নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
একটা সময়ে পৃথিবী ছিল বর্বরে ঠাসা। ন্যায়, অন্যায়, সুষ্ঠু বিচার ইত্যাদির কোন বালাই ছিল না। যার যেটাকে ন্যায় মনে হতো, সেটাই করতো। ধনীর এত সম্পদ কেন থাকবে? লুটে নাও! ডাকাতদের কাছে এইটাই ন্যায়।
"আমার ভাইকে খুন করেছে অমুক। বদলা নিতে হবে। ওর ভাইকেও খুন করে ফেল! এইটাই ন্যায়!"
"আমি ওর অপরাধী ছিলাম। আমার ভাইকে ও কেন মারলো? আমি ওর পুরো খান্দান শেষ করে দিব!"
এইসব ছিল সমাজের নিয়ম। গোত্রভিত্তিক আরব সমাজে সেটা ছিল নিত্যদিনের ব্যাপার।
"আমার গোত্রের কাউকে ছোঁয়ারও অধিকার কারোর নাই। তা আমার গোত্রের ছেলেটা যত বড়ই অপরাধী হোক না কেন। যদি কেউ ওর কোন ক্ষতি করে, তাহলে আস্ত গোত্র মিলে যুদ্ধ ঘোষণা করবে।"
যে কারনে অনেক বড় আর শক্তিশালী গোত্রের কেউ অনেক বড় বড় অপরাধ করেও পার পেয়ে যেত। ধুঁকে মরতো ক্ষুদ্র ও দুর্বল গোত্রের লোকজন।
বড় গোত্রের "ভদ্রলোকেরা" ক্ষুদ্র গোত্রের মেয়েদের তুলে এনে যা খুশি তাই করে ছুড়ে ফেলে দিলেও কেউ কিছু বলতে পারতো না।
ঠিক এই সময়ে হাশেমী গোত্রের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় সন্তান মুহাম্মদ (সঃ) অতি অদ্ভুত এক নিয়ম চালু করলেন। "কেউ অপরাধ করলে ওকে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। সে যেই গোত্রেরই হোক না কেন।"
অদ্ভুত, কারন ইজ্জত আর শক্তির দিক দিয়ে আরবের সেরা দুই গোত্রের একটি হাশেমী। মানে এই নিয়মের ফলে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হবে তাঁর নিজেরই। শুধু তাই না, দীর্ঘ তেইশ বছর ধরে এই ভদ্রলোক (সঃ) প্রচার করলেন ন্যায়ের সাথে কোন আপোষ নেই। সাদা কালো, আরব অনারব, আশরাফ আতরাফ কোন কিছুই বিবেচ্য হবেনা। ন্যায়ের ব্যাপারে তিনি এতটাই আপোষহীন ছিলেন যে যদি তাঁর প্রানপ্রিয় কন্যার বিরুদ্ধেও চুরির অভিযোগ প্রমাণিত হতো, তবে তিনি তাঁর প্রতি কঠোর শাস্তির বিধানই জারি করতেন। এই ব্যাপারে তিনি কারোর পরামর্শ শুনতেও রাজি ছিলেন না। কারন তাঁকেও তাঁর রবের কাছে জবাবদিহি করতে হয়।
জীবনের শেষ পাবলিক ভাষণে কেয়ামত পর্যন্ত আগত কোটি কোটি মানুষের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, "কোন পিতার অপরাধের জন্য তাঁর পুত্র, বা কোন পুত্রের অপরাধের জন্য পিতা দায়ী নয়।"
তখনকার সমাজের জন্য কল্পনাতীত আর অদ্ভুত শোনালেও, এই ফিলোসফিই বিশ্বজুড়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত করে। এতটাই যে "ন্যায়" প্রতিষ্ঠায় জন্ম নেয়া দেশ আমেরিকা নিজের সুপ্রিম কোর্টে পৃথিবীর ইতিহাসের সেরা গুটিকয়েক কিছু আইন প্রণেতার প্রতি সম্মান দিতে যে ভাস্কর্য স্থাপন করেছে, তাঁদের সেই এলিট লিস্টে মুহাম্মদেও (সঃ) আছেন।
আমেরিকার জাস্টিস সিস্টেম যে কি, সেটা এদেশে না আসলে কেউ বুঝতে পারবে না। এই যে দেশটা এত সফল, এত প্রতিপত্তি বিশ্বজুড়ে, আমি বলবো এর ৯০% ক্রেডিট পাবে এদের ন্যায় বিচার এবং সেটার প্রয়োগ। এই দেশে বাস্তবেই কেউ আইনের উর্দ্ধে নয়। আপনি সরকারি দপ্তরের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিলেন যে, যে পানি আপনি খান, সেটা বিশুদ্ধ করা হয়নাই, ফলে অসুস্থ হয়ে গেছেন। কিংবা মিউনিসিপলিটির কাজ ছিল রাস্তা ঠিক করা, সেটা বারবার জানানোর পরেও ওরা দীর্ঘদিন ফেলে রেখেছে। সেই রাস্তায় যাতায়াত করতে গিয়ে আপনার গাড়ির ক্ষতি হয়েছে। এইসব ছোটখাটো থেকে বড় বড় সব অভিযোগ যদি আপনি কোর্টে প্রমান করতে পারেন, বিচার আপনার পক্ষে যাবে।
একদিনে এমনটা ঘটেনি। আড়াইশো বছর লেগেছে। এখনও ক্রমাগত উন্নতি করে যাচ্ছে। কিন্তু এখানকার মানুষের মানসিকতাটাই এমন হয়ে গেছে যে এদের অন্যায়কে অন্যায় বলতে হবে এবং ন্যায়কে ন্যায়।
আমাদের উপমহাদেশে এইসব অবিশ্বাস্য ঘটনা। শুনতে গল্পের মতন লাগে। ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল কোন দেশেই এইসব কল্পনা করা যায়না।
অন্য ধর্মের কথা বাদ দেই, আমাদের প্রানপ্রিয় নবীর (সঃ) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা আমরা মুসলিমরাই গ্রহণ করিনাই। আমাদের গোত্রভিত্তিক মেন্টালিটি আজও পাল্টায়নি। আজও নিজের "গোত্রের" কেউ অপরাধ করলে আমরা ন্যায় বিচারের তোয়াক্কা করি না।
জনতার কথা বাদই দিলাম। আমাদের সরকারও না।
ফেসবুকে দেখছি দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর সমর্থন করায় এক প্রবাসী ছেলের মাকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে।
এইসব কি ধরনের জাহেলিপনা? এইটাতো টোটাল এনার্কি চলে, এমন দেশেও ঘটে না। ছেলের অপরাধে মাকে কেন গ্রেফতার করা হবে?
কালকে আমি সরকারের সমালোচনা করলাম, তো আমার জ্ঞাতি গুষ্ঠীকে কোমরে দড়ি বেঁধে নিয়ে যাবে?
একটা "'স্বাধীন গণতান্ত্রিক" দেশের দাবি করা দেশে এমনটা হতে পারে? পৃথিবীর কোন সভ্য দেশে এমনটা ঘটে?
পোস্টটিকে "রাজাকার শাবকের প্রতি মায়া বা দরদ দেখাতে পোস্ট করেছি" বলে অনেকেই ভিন্ন মোড় দেয়ার চেষ্টা করবে। আশা করি সুসভ্য ও শিক্ষিত মানুষ বুঝতে পারবেন এখানে "ন্যায় অন্যায়ের" বিষয়েই ফোকাস করছি। রাজাকার সমর্থককে ডিফেন্ড করি নাই, বরং ওর মাকে টেনে এনে হেনস্থা করার বর্বরতার প্রতি অভিযোগ করেছি।
আফসোস! আজকের যুগে এতটা ভেঙ্গে লিখতে হয়। সেই যুগ নাই যখন শিক্ষিত লোকজন যা লেখা হয়েছে তাই বুঝতো।
এখনকার জিপিএ ফাইভ, অটোপাস জেনারেশন যা লিখেছি সেটাতো বুঝেই না, উল্টো যা বিরোধিতা করেছি, সেটারই সাপোর্ট করেছি ধরে নিয়ে ফাত্রামি কমেন্ট শুরু করে দেয়।
২২ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৪৭
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: সহমত, কিন্তু সেটার সাথে এই মহিলাকে এরেস্ট করার সম্পর্ক কি ভাই?
২| ২২ শে আগস্ট, ২০২৩ ভোর ৪:৩১
কামাল১৮ বলেছেন: চোখের বদলে চোখ দাঁতের বদলে দাঁত এটা ইসলামেরই নিয়ম।যদিও এটা একটা জংলি নিয়ম।৫ঃ৪৫
আপনি যেটার উদ্ধৃতি দিয়েছেন সেটা হলো আখেরাতের বিচারে।জাগতিক কোন বিচারে নয়।সেটা হলো আল্লাহর বিচার।
২২ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৫১
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: পুরা আয়াতটা পড়েছেন?
"আমি এ গ্রন্থে তাদের প্রতি লিখে দিয়েছি যে, প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ, চক্ষুর বিনিময়ে চক্ষু, নাকের বিনিময়ে নাক, কানের বিনিময়ে কান, দাঁতের বিনিময়ে দাঁত এবং যখম সমূহের বিনিময়ে সমান যখম। অতঃপর যে ক্ষমা করে, সে গোনাহ থেকে পাক হয়ে যায়। যেসব লোক আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না তারাই জালেম।"
চোখের বদলে চোখ, দাঁতের বদলে দাঁত - কিন্তু "ভাইয়ের বদলে ভাই" না। আয়াতে বলা হয়েছে "অতঃপর যে ক্ষমা করে, সে গোনাহ থেকে পাক হয়ে যায়।"
এইটাই ইসলামের নিয়ম।
জানলে ভাল মতন জানবেন, আধা জেনে কিছুই না বুঝে কিছু বলতে যাবেন না।
আপনার হাত কেটে ফেললাম, এবং মাত্র পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে আমি গায়ে ফুঁ দিয়ে বেড়ালাম, আপনার ভাল লাগবে? আমিইতো উল্টা উৎসাহিত হবে আপনার আরেক হাত কেটে আরও পাঁচ হাজার জরিমানা দিতে। তখন কি কান্নাকাটি করে বলবেন "এইটা জংলী নিয়ম?"
ভিক্টিমের পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে চিন্তা করার চেষ্টা করবেন।
৩| ২২ শে আগস্ট, ২০২৩ ভোর ৬:২৬
নাহল তরকারি বলেছেন: কিছু কিছু ব্লগার ও মুক্তমনারা বলছে “হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) খারাপ লোক ছিলেন।
২২ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৫২
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: সেগুলি মূত্রমনা। পড়ালেখা করেনা, এটেনশন পাবার জন্য জিহ্বা বের করে ঘেউ ঘেউ করে। উনার নখের ধূলিকণারও যোগ্য কাউকে খুঁজে পেলে এরাই মাথায় তুলে নাচে। নিজেরাতো সেটাও হতে পারেনা।
৪| ২২ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৯:২১
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে কথা হচ্ছে- সাঈদীর পক্ষে তো প্রতিদিন কত মানুষই কথা বলছে, স্ট্যাটাস দিচ্ছে- "সাঈদি ভালো লোক ছিল, সে রাজাকার ছিল না, এইডা আসল সাঈদি না" ইত্যাদি নানা গুজব ছড়াচ্ছে। এমনকি স্বয়ং প্রশাসনের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীরাও সাঈদির ওয়াজের ভক্ত। কিন্তু এ জন্য কাউকে গ্রেফতার করা হয়েছে এমন কথা শুনিনি।
দেশে সাঈদির হাজার হাজার সমর্থক রয়েছে তাদের কউকেই গ্রেফতার করা হয় নি। তবুও ঘটনা যদি সত্যি হয়ে থাকে, তাহলে এর পিছনে অন্য কোন কারণ থাকতে পারে, প্রবাসী ওই ছেলে জঙ্গী কার্যক্রমে জড়িত থাকতে পারে।
গুজবকে না বলুন- রাজাকার সাঈদির দালিলিক প্রমাণ
২২ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৫৪
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: সেটা আমারও কথা। শুধু ঐ মহিলাকেই কেন গ্রেফতার করা হলো? অমন লোকের সংখ্যাতো কোটি কোটি। আবার বেহুদাই বা গ্রেফতার করা হলো কেন?
৫| ২২ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:৫০
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ক্ষমতা ধরে রাখতে এখানে সবই সম্ভব।
৬| ২২ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:৫১
অরণি বলেছেন: কি আশ্চর্য!!
৭| ২২ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: কেউ ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়, কেউ তার হাত ধরে তোলে !
৮| ২২ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:১৫
অক্পটে বলেছেন: @হাসান কালবৈশাখী; "বিএনপির প্রতিষ্ঠাতার নেতৃত্বে ১৫ ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধু ও চার নেতার বাড়ী আক্রমন করে পরিবার সহ হত্যা, এরপর জেল হত্যা।"
ভাই জান ১৫ই আগষ্ট জিয়ার নেতৃত্বে শেখকে হত্যাকরা হয়েছে। এই হাদিস আপনি কোথায় পেলেন? গোয়েবলস কি আপনার বাপ ছিল, নাকি আপনি গোয়েবলসের বাপ ছিলেন। দয়া করে জানাবেন। উত্তরটা গোয়েবলসীয় কায়দায় দিয়েন না।
১৫ই আগষ্ট জিয়া কোথায় ছিল। তার রোল কি ছিল?
৯| ২২ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:৩৪
কামাল১৮ বলেছেন: যে ক্ষমা করে দেয়।কিন্তু যদি সে ক্ষমা না করে তবে তার জন্য কি?
ক্ষমা কোন আইনের অংশ না।ক্ষমা ক্ষমাই।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১:৩৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দেশকে বুদ্ধিশুন্য নেতৃত্বশুন্য করতে ১৯৭১ সালে জামাতের ডিসেম্বরের বুদ্ধিজীবি হত্যা, এরপর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতার নেতৃত্বে ১৫ ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধু ও চার নেতার বাড়ী আক্রমন করে পরিবার সহ হত্যা, এরপর জেল হত্যা। সব বাদ দিলেও শুধুমাত্র ২১শে আগস্টের নেতৃত্বশুন্য করতে গ্রেনেড হামলার কারনে এই স্বাধীন বাংলাদেশে বিএনপি/জামাতের কোন রাজনৈতিক অধিকার থাকতে পারে না, থাকতে দেয়া উচিতও নয়।