নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
ধরা যাক আপনি সমস্ত জীবন চাকরি করেছেন।
বাংলাদেশের চাকরিজীবীদের আয় এমনও না যে আপনি প্রচুর বাড়ি গাড়ি সম্পদের মালিক হয়ে যাবেন। যদি বাপ মায়ের সাপোর্ট না থাকে, নিজেকে বৌবাচ্চা সংসার নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকতে হয়, তাহলে হয়তো বহুদিন চাকরির পর একটা গাড়ি কিনতে পারবেন। তারপরে একটা প্লট কিনে বাড়ি বানালেও বানাতে পারেন। বাড়ি না বানাতে পারলেও হয়তো একটা ফ্ল্যাট কিনতে পারেন। এর বেশি সম্পত্তি করতে পারাটা সাধারনের জন্য অতি দুঃসাধ্য ব্যাপার।
আমাদের দেশে বেশিরভাগ মধ্যবিত্ত রিটায়ার্ড লোকজন নিজের টাকা পয়সা ব্যাংকে রাখেন। সুদ বা লভ্যাংশ যেটাই বলেন, সেটা বাদ দিয়েও বহু মানুষ নিজের সমস্ত জীবনের সেভিংস থেকেই বাকিটা জীবন চালান। তাঁদের আর কোন উপায় নেই।
এখন যদি একদিন ব্যাংকে গিয়ে শোনেন যে ব্যাংক আপনার টাকা দিতে পারছে না, আপনার হয়তো এক কোটি টাকা জমা ছিল, কিন্তু ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যাওয়ায় এখন মাত্র তিন লক্ষ টাকা ধরিয়ে দিচ্ছে, তখন আপনার কি অবস্থা হবে? আপনার সমস্ত জীবনের আয়, সঞ্চয় সব চোখের পলকে গায়েব হয়ে গেল।
কেন এটা হয় জানেন?
ব্যাংক সাধারণত করে কি আপনার কাছ থেকে টাকা জমা নিয়ে অন্যকে ঋণ দেয়। আপনাকে হয়তো সুদ (ফিল্টার্ড ভাষায় "লভ্যাংশ") দিবে ৫%, আর ওদের থেকে নিবে ১৫%, মাঝের এই ১০% লাভ দিয়ে ওরা নিজেদের যাবতীয় খরচ, মানে কর্মচারীদের বেতন, ব্যাংকের শাখার ভাড়া মেটানো, এডভার্টাইজিং, বিদ্যুৎ, গ্যাস ইত্যাদি যাবতীয় খরচ মেটাবে, এবং তারউপর লাভও রাখবে যাতে ডাউন টাইমে এই লাভের টাকা দিয়েও ব্যবসা চালিয়ে নেয়া যায়।
ব্যাংকের আরও আয়ের উৎস আছে, কিন্তু আমি বুঝার সুবিধার্তে বেসিক উদাহরণ দিয়েছি।
ঠিক এই কারণেই ব্যাংক চায় আপনার কাছ থেকে বেশি বেশি টাকা জমা নিতে। আপনি যত বেশি টাকা জমা রাখবেন ওদের লিকুইডিটি তত বেশি থাকবে, তত বেশি টাকা মানুষকে ঋণ দিতে পারবে, তত বেশি ওদের লাভ হবে।
একই সাথে ব্যাংক আপনাকে ঋণ দিতে চাইবে। কারন আপনি ঋণ না নিলে ওদের আয় আসবে কোত্থেকে? যে কারনে দেখবেন ওদের এই প্রোগ্রাম, ঐ প্যাকেজ ইত্যাদি সব স্কিম থাকে। সবই ব্যবসার প্রোডাক্ট।
ঋণ দিলে আপনি ঋণ ফেরত দিতে পারবেন কিনা সেটাও দেখা ওদের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। ঠিক এই কারণেই ওরা কিছু এক্সপার্ট এম্পলয়ী রাখেন, যার কাজই হচ্ছে আপনার যাবতীয় সম্পদ, সম্পত্তি, আয় ব্যয় ইত্যাদি হিসাব নিকাশ করে তারপরে এপ্রুভ বা রিজেক্ট করা।
আপনি পানের দোকানদার। গুলিস্তান মোড়ে আপনার পানের দোকান আছে। সেটা দেখিয়ে আপনি একশো কোটি টাকা ঋণ পাবেন না। ব্যাংক জানে আপনি সেটা ফেরত দিতে পারবেন না।
কিন্তু আপনি যদি সেটা দেখিয়েই ঋণ পেয়ে যান, তাহলে বুঝতে হবে কোন ঘাপলা আছে। ব্যাংকের ভিতরকার লোকজন দুই নম্বরি করে আপনাকে ঋণ পাইয়ে দিয়েছে।
এখন ধরেন আমি একজন ব্যাংক। আমার কাছে আপনি একশো টাকা জমা দিয়েছেন। আমি হিরো আলমকে সেই একশো টাকাই ধার দিয়েছি। আলম আমাকে বছর শেষে ১১৫ টাকা দিবে, আমি আপনাকে ১০৫ টাকা বুঝিয়ে দিব। সহজ হিসাব? বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা না।
কিন্তু যদি আলম আমাকে সেই টাকাটা না দেন?
আপনাকে আমি কিভাবে আপনার ১০৫ টাকা দিব?
আপনি ফ্রাস্ট্রেটেড হয়ে বলবেন, "৫ টাকা লাভের দরকার নাই, আমাকে আমার ১০০ টাকা দিলেই চলবে।"
কিন্তু আমি আপনাকে ৩ টাকার বেশি দিতে অপারগ। কারন আমার টাকাই নাই! আমি কি করবো?
আপনি আদালতে যাবেন, আমার ফাজলামি আপনি মেনে নিতে পারছেন না। কিন্তু আইন আমার পক্ষে। আইনই বলছে আমি যেহেতু নিজেকে ফকির ডিক্লেয়ার করেছি, এর মানে আইনত আপনি আমার কাছ থেকে ৩ টাকার বেশি নিতে পারবেন না।
হিরো আলম কিন্তু বহাল তবিয়তে ইউটিউব ভিডিও বানিয়ে যাচ্ছে, অথবা পরিবার নিয়ে বিদেশে গিয়ে বিচে শুয়ে ডাবের পানি খেতে খেতে চোখ দিয়ে ফর্সা মেয়েদের কোমরের মাপ নিচ্ছে।
সে শুধু আপনার একশো টাকাই চুরি করেনি, আপনার সমস্ত জীবনের পরিশ্রম সে চুরি করে ফেলেছে। আপনার চল্লিশ বছরের চাকরি জীবন পুরোটাই সে ফুর্তিতে উড়িয়ে দিচ্ছে। এইটা বুঝতে পারছেন? এখানে কোটি টাকাই ব্যাপার না, আপনার সমস্ত জীবন, যা আর কখনই ফেরত পাবেন না, সেটাই আসল ব্যাপার।
ঋণ খেলাপিরা মানুষের টাকা চুরি করেনা, অসংখ্য মানুষের জীবন, সময় লুটে ফূর্তি করে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ কেউ ঋণখেলাপিদের পক্ষে ইনবিন করেন বলেই সত্য কথাগুলো বললাম।
ঋণ খেলাপিরা চোর। মহাচোর। এগুলির দৃষ্টান্তমূলক কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত। যে ওদের পক্ষে সাফাই গাইবে, সে যেন সাদিক এগ্রো থেকে দূরে থাকে। নাহলে ১৫ লক্ষ টাকায় উন্নতমানের ছাগল হিসেবে এই বাজারেই বিক্রি করে দিবে।
২| ১১ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৩:১১
বিদ্রোহী পুরুষ বলেছেন: গোলাম রাষ্ট্রের সমস্ত ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে গেছে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই জুন, ২০২৪ রাত ১২:৩৭
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: নিজের অর্জিত টাকা নিজ গুনে
ব্যবসা করে লাভবান হওয়া যায় ।
অন্যর কথায় নাচলে সর্বনাশ
পিছন পিছন হাঁটে ।