নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
ফেসবুক সয়লাব এক হিজাবি নারী ফুটবলারের সমালোচনামূলক পোস্টে। সবাই বিরাট মুমিন বান্দা, নিজেদের বেহেস্ত নিশ্চিত হয়ে গেছেতো, বেহেস্তের সিটিজেনশিপের শপথ নিয়ে এখন এসেছে অন্যদের জান্নাত জাহান্নামের ভিসা বিলি করতে।
আমিও আলোচনায় যোগ দেই তাহলে। আমার প্রিয় থেকে প্রিয়তম কিছু রেফারেন্স দিয়ে শুরু করা যাক।
হাদিসে কুরসীতে আল্লাহ বলেছেন, কেউ উনার দিকে এক পা এগুলে তিনি দশ পা আগান। কেউ হেঁটে তাঁর দিকে রওনা দিলে তিনি দৌড়ে তাঁর দিকে আগান।
আরেক হাদিসে আছে, বান্দা যখন তওবা করে তাঁর দিকে ফিরে আসে, তিনি ততটাই খুশি হন যতটা না একজন উটের মালিক মরুভূমিতে হারিয়ে যাওয়া উটকে দেখে হয়।
আরেক হাদিসে আছে, যুদ্ধ ফেরত এক সন্তানকে জীবিত পেয়ে মা বুকে আগলে ধরে আনন্দে কাঁদতে থাকেন। দৃশ্যটি নবীজি (সঃ) সহ সব সাহাবীর বুকে মোচড় তুলে। নবীজি (সঃ) তাঁর সাহাবীদের জিজ্ঞেস করেন, "তোমাদের কি ধারণা, এই মা তাঁর সন্তানকে অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপ করতে পারবে?"
প্রতিটা সাহাবী একসাথে জবাব দিবেন, "অসম্ভব ইয়া রাসূলাল্লাহ!"
নবীজি (সঃ) তখন বললেন, "জেনে রাখো, এই মা তাঁর সন্তানকে যতটা না ভালবাসে, আল্লাহ তারচেয়েও বেশি তাঁর বান্দাদের ভালবাসেন।"
আরও অসংখ্য হাদিসে আছে আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ক্ষমা করার জন্য কেবল বাহানা খুঁজতে থাকেন। তৃষ্ণার্ত কুকুরকে সামান্য পানি পান করানোর জন্য এক পতিতাকে সমস্ত জীবনের গুনাহ মাফ করে দিয়েছেন।
আর কুরআন শরীফতো এই আয়াতেই ভর্তি যে তিনি পরম করুনাময়, অসীম দয়ালু।
হ্যা, তিনি জুলুমকারীদের বিচারের দায়িত্ব দিয়ে দিয়েছেন মজলুমের উপর। এই ব্যাপারে আমাদের সাবধান করা হয়েছে। আল্লাহ পরমকরুনাময়, তাঁর প্রতি করা অন্যায়, যেমন নামাজ না পড়া, রোজা না রাখা, তাঁর প্রতি করা বেয়াদবি ইত্যাদি সব হয়তো ক্ষমা করে দিবেন, কিন্তু অন্যের হক নষ্ট করা, যেমন জাকাত না দেয়া, কারোর সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করা, আমানত খেয়ানত করা, মিথ্যা অপবাদ, চুরি, ঘুষ খাওয়া থেকে শুরু করে ছোট বড় যাবতীয় অপরাধের জন্য আল্লাহ মজলুমকে হাজির করে বলবেন, এই হচ্ছে অন্যায়, এই হচ্ছে শাস্তি, এই হচ্ছে পুরষ্কার - এখন তুমি বলো কোন কারণে তোমার প্রতি জুলুম করা হয়েছিল? এবং কি করলে তোমার প্রতি ন্যায় বিচার করা হবে?
মনে রাখতে হবে, মানুষ রাহমানুর রাহিম নয়। মানুষ তখন বলবে, ও আমার নামে এই মিথ্যা রটিয়েছিল, এখন ওর হজ্বের সওয়াব না পাওয়া পর্যন্ত আমি তৃপ্ত হবো না।
হজ্ব করলেন আপনি, কষ্ট করলেন আপনি, কিন্তু আপনার আচরণের কারণেই অন্যজন সেই সওয়াবগুলো নিয়ে যাবে। আপনি দেউলিয়া হয়ে পড়ে থাকবেন।
তা একজন ফুটবলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি হিজাব পরে খেলতে নামবেন। আল্লাহর রাস্তায় প্রথম পদক্ষেপ, হেঁটে রওনা হওয়া। তার মানে আল্লাহ ওর দিকে দশ কদম বাড়িয়ে দিয়েছেন, দৌড় শুরু করে দিয়েছেন।
কিন্তু বাংলার আঁতেল মুমিনরা কি করছে? নিজেদের বোনকে স্বাগত জানাবার পরিবর্তে ওর সমালোচনা করছে, টিটকারি করছে, ওকে নিরুৎসাহিত করছে। ওর ভিতরের ঈমান নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। কেন ভাই, ওর যদি ঈমান দুর্বল থাকে, তাহলে সেটাকে তাজা হতে দেন, ও নিজেই সিদ্ধান্ত নিবে ওর ফুটবল খেলা উচিত কি না।
অথবা না হয় সে আস্ত ক্যারিয়ার শেষ করলো হিজাব পরে, এবং মরার আগে তওবা করে নিল। আল্লাহ যদি মাফ করে থাকেন, তখন?
তখন যদি এই মেয়ে বলে, "সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাকে নিয়ে হওয়া সমালোচনাগুলি আমার মনে আঘাত দিয়েছে। হে আল্লাহ! তুমি জানতে আমি অন্তরের সাথে কিভাবে লড়াই করেছি - তুমি এর বিচার আমাকে দাও!"
তখন?
তখন এরা বলবেন, "আমরাতো না জেনে বুঝে করেছি।"
কিন্তু এদিকে যে আল্লাহ স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন পরনারীর দিকে চোখ তুলে তাকিও না, পরচর্চা করো না, মানুষের বিশেষ করে মুমিনের ব্যাপারে ভাল ধারণা রাখো - সেটার বেলায়?
এই কারণেই মূর্খদের হাতে ইন্টারনেট চলে আসাটা বাঁদরের হাতে লোডেড একে-৪৭ ধরিয়ে দেয়ার মতন ঘটনা।
২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:১৮
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: পোষ্ট পড়ে ভালো লাগল। আল্লাহ আমাদের হেদায়াত দান করুন।
০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:৫১
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আমিন!
৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:০৫
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: দুইদিন আগে তো খুলনায় এক নারী ফুটবলারকে মারধর করে হাসপাতালে পাঠানো হইসে। হাফ প্যন্ট পড়ে ফুটবল খেলার কারণে নাকি এলাকাবসীর সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। চরম বিপর্যয়কর সামাজিক পরিস্থিতি আমাদের দেশে।
০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:৫০
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: নারীর গায়ে হাত তোলাতো খুবই ইসলামিক!
ভন্ডের দল!
৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১:০০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পর্দা কতটুকু করতে হবে?
ইসলামে তথা কোরান হাদিসে পর্দা করার আদেশ খুব একটা স্পষ্ট নয়।
ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। পবিত্র কোরানে, পরে বিভিন্ন হাদিসে সবকিছু লিপিবদ্ধ করা আছে কে কিভাবে খাবে, কি কি খাওয়া যাবে না, রাস্তায় কিভাবে হাঁটবে, কিভাবে টয়লেট করবে, অজু করবে, কি ভাবে স্ত্রী সহবাস ও দাসী সহবাস, কিভাবে কোন পা দিয়ে ঘর থেকে বের হবে সব কিছুই বলা আছে।
কিন্তু ইসলামী লেবাস পর্দার ব্যাপারে কোন পুস্তকে ডিটেইল নেই।
যা শোনা যায় বাসার গৃহশিক্ষক হিজুরদের কাছে, ওয়াজে মোল্লাদের বয়ানে। কিন্তু কোরান হাদিসে কিছুই নেই। - মাথা ঢেকে রাখা বা চুল আবৃত করার কোন লিখিত আদেশ কোরান হাদিস কিতাব সমুহে নেই। এমনকি জ্বাল হাদিসেও খুজে পাওয়া যায় নি।
কোরান ও হাজার হাজার হাদিস খুজে যা পাওয়া গেছে পরিধান করা প্রচলিত কাপড় টি ভালভাবে আবৃত করার কথা বলা যাতে সুন্দরভাবে দেহ আবৃত থাকে, এবং মুখ খোলা থাকে। মুখ কেন খোলা রাখতে হবে সেই ব্যাখ্যাও দেয়া হয়েছে(সুরা আহাজাব)
সেই সুরাতেও পরিধেয় বস্ত্র বাদে ২য় আরেকটি কাপড় ব্যাবহার করার কথা উল্লেখ নেই। অন্য কিতাবেই নেই, কোথাও নেই।
যেখানে পুরুষদের দৃষ্টি নত রাখা ও পাজামার সাইজ পর্যন্ত ঠিক করে দেয়া হয়েছে সেখানে নারীদের চুল আবৃত করার কথা নেই, হিজাবের আলাদা কাপড় বা সাইজ কিছুই উল্লেখ নেই।
পরবর্তিতে হিজাব শতাব্দি পর চালু হয়েছিল দখলদার শাসকদের প্রয়োজনে। রাজনীতি শো।
রাস্তা ঘাটে বাজারে হিজাব আছে মানে শৃক্ষলা আছে, দেশে ইসলাম চালু আছে। দখলদার শাসকদের রাজনীতি।
পরবর্তিতে সেই ইসলামই সর্বত্র প্রচলিত হয়েছে।
মরক্কোর নারী ফুটবলারের হিজাব ধারন, এটাও ইসলাম নয়, গ্যালারি শো , তথা রাজনীতি।
আর বেখাপ্পাও বটে। তার দলের প্লেয়াররা আর কেউ হিজাবি নন।
৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:৪৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমরা মনে করি মুসলমান হওয়ার সাথে সাথে সে ১০০% মুমিন হয়ে যাবে। এটা ভুল ধারণা। হিজাব পড়েছে। বাকি কাজগুলিও সে হয়তো এক সময় ধীরে ধীরে করবে। কিন্তু আমরা তার পিছে লেগেছি। আমরা নিজেরাই তো ঠিক নাই। অন্যের পিছে লাগার আগে নিজের ভুলগুলি কেন সংশোধন করছি না। একজন মানুষের মধ্যে তিল পরিমান ঈমান থাকলে তার বিষয়ে আশাবাদী মনোভাব থাকা উচিত। তবে যারা মুনাফেকের মত এক দিকে ইসলাম মানে আর আরেক দিকে ইসলামের ত্রুটি খুঁজে বেড়ায় এরা ভয়ংকর। কাফেরদের চেয়ে এই ধরণের মুসলমানরা ভয়ংকর। এগুলি আসলে মুনাফেকি যারা একদিকে বলে আমি মুসলমান আর অন্যদিকে কোরআন আর হাদিসের ভুল খুঁজে বেড়ায়। এরা আসলে মুসলমান না।
এই খেলোয়াড় নারীকে সমালোচনার কিছু নাই। হয়তো একদিন সে ইসলামের বাকি বিধানগুলিও পালন করবে। তার ভালো দিকটা দেখি খারাপ দিকটা আপাতত না দেখি। সে তো ইসলামকে অস্বীকার করে নি। ধীরে ধীরে সে বুঝবে এবং মানবে।
০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:৪৯
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন।
৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:৪৮
ধুলো মেঘ বলেছেন: এখন হিজাবের কারণে কি ফুটবল খেলা বাদ দিয়ে দেবে? তাতে কি বিশ্বের কাছে ইসলামের ইমেজ খুব একটা ভালো হবে? এই মেয়েটি ইতিহাস গড়ে দিল হিজাব মাথায় দিয়ে নারীদের খেলার সবচেয়ে বড় আসর 'বিশ্বকাপ ফুটবলে' খেলে। আল্লাহ্র অশেষ রহমতে তার দল প্রথমবার খেলতে এসেই দ্বিতীয় পর্বে উঠে গেল কলম্বিয়া আর কোরিয়ার মত দুই পরাশক্তিকে হারিয়ে। জার্মানির মত চ্যাম্পিয়নকে পেছনে ফেলে। আমি আল্লাহ্র কাছে হাত তুলে এই মেয়েটির সাফল্যের জন্য প্রার্থনা করি এবং তাঁর দেখাদেখি আরো মেয়েরা যাতে উৎসাহী হয় - সেই কামনা করি।
০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:৫০
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: গাধাবেকুবগুলি যদি বুঝতো, তাহলেতো সমস্যা ছিল না।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:২০
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
ইরানের হিজাব কান্ড শেষ হয়নি এখনো?