নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ও সখিনা, গ্যাছোস কিনা, ভুইলা আমারে...

২১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:২০

ছেলেটা ছিল নিজ গ্রামের সবচেয়ে ডানপিটে যুবক।
গ্রামের তালুকদার সাহেবের ষোড়শী কন্যা সখিনার সাথে ওর ছিল পিরিতের সম্পর্ক।
একদিন সখিনাকে নিয়ে ধানক্ষেত পর্যবেক্ষণ কর্মসূচি চলাকালে তালুকদার সাহেবের হাতে সরাসরি ধরা পড়ে। যুবকটি ভুলে গিয়েছিল যে ধানক্ষেতটি ছিল মেসার্স তালুকদার এন্ড সন্স এগ্রো ফার্মেরই একটি ব্রাঞ্চ অফিস।
তালুকদার সাহেব অগ্নিশর্মা হয়ে উঠে যুবকটিকে বলেন, "আমার মেয়ের বাড়ি আছে, পুকুর আছে, গোয়াল আছে, ক্ষেত আছে - তোমার কি আছে?"
যুবকটি মাথা চুলকে সরাসরি উত্তর দেয়, "আমার একটা বাপ আছে!"
তালুকদার সাহেব তাচ্ছিল্য করে বলেন "সেই বাপের ইনকাম বাদ দিলে তুমি আর পথের ফকিরে কোন পার্থক্য থাকবে? আমার মেয়েকে খাওয়াবে কি আর পরাবে কি?"
কথাটা যুবকটির কলিজায় এসে বিঁধে। আসলেইতো, ওর নিজের কি আছে?
সে গ্রামেই পরিশ্রম শুরু করলো। ফেসবুকের মোটিভেশনাল ভিডিও দেখে মোটিভেটেড হয়ে সে একাই মিঞাবাড়ির সমস্ত ফসল কেটে ফেলে। এতে সাবাসী দেয়ার বদলে উল্টো মিঞাবাড়ির লোকজন ওকে দা বটি হাতে দৌড়ানি দেয়, কারন মৌসুম আসার আগেই কাঁচা ফসল সে কেটে ফেলেছে।
আরেকবার সৈয়দ বাড়ির পুকুরে বার্ষিক মাছ মারা কর্মসূচির জন্য জেলে খোঁজা হচ্ছিল। সে বলে দেয়, জেলে লাগবে না, সে একাই মাছ ধরে দিতে পারবে। ওর কাছে আধুনিক টেকনোলজি আছে।
নির্দিষ্ট দিনে সে কীটনাশক দিয়ে পুকুরের সমস্ত মাছ মেরে ফেললে সৈয়দরাও ওকে দা বটি হাতে গ্রামে দৌড়ানি দেয়। ওর মাথায় আজও ঢুকছে না, এত সহজে এত মাছ মারা গেলে শুধু শুধু জাল ফেলে সমস্ত দিন টানাটানি করার অহেতুক পরিশ্রম মানুষ কেন করে?
কিন্তু নিয়মিতই পাবলিকের দৌড়ানি খেয়ে সে বুঝে নিল, গ্রামে ওর কিছু হবেনা। নিজের পায়ে দাঁড়াতে হলে ওকে শহরে যেতে হবে।
তাই একদিন মায়ের সমস্ত গয়না আর বাপের সিন্দুকের সমস্ত ক্যাশ নিজের গামছার পুঁটলিতে ভরে যুবকটি নিজ গ্রাম থেকে হেঁটে, নৌকায় ভেসে, বাসে চেপে ঢাকা শহরে এসে পৌঁছে।
কিন্তু পড়ালেখা না জানার কারনে ঢাকা শহরে কেউ ওকে চাকরি দিচ্ছিল না।
ইউনিলিভার, ব্যাট, নেসলে, হোলসিম, সিমেন্স ইত্যাদি সব বড় বড় মাল্টিন্যাশনালগুলোর ম্যানেজার পদে ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে সে দেখে ইন্টারভিউ যারা নিতে বসেছে, ওরা কেউই কোন প্রশ্ন করেনা, ওকে দেখে, আর হাসে।
ওদের হাসি দেখে ও যখন ধরেই নেয় ওর চাকরি পাকা, এবং সেটা নিশ্চিত হতে ওদেরকে জিজ্ঞেস করে "স্যার, তাহলে কি আমি ধরে নিব আমার চাকরি হয়ে গেছে?" তখন ওরা আরও জোরে হাসতে শুরু করে।
বুঝতে পারেনা ঘটনা কি। তবে ও পরিকল্পনা করে ফেলে চাকরি পেয়েই সে একটা হেলিকপ্টার কিনবে। প্রতিদিন ফকির মিসকিনদের সাথে ট্রাফিক জ্যামে ভিড় ঠ্যালাঠ্যালি করে সে অফিসে আসতে পারবে না।
এদিকে গ্রাম থেকে আনা টাকা দ্রুত ফুরিয়ে আসতে থাকে।
কোথাও থেকে চাকরির ডাক না পেয়ে অতঃপর সে একদিন জটিল হিসেব করে দেখে রিক্সা চালানোয় আয় সাংঘাতিক। গুলশান লেক থেকে বাড্ডা লিংক রোডের মাথা পর্যন্ত যেতে সময় লাগে পনেরো মিনিট, প্রতি ট্রিপে ন্যূনতম তিরিশ টাকা করে ধরলেও ঘন্টায় ওর আয় হবে ১২০ টাকা। দিনে আট ঘন্টা কাজ করলে সেটা হবে ৯৬০ টাকা। তাহলে তিরিশ দিনের মাসে আয় হবে.....সে আর হিসাব মিলাতে পারেনা। এইটুকু বিদ্যা ওর জানা থাকলে সেতো চাকরিই করতো।
ওর চোখ চক চক করে ওঠে। ও বুঝে যায় ওর সুদিন আসতে আর বেশিদিন বাকি নেই। অতি দ্রুতই ও রিক্সা চালিয়ে ব্রোলোকস হয়ে যাবে। তারপরে লাল স্যুট গায়ে চোখে নীল সানগ্লাস পরে হলুদ ফেরারি গাড়ি কিনবে। লোকে ইদানিং টেসলা টেসলা করে, আরে বেকুব! যে গাড়িতে ইঞ্জিল নাই, ব্যাটারিতে চলে, সেটা আর খেলনার গাড়িতে কোন পার্থক্য আছে? ওর রিকশাইতো ব্যাটারিতে চলে। তাহলে পার্থক্য কি রইলো? বরং ফেরারি চেপে আইয়ুব বাচ্চুর "ফেরারি এ মনটা আমার" গাইতে গাইতে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তালুকদারের বাড়িতে গিয়ে বলবে, "তালুকদার সাহেব! আর কত টাকা হলে আপনি আমাকে আপনার মেয়ের জন্য উপযুক্ত মনে করবেন?"
সে নিশ্চিত তালুকদার গিন্নি বলবেন, "বাবাজি, এত দূর থেকে এসেছো, আগে ঠান্ডা একগ্লাস শরবত খাও!"
সে তখন বলবে, "না আম্মা! এ বাড়িতে আমি তখনই জলপান করবো যেদিন আপনারা খুশি মনে সখিনার হাত আমার হাতে তুলে দিবেন!"
ঘটনাটি কল্পনা করতেই তাঁর মনে শিহরন জাগে!

তারপরে একদিন খবর আসে সখিনার বিয়ে হয়ে গেছে। পাশের গ্রামের সর্দার বাড়ির দুবাই প্রবাসী ছোকরা ইলিয়াসের সঙ্গে। হারামজাদা বিয়ের পরে ছিল মাত্র দুই সপ্তাহ, কিন্তু এরই মাঝে ঘটনা ঘটায় দিয়ে গেছে। সখিনা এখন চারমাসের পোয়াতি।
যুবকটির হৃদয় ভেঙে চৌচির হয়ে যায়। রাত দুইটা পর্যন্ত মেথর পট্টির "বাংলা" মদ খেতে খেতে সে উপলব্ধি করে গায়ক সত্য বলেছিলেন "আমি "বাংলাকে" ভালবাসি, আমি "বাংলাকে" ভালবাসি!"
সেও আবেগী গলায় গেয়ে ওঠে, "আমিও বাংলাকে ভালবাসি!"
রাত তিনটার দিকে সে বুঝে যায় দুনিয়া কেবলই মোহ মায়া। আমরা রিক্সায় চাপা প্যাসেঞ্জারের মতন যে যার গন্তব্যে ছুটছি। হঠাৎ করে যাত্রীরা বলে, "ভাই ডানদিকে চাপান, নামবো।" ব্যস, ওটাই চূড়ান্ত ঠিকানা, কবর! কিসের জন্য আমরা এত মারামারি, হানাহানি করি?
তীব্র আবেগ ওকে গ্রাস করে। সে হাউমাউ করে কেঁদে উঠে।
রাত সাড়ে চারটার দিকে সে আবারও সখিনার কথা স্মরণ করে দরদী স্বরে গাইতে শুরু করে, "ও সখিনা, গেছোস কিনা ভুইল্যা আমারে....আমি অখন রিশকা চালাই ঢাহা শহরে!"
দিন এভাবেই কাটতে থাকে।
দিনের বেলা রিক্সা, রাতের বেলা বাংলার প্রতি ভালবাসা, তুচ্ছ ও ক্ষণস্থায়ী জীবনের মোহমায়া উপলব্ধি করে কান্নাকাটি, এবং সবশেষে "ও সখিনা, গেছস কিনা ভুইল্যা আমারে!"
এরই মাঝে খবর আসে সখিনার পুত্র সন্তান হয়েছে। ওর স্বামী দুই সপ্তাহের জন্য দেশে আসে, আবারও ঘটনা ঘটায়ে প্রবাসে উড়াল দেয়। সখিনা আবারও পোয়াতি! এভাবেই চলতে লাগলো বছরের পর বছর। যুবকটি দুই সপ্তাহের ক্যামিও ইনিংস খেলেই চলে যায়, সেটার ইম্প্যাক্ট পড়ে সখিনার উপর।
আর সেই দুঃখে, সেই কষ্টে বাংলার প্রতি যুবকটির ভালবাসা বাড়তেই থাকে।
তারপরে একদিন পথে আমার সাথে দেখা।
আমি তখন ঢাকায় বেড়াতে গেছি। গুলশানের ফখরুদ্দিন বিরিয়ানি খেয়ে নানুর বাসায় যাচ্ছি। গুলশান লেক থেকে বাড্ডা গুদারা ঘাট পর্যন্ত যাব। ওর রিকশায় চাপলাম। আমেরিকা থাকি, লেখালেখি করি এবং ফেসবুক গ্রূপ ক্যানভাসের এডমিন শুনে ও ওর জীবন বৃত্তান্ত আমাকে শোনায়।
আমিই ওকে বুদ্ধি দেই রিক্সাই যদি চালাতে হয়, তাহলে বিদেশে চালাও।
কথাটা ওর কলিজায় গিয়ে বিঁধে। আমার কাছ থেকে "সহজে আমেরিকা আসার ১০১ পদ্ধতি" জেনে নেয়।
সমস্যা হচ্ছিল টিকেটের টাকা নিয়ে। কিছুতেই জমানো যাচ্ছিল না। ও এয়ারলাইনসের অফিসে গিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করেছিল যে সে প্লেনের হ্যান্ডেল ধরে দাঁড়ায়ে দাঁড়ায়ে চলে যাবে, অথবা পাইলটের পেছনের ফাঁকা জায়গায় বসে থাকবে - কারোর ডিস্টার্ব হবে না - তবু ওরা প্রতিবার দারোয়ান ডাকিয়ে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিল।
রিকসা বিক্রি করে, ডবল পরিশ্রম করেও লাভ হচ্ছিল না। বাপের কাছে ফোন দিলে বাপ উল্টা রাবীন্দ্রিক শব্দমালা থেকে ওর মা, ওর বোন, ওর পিতৃপরিচয় ইত্যাদি বৃত্তান্ত তুলে ধরেন। ফোন কাটার পর ছেলেটা বুঝতে পারে হয়তো পিতা কিঞ্চিত রুষ্ট হয়েছেন, উনার কাছ থেকে অর্থ সাহায্য পেতে খানিকটা বিলম্ব হবে।
তারপরেও ছেলেটা নিজ পরিশ্রমে পুরোটা টাকা জোগাড় করে। রামপুরা বনশ্রী রোডে রাত জেগে ছিনতাই করেছে, তবু কারোর কাছ থেকে ভিক্ষা চায়নি।
এভাবেই স্বাবলম্বন ও অধ্যবসায়ের জোরে একদিন ঠিকই সে আমেরিকা আসার টিকেট, ভিসা সব ব্যবস্থা করে ফেলে। একারনেই কবি বলেছেন, "যদি লক্ষ্য থাকে অটুট, বিশ্বাস হৃদয়ে, হবেই হবে দেখা, দেখা হবে বিজয়ে!"

তারপরে বহু বছর কেটে গেছে। সখিনার স্বামী ততদিনে একের পর এক ক্যামিও ইনিংস খেলে ফেলেছে। একদিন আমার সাথে যুবকটির দেখা হয়। ভিন্ন মহাদেশ, ভিন্ন শহর। নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কয়ার।
প্রথম দেখায় চিনতে পারিনি। ফেসবুকের কিরিম আপার ক্রিমের সাথে ফেয়ার এন্ড হ্যান্ডসাম মিশিয়ে নিয়মিত ব্যবহারে মাত্র দুই থেকে আট সপ্তাহে ওর ত্বক ততদিনে উজ্জ্বল, ফর্সা হয়েছে। চুলে তেল না দেয়ায় চুলও ততদিনে ফেটে পাট হয়ে গেছে। আমাকে দেখেই সে বলে উঠলো, "ভাল আছেন ভাইজান?"
আমি দেখি ওর রিক্সায় চাপার জন্য সুন্দরী মেয়েদের ভিড়।
জানতে চাইলাম "এখনও কি "ও সখিনা গেছোস কিনা" গাও?"
সে হেসে বলল, "অন্য গান গাই।"
"কোনটা?"
সে উত্তর না দিয়ে যাত্রী নিয়ে প্যাডেলে চাপ দিল। আমাকে শোনাতে নাকি এমনিতেই সে আপন মনে গেয়ে উঠলো, "ফারাক পারতা হ্যায় কেয়া, বাহো মে মুন্নি হ্যায় ইয়া শিলা হ্যায়! ইশাক কে নাম পে কারতে সাভি আব রাস লীলা হ্যায়, ম্যায় কারু তো সালা, ক্যারেক্টার ঢিলা হ্যায়!"

নিন্দুকেরা বলবে বানিয়ে বলছি, তাই ছবিও আপলোডায় দিলাম। যুবকটির জন্য শুভকামনা!

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ১:০১

জনারণ্যে একজন বলেছেন: অসাধারণ এক শুকনা শাকসবজি-ঘটিত গল্প হইছে। আজকে আবারো নতুন কইরা অনুধাবন করলাম শুকনার সুদূরপ্রসারী ইমপ্যাক্ট। আহা, কল্পনাশক্তি কোন লেভেলে নিয়ে যাইতে পারে, তার উজ্জ্বল এক দৃষ্টান্ত হইয়া থাকবে আপনের এই গাল-গপ্পো।

ছবিটা আপলোডাইয়েন। আর দয়া কইরা এইডাও খুইলা কইয়েন কোন তরিকায় ছোকরা ইউনিলিভার, ব্যাট, নেসলে, হোলসিম, সিমেন্স এর মতো কোম্পানিগুলাতে "ম্যানেজার" পদে ইন্টারভিউতে ডাক পাইলো।

আমিও রিকশা চালানো বাদ দিয়া একবার টেরাই করতাম আর কি।

২২ শে মে, ২০২৪ রাত ১:৫৯

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: সেন্স অফ হিউমার বুঝতে হলেও সেন্স অফ হিউমার থাকা লাগে। :)

২| ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ৩:৩৮

জনারণ্যে একজন বলেছেন: দুঃখিত এবং অতিশয় লজ্জিত।

প্রাক্তনদের কাছেও শুনেছিলাম, আমার সেন্স অফ হিউমার নাকি শাখামৃগ-পর্যায়ের।

আর এটা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ, যে ভুলেই গেছিলাম এখানে যে নয়া সৈয়দ মুজতবা আলী'র আগমন ঘটেছে - যিনি কিনা গল্পের গরু মান্দার গাছে উঠিয়ে রম্য রচনা প্রসব করেন।

২২ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: বড়রা ঠিকই বলেছেন, ওদের কথা মেনে নিন।

৩| ২৫ শে মে, ২০২৪ রাত ১২:২১

এইচ তালুকদার বলেছেন: সব জায়গায় তালুকদার-দের না টানলে হয় না?

২৮ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:৩১

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: হাহাহা, চৌধুরী টানলে একই কথা কোন চৌধুরী বলতো। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.