নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজকে সেই ক্রিকেট দর্শকরাও গায়েব।

২৮ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:২৬

৯৯ সালের পাকিস্তান দলকে দাবি করা হয় ওদের ইতিহাসের সর্বকালের সর্বসেরা দল। দাবিটা খোদ ওয়াসিম আকরামের। দলের লাইনআপটা একটু বলি, সেই সময়ের দর্শকদের বুঝতে সুবিধা হবে।

ওপেনিংয়ে সাঈদ আনোয়ার (ওদের সর্বকালের সর্বসেরা ওয়ানডে ওপেনার। এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডের মালিক, ওদের হয়ে সর্বোচ্চ ওয়ানডে সেঞ্চুরির মালিক, তখন টেন্ডুলকারের সাথে পাল্লা দিয়ে সেঞ্চুরির দৌড় দৌড়াচ্ছেন)

শহীদ আফ্রিদি (দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডের মালিক। ও দশ ওভার পিচে টিকে যাওয়া মানেই প্রতিপক্ষের খেলা শেষ। এখনও বিশ্বজুড়ে ডমেস্টিক টুর্নামেন্ট খেলে যাচ্ছে, এবং তেজ এখনও কমে নাই)।

সাথে আরেক ওপেনার দলে আছে, ওয়াজাহাত উল্লাহ ওয়াস্তি, সম্প্রতি টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করে কিংবদন্তিদের পাশে নাম লিখিয়ে ফেলেছে। ওর ব্যাটিং টেকনিক দেখে অনেকেই আশাবাদী ওর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। যদিও পরে হারিয়ে যায়।)

একজন আউট হলেই মাঠে নামতেন ইজাজ আহমেদ (পাক ব্যাটিং লেজেন্ড, নামলেই চল্লিশ-পঁয়তাল্লিশ রান তুলে দিবে এমন নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান),

এরপরে নামতেন ইনজামাম(আলাদাভাবে কিছু বলার নেই),
সেলিম মালিক(ওদের ব্যাটিং নির্ভরতার নাম),

তারপরে অল রাউন্ডারদের পালা,
আজহার মেহমুদ/আব্দুল রাজ্জাক (দুইজনই মিডিয়াম পেস বোলিং অলরাউন্ডার। রাজ্জাককে বলা হতো পরবর্তী ইমরান খান। অনেক ম্যাচ সে একাই জিতিয়ে দিয়েছে। এখনও ওদের অনেকের আফসোস, ওর পটেনশিয়াল ঠিকমতন ব্যবহার করতে পারেনি ওর দল। করতে পারলে সর্বকালের সর্বসেরা অলরাউন্ডারদের তালিকায় ওর নাম থাকতো। টেন্ডুলকার এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ওর বল খেলতেই তাঁকে অনেক যন্ত্রনা নিতে হতো)।

উইকেট কিপার মঈন খান (স্লগ ওভারের রাজা ডাকা হতো তাঁকে, যতদূর জানি রশিদ লতিফের সাথে ওদের ইতিহাসের সেরা উইকেটকিপার, নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান। দ্রুত উইকেট পড়ে গেলে দলের হাল ধরতো, নিরাপদ রানে তুলে নিয়ে যেত, তারপরে ওদের বোলাররা বল করে ম্যাচ জিতিয়ে দিত),

ওয়াসিম আকরাম (সর্বকালের সর্বসেরা বাঁহাতি ফাস্ট বোলার, তখনকার সময়ের যেকোন ব্যাটসম্যানের আতঙ্কের নাম),

সাকলায়েন মুশতাক (অফ স্পিন জাদুকর, দুসরার স্রষ্টা, স্পিন বিস্ময়),

ওয়াকার (কালজয়ী ফাস্ট বোলার, যেকোন দেশের যেকোন উইকেটেই বিধ্বংসী স্পেলের জন্য বিখ্যাত। পলকেই ম্যাচের গতিপথ বদলে দিতে পারতো। এখনও ওয়ানডেতে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশিবার ছয় উইকেট নেয়া বোলার),

শোয়েব আখতার (ইতিহাসে এখন পর্যন্ত ওর চেয়ে বেশি গতির বল কেউ ছুড়তে পারেনি। টর্নেডো গতির বলগুলো স্রেফ আতংকের নাম ছিল।)

এছাড়া বেঞ্চে বসে থাকতেন লেগ স্পিনার মুশতাক আহমেদ। অন্য যেকোন দলে খেললে ওই হতো প্রধান স্ট্রাইক বোলার।

মোট কথা, যেকোন দলের যেকোন ব্যাটিং ও বোলিং লাইনআপের জন্য চরম বিভীষিকার নাম ছিল এই দল।

৯৮ সালে ভারত সফর শেষেই পাল্টে যেতে থাকে ওদের চেহারা। চেন্নাই টেস্টে একদম হারের মুখে থেকে জয় ছিনিয়ে আনার পরে দিল্লি টেস্ট হেরে যায়, এবং কলকাতাতেও একদম নিশ্চিত পরাজয় থেকে জিতে গিয়ে এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে নেয়। এরপর ভারতে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজ জিতে বিশ্বকাপ খেলতে যায়। ওয়াসিম তখন বেশ আত্মবিশ্বাসের সাথেই ঘোষণা দেয় যে ওদের টিম স্পিরিট এত হাই যে ওরা বিশ্বের যেকোন দলকেই হারাতে পারবে। ঘটনা ঘটেছিলও তাই। ইংল্যান্ড ওয়ার্ল্ডকাপে গ্রূপ স্টেজে ওদের সামনে কোন দলই পাত্তা পাচ্ছিল না। ওয়েস্টইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড সবাই একে একে উড়ে গেল। গ্রূপের শেষ ম্যাচটা ছিল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে।

বাংলাদেশ তখনও হাঁটিহাঁটি পা পা করছে। প্রতিটা ম্যাচে নামে সম্মানজনকভাবে হারার জন্য। প্রতি ম্যাচে ওরা লাভ করেন অভিজ্ঞতা, পরবর্তী জেনারেশনের মাঝে ছড়িয়ে দেন, যাতে একটা সময়ে বাংলাদেশ ওদের চোখে চোখ রেখে লড়তে পারে।
তা এখন শুনলে অতি সাধারণ মনে হলেও সেই বিশ্বকাপে উড়তে থাকা পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশী খেলোয়াড়রা আসলেই চোখে চোখ রেখে লড়েছিল। খালেদ মাহমুদ সুজনের কথা থেকেই জেনেছিলাম (এবং তখন লাইভ ম্যাচেও দেখেছিলাম) যে ওয়াসিম আকরামের চোখ রাঙানি দেখে সে চোখ ফিরিয়ে নেয়নি, বরং সেও পাল্টা ক্রুর দৃষ্টিতে তাকিয়েছিল। ওয়াসিমের মতন লেজেন্ডারি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বোলারের দিকে তাঁর শরীরের অর্ধেক সাইজের এক পিচ্চি রক্তচক্ষু নিক্ষেপ করছে - এই দুঃসাহস সে হজমই করতে পারছিল না। রীতিমতন গালাগালি করছিল আর তাঁর ব্যাটিং পার্টনারকে বলছিল, "ছোটুকে বল চোখ সরায়ে নিতে, নাহলে আজকে তাকে মাইরাই ফালামু!"
সুজন তখন তাঁর পার্টনারকে বলে, "আপনি কিছু বলতে আসবেন না, চুপ করে থাকেন। আমাকে আমার কাজ করতে দেন।"
সে ওয়াসিমের দিকে আবারও চোখ রাঙানি দেয়। আগুনে ফুটতে থাকা ওয়াসিম আগুনের গোলা ছুড়ে মারে। সুজন আউট হয়না। আবারও চোখ রাঙানি দেয়।
বোলিংয়ে এসেও সুজনই মূল কাজটা সাড়ে। আফ্রিদি, ইনজামাম এবং সেলিম মালিকের উইকেট নিয়ে টাইট বোলিং করে পাকিস্তানকে সেই যে চাপে ফেলে, ওরা আর সেটা থেকে বের হতে পারেনি। গোটা পৃথিবী অবাক বিস্ময়ে দেখে উড়তে থাকা পাকিস্তানকে মাটিতে নামিয়ে এনে শিকার করে সেই বাংলাদেশ যাদের তখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে খুব বেশি হলে তিনটি জয় ছিল। কেনিয়া, স্কটল্যান্ডের বেশি আমাদের দৌড় ছিল না। কেনিয়া ছিল আমাদের "চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী!" আমরা ওদেরই হারাতে পারতাম না।

আমাদের অবস্থা তখন কেউ কল্পনাও করতে পারবে না। ম্যাচ শেষ হতে হতে প্রায় মধ্যরাত হয়ে গিয়েছিল। গোটা বাংলাদেশ তখন জেগে উঠে। পাড়ায় পাড়ায়, মহল্লায় মহল্লায় তখন বিজয় মিছিল বের হয়। এ ওকে মিষ্টি খাওয়াচ্ছে, মিষ্টি না পেয়ে লোকে বিস্কিট খাওয়াচ্ছে। যেন সদ্য স্বাধীন হওয়া কোন দেশ! ক্রিকেট জয় ছাড়া আমাদের বারো মাসে তের পার্বনের দেশ কখনই এমন উৎসবে মেতে উঠতো না। আইসিসি ট্রফি জিতে বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন, এবং বিশ্বকাপে মহাশক্তিশালী পাকিস্তান বধ - এই দুই বিজয়েই বাংলাদেশ একদিনের জন্য সব জাতি-ধর্ম-দল ইত্যাদি ভেদাভেদ ভুলে গিয়েছিল।

ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম বড় অঘটনের সেই এক জয়ই আমাদের টেস্ট স্ট্যাটাসের পথ খুলে দেয়। ঐ জয়টাই আমাদের মাঝে আত্মবিশ্বাস তৈরী করে যে আমরা ইচ্ছা করলেই বড় বড় দানব বধ করার ক্ষমতা রাখি। ঐ এক জয়ই বড় বড় দলের মনে ভীতি সঞ্চার করে যে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হেলাফেলার সুযোগ নেই। হালকাভাবে নিলেই ওরা যেকোন দলকে হারাতে সক্ষম। সেই জয় না আসলে আজকের সাকিব-মাশরাফি-মুশফিক-রিয়াদ-তামিম জেনারেশন তৈরী হতো না। লিখে দিতে পারি।

অথচ চব্বিশ বছর পরে যখন কিছু পোলাপানদের দেখি সেইসব সিনিয়রদের স্ট্যাটস নিয়ে হাসি তামাশা করতে, তখন খুব বলতে ইচ্ছা করে, তোমাদের আব্বুরা যখন ডাইপার পরতো, তখন এই বুল্বুল, নান্নু, আতাহার, আকরামরাই বাংলাদেশের ক্রিকেটের ইজ্জত রক্ষা করতো। শেন ওয়ার্নকে তুলোধুনো করা শচীন টেন্ডুলকার মোহাম্মদ রফিকের বল খেলতে পারতো না, একাধিকবার আউট হয়েছে এই বাঁহাতির বলে। স্ট্যাটস দেখে তাঁদের বিচার করা সম্ভব?

উপমহাদেশে তখন দুই দেশের দর্শকের প্রশংসা ছিল বিশ্বব্যাপী। শ্রীলংকান এবং বাংলাদেশি। ইন্ডিয়া-পাকিস্তানী দর্শকরা ছিল টক্সিক, ওদের দল জিতলে ভাল, না জিতলে ওদের খেলোয়াড়দেরই বাড়িতে পাত্থর মারো, খেলোয়াড়দের পেটাও ইত্যাদি। ইডেন গার্ডেনে বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল পন্ড হয়েছিল দর্শকদের অমন আচরণে। এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম টেস্টের পঞ্চম দিনে গ্যালারি খালি করতে হয়েছিল এই দর্শকদের ঔদ্ধত্যের কারণেই।
এদিকে নব্বইয়ের দশকের লংকান দর্শকরা খেলা দেখতে যেত বিয়ে বাড়িতে যাওয়ার মানসিকতা নিয়ে। গ্যালারিতে সারাক্ষন ব্যান্ড বাজছে, সংগীতের সাথে সাথে ওরা নাচানাচি করছে, সামনে ক্রিকেটে কে জিতলো না জিতলো পরের ব্যাপার, আগে খেলাটা উদযাপন করা জরুরি।
আর বাংলাদেশী দর্শকরা ছিল প্রকৃত ক্রিকেটপ্রেমী। একটা ভাল বলে হাততালি দিচ্ছে, একই দর্শক ব্যাটসম্যানের চমৎকার শটেও উল্লাস করছে। কে খেলছে, তারও উর্দ্ধে কেমন খেলছে, সেটা জরুরি। টেন্ডুলকার-ওয়াসিম আকরামরা আমাদের বাড়িতে অতিথি হয়ে আসতেন, আমরা তাঁদের সর্বোচ্চ আপ্যায়ন করতাম। প্রতিটা খেলোয়াড়ই হাততালির জন্য মুখিয়ে থাকেন। সেটাই আমরা ভরপুর দিতাম।
প্রতিটা বিদেশী দলের অধিনায়ক আমাদের এখানে খেলতে এসে দর্শকদের ভূয়সী প্রশংসা করতো। বলতো যে ওদের মনেই হতো না ওরা বিদেশের মাটিতে খেলছে। ওয়াসিম আকরামতো বহুবার বলেছে ঢাকাকে ওর দ্বিতীয় বাড়ির মতন লাগে। একই কথা সৌরভ গাঙ্গুলিও বলেছেন।

আজকে সেই দর্শকরাও গায়েব।
এখন ভিডিও বের হয় তামিম ইকবাল ব্যাটিং প্র্যাকটিস করছে, নেটের পেছন থেকে কোন এক উজবুক ভিডিও করতে করতে আলতু ফালতু কমেন্ট করছে। তামিম বিরক্ত হয়ে কিছু একটা বলছে, এবং সেটাই ইন্টারনেটে ভাইরাল করার ধান্দা!
"মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে দলে না নেয়ায় বাংলাদেশেরই সাপোর্ট করবো না" "নান্নু জীবনে একটাও ছক্কা মারে নাই, ও কিসের সিলেক্টর?" - টাইপ মেন্টালিটি আর কথাবার্তাতো আছেই!
সেদিন এক ভক্তের সাথে বোলিং কোচ এলান ডোনাল্ড নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছিল। ও জানতে চাইলো, ও কেমন বোলার ছিল?
আমি কিভাবে বুঝাবো "হোয়াইট লাইটেনিং" কেমন বোলার ছিল! সেই সামর্থ্যইতো আমার নেই! ওর বোলিং যে লাইভ দেখেনি, সে কি স্ট্যাটস দেখে ওর প্রতি সুবিচার করতে পারবে?
এবং সবচেয়ে বিস্ময়কর, আপনি কিছু বলেন, এরা কমেন্ট শুরু করবে যে আপনি ক্রিকেটের কিছুই বুঝেন না। ওদের জবাবে মুখ খুলবেন, তখন বলবে আপনি ব্যক্তি আক্রমন শুরু করেছেন। তখন খুব বলতে ইচ্ছা করে, "ব্যক্তি আক্রমনের তুই দ্যাখছোস কি! তোকে তোর যোগ্যতা বুঝাতে পারলাম কই?"

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:০৪

আমি সাজিদ বলেছেন: আপনার কি এমন মনে হয় কখনও যে, ক্রিকেটের পতনের পেছনে ভারত দায়ী?

ফুটবলের পতন বেদুইন সৌদিদের হাতে হবে কি সেটা অবশ্য সময়ই বলে দিবে।

২| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: পাকিস্তানের সোয়েব আক্তার যখন দৌড়ে বল করতে আসতো- ভয়ে আমার বুক কাপতো। একবার তো সৌরভ গাঙ্গুলির বুকে এসে লাগত তার বল।

২৯ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৪২

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ওর রানাপ এবং বোলিং অ্যাকশনটাই ছিল আতংকিত হবার মতন।

৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:৫৮

ধুলো মেঘ বলেছেন: ক্রিকেট খেলাটাই একসময় গায়েব হয়ে যাবে, আপনি আছেন দর্শকপ্রিয়তা নিয়ে। কেবল ভারত আর পাকিস্তান ছাড়া ক্রিকেট নিয়ে মাতামাতি আর কোথাও নেই। ইউরোপে একটা পাঁচ দেশীয় টুর্নামেন্ট চলছে 'নর্স' কাপ নামে। সেই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারি দেশগুলো হল নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড এবং এস্তোনিয়া। এই পাঁচ দেশের ৫৫ জন খেলোয়ারের মধ্যে অন্তত ৫০ জনই ভারতীয় বা পাকিস্তানী। এই দুই দেশের মানুষই বিভিন্ন নাম নিয়ে বিভিন্ন দেশের হয়ে বিশ্বব্যাপী খেলে চলেছে।

তাই বলা চলে, পাকিস্তান বা ভারত ছাড়া বিশ্বের কোথাও ক্রিকেট খেলার আসলে কোন অস্তিত্বই নেই।

২৯ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৪৪

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আপনি বোধয় সম্প্রতি শেষ হওয়া এশেজ দেখেননি।
আর পাক-ভারত ছাড়া বাংলাদেশ বলেও একটা দেশ আছে যেখানে ক্রিকেট আজও খেলা হয়, জানেন নিশ্চই।

৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:১৭

আমি নই বলেছেন: ভাই প্রজন্মটাই পচে গেছে। ফুটবলেও দেখা যায় এদের নোংরামো, আসলে শুধু খেলাধুলা কেন প্রতিটা জায়গাতেই এরা নোংরামো করে।

শ্রদ্ধা, সম্মান এই জাতীয় শব্দগুলোর আসলে আর প্রয়োজন নেই।

২৯ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৪৩

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: কারনটা কি, সেটাই বুঝতে পারলাম না। আমরা সবাইতো একই দেশেই জন্মেছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.