নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
ডালাসে সহজে বরফ পড়েনা। এক দশকে এক দুইবার তুষার ঝড় আসে, পুরা এলাকা সাদা করে আবারও কয়েক বছরের জন্য বিদায় নেয়। আমাদের এখানে বছরে চার ঋতু। ১. গরম, ২. অসহ্য গরম, ৩. ঠান্ডা ৪. অসহ্য ঠান্ডা। বৃষ্টি কোন ঋতু ফিতু মানে না। যখন মনচায় বর্ষায়, নইলে আস্ত লেক মেক শুকায়ে কাঠ হয়ে যায়। মাঝে মাঝে একই দিনে মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই আমরা চার ঋতুর দেখা পাই।
তুষারপাত আমার কাছে অসহ্য মনে হয়। শুধুমাত্র এই কারণেই নর্থের কোন স্টেটে স্থায়ী হবার ইচ্ছা করেনা। ডালাসে একটু বরফ পড়লেই অফিস আদালত স্কুল সব বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের গাড়ির টায়ার এমনভাবে বানানো হয় যা বরফে গ্রিপ করতে পারেনা। পাঁচ মাইল বেগে চালালেও রাস্তায় পিছলা খাই। পিছলা খাওয়া গাড়ির উপর ড্রাইভারের কোন নিয়ন্ত্রণ থাকেনা। পাশের ফুটপাথে উঠে যেতে পারে (আমার ক্ষেত্রে তিনবার ঘটেছে এমন), বা অন্য কোন গাড়ির সাথে বাড়ি খেতে পারে, অন্য কোন গাড়ি পিছলা খেয়ে আমার গাড়ির উপর আছড়ে পড়তে পারে, আমি পিছলা খেয়ে রাস্তার পাশের লেকে/রেললাইনে পড়ে যেতে পারি। কাজেই বুদ্ধিমান মানুষেরা বরফ পড়লে এখানে গাড়ি নিয়ে বেরোয় না।
একবার এমন হলো যে বৌ তখন নতুন নতুন এসেছে। ওর জীবনে প্রথম তুষারপাত। সকালে উঠে আমার অফিস যেতে হবে। নতুন নতুন এই চাকরি শুরু করেছি। বরফের দিনে অফিস বন্ধ না খোলা জানি না। রেডি হয়ে নিচে নেমে দেখি গাড়ি বিশাল বরফের স্তুপের নিচে চাপা পড়ে আছে।
বরফ সরানোর যাবতীয় যন্ত্রপাতি গাড়ির ভিতরে। কাজেই হাত, চামচ ইত্যাদি দিয়ে বরফ সরানো শুরু করলাম। সে এক দিকদারী! অসহ্যকর!
যখন মোটামুটি বরফ সরানো শেষ, গাড়িতে ঢুকে টান দিয়ে পার্কিং স্পট থেকে বেরিয়েই দেখি গাড়ি এগোয় না। বরফে পিছলা খেয়ে একবার ডানে একবার বামে সরছে। আশেপাশের গাড়িতে বাড়ি খেলে আমার খবর আছে। ক্ষতিপূরণ আমাকেই দিতে হবে। বুঝে গেলাম সেদিন আর অফিস যাওয়া হবেনা। তারচেয়ে বড় সমস্যা হলো, গাড়ি আর কিছুতেই আগের জায়গায় ফেরাতে পারিনা। ডানে সরে, বামে সরে, কিছুতেই মাঝে থাকেনা। তারপরে বেলচার মতন কিছু একটা দিয়ে চাকার নিচে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে বরফ অমসৃণ করে এমন অবস্থা তৈরী করতে হয়েছিল যাতে চাকা গ্রিপ করতে পারে। দুই থেকে তিন ঘন্টা সেদিন নষ্ট হয়েছিল এই ফালতু কাজে। তাও এই ঠান্ডার মধ্যে। লোকে তুষারপাত নিয়ে কত রোমান্টিক রোমান্টিক ঘটনার বর্ণনা করেন। বাস্তবে মোটেও তা না। অন্ততঃ আমার ক্ষেত্রেতো নয়ই।
আমি জানি আমার ছেলেও একদিন তুষারপাতে বিরক্ত হবে। সেটা ঘটার আগে ওকে আজকে একটু আনন্দ দিয়ে দিলাম।
যাই হোক। আজকে বাইরের তাপমাত্রা মাইনাসের নিচে। এত ঠান্ডায় গোসল করবো কিভাবে?
বৌ বলল জ্যাকেট পরে গোসলে ঢুকতে। তাহলে ঠান্ডা লাগবে না।
আমি কি বুদাই? জ্যাকেট পরে গোসলে গেলে পানিতে লেগে নষ্ট হয়ে যাবেনা?
তাই সোয়েটার, প্যান্ট আর মোজা পরে গোসল করে আসলাম। আহ! শান্তি!
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:০৬
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ঠিক এই কারণেই আমি উত্তরে যেতে চাই না। বরফ শীত ইত্যাদি অসহ্য লাগে।
২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৫:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
ডালাসের জন্য কি টায়ার কোম্পানীগুলো নীচু মানের টায়ার (গ্রীপহীন ) বানায়? দুনিয়ার আজগুবি কথা বলেন সব সময়; আমেরিকায় গেছেন, একটু বুদ্ধিমান হওয়ার চেষ্টা করেন; নাকি ওখানেও মক্তবে যাচ্ছেন নিয়মিতভাবে?
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:০২
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: এই যে বলদের বাচ্চা ছাগল কোথাকার, না জেনে শুনে কমেন্ট করার বাজে অভ্যাস তোর দূর হলো না? ওরে ছাগল, বরফে গ্রিপ করার টায়ার আর মরুর উষ্ণতায় চলার মতন টায়ারের মধ্যে যে গঠনগত পার্থক্য আছে, সেটাই যদি তুই না বুঝিস, তাহলে কমেন্ট করতে আসিস কেন? ছাগলের ছাগল। বেহায়া নির্লজ্জ্ব ফাতরা কোথাকার। গালাগালি না শুনলে তোর পেট ভরে না? আবাল কোথাকার। পড়াশোনা করে তারপরে ব্লগিং করতে আসবি। যা ভাগ ছাগল কোথাকার।
৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:২১
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: @চাঁদগাজী:
বরফে গাড়ি গ্রিপ করার অনেকগুলো কারণ আছে। এর মধ্যে একটি হলো উইন্টার বনাম সামার টায়ার। সামার টায়ারের ম্যাটেরিয়ালস উইন্টার টায়ার থেকে তুলনামূলকভাবে অনেক কঠিন, তাই সামার টায়ার গ্রীষ্মে/গরমে ক্ষয় হয় কম তবে বরফে গ্রিপ থাকে কম। আপনি বরফে সামার টায়ার দিয়ে গাড়ি চালালে গাড়ি স্লিপ করবে। কানাডাতে আহাম্মক ছাড়া কেহ বরফের সিজনে সামার টায়ার দিয়ে গাড়ি চালায় না।
আরেকটি কারণ হচ্ছে ফ্রন্ট হুইল বনাম রিয়ার হুইলের গাড়ি। বরফে রিয়ার হুইল গাড়ি চালানো বেশ বিপজ্জনক, পিছলে পুরা ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে যেয়ে স্পিন খাওয়ার সম্ভাবনা অনেক। আমেরিকার দক্ষিণ গোলার্ধে রিয়ার হুইল গাড়ি প্রচুর থাকলেও উত্তরে ততো জনপ্রিয় নয়।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:০৯
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: এই বলদকে এইসব বুঝায়ে লাভ নাই। ছাগলে না বুঝে সায়েন্সের কথা। নিশ্চিত থাকেন, নিজ গ্রামের বাইরে যে দুনিয়ায় কত বৈচিত্র আছে সেসব সম্পর্কে এর কোন ধারণাই নাই। তাই পাঠার মতন তেড়ে এসে আক্রমণাত্মক কথাবার্তা বলে। এর বিদ্যা সাইকেলের টায়ার পর্যন্ত। পাম্পার দিয়ে পাম্প যেটা নিজেই দেয়।
৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:২৩
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: উপরের মন্তব্যে সংশোধন হবে :
বরফে গাড়ি স্লিপ করার অনেকগুলো কারণ আছে।
৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:২৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
@স্বামী বিশুদ্ধানন্দ,
আপনি কি আমেরিকায়, নাকি কানাডায়? এখন সব গাড়ীতে 'অল সিজন' টায়ার থাকে, মানুাষ আলাদাভাবে সামারের জন্য টায়ার কিনে?
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:০৩
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ওরে ছাগল, টেক্সাসে বরফ প্রতিবছর পড়েনা। নিউইয়র্কে প্রতিবছর তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রী ছাড়ায় না। বলদামি ছ্যাবলামি করার আগে ভাল করে জেনে নিয়েন।
৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:৩৮
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: অধিকাংশ কানাডিয়ানরা গ্রীষ্মে অল সিজন অথবা সামার টায়ার ব্যবহার করলেও উইন্টারে উইন্টার টায়ার ব্যবহার করে থাকে।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:০৪
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: অশিক্ষিত অসভ্য মূর্খ পাঠাটাকে জ্ঞান বিতরণ করেন, আপনার দেখি ধৈর্য্য অপরিসীম!
৭| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:২২
কবিতা ক্থ্য বলেছেন: সাবধানে গাড়ী চালাবেন- বিপদের বাপ মা নাই।
৮| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৪৩
সোহানী বলেছেন: উপরে স্বামী বিশুদ্ধানন্দ ভাই ডিটেইলস বলেছেন। আমরা কানাডায় উইন্টার টায়ার ছাড়া গাড়ি চালানোর কথা ভাবতেই পারি না।
চাঁদগাজী ভাই: হাঁ, আমাদের দুই সেট টায়ার। সামারে আবার ৯০ ডলার দিয়ে টায়ার চেইন্জ করতে হবে। উইন্টার আসলে আবার ৯০ ডলার গচ্চা। বছরে ১৮০ ডলার ।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:০৫
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: এই চাঁদগাজী অসভ্য অশিক্ষিত মূর্খ বলদটার সাথে কথা বলারই রুচি থাকেনা। বহুবার রিপোর্ট করেও এর বিরুদ্ধে কখনও কাউকে অ্যাকশন নিতে দেখিনাই।
৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: ছবিটা সুন্দর হয়েছে।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:০৭
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৫:৩৪
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আমি আপনার বিপরীত মেরুর বাসিন্দা। সকাল-বিকাল বরফ পরিষ্কার করতে করে ফেড-আপ হয়ে যাচ্ছি।