নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
নবীজির ছেলে যেদিন মারা যান, তখন সূর্যগ্রহন ঘটছিল।
শত শত বছর অন্ধকারে নিমজ্জিত আরবের জাহিল সমাজ তখন বলাবলি করতে শুরু করে, নিশ্চই আজকে আল্লাহর রাসূলের (সঃ) শোকে প্রকৃতি শোক প্রকাশ করছে।
সন্তান বিয়োগের শোক যেকোন পাহাড়সম মানুষকেও টলিয়ে দেয়, আমাদের নবীজিতো (সঃ) তাঁর সন্তানদের প্রাণের চেয়েও বেশি ভালবাসতেন। তিনি পিতা হলেও, একই সাথে তিনি ছিলেন আল্লাহর রাসূল। কেয়ামত পর্যন্ত আগত প্রতিটা মানুষের শিক্ষক।
এই দুঃসহ সময়েও তিনি তাঁর দায়িত্ব ভুললেন না।
উঠে দাঁড়িয়ে ঘোষণা দিলেন, "চন্দ্র-সূর্যগ্রহন প্রকৃতির নিয়ম মেনেই ঘটে। কারোর জন্ম মৃত্যুর সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই।"
ইসলাম ধর্মে জ্যোতিষী টাইপ বা অন্য যেকোন কুসংস্কারের কোন স্থান নেই। আধুনিক যুগে অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত মুসলিম যা তা বলতেই পারে, যা তা ইসলামের নামে চালাতেই পারে, কিন্তু ইসলামের শিক্ষা হচ্ছে, এই ধর্মে কুসংস্কারের বিন্দুমাত্র স্থান নেই। কারোর মৃত্যুর শোকে বৃষ্টি পড়ে না, কারোর মৃত্যুতে ভূমিকম্প ঘটেনা। যদি সেটা ঘটতো, তাহলে ওহুদের ময়দানেই কেয়ামত নেমে আসতো। সেদিন ৮৫ জন শহীদের তালিকায় নাম ছিল হজরত হামজাহ (রাঃ), হজরত হানজালা(রাঃ), হজরত আনাস(রাঃ), হজরত আব্দুল্লাহ বিন জাহ্শ(রাঃ) প্রমুখ - একেকজন রত্ন, একেকজন স্তম্ভ!
এখন আজকের ভূমিকম্প নিয়ে ফেসবুকে বেহুদা আলাপ বন্ধ করে আল্লাহ আল্লাহ করেন, কয়েকদিনের ব্যবধানে কয়েকটা ভূমিকম্প ঘটেছে। এগুলি মোটেই ভাল লক্ষণ না। যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখেন। প্রলয় না ঘটলে আলহামদুলিল্লাহ! আর যদি ঘটে, তাহলেও যেন ক্ষতির পরিমান খুব বেশি না বাড়ে।
এখন আসি "আল্লামা" দেলোয়ার হোসেইন সাঈদির ব্যাপারে।
প্রথম সমস্যা বাংলাদেশে যে কেউ যাকে তাকে আলেম, আল্লামা ইত্যাদি টাইটেল দিয়ে বসে। এইসব শব্দের মানে কি, কারা এর অধিকারী হবার যোগ্য ইত্যাদি সম্পর্কে বিন্দুমাত্র জ্ঞান রাখলে কোন কথা ছিল না।
সমস্যা সেটা না, সমস্যা হচ্ছে, দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষের কাছে উনি আল্লাহর খাস বান্দা, পৃথিবীখ্যাত আলেম, কুরআনের পাখি আবার একই সাথে বিপুল সংখ্যক মানুষের কাছে সে যুদ্ধাপরাধী, ইবলিসের খাস চামচা। পক্ষে বিপক্ষে নানান তথ্য প্রমান চলে। তবে বাংলাদেশের মানুষের দলপ্রীতি এত বেশি যে, যেখানে আল্লাহ বলেছেন, "ন্যায়ের জন্য নিজের বিরুদ্ধে হলেও যাও" - সেখানেও ওরা ন্যায় প্রসঙ্গে নিজের দলের পক্ষে যায়। উদাহরণ চাইলে হাজার হাজার, লাখে লাখ আছে, তাই আর দিতে গেলাম না।
আপাতত জানা যাক, এই স্পেসিফিক ইস্যুতে ইসলাম কি বলে?
ইসলাম বলে, কেয়ামতের দিন আল্লাহ শিরক ছাড়া সব গুনাহ মাফ করতে পারবেন। কেবল শিরকের গুনাহ মাফ করবেন না। কুরআন শরীফ ভর্তি আয়াতে যে আল্লাহ রাহমানুর রাহিম, পরম করুনাময়, অসীম দয়ালু, কেবল বাহানা খুঁজতে থাকেন মানুষকে মাফ করার। বান্দা তাঁর দিকে এক কদম বাড়ালে তিনি দশ কদম বাড়ান, অনুতাপের এক বিন্দু অশ্রুজল ওহুদ পাহাড়ের চাইতেও ভারী। আমরা সব জানি ও মানি।
এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, এই সবই আল্লাহর হক আদায় সংক্রান্ত ব্যাপারে। মানে নামাজ আদায়, রোজা রাখা, সৎভাবে চলা, তাঁর নির্দেশ মেনে চলা, হজ্ব, ওমরাহ ইত্যাদি বিষয়গুলো। তিনি চাইলেই এইসব গুনাহ মাফ করে দিয়ে বলবেন, "যাও তোমার কোন হিসাব দিতে হবেনা, তুমি জান্নাতে যাও!"
কিন্তু একই সাথে আমাদের আরেকটি হক আদায় করতে হয়। তা হচ্ছে আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি আমাদের আচার আচরণ। এইখানে সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার হচ্ছে, এখানে আল্লাহ ঠিক সরাসরি বিচারক নন, বরং মজলুমকে বলা হবে বিচার করতে। তিনি কেবল এক্সিকিউশনার। উদাহরণ দেই।
আমি আপনাকে গালি দিলাম। আপনার খুব খারাপ লেগেছে। আপনি আমাকে মাফ করলেন না, আমিও আপনার কাছে মাফ চাইনি। আমি ভুলে গেলাম, আপনি ভুললেন না। আল্লাহ হিসাবের খাতায় ঠিকই টুকে রেখেছেন।
কেয়ামতের দিন আমি পাহাড় পর্বতসম সওয়াব নিয়ে হাজির হলাম। কনফিডেন্স চরমে। বেহেস্তের সুগন্ধ নাকে এসে ঠেকছে। সেই সময়ে আপনাকে এনে হাজির করা হবে। আল্লাহ জিজ্ঞেস করবেন, "কোন অপরাধে তোমাকে গালি দেয়া হলো?"
আপনি বললেন, "আমি কিছুই করি নাই।"
আপনার মুখ তখন সাক্ষ্য দিবে "আমি ওকে এইটা বলেছিলাম।"
আমি তখন বলবো, "ওর মুখে এই গালি শুনে আমিও ওটা দিয়েছি।"
আমার হাত তখন বলবে, "কিন্তু আমি আগে এইটা করেছিলাম, তাই ও গালি দিয়েছিল।"
মানে একদম সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিচার হবে। কোন রাখঢাক নাই। আমাদের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের উপর আমাদের কোন কন্ট্রোল থাকবে না। এবং যখন জানা যাবে আমি অপরাধী, তখন আল্লাহ আপনাকে জিজ্ঞেস করবেন, "কি করলে তুমি ন্যায় বিচার পাবে?"
মানে আপনার হাতে অপশন আছে আমাকে মাফ করে দেয়ার, অথবা নিজের রিভেন্ঞ্জ নেয়ার।
আমার পুরো আমলনামা আপনার সামনে থাকবে। আপনার মনে হতে পারে এই এই ভাল কাজের বিনিময়ে আমার সামান্য গালি দেয়ার অপরাধ ক্ষমা করা যেতে পারে। আল্লাহ তখন আমাকে ক্ষমা করার জন্য সেখানেই আপনাকে বিশেষ আরও কিছু পুরস্কার দিয়ে দিবেন।
কিন্তু আপনার মনে হলো আমার আস্ত রমজান মাসের তিরিশটা রোজা আপনি পেয়ে গেলে আপনি সন্তুষ্ট হবেন। কিংবা হজ্বের সওয়াব। কিংবা কোথাও আমি একটি আস্ত এতিমখানা খুলেছিলাম, সেটার সওয়াব আপনি নিয়ে যেতে পারেন, এবং আমার করার কিছুই থাকবে না।
এইভাবে একজন একজন করে হাজির হয়ে আমার জীবনের সমস্ত সওয়াব, সবকিছু নিয়ে যেতে পারেন। যে বেহেস্ত আমার জন্য নিশ্চিত ছিল, আমি দেখবো দোজখ আমার দিকে এগিয়ে আসছে।
এই কারণেই বান্দার অধিকার, সেটা মানুষ হোক অথবা বোবা প্রাণী, তা নিয়ে টাল্টি বাল্টি করার ক্ষেত্রে আমাদের অতিরিক্ত সাবধান করা হয়েছে।
সামান্য বিড়ালকে তৃষ্ণার্ত করে খুন করার অপরাধে নবীর হাতে ইসলাম গ্রহণ করা এক নারী জাহান্নামী হবেন, এমন হাদিস আমাদেরই অথেন্টিক গ্রন্থে আছে।
তাহলে এখন চিন্তা করুন, মানুষ হত্যার অপরাধের শাস্তি আল্লাহর দরবারে কি হতে পারে। কুরআন এবং তাওরাতে লেখা আছে "কেউ একজন মানুষ খুন করলে সে যেন গোটা মানবজাতিকে খুন করলো" - বিষয়টা মোটেই হেলাফেলার না। একটা সামান্য গালি দেয়ার বিচারের যে বর্ণনা উপরে দিলাম, এক সন্তানহারা মায়ের অভিশাপ ও বিচার কেমন হবে সেটা একটু ভাবুন। বুক কাঁপে?
কেউ বলেন "দেলু রাজাকার" আর "দেলোয়ার হোসেইন সাঈদী" এক না। হতে পারে।
কেউ বলেন, উনি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। হতে পারে। বাংলাদেশেই না, দুনিয়ার সব দেশেই সেটা সম্ভব।
কিন্তু শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে "জাহান্নামের ইমাম" গালিটা কে দিয়েছিল? এক সন্তানহারা মা, যে তাঁর পুত্রহত্যার বিচার চাইছিলেন, তাঁর প্রতি সমর্থন করা তখন প্রতিটা বাঙালির জন্য ফরজ ছিল। মুসলিম হিসেবেতো যেকোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়াই ফরজ। উনি কি নিয়েছিলেন? তিনি উল্টো তাঁকে নিয়ে ব্যঙ্গ করে উল্টো জালিমদের পক্ষ নিলেন।
জামাত ক্ষমতায় এসেছিল। পৃথিবীতে জামাতে ইসলামীর উপরে ক্ষমতায় তখন কেউ নেই। ক্ষমতাহীন থাকলে একটা এক্সকিউজ থাকে যে যদি যুদ্ধাপরাধের কথা স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়া হয়, তাহলে ওদের ফাঁসি হয়ে যাবে। কিন্তু ক্ষমতায় থাকলে সেই ভয়তো থাকেনা। তখন কি মুক্তিযুদ্ধের অপরাধের জন্য মাফ চাওয়া খুব কঠিন কিছু ছিল? ওরা চেয়েছে? উল্টো অস্বীকার করেছে, যুক্তি দিয়েছে যে নিরস্ত্র মানুষের উপর নির্যাতন আসলে ছিল দেশপ্রেম। মা বোনদের ধরে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা আসলে মালে গনিমাহ!
এখন একটু ঠান্ডা মাথায় চিন্তাভাবনা করেন। এক মিনিটের জন্য মনে করেন আপনি মুসলিম, এবং আল্লাহ বলেছেন ন্যায়ের পাশে থাকতে। তারপরে যেটাকে আপনার ন্যায় মনে হবে, সেটার পক্ষ নিন। খলিফা আলীর (রাঃ) বিরুদ্ধে এক ইহুদি বিচার জিতে গিয়েছিল কারন খলিফা আলীর (রাঃ) কাছে যথেষ্ট প্রমান ছিল না, এবং কাজী জানতো যে আলী (রাঃ) মিথ্যা বলছেন না, তবু তিনি ন্যায় বিচারে সেটাই করেছেন যা কুরআনে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মুগ্ধ ইহুদি তাজ্জব হয়ে গিয়েছিল ইসলামের এমন বিচার ব্যবস্থা দেখে। আর যদি কাজীর জায়গায় আমরা থাকতাম? সামান্য টুপি দাড়িতে বিভ্রান্ত হয়ে যাই, আর সামনে আল্লাহর সিংহ, নবীজির জামাতা হজরত আলী (রাঃ) স্বয়ং হাসান-হোসেনকে (রাঃ) সাক্ষ্মী নিয়ে দাঁড়িয়ে!
পক্ষ বিপক্ষ নেয়ার জন্য পৃথিবীতে লোকে হয় বাহবাহ দিবে, নাহয় গালাগালি করবে, কিন্তু আখিরাতে আল্লাহর সামনে গর্বের সাথে বলতে পারবেন, আমার কাছে এইটা ন্যায় মনে হয়েছিল, তাই আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।
কেউ মারা গেলে ওর ইহকালের সব খাতা বন্ধ হয়ে যায়। ভাল-মন্দ বলে লাভ হয়না কিছুই। এত কথা বললাম আমরা যারা জীবিত আছি, তাঁদের জন্য। এইগুলিই আখেরি জমানার ফেৎনা। ঈমান-আমলের চরম পরীক্ষা।ভ
১৭ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:২৯
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!
২| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ ভোর ৬:৪৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
যেই লোক দেশটির স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছে, বিরোধীতা করতে গণহত্যা চালিয়েছে, পরবর্তিতে অনুতপ্ত হয়নি উল্টো স্বাধীনতাকামীদের ব্যাংগবিদ্রুপ করে গেছে, যে লোক দেশটাকেই চায় নি, তার কবর স্বাধীন বাংলার মাটিতে হতে পারে না।
তার লাশ তার অরিজিনাল দেশে পাঠিয়ে দেয়া উচিত।
৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:৩৩
বাকপ্রবাস বলেছেন: পড়লাম, ফেবুতেও দেখলাম
১৭ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:৩০
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!
৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:৫৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দেলোয়ার হোসেন সাইদিরা মনে করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ছিল পাকিস্তানীদের জন্য জিহাদ। এই অন্যায় যুদ্ধকে যে তথাকথিত আলেমরা জিহাদ বলে এরা আলেম না জালেম। এদেরকে চেনা খুব সহজ কিন্তু আমরা অনেকেই একটা ঘোরের মধ্যে আছি এদেরকে নিয়ে।
১৭ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:৩০
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ঠিক। ধন্যবাদ!
৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশের একমাত্র চন্দ্র বিজয়ী সাঈদি। পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে উনি চিরমুক্তি পেলেন। রাজাকার, চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুতে আমার কোন সহানুভূতি নেই আছে শুধু ঘৃণা। রাজাকারের জন্য মায়া কান্না থেকেই বোঝা যায় যে এই দেশে স্বাধীনতা বিরোধী মন মানসিকতার লোক কি পরিমান থাকতে পারে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা বিরোধী হয়তো ২০% ছিল। এখন মনে হচ্ছে আরও বেশী।
৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৬
ধুলো মেঘ বলেছেন: @সাড়ে চুয়াত্তর, কে কি মনে করে, তা কি আপনি দাবি করতে পারেন? উনি কি কোথাও এই কথা কোন বক্তৃতায় বলেছেন? তাহলে এটাকে তার 'মনে করা' বলে কিভাবে ভাবতে পারেন?
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ ভোর ৫:৪৫
কালো যাদুকর বলেছেন: সবগুলো পয়েন্টের সাথে একমত। বাহবা।