নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

তসলিমা নাসরিন - এটেনশন সিকিং সাইকোপ্যাথ

০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৪:৫৫

ইংলিশ ক্রিকেট দল সহ পশ্চিমা সংস্কৃতির দলগুলোর বিজয় মানেই শ্যাম্পেন স্নান। দামি শ্যাম্পেনের বোতল ঝাঁকিয়ে, ছিপি খুলে একজন আরেকজনের গায়ে ছিটিয়ে আনন্দ করবে। এইটাই ওদের উদযাপন। "কালচারের অংশ" হিসেবে ধরে নিতে পারেন।
মুসলিমদের কালচারের সাথে এটি সরাসরি সাংঘর্ষিক। আমাদের নির্দেষ দেয়া হয়েছে মদ ও মাদক থেকে কয়েক কোটি মাইল দূরে অবস্থান করতে। "সংস্কৃতি" যাই বলুক না কেন।
ব্রিটিশ বা পশ্চিমা সভ্য দেশগুলোর সংস্কৃতি এইটাও যে বৈচিত্র্যময় পৃথিবীর প্রতিটা দেশের প্রতিটা মানুষের ধর্ম, সভ্যতা, সংস্কৃতির সম্মান করা। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানই তাঁদের বাকি বিশ্বের চেয়ে এত এগিয়ে নিয়েছে।
কাজেই, ব্রিটিশ দুই মুসলিম ক্রিকেটার, আদিল রশিদ ও মঈন আলী বিজয় আনন্দ শেষে যখন শ্যাম্পেন উৎসব শুরু হয়, ঠিক তার আগে আগে দৌড়ে মঞ্চ থেকে নেমে সাইডে দাঁড়িয়ে সতীর্থদের আনন্দ উদযাপন দেখেন। ঠিক যেমনটা হাশিম আমলা ও ইমরান তাহির করতেন সাউথ আফ্রিকার বিজয়ের সময়ে। সতীর্থরাও বেয়াক্কেলের মতন তাঁদের গায়ে এলকোহলিক বেভারেজের ছিটা ফোটা দেন না। বলেন না, "আমাদের দেশে থাকতে হলে আমাদের মতন হতে হবে, নাহলে সৌদি আরবে যা! পাকিস্তানে যা!" এই ব্যাপারে তাঁরা খুব সতর্ক।
ঘটনা এখানেই শেষ না। তাঁরা কেউই কোন মদ কোম্পানির লোগো জার্সিতে ধারণ করেন না। মদ বিক্রির অংশ হতে চান না। জাতীয় ক্রিকেট দলের জার্সির ক্ষেত্রেও না। ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটেরও না।
এতে ক্রিকেটীয় চেতনা বা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় না। বরং ক্রিকেট বোর্ড তাঁদের এক নিবেদিত সেবকের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকে।
আমাদের কর্পোরেট আমেরিকাতেও, অফিসের পার্টিতে, মিটিংয়ে যদি মদ সার্ভ করা হয়, এবং ওরা দেখে যে আমি মুসলিম, যে মদ ও শুয়োর থেকে দূরে থাকি, তাঁরা কিছু মনে করেনা। অন্ততঃ সামনা সামনি কিছু বলেনা। নিজে থেকেই বলে কোন খাবারে শুয়োর মেশানো আছে, কোনটাতে নেই।
একই কাজ ভেগানদের জন্যও। হিন্দুদের অনেকেই আছেন ১০০% ভেগান, তাঁরা ডিম পর্যন্ত খান না। জেইন সম্প্রদায়ের লোকেরা মাটির নিচের সব্জি পর্যন্ত খায় না। পেঁয়াজ, আদা, রসুন ইত্যাদি কিছুই না। মাংসাশী হিন্দুদের কেউই গরু খান না। সবাই সবার সংস্কৃতি, সভ্যতা ও ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
কারোরই চেতনায় আঘাত লাগে না।
কেন জানেন?
কারন আমাদের কারোরই চুলকানি রোগটা নেই। না খ্রিস্টানদের মুসলিমদের প্রতি, না মুসলিমদের হিন্দুদের প্রতি, না হিন্দুদের কারোর প্রতি। আমরা সবাই যে যার জীবন নিয়ে ব্যস্ত, যে যার মতন কামাই, খাই, ঘুমাই।
হ্যা, রেসিজম যে একদমই ঘটেনা তা কিন্তু না। মঈন আলীর কথাই ধরা যাক। স্ট্রাগলিং পিরিয়ডে যখন তিনি মাঠে খেলতে নামতেন, দর্শকসারি থেকে কেউ কেউ চিৎকার করতো তাঁর দাড়ি নিয়ে। হাজার খানেক দর্শকের মাঝে অমন দুয়েকটা বেবুন থাকেই।
কোন কোন ক্ষেত্রে নাকি কোচিং স্টাফের লোকজনও কুমন্তব্য করেছেন। ইংল্যান্ডে থাকতে হলে দাড়ির ব্যাপারে তিনি যেন চিন্তাভাবনা করেন।
দাড়িওয়ালা পুরুষ, হিজাব পরিহিতা নারী, সবাইকেই মাঝে মাঝে এটা সেটা শুনতে হয়। কিন্তু প্রকাশ্যে এই ধরনের ছোটলোকিপনা নিষিদ্ধ। অভদ্র আচরণ। নিম্নশ্রেণীর মানসিকতা।
কিন্তু আমাদের দেশের এক মহিলার এ নিয়ে দারুন চুলকানি আছে, যার নাম তসলিমা নাসরিন। দুই দিন পরপর এটেনশন সিকিং পোস্ট না করলে যার রাতে ঘুম আসে না, পেটের খাবার বদহজম হয়ে যায়।
অতি সস্তা মন মানসিকতার এই মহিলা সম্প্রতি টুইট করেছেন মঈন আলীকে নিয়ে যে "ইনি যদি ক্রিকেট না খেলতেন, তবে নিশ্চই আইসিস জয়েন করতেন।"
ঘটনার পেছনের ঘটনা হচ্ছে, চেন্নাই সুপার কিংসে খেলতে যাওয়া মঈন দলের ম্যানেজমেন্টকে অনুরোধ করেছেন তাঁর জার্সিতে যেন কোন এলকোহলিক বেভারেজ স্পন্সরের লোগো না থাকে। হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ভারতীয় দল চেন্নাই সুপার কিংস মঈনের অনুরোধ মেনে নিয়েছে, তসলিমা সেটি মানতে পারছে না।
এটি যে কোন পর্যায়ের ফাত্রামি বর্ণবাদী পোস্ট বোধয় মহিলা নিজেও বুঝে নাই। "বাক-স্বাধীনতার" মানে এই না যে যে কাউকে তাঁর জাত ধর্ম তুলে কথা বলবেন। মহিলা ভুলে গেছেন, বিদেশে একে তীব্রভাবেই নিন্দা করা হয়। রেসিজম কোন "কুল" বিষয় না। এটা চরম ছোটলোকি স্বভাব। যে সায় জানায়, প্রশ্রয় দেয়, সে নিজেও এই ছোটলোকিতে সামিল হয়।
অতঃপর যা হবার তাই হয়েছে, জফরা আর্চার, সাকিব মাহমুদ (মাঝে দিয়ে উনি বাংলাদেশের সাকিব আল হাসানকে গালাগালি করে পোস্ট দিয়ে ধরা খেয়ে আবার এডিটও করেছেন, what a loser!) বা স্যাম বিলিংসরা এই মহিলাকে ধুয়ে দিয়েছেন। স্যাম বিলিংস আহ্বান করেছেন এই মহিলার একাউন্ট রিপোর্ট করতে, আর জফরা আর্চারতো উনার সুস্থতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন।
বাটে পড়ে মহিলা পল্টি মারার চেষ্টা করেন।
"হেটার্সরা বুঝে না এইটাতো মজাক ছিল।" মহিলার ধারণা পুরা দুনিয়ার ঠ্যাকা পড়েছে উনাকে সবাই "হেট" করে বেড়ায়! "লাভ" করার মতন একটা কাজও করেছে কিনা জীবনে বুঝিনা। কিছু বেয়াক্কেল এই সাইকোকে তুলনা করার ধৃষ্টতা দেখায় বেগম রোকেয়া বা সুফিয়া কামালদের সাথে। সিরিয়াসলি? উনাদের মতন মহিয়সী নারীদের এত বড় গালি দিতে লজ্জা করেনা?
জফরা আবারও এইটা নিয়ে রিটুইট করে বলেছেন, "মস্করা? তুমি ছাড়া কেউ হাসেনি। তুমি নিজেও না।"
"লোকে জানে না আমি ইসলামের মৌলবাদ নিয়ে সমালোচনা করি।" তারপরে এক চিমটি নারীবাদ ঢুকিয়ে হালাল করার চেষ্টা করেছেন।
এখানেই সমস্যা। "নারীবাদ নারীবাদ" করতে করতে যে কেউ এখন বিষয়টাকে অতি সস্তা বানিয়ে ফেলেছে। এখন মানুষ সত্যিই কনফিউজ্ড, আসলেই নারীবাদ কোনটা। পুরুষ সমান অধিকার, পুরুষ বিদ্বেষ, পুরুষের চেয়ে এগিয়ে যাওয়া, পুরুষের সাথে কাজ ও দায়িত্ব ভাগ করে নেয়া, নিজের পায়ে নিজে দাঁড়ানো নাকি অন্য কিছু! একবার একজনকে প্রচার করতে দেখেছিলাম পুরুষ রাস্তার পাশে পেশাব করলে, আমরা কেন করতে পারবো না? বা পুরুষ সিগারেট খেলে আমরা কেন খাব না? এই বেয়াক্কেলদের কে বুঝাবে যে যা খারাপ, সেটা পুরুষ নারী দুইয়ের জন্যই খারাপ। রাস্তার ধারে পেশাব পায়খানা নিম্নশ্রেণীর প্রাণীর স্বভাব, মানুষের না। আর সিগারেট খেলে তুমিও মরবা। কাজেই, নারী পুরুষ যেই হও ধূমপান ত্যাগ করো!
আরেক ছাগল একবার টিভিতে এসে মন্তব্য করেছিল "আসসালামু আলাইকুম বলা মানে জঙ্গিবাদী আচরণ!"
এখানেও তেমন, মঈন আলীর দাড়ি রাখা, মদের লোগো পরিধান না করার সাথে এই মহিলা জঙ্গিবাদের মতন ভয়াবহ ইস্যুকে মিশিয়ে খিচুড়ি বানাতে গিয়েছিল।
যাই হোক। মহিলার এই চুলকানি নতুন না। একের পর এক দেশে যান, বিতাড়িত হন। আর নিজের এই মানসিকতাকে হালাল করার চেষ্টা করেন নারী আন্দোলন আর ইত্যাদি ইত্যাদি নাম দিয়ে। ভদ্রমহিলার "সহমত" ভাইয়েরা ও বোনেরা, মুরিদ হবার আগে "পীর" যাচাই বাছাই করে বুঝে নিন। নাহলে নিজেও ডুববেন।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৫:৩৩

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কোটি মাইল দুরে থাকবে কি ভাবে।বাংলাদেশথেকে কতদুরে গেলে কোটি মাইল হবে।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৭:০৮

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: মদ ও মাদক থেকে দূরে থাকতে হলে যদি ভিন্ন গ্রহেও যেতে হয়, যাওয়া সম্ভব হলে যেতে হবে। সেটাই বুঝিয়েছি।

২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৫:৫৭

আমি নই বলেছেন: তসলিমার একজন ছিচকাদুনে স্বভাবের মুরিদ আছেন এখানে, সামুতে। গতকাল তসলিমার ছিচকাদুনে ফেবু পোষ্টটা দেখে সিউর হলাম তসলিমার মুরিদ তসলিমার কাছ থেকেই ছিচকাদুনে স্বভাবটা ইনহ্যারিট করছে। হা..হা...

তসলিমারে নিয়ে এমন একখানা পোষ্ট দরকার ছিল, পোষ্টে লাইক।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৭:০৯

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: যেমন ছাগল পীর, তেমনই হয় তার মুরিদ। ;)

৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৮:১২

ঢাবিয়ান বলেছেন: তসলিমা ইসলাম বিদ্বেশী বক্তব্য দিয়ে বিদেশে স্থায়ী হইসেন। কিন্ত সেই সব বক্তব্য ছিল বাংলাদেশ ও বাংলাদেশী মুসলিমদের নিয়ে । বহির্বিশ্বে আমাদের দেশ এর কি ইমেজ সেই নিয়া কথা আর বাড়াইতে চাই না। তসলিমা তার স্থুল বুদ্ধি নিয়া পুরা দুনিয়ার মুসলিম সম্প্রদায়কেই এক ভাবছিল। সে ভাবসিল সবাইরেই একই কায়দায় আক্রমন করলে বাহবা পাওয়া যাবে। তাই এইবার ব্রিটিশ মুস্লিম মইন আলীকে নিয়ে যে ধরনের উগ্র বর্নবাদী বক্তব্য দিয়েছে তাতে বিড়াট ঝামেলায় পড়ে গেছে। মইনের সতীর্থ বেশ কজন ইংলিশ ক্রিকেটার টুইটারে তাদের পোস্টে তসলিমার 'মানসিক সুস্থতা' নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।তসলিমার টুইটটি নিয়ে টুইটার কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করার জন্য মানুষজনকে অনুরোধ করেছেন ইংল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দলের দুজন সদস্য - স্যাম বিলিংস এবং বেন ডাকেট।

৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৮:১৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



আপনার ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিৎ ছিলো কিভাবে কমেন্ট করতে হয়।

৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৮:৫৬

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: তসলিমা নাসরিনসহ, গড়পড়তা বাঙ্গালীর এই এক দুর্ভাগ্যজনক স্বভাব, ইতিবাচক বা নেতিবাচক, যেকোনো উপায়েই হোক - আলোচনায় থাকার চেষ্টা করা। অস্কার বিজয়ী ভারতীয় সুরকার এ আর রেহমানের কন্যার পর্দা করা প্রসঙ্গেও একইরকম জেনোফোবিক মন্তব্য তসলিমা আগেও করেছিলেন টুইটারে। নারীবাদের প্রবক্তা হয়ে যখন তিনি নিজে রেসিজম ছড়ান, রেসিস্ট জেনফোবিক, ইসলামোফবিক "জোক" (তারমতে জোক/স্যাটায়ার, আর কারো হাসি পায় না সাধারণত) করেন নিয়মিত বেসিসে - তখন বোঝা যায় তিনি নিজেও নারীবাদী নন। ওটাকে স্রেফ ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে কিছু সুযোগ সুবিধা বাগিয়ে নেন তিনি।

আমি বরং তসলিমাকে মঈন আলীকে নিয়ে করা টুইটের জন্যে ধন্যবাদ দিতে চাই। ওতে তার, এবং তার বাংলাদেশী ফলোয়ারদের চরিত্র বুঝতে সুবিধে হয়েছে আমাদের। সে এবং তার অনুসারীরা যে নারীবাদী নয়, সুবিধাবাদী - তা নিশ্চিত হয়েছে।

৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:০৫

নেয়ামুল নাহিদ বলেছেন: মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। ভালো লিখেছেন। অনেক কিছু জানলাম।
যার সম্পর্কে লিখেছেন, তাকে মানসিক বিকারগ্রস্থই মনে হয় বেশ আগে থেকে।

৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:০৭

এভো বলেছেন: ইসলামে মদ খাওয়া হারাম --- মদ দিয়ে স্নান করা বা মদের লোগো হারাম কোথায় বলা হয়েছে ?

ইসলামে ক্রিকেট খেলা এবং দেখা হারাম --- তাহোলে মঈণ যখন ক্রিকেট খেলে হারাম কাজ করতে পেরেছে তাহোলে মদের লোগো জারসিতে থাকলে সমস্যা কোথায় ?
মদের লোগোকে তো হারাম করা হয় নি ! অতচ ক্রিকেট সহ যে কোন খেলা ইসলামে হারাম ।
সে কারনে তসলিমা ঠিক কথাই বলেছে --- ক্রিকেট খেলা ছেড়ে দিয়ে ইসলামের পথে জিহাদ করতে ।

৮| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:১১

এভো বলেছেন: ইসলামে ক্রিকেট খেলা করা বা ক্রিকেট খেলা দেখা কেনো হারাম

দেখুন নীচের লিংকে

ইসলামে ক্রিকেট খেলা করা বা ক্রিকেট খেলা দেখা কেনো হারাম

৯| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৫৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: একটু ডিল মেরে দেখলো আর কী। এইসবের জবাব ভীন দেশী লোক কড়া করে দিতেছে।

১০| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:০০

বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: একদম সঠিক। আমার মনের কথাগুলো লিখলেন। ধন্যবাদ

১১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:০৮

লাতিনো বলেছেন: @এভো, মদ খাওয়া হারাম করার ব্যাপারে সূরা মায়দার ৯০ ও ৯১ নম্বর আয়াত দেখতে পারেন। https://shodalap.org/shahedups/3932/

তসলিমা নাসরীন খুব জাতে উঠে গেছে মনে হচ্ছে জোফ্রা আর্চারের মত তারকারা তার টুইটে রিটুইট করে। এতে আসলে তাস্লিমার সম্মান বাড়লেও জোফ্রা আর্চারের হাতে ময়লা লেগে গেছে ডাস্টবিনে গিয়ে ঘাটাঘাটি করাতে। রাস্তাইয় কেউ হাগু করলে তা তার মত পড়ে থাকতে দেয়া উচিত। তাতে লাঠি দিয়ে বাড়ি দিলেই চারিদিকে ছিটকে যাবে। তসলিমা নাসরীনের টুইট হচ্ছে হাগু। জোফ্রার উচিত হয়নি সেখানে বাড়ি দিতে যাওয়া।

১২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:১১

নতুন বলেছেন: তাসলিমা এটেনশন সিকার তার লেখার গভীরতার চেয়ে ধর্মবিরোধীতার জন্যই আলোচিত তিনি।

কিন্তু ক্রিকেট খেলা কি হালাল?

বিদেশী খেলা, মানুষের সময় নস্ট! মানুষ নামাজ বাদ দিচ্ছে, চিয়ারলিডির নাচাচ্ছে, সময়ের অপচয়,

এই খেলা যদি হালাল না হয় তবে মঈনের এই খেলাই তো ঠিক না। :)

এটা মদ খাবে কিন্তু শুকরের মাংসের চপ দিয়ে খাবেনা কারন শুকরের মাংশ হারাম সেই রকমের হয়ে গেলো না?

১৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: তসলিমা নাসরিন মঈন আলীকে নিয়ে করা টুইটের জন্যে ধন্যবাদ দিতে চাই। উনি সঠিক কথাই বলেছেন।

তসলিমা নাসরিন একজন সাহসী নারী। শিক্ষিত এবং আধুনিক মানুষ। তার মধ্যে কোনো কুসংস্কার নেই। তিনি সারা বিশ্বের জন্য সম্পদ স্বরুপ। একদিন এই বাংলাদেশ তার জন্য আফসোস করবে। এই মহান নারীকে তার দেশ যোগ্য সম্মান টুকু দেয়নি।

আপনার পোষ্ট টি অতি নিম্মমানের হয়েছে। চিন্তা চেতনায় আপনাকে আধুনিক হতে হবে। উন্নত হতে হবে।

১৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:১৬

আমি নই বলেছেন: বাংলাদেশের ঠেকা পরেনি তসলিমার মত মানসিক বিকারগ্রস্থ মানুষকে নিয়ে আফসোস করবে। অবস্য তসলিমার মত কিছু মানসিক বিকারগ্রস্থ মানুষ আগেও ছিল, এখনো দু-চারজন আছে, ভবিস্যতেও থাকবে, তাদের হাউ-কাউতে বাংলাদেশের কখনো কিছু যায়ওনি আসেওনি। তার মুরিদদের কাছে তিনি সম্পদ হলেও বিশ্বের কাছে তার ভ্যালু অলরেডি প্রমানিত হয় গেছে।

১৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৪৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনার কাছে কি একবারের জন্যও মনে হয়নি মঈন আলী, হাশেম আমলা এরা হিপক্রেসি করে! যেখানে ক্রিকেট খেলাই হারাম সেখানে মদের লোগো, স্পন্সর এগুলো নিয়ে সচেতন হওয়া হাস্যকর না? একটু লজিক দিয়ে চিন্তা করুন প্লিজ।

১৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:০০

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ক্রিকেট খেলা ইসলামে হারাম - এ নিয়ে যারা খুব উত্তেজিত তাদের জেনে রাখা উচিৎ, যদি মঈন আলী ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম কিছু করে থাকেন, তবে তার ঈমান বিচারের দায়ভার আপনার - আপনাদের না।

ক্রিকেট খেলা হারাম, মঈন আলী ক্রিকেট কেন খেলেন - এই দাবী আপনারা তখন তুলতে পারতেন, যদি মঈন আলী মুসলিম কোটায় ইংল্যান্ড ক্রিকেট টিমে চান্স পেতেন।

তসলিমা নাসরিনের অপরাধটা এই যে - তিনি একজন মানুষকে তার ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে ডিসক্রিমিনেটরি, রেসিস্ট, জেনোফোবিক, ইসলামোফোবিক মন্তব্য করেছেন।

এই ধরনের হেইট স্পিচ খোদ ইংল্যান্ডের আইনে নিষিদ্ধ। দেখুন - Hate speech laws in the United Kingdom

সেই সূত্র ধরে তসলিমার বিরুদ্ধে নেয়া লিগ্যাল অ্যাকশনের কারনেই তার টুইট ডিলিট হয়ে যাওয়া।

এবং সেই অ্যাকশন নিয়েছেন, তসলিমা যে ইউরোপে অ্যাসাইলেম নিয়ে আছেন, সেই ইউরোপের অধিবাসীরাই।

এই কাজটিতে তসলিমাকে সাপোর্ট করে কোন কথা বলার সুযোগ, অন্তত ইংল্যান্ডের আইনে নেই।

আলোচনা সঠিক পথে এগোক।

১৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:০৭

রানার ব্লগ বলেছেন: আমি ব্যাক্তিগত ভাবে মইন আলি কে সমর্থন করি, কেউ যদি কোন ব্যাপারে আপত্তি তোলে তা সে পরিহার করতেই পারে। ওনার ইচ্ছা উনি মদের লোগো ব্যাবহার করবেন না, এখানে ক্রিকেট খেলা হারাম না হালাল এটা বিচারের কি আছে বুঝলাম না। দগরে নেই ক্রিকেট হারাম, মইন আলির এই হারামে কোন আপত্তি নাই কিন্তু মদে আছে, ভাল কথা।

একজনের ইচ্ছা অনিচ্ছার মূল্য দেয়াটাই ব্যাক্তি স্বাধিনতার অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমার ইচ্ছা নাই আমি মদ খাবো না এখন কেউ যদি আমাকে টিটকারি দেয় হা হা হা তুমি মদ খাও না অথচো ক্রিকেট খেলো হা হা হা, ভাই আমার ভালো লাগে ক্রিকেট খেলতে তাই আমি খেলি, আমার ভালো লাগে না মদ খাওয়া তাই আমি এড়িয়ে চলি। তুমি কে টিটকারি দেয়ার।


ঠিক তেমনি সমালোচনা করাটাও ব্যাক্তি স্বাধিনতার অংশ। কিন্তু ব্যাক্তি আক্রমন নয়। কারো কাজ পছন্দ না হলে তা কে সরাসরি বলা উচিৎ কিন্তু তাই বলে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করাটা মুর্খতার সামিল।

১৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৮:৫৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ক্রিকেট খেলা ইসলামে হারাম - এ নিয়ে যারা খুব উত্তেজিত তাদের জেনে রাখা উচিৎ, যদি মঈন আলী ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম কিছু করে থাকেন, তবে তার ঈমান বিচারের দায়ভার আপনার - আপনাদের না।

ক্রিকেট খেলা হারাম, মঈন আলী ক্রিকেট কেন খেলেন - এই দাবী আপনারা তখন তুলতে পারতেন, যদি মঈন আলী মুসলিম কোটায় ইংল্যান্ড ক্রিকেট টিমে চান্স পেতেন।

ভাই সিরিয়াসলি এমন ভাবনা কি বুঝেই বলেন নাকি ভাবনা এই পর্যন্তই? মঈনআলী যে মদের লোগো পরিহার করে সেটা কি ধর্মীয় পারস্পেক্টিভ থেকেই করে নাকি শখের বসে করে? যদি ধর্মীয় পারস্পেক্টিভ থেকে করে তাহলে স্বভাবতই এই প্রশ্নটি এসে যাবে, যে সে যে গ্রাউন্ডে দাঁড়িয়ে এমন উদারন তৈরি করে সে গ্রাউন্ডটা কতটুকু সঠিক ধর্মীয় পারস্পেক্টিভ থেকে? যারা এই প্রশ্ন তুলছে তাদের কি কারনে আপনি উত্তেজিত বলেছেন? নাকি আপনি নিজেই উত্তেজিত হয়ে গেলেন এই প্রশ্ন তোলার কারনে!

১৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:০৮

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: নূর আলম হিরণ সাহেব, আমি উত্তেজিত নই। আমি আমার যুক্তি দিচ্ছি।

প্রথম যুক্তি ছিল তসলিমা নাসরিনের নিম্নমানের রেসিস্ট হওয়া সংক্রান্ত, ইংল্যান্ডের আইনেই যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তসলিমা দুনিয়ার সব বেয়াদব অবিশ্বাসী ইসলামোফোবদের নবী। কাজেই, আমার এ যুক্তি যে কারো কারো গাত্রদাহের কারণ হবে, এতে আমি অবাক হচ্ছি না।

দ্বিতীয়ত, পেশাদারভাবে ক্রিকেট খেলা হারাম - এই ফতোয়া আপনি কই পেলেন?

তৃতীয়ত, যদি মুসলিম ক্রিকেটাররা মদের লোগো তাদের জার্সিতে ব্যবহার করতে না চায়, এবং তারপরেও তাদের স্ব স্ব দেশের ক্রিকেট বোর্ড তাদের খেলতে অনুমতি দেয়, তবে উক্ত মুসলিম ক্রিকেটারদের নিয়ে অভিযোগ করবার কথা, প্রাথমিকভাবে সেই দেশের নাগরিকদের, সেই দেশের আইনের। যদি সেই দেশের আইন থেকে তাদের উপর জবরদস্তী না করা হয় - তাহলে বুঝে নিতে হবে তারা ক্রিকেটারদের ধর্মবিশ্বাসকে সম্মান করেই তা করছেন না। অথবা, হয়তো তারা খেলোয়াড় হিসেবে এতো ভালো, যেই দেশের হয়ে তারা খেলছেন, তারা তাদের অ্যাসেট বিবেচনা করেন।

মুসলমান প্রফেশনাল ক্রিকেটারদের জন্যে মদের লোগো ক্যারি না করা যদি তাদের দেশের ক্রীড়া আইনেই সমস্যা না হয়, আপনার আপত্তির কি থাকতে পারে এতে?

২০| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: তসলিমা কি বলছে না বলছে সেটা বাদ দিন, আপনি কি বলতে চাচ্ছেন পেশাদার ভাবে ক্রিকেট খেলা জায়েজ!যদি বলতেন মজার চলে বা বিনোদনের জন্য খেলা জায়েজ তাও একটা কথা ছিল, যদিও সেটাও জায়েজ না। কোনো ইসলামিক স্কলার বা কোরআন হাদিস সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা রাখে এমন কাউকে জিজ্ঞেস করে নিন।
আর কেউ যদি হারাম খাবার খেয়ে তার উচ্ছিষ্ট ফেলে দিয়ে বলে আমি এই উচ্ছিষ্ট খাবো না এটা আমার ধর্মে নিষেধ এর চেয়ে বড় হিপক্রেসি আর কি হতে পারে ভাই?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.