামলে রাজ্যময় সাহাবী গিজগিজ করতেন। একেকজন সাহাবী আমাদের যুগে হাজার খানেক আলেমের চাইতেও কোটিগুন বেশি মর্যাদার অধিকারী। তা সেই সাহাবীদের দখলে থাকার পরেও ইসলামের সবচেয়ে বড় দুশমন ফেরাউনের মূর্তি/ভাষ্কর্য্য/স্থাপনা/দেবদেবীর মূর্তি কোনটাই ভাঙা হলো না কেন? মুসলিমরা সেগুলোর পূজা করেনি, অন্যরাও করতো না। ওগুলো ছিল পরিত্যক্ত সম্পদ। প্রত্নতাত্বিকরা এখনও নিত্যই আবিষ্কার করে চলেছেন সেগুলো। সাহাবীরা চাইলেই কিন্তু ধ্বংস করতে পারেন। করেননি কেন? আমার ধারণা তাঁরা হয়তো ভাষ্কর্য্য রাখা না রাখা জাতীয় ফালতু কাজে সময় ব্যয় না করে জাতি গঠনের মতন মহৎ কাজে সময় ব্যয়ে আগ্রহী ছিলেন। আপনাদের কি মত? কি যুক্তি দিবেন? এই ইসলামী দল কি ধর্ষণের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিতে পারতো না? দুর্নীতির বিরুদ্ধে? মাজার ব্যবসা বা পীরাকি ভণ্ডামি ইত্যাদি ইসলামের সরাসরি ক্ষতি করছে। এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কবে নিবে? কবে দেখবো এইসব ইসলামী দল মাজারে মাজারে হানা দিয়ে গাঁজা সেবন, শিরকী কর্মকান্ড সমূলে উৎপাটন করছে?
এদিকে সরকারের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আছে।
আওয়ামীলীগ নিজের কর্মীদের টাকায় ভাষ্কর্য্য কেন, বিস্কুট ফ্যাক্টরি দিক, তাজমহল বানাক, যা খুশি তাই করুক, কোনই সমস্যা নাই। কিন্তু সরকার যখন জনগনের টাকা দিয়ে ভাষ্কর্য্য নির্মাণ করতে চাইবে, তখন একদল লোক যদি শান্তিপূর্ণভাবে আপত্তি তোলে, আমি তাতে কোনই সমস্যা দেখি না। কারন এটাই গণতন্ত্র। যেহেতু জনগনের কষ্টের টাকায় সরকার চলে, তাই জনগনের অধিকার আছে সেই টাকা কোথায় কোন খাতে ব্যয় হবে তা নিয়ে মত প্রকাশ করার।
যেমন আমি জন্মের পর থেকেই দেখছি আমার দেশের চিকিৎসা খাত দুর্নীতিতে ভরপুর। আমার আব্বুর চিকিৎসা করতেন যে ডাক্তার আংকেল, তিনি নিজে অসুস্থ হলে ছুটতেন ইন্ডিয়াতে। দেশের মন্ত্রী মিনিস্টার কয়জন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়? আমার টাকায় যখন তোমার চিকিৎসা থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর আমেরিকায় হচ্ছে, তাহলে আমার টাকায় আমার দেশে আমার কেন এত বাজে চিকিৎসা হবে? দেশের শ্রেষ্ঠ ডাক্তার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা মেডিক্যালের বেডে তেলাপোকা গিজগিজ করে। আর কি বলবেন?
স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর হতে চললো, এখনও আমাদের দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা, এর বাজেট যদি উন্নত বা মাঝারি মানের কোন দেশের নাগরিককে বলি, সে চোখ কপালে তুলে ফেলে। এই যে কয়েকদিন ধরে "বোনম্যারো দান করুন, বোনম্যারো দান করুন" বলে বলে চিল্লাচ্ছি, দেশের অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তাঁরা দিতে আগ্রহী। কিন্তু শালার একটা সিস্টেম নাই যেখানে সবার ডিএনএ স্যাম্পল কালেক্ট করে রাখবে, যাতে যখন কোন রোগীর প্রয়োজন হবে, তখন সেটা সহজেই সার্চ করে পাওয়া যায়। আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের এক বান্ধবীর শিশু সন্তান ছয় সাত বছর ধরে বোনম্যারোর সন্ধানে অপেক্ষায় আছে। বেচারাকে ইন্ডিয়াতে গিয়ে স্যাম্পল দিতে হলো। ওরা বিশ্বব্যাপী সার্চ করে সন্ধান পেলে জানাবে বলেছে। অথচ যে দেশে ম্যাচ পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল, যে দেশে অনেকেই আগ্রহী শিশুটিকে সুস্থ একটি জীবন দিতে, সেই দেশেই সামান্য ডাটাবেজ সিস্টেম নাই। কারন সেই দেশেরই এক সরকারি দপ্তরের ড্রাইভার দুর্নীতির টাকায় আলিশান বাড়িতে থাকে। এরচেয়ে লজ্জার আর কি হতে পারে?
আমি দেখছি দেশে এখনও প্যারামেডিক্স সহ এম্বুলেন্স ব্যবস্থা নাই। একটা বয় অক্সিজেন সিলিন্ডার সহ হাজির হয়ে যাবে। রোগীকে যে বাড়িতেই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হসপিটাল পর্যন্ত বাঁচিয়ে আনার ব্যবস্থা করবে, সেই বিদ্যা, ধ্যান ধারণা কিছুই তাদের নেই। অসংখ্য রোগীর মৃত্যু তাই এম্বুলেন্সেই ঘটে।
আমি দেখছি আমার দেশে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য নেই। চোর এসে চুরি করে চলে যাচ্ছে, খুনি এসে খুন করে চলে যাচ্ছে, পুলিশ আসতে আসতে কমসে কম আধা ঘন্টা সময়তো লাগছেই। ক্ষেত্র বিশেষে আরও বেশি। অথচ উন্নত বিশ্বে দুই তিন মিনিটেই পুলিশি সাহায্য এসে হাজির হয়।
ফায়ার সার্ভিসের ক্ষেত্রেও ঘটনা একই। সেদিন মধ্যরাতে ফোন দিয়েছি, দেড় মিনিটে আমার বাড়ির সামনে ফায়ার ট্রাক এসে উপস্থিত। আর আমার দেশের কথা বাদই দিলাম। "ফায়ার হাইড্রেন্ট" সেই উনিশ শতকের আবিষ্কার। বিশ্বের প্রতিটা আধুনিক দেশের প্রতিটা শহরে আছে। আজ পর্যন্ত আমাদের বাংলাদেশে এর দেখা মিলল না। কেন ভাই, বঙ্গবন্ধুর নামে ভাষ্কর্য্য নির্মাণ না করে সেই টাকায় এসব কল্যাণমুখী কাজ করা যায় না?
আমি দেখছি শিক্ষা দীক্ষায় আমার দেশ এখনও পিছিয়ে আছে। লোকজন মুখস্ত বিদ্যায় পাশ করে বেরুচ্ছে। শিক্ষার মান ক্রমেই নিম্নমুখী হচ্ছে। শিক্ষার পেছনে, শিক্ষকদের পেছনে বাজেট নেই সরকারের?
সিঙ্গাপুরের সাথে একই সময়ে স্বাধীন হওয়া দেশটি আজকে কোথায় পড়ে আছে, আর সিঙ্গাপুরিরা কোথায় পৌঁছে গেছে। অথচ স্বাধীনতার সময়ে আমাদের পূর্বপুরুষদের কী স্বপ্নটাই না ছিল! আমরা পারতাম এতদিনে বিশ্বের অন্যতম উন্নত দেশ হতে। আমরা পারতাম দক্ষিণ এশিয়ার নেতৃত্ব দিতে। জনশক্তি, মেধা, প্রাকৃতিক সম্পদ সব ছিল এবং আছে আমাদের। কিন্তু তারচেয়ে বেশি আছে চ্যালা চামচা তেলবাজদের সংখ্যা। সঠিক লোক সঠিক স্থানে যদি নিয়োগ পেত, দুর্নীতির সাথে কোন অবস্থাতেই আপোষ করা না হতো, ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা হতো, এক জেনারেশনের মধ্যে আমাদের মেরুদন্ড জালিবেতের মতন সোজা হয়ে থাকতো।
এইসব বাদ দিয়ে আমরা পড়ে আছি রাস্তায় রাস্তায়, কোণায় কোণায় ভাষ্কর্য্য নির্মাণ হবে কি হবে না সেই বিতর্কে।
বঙ্গবন্ধুর নাম প্রতিষ্ঠিত করতেই এই ভাষ্কর্য্য নির্মাণতো? কেননা বঙ্গবন্ধুর নামেই ঐ একই টাকায় একেকটি জনকল্যাণমুখী প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হোক? "বঙ্গবন্ধু ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট" যেখানে আন্তর্জাতিক মানে ক্যান্সার রোগের গবেষণা হবে। ইমরান খানের মা ক্যান্সারে মারা গিয়েছিলেন বলে তিনি শপথ করেছিলেন নিজ দেশে একটি ক্যান্সার রিসার্চ হসপিটাল করবেন। আজকে শওকত খানম মেমোরিয়াল ক্যান্সার হসপিটাল বিশাল একটি নাম। সরকারি টাকায় হয়নি, মানুষের ভালবাসায় হয়েছে। উদ্যোগটা সরকার নিক, লোকজন ভালবেসেই একেকটি প্রতিষ্ঠান দাঁড় করিয়ে দিবে।
আমার দেশের মধ্যবিত্তের এক শ্রেণীর বিশাল সংখ্যক মানুষ আজও মাসের শেষের দিকে একবেলা খেয়ে বেঁচে থাকেন। মাথার উপর ছাদ আছে, এই যথেষ্ট। কারোর কাছে হাত পাততে লজ্জা পান। আমার দেশের বস্তিতে বৃদ্ধ বৃদ্ধা দম্পতি মুড়ি খেয়ে রোজা ভাঙে। প্রতিবন্দি শিশুর মা নিজের সন্তানকে কুকুরের মতন খুঁটির সাথে বেঁধে কাজে যান। নাহলে খাওয়া জুটবে না। এইসব আমি মানতে পারিনা।
সেদিন ইত্যাদিতে দেখলাম রাজশাহীর প্রত্যন্ত অঞ্চলে এক বৃদ্ধ বৃদ্ধা দম্পতি এতিম ও সমাজ পরিত্যক্ত শিশু ও আশ্রয়হীন বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে গিয়ে নিজেরাই আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন। এই বৃদ্ধ ভদ্রলোক একজন মুক্তিযোদ্ধা। যুদ্ধফেরত স্বাধীন দেশে ফিরে শহীদ সহযোদ্ধাদের এতিম শিশুদের অনাহারে অবহেলায় ঘুরে বেড়াতে দেখে তিনি ব্যাকুল হয়ে উঠেন। এবং তারপরে আরও বহু বছর পরে ১৯৮৪ সালে গড়ে তোলেন এক এতিমখানা। এই হচ্ছে সত্যিকারের দেশপ্রেমিক আর ভন্ডদের মধ্যে পার্থক্য। এই ভদ্রলোক নিজের দেশের মানুষদের কল্যাণ নিয়ে ভেবেছেন। আর আমাদের নেতানেত্রীরা পড়ে আছেন ভাষ্কর্য্য গড়া না গড়া নিয়ে।
স্বাধীনতার আরও পঞ্চাশ বছর যাক। আমি বেঁচে থাকবো না নিশ্চিত। এবং বাংলাদেশেরও কোন পরিবর্তন হবে বলে মনে হয়না।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



হাউকাউ ধরণের লেখা

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৭

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: হাহাহাহাহা। আর কমেন্টটা একদম নোবেল জয়ী।

২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আপনার পোস্ট আমি নিয়মিত পড়ি। কখনো মন্তব্য করেছি কিনা জানা নেই। তার মধ্য অন্যতম কারণ হতে পারে আপনি মন্তব্যর উত্তর দেন না। - যাইহোক, আপনি গুরুত্বপূর্ণ লেখা লিখে থাকেন এটিই বলতে চাচ্ছি।

রাষ্ট্র টাকা ইনভেস্ট করবে তাতে প্রফিট থাকতে হবে। একটি রাষ্ট্র কখনো চ্যারিটি হতে পারে না। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য দিয়ে মানুষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে এটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বুঝতে হবে।

ধর্ম ও রাজনীতি নিয়ে কিছু বলার নেই। ধর্ম ও রাজনীতি একই মূদ্রার এপিঠ ওপিঠ।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৯

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ঠিক বলেছেন। বিশেষ করে আমাদের মতন দরিদ্র দেশে, যেখানে টাকার অভাবে লোকজন মরছে, সেখানে ভাস্কর্য নির্মাণ বিলাসিতা ছাড়া কিছু না।

৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২৭

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: ধান ভানতে শিবের গীতের মতো হলো না!
আপনি এতটা নিরাশ হয়ে পড়েছেন যে ৫০ বছরেও উন্নতি আশা করতে পারছেন না।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০০

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: যা ৫০ বছরে হয়নি, এবং যে আলামত দেখতে পারছি, আগামি ১০০ বছরেও আমরা এগুবো না।

৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩৬

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: @ঠাকুরমাহমুদ,রাষ্ট্র কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নয় যে,লাভের জন্য ইনভেস্ট করবে।রাষ্ট্র সকল কাজ করবে জনকল্যানে।জনগনের টাকায় জনকল্যানমূলক কাজ করবে।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০২

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: জনকল্যানেই টাকা খরচ হবে, কিন্তু সেখানেও প্রফিট থাকতে হবে। যেমন একটা হাসপাতালে ডাক্তারদের "চাকরি" হবে, জনগন পাবে স্বাস্থ্য সেবা। সবই ইনভেস্টমেন্ট এবং দেশের জন্য প্রফিট।

৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১১

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: রাষ্ট্র সকল কাজ করবে জনকল্যানে।জনগনের টাকায় জনকল্যানমূলক কাজ করবে।

রাষ্ট্র তো সেটাই করে যাচ্ছে। জনগণের টাকায় পাপিয়া, সম্রাট, হানিফ, দরবেশ বাবা ও ওসি প্রদীপের মতো লাখো লাখো সাচ্চা লোকের জন্য কল্যানমুলক কাজই করে যাচ্ছে গোটা রাষ্ট্রযন্ত্র। =p~

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৩

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আচ্ছা, ওদের থেকে উদ্ধার হওয়া টাকাগুলো কি করেছে সরকার?

৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৬

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: রাষ্ট্র সেটা ঠিক করছে না।

৭| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৩

ফটিকলাল বলেছেন: জঘন্য ফ্যালাসীর পোস্ট।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৪

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: হাহাহাহা। ইয়েতে আগুন ধরেছে?

৮| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৩

শাহ আজিজ বলেছেন: এই সংকট কালে বাড়তি খরচ কমিয়ে মিতব্যায়ি হয়ে ফ্রি মাস্ক ফ্রি অক্সিজেন আর ফ্রি টেস্ট করা সবচে জরুরি বিষয় ছিল । বলাৎকার বিষয় ঢাকতে এই ভাস্কর্য বিষয়ক সমাবেশ । এরা কেউই দেশের বন্ধু নন ।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৪

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ঠিক ধরেছেন।

৯| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




নুরুলইসলা০৬০৪ আপনি ঠিক বলেছেন। আপনি ১০০ভাগ সঠিক আর এই কারণেই রাষ্ট্রায়ত্ত মালিকানা যতো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিলো সব স্ক্র্যাপে পরিণত হয়েছে।

রাষ্ট্র ঋণ করে লিল্লা ছদাকায় দান ক্ষয়রাতে আর চুরি চামারি করে চলবে, রাষ্ট্রের নিজস্ব কোনো আয় ও ফান্ড থাকবে না। - সাবাস।

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আমি হিব্রু ভাষায় লেখালেখি করি, যারা আমার লেখা বুঝতে পারেন তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ থাকবে সব সময়।

১০| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আরো আছে পি কে হালদার, লক্ষীপুর -২ এমপি, ফরিদপুরের দুইশ কোটি টাকা দুই ভাই রাষ্ট্র এদের কল্যাণ করেছে ভালোই

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৫

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: :(

১১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: পোস্টে ++। ভাল লিখেছেন । সব সমস্যার কথা বাদ দিয়েও যদি শুধু ধর্মীয় অবস্থানের দিক থেকেও কেউ আপত্তি তোলে তাতে অসুবিধার কোন কারন আসলে দেখি না কারন গনতন্ত্রে সবারই বাকস্বাধীনতা আছে।

ব্লগার নীল আকাশ এই ইস্যূতে কিছু কমেন্ট করেছে। সুন্দর তর্ক বিতর্ক হতে পারতো এই ইস্যূতে, কিন্ত তাকে জামাত শিবির , স্বাধীনতা বিরোধী ইত্যাদি ট্যগিং করে থামিয়ে দেয়া হয়েছে। এই দেশে বাক্স্বাধীনতা যে নাই , তা প্রতিমুহুর্তে স্মরন করিয়ে দেয়া হয়।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৬

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: না ভাই, দেশে আসলেই বাকস্বাধীনতা নাই।

১২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশটা দরিদ্র।
তাই সরকার যখন অকাজে ফালতু টাকা অপচয় করে তখন কষ্ট লাগে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু এদেশের প্রান। পুরো বাংলাদেশ জুড়ে তার মূর্তি বা ভাস্কর্য থাকলে আমার কোনো সমস্যা নাই।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৮

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: কোনই সমস্যা নাই। কিন্তু পেটে যদি ভাত না জোটে, পরিবারের প্রধাণের ছবি দেয়ালে দেয়ালে টাঙ্গিয়ে রাখা কোন বুদ্ধিমান প্রাণীর কাজ হতে পারেনা।

১৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫১

এমেরিকা বলেছেন: প্রতি বছর কুরবানী ঈদের আগমনকালে চাদ্গাজী এবং রাজীব নুর টাইপের ব্লগাররা যুক্তি দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেন, লাখ লাখ টাকা গরুর গলা কেটে নষ্ট না করলে সেই টাকা দিয়ে কত ধরণের কল্যাণমূলক কাজ করা যায় ইত্যাদি ইত্যাদি। কেবল ব্লগাররাই নয়, একাত্তর টিভি টাইপ প্রগতিশীল আধুনিক মনষ্ক মিডিয়ারাও মাঠে নেমে পড়েন এ সংক্রান্ত তত্ত্ব গেলাতে - যদিও তা গিলতে কেউই কখনও উৎসাহী হয়না, তবু তাদের কাজ তারা করে যান।

আপনার এই লেখাটাও অনেকটা সেরকম। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় সরকার মূর্তি নির্মাণ না করেও যেমন অনেক জনকল্যাণমূলক কাজ করতে পারেন, মূর্তি নির্মাণ করেও পারেন। তাই কোন কিছুর জন্যই মূর্তি নির্মাণ আটকে থাকবেনা।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৪

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: কোরবানির ঈদের গরুর টাকা মানুষের নিজের টাকা। সেই টাকায় সে গরু কোরবানি দিবে, নাকি জনতাকে দিবে, এইটা তাঁর নিজের সিদ্ধান্ত। লোকজন মতামত দিতেই পারে। তবে সেই মত প্রকাশের আগে দেখতে হবে তাঁরা নিজেরা কতটা জনদরদী। মানে, তাঁরা যে বাড়িতে থাকেন, সেই বাড়ি না কিনে তাঁরাতো পারতেন ছোট বাড়িতে থেকে বাড়তি টাকা জনগণকে বিলিয়ে দিতে, তাই না? যে পোশাক পরেন, তারচেয়ে কমদামি পোশাক পরতে পারতেন, পারতেন ইন্টারনেটের বিল বাঁচিয়ে বাড়তি টাকা বিলিয়ে দিতে। কথা হচ্ছে, অন্যে কি করবে না করবে, সে ব্যপারে আমাদের খবরদারি প্রচুর। নিজেদের বেলায় ফাঁকা কলসি।
আমার লেখায় আমি চিল্লাচ্ছি এই কারণেই যে ঘরের মানুষকে অভুক্ত রেখে বাড়ির প্রধানব্যক্তি যদি নিজের ছবি দেয়ালে দেয়ালে ঝুলানোর পেছনে টাকা খরচ করে তাহলে সেটা বুদ্ধিমান প্রাণীর কাজ না। সরকারকে বুঝতে হবে।

১৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০০

ইমরান আশফাক বলেছেন: চাঁদগাজী ভাইকে বলছি, আপনি এই মানের একটা পোষ্ট তৈরী করে দেখান আগে।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৪

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ছাগলের কাজ পাতা খাওয়া। আপনি তাকে হালচাষ করতে বললেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.