নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছেলের মাথায় আঘাত।

২৪ শে জুন, ২০২৪ রাত ১০:২৭

গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর - ১ কেউ দেখেছেন? সেখানে একটি দৃশ্য আছে এমন যে সর্দার খানকে (মনোজ বাজপেয়ী) খুন করতে সুলতান গুলি চালায়। কিন্তু আগে থেকেই সুলতানকে পিস্তল তুলতে দেখে বাপের জীবন রক্ষা করতে সর্দারের ছেলে দানিশ বাপকে ধাক্কা দিতে দৌড়ে আসে।
সর্দার সরে গেলেও গুলি দানিশের কোমর ছুঁয়ে চলে যায়। এতে রক্তপাত হয় বটে, কিন্তু বিপজ্জনক কিছু ঘটেনা।
কিন্তু ছেলের শরীরে রক্ত দেখে সর্দার খানের মাথা নষ্ট হয়ে যায়। সে গালাগালি শুরু করে দেয়, "আমার ছেলের গায়ে গুলি লেগেছে!"
"আব্বু আমি সুস্থ আছি!"
ছেলেকে থাপ্পড় দিয়ে বাপ বলে, "সুস্থ আছিস মানে? গুলি লেগেছে, রক্ত বের হচ্ছে, আর বলছিস সুস্থ আছিস! এই কেউ ওকে গাড়িতে তোল! আরামসে, আরামসে!"
ছেলে নিজেই হেঁটে রওনা দিতে গেলে বাপ বলে, "এই তুই নড়বি না! তোকে উঠিয়ে নিয়ে যাবে গাড়িতে।"
গাড়িতে উঠে দেখে গাড়ির চাবি আনতে ভুলে গেছে। আবার গালাগালি শুরু হয়, "চাবি কোথায়?"
হসপিটালে পৌঁছে, "ডাক্তার কোথায়? ডাক্তার?!"
ডাক্তার বলে, "আমিই ডাক্তার।"
"গুলি লেগেছে, অপারেশন কর!"
"কার? রোগী কোথায়?"
রোগী সামনে দাঁড়িয়ে। সর্দার নিজের ছেলেকে দেখিয়ে বলে, "এই যে রোগী।"
ডাক্তার বলেন, "কিন্তু ওতো সম্পূর্ণ সুস্থ।"
সর্দার এইবার নিজের ছেলেকে আবারও ধমক দিয়ে বলেন, "তুই দাঁড়িয়ে আছিস কেন? শুয়ে পড়! আরামসে! আরামসে!"
অন্যের কাঁধে ভর দিয়েই অপারেশন থিয়েটারে ও ঢুকে। কারেন্ট চলে যায়। ঘুটঘুটে অন্ধকার।
ডাক্তার বলেন, "এখনতো কিছুই করা সম্ভব না।"
সর্দার পিস্তল হাতে বলেন, "কেন?"
"কারেন্ট চলে গেছে।"
"তো কি হয়েছে? অপারেশন কর!"
"কিন্তু অন্ধকারে সব গড়বড় হয়ে যাবে।"
"খবরদার যদি কোন গড়বড় হয়েছে। তুই অপারেশন কর!"
মোট কথা, নিজের বাচ্চার কোন রকম বিপদে বাপ মায়ের মাথা এলোমেলো হয়ে যায়। সে গ্যাংস্টার হোক, অথবা সাধারণ মানুষ।
আমার ক্ষেত্রে সেটাই হয়েছে ঈদের আগের রাতে।

পরের দিনের ঈদের নতুন জামা দুই ছেলেকে দেখাচ্ছি। বড়টা অতি শান্তভাবে দেখলেও ছোটটা দুরন্ত, সে ঘুমাতে যাবে, তাই দৌড়ে পালিয়ে গেল। ওদের আলাদা রুম থাকলেও ওরা দাদি আর নানীর সাথে পালা বদল করে ঘুমায়।
ছোটটা নিজের রুম থেকে দৌড়ে দাদির রুমে যেতেই একটা জোরালো কিন্তু ভোঁতা শব্দ শুনতে পেলাম। বুঝলাম পড়েছে, কিন্তু এটা আমাদের বাসায় খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। সারাদিন দুই ভাই কেবল লাফালাফির উপরেই থাকে।
আম্মুকে বললাম একটু দেখতে যে কি হয়েছে।
আমি তখন ওদের ঈদের পাঞ্জাবি গুছাচ্ছি।
এমন সময়ে আম্মু বিকট চিৎকার দিয়ে উঠলো। আমি দৌড়ে গিয়ে দেখি আমার ছোট ছেলে মেঝেতে বসে আছে এবং রক্তে ওর মুখ, জামা ভেসে যাচ্ছে।
আমি দৌড়ে এসে ওকে কোলে তুলে কিচেনের দিকে ছুটলাম। চিৎকার দিয়ে বলতে লাগলাম ৯১১এ কল করতে।
বাসার সবাই শুয়ে পড়েছিল। আমার চিৎকারে উঠে এলো।
আমি রান্নাঘরে তখন ফ্রিজ থেকে বরফ বের করে ওর কাটা অংশ চেপে ধরে আছি।
ওর মা ৯১১এ কল করলো।
ডাক্তার আসছে শুনে ছেলে বলল, "আমি ঠিক আছি। আমার ব্যথা করছে না।"
হয়তো বরফ চাপা দেয়ায় ওর ব্যথার অনুভূতি হচ্ছিল না। তাছাড়া হাত পা কেটে গেলে এমনিতেও ব্যথা করেনা, ব্যথা লাগে ভোতা আঘাতে।
যাদের অভিজ্ঞতা নাই, তাঁদের জ্ঞাতার্থে, ৯১১তে কল করলে ওরা যত বেশি সম্ভব ডিটেইল জানার চেষ্টা করে। কি হয়েছে, কেন হয়েছে, ঘটনা কি চলছে সব পুঙ্খানুপুঙ্খ জেনে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়। "সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে" শুনেই পুলিশ পাঠিয়ে দিল, এবং জানা গেল সেখানে আসলে আরও বেশি পুলিশ পাঠানো উচিত ছিল কারন যে দুই চারজন গেছে, ওদের সবাইকে ওরা মেরে ফেলেছে - এই রিস্কে ওরা নাই। আগেই জানবে কতজন সন্ত্রাসী, কেমন তাদের অস্ত্র শস্ত্র, শক্তি কেমন ইত্যাদি। একটা ধারণা ওদের থাকতেই হয়।
এখানে দেখি আমার বৌয়ের সাথে সেই আলাপ শুরু করে দিয়েছে।
আমি বললাম, "এইসব আলাপ পরে, আগে এম্বুলেন্স (প্যারামেডিক্স) পাঠাও!"
অপারেটর ওপাশ থেকে বললেন, "স্যার, বিচলিত হবেন না, আমি এম্বুলেন্স ডিসপ্যাচ করে দিয়েছি। আপনি আপাতত আমাকে বলুন, ওর কি জ্ঞান আছে?"
"হ্যা।"
"রক্তপাত থেমেছে?"
"না।"
"বরফ দিয়ে চেপে রেখেছেন?"
"হ্যা।"
"ভাল। চেপে রাখুন যতখন না রক্ত বন্ধ হয়। ও কি বমি করেছে?"
"না।"
কথাবার্তা বলতেই বলতেই এম্বুলেন্স, পুলিশ এবং ফায়ারট্রাক এসে উপস্থিত। আমার বাসার এক মিনিটের দূরত্বেই ফায়ার স্টেশন, তাই এত দ্রুত এসে হাজির হয়েছে।
এক মহিলা প্যারামেডিক্স ছেলের সাথে ছেলেমানুষি রসিকতা করতে করতেই মাথায় পট্টি পরিয়ে দিল। অন্যদিকে ওর ইন্টারভিউ চলছে, "তোমার নাম কি? কিভাবে ব্যথা পেয়েছো? তুমি নিজে পড়ে গেছো, নাকি কেউ ধাক্কা দিয়েছে?"
একই ধরনের প্রশ্ন একেকবার একেকজন। পুলিশ, প্যারামেডিক্স, ফায়ারকর্মী। এর কারন হচ্ছে, এদেশে অনেক বিচিত্র ঘটনা ঘটে। বাবা মায়ের ঝগড়ার কারনে বাচ্চারা আঘাত পেয়ে থাকতে পারে। বাবা মা সাইকো, এই কারণেও বাচ্চাদের উপর এবিউজ চলে। এরা সবদিক যাচাই বাছাই করে দুর্বলের পক্ষে অবস্থান করে।
সব ঠিকঠাক হওয়ার পরে প্যারামেডিক্স বলেন "আমরা ওকে মেডিকেলে নেয়ার জন্য রেকমেন্ড করবো। এখন তোমরা কি তোমাদের গাড়িতে নিবে, নাকি আমাদের এম্বুলেন্সে?"
প্রশ্নের কারনটা হচ্ছে ওদের এম্বুলেন্সে গেলে একটা মোটা অংকের টাকা বিল করা হবে।
রাত তখন এগারোটা। আমি এখন ওকে নিয়ে কোন কোন হসপিটালে দৌড়াবো? রাস্তায় কিছু হলে? টাকা পয়সা কাদের জন্য কামাই? বাচ্চাদের কিছু হয়ে গেলে কুবেরের ধনের মালিক হয়েও বা আমি কি করবো?
রওনা হলাম এম্বুলেন্সে করে। ওর মা আর দাদি পেছনে আমাদের গাড়িতে। নানা নানী অসুস্থ হওয়ায় বাড়িতে থাকলেন, কিন্তু ফোনে লাইভ আপডেট নিচ্ছেন।
ছেলে ততক্ষনে নেতিয়ে পড়েছে। একে ওটা ওর গভীর ঘুমের সময়। তারসাথে যুক্ত হয়েছে প্রচুর রক্তপাত।
প্যারামেডিক্স বলছে ওকে জাগিয়ে রাখতে। যদিও একই সাথে আশ্বস্ত করলো যে নাম্বার (ব্লাড প্রেশার, রক্তে অক্সিজেনের মাপ ইত্যাদি) সবই তখন নরমাল দেখাচ্ছিল। এম্বুলেন্স থেকেই প্যারামেডিক্স হসপিটালে ফোনে জানিয়ে দিল যে একটা চার বছর বয়সী পুরুষ রোগী মাথা ফাটিয়ে ভর্তি হতে আসছে। ওর জন্য যেন ব্যবস্থা নেয়া হয়।
এম্বুলেন্স প্রথমে নিল আমাদের স্থানীয় মেডিকেল সিটিতে।
কিন্তু এম্বুলেন্স থেকে নামানোর সময়ে প্রধান প্যারামেডিক্স আবারও ক্ষত দেখলো এবং বলল, "ওর জন্য চিলড্রেন্স মেডিক্যাল ভাল হবে। কারন ওরা এখানে এডাল্টদের মতন হয়তো সেলাই দিবে ঠিকই, কিন্তু এরপরেই আমাদের চিলড্রেন্স মেডিকেলে পাঠিয়ে দিবে। এখন তুমি বলো, তুমি কি চিল্ড্রেনসে নিতে চাও, নাকি এখানে আগে ট্রাই করতে চাও?"
এক সেকেন্ড ভেবে নিলাম। রক্তপাত বন্ধ হয়েছে, অন্যান্য নাম্বার ঠিক দেখাচ্ছে - চিল্ড্রেনসে যাওয়াই ভাল হবে। ১৫-২০ মিনিটই বেশি সময় লাগবে।
আবার এম্বুলেন্সে রওনা হলাম।
এ থেকে একটা শিক্ষা নিলাম, তা হচ্ছে, শিশুদের কিছু হলে সম্ভব হলে প্রথমেই চিলড্রেন্স মেডিকেলে নেয়া উচিত। জেনারেল হসপিটালে নিলে কমপ্লিকেটেড কিছু হলে এমনিতেও শিশুদের হসপিটালেই পাঠাবে, মাঝে দিয়ে একটা হসপিটালের বিল এক্সট্রা যুক্ত হবে।

এরই মাঝে ও খুব নেতিয়ে পড়েছে। কথাবার্তা বলছে না। বারবার বলছে ও ঘুমাতে চাইছে। প্যারামেডিক্স বলল, "ওর জন্য কোন ভিডিও অন করে দাও।"
ভিডিওতে কাজ হচ্ছে না।
কথাবার্তা চালাতে লাগলাম। "তুমি বড় হয়ে কি হতে চাও? ফায়ার ফাইটার নাকি পুলিশ অফিসার?"
ছেলে উত্তর দিল "পুলিশ অফিসার!"
আমরা যে এম্বুলেন্সে যাচ্ছিলাম, সেটা ফায়ার সার্ভিসের এম্বুলেন্স। ছেলে কোন কূটনৈতিক কৌশলের ধারধারে নাই।

চিল্ড্রেনসে ওর জন্য আগে থেকেই রুম রিজার্ভ করা ছিল। কত বিচিত্র কারনে যে শিশুরা সেই হসপিটালে ভর্তি হয়েছে! সেই মাঝরাতেও দেখছি এক কিশোর হাতে প্লাস্টার হাতে চলাফেরা করছে। পরনে তখনও বেসবলের জার্সি। নিশ্চই খেলতে গিয়ে হাত ভেঙেছে।
মাথা ফাটা রোগী নিয়ে তো আমরাই এসেছি, একটা পরিবারকে দেখলাম একেবারেই কোলের শিশু নিয়ে এসেছে। বাচ্চার বয়স হয়তো একমাসও হবে না। আহারে! অতটুকু বাবুকে নিয়ে এই গভীর রাতে হঠাৎ কেন ইমার্জেন্সিতেই আসতে হলো? আশা করি দুটি সুস্থ হয়ে উঠবে।

ডাক্তার এলেন। ক্ষত দেখে বললেন সেলাই লাগবে। তবে তার আগে সেই ক্ষতস্থান অবশ করতে হবে। একটা মলম লাগিয়ে দিবে, যা চল্লিশ মিনিটের মতন সময় নিবে।
আমি এই ফাঁকে গাড়িতে চার্জ দিতে গেলাম। টেনশনে বৌ খেয়াল করে নাই যে গাড়িতে চার্জ ছিল না। রাস্তায় বন্ধ হয়ে যেতে পারতো। তখন ফেসবুকে জানালাম যে আমার ছেলেটা অসুস্থ। সবাই যেন ঈদের রাতে ওর জন্য একটু দোয়া করে।

সেলাই অপারেশন শেষে ডাক্তার বলে দিলেন আগামী পাঁচদিন যেন ওকে চোখে চোখে রাখা হয়। বমি করলে, অথবা অজ্ঞান হয়ে গেলে, কিংবা অস্বাভাবিক যেকোন আচরণ করলেই যেন ইমার্জেন্সিতে ছুটে যাই। পাঁচদিন পর ওর নিয়মিত নিজস্ব শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে যেন ক্ষত পরীক্ষা করিয়ে নেই।
বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত আড়াইটা তিনটা বেজে গেল। ছেলে তখন গভীর নিদ্রায় মগ্ন। আমি তখন অতন্দ্র প্রহরী হয়ে পাশে জেগে আছি।
হুমায়ূন আহমেদ তাঁর বহু লেখায় এমন ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন, বাচ্চাদের অসুস্থতায় বাবারা পাশে জেগে রাত কাটাচ্ছেন। সম্রাট বাবর থেকে শুরু করে অতি সাধারণ দিন মজুর পিতা পর্যন্ত কোথাও কোন ব্যতিক্রম নেই। "পৃথিবীতে প্রচুর খারাপ মানুষ আছে, কিন্তু খারাপ পিতা একটাও নেই" - কথাটি এই পরিস্থিতির জন্যই লেখক হুমায়ূন আহমেদ বলেছেন।

ফেসবুকে, ইনবক্সে, টেক্সট ম্যাসেজে যারা যারা খোঁজ নিয়েছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
এক বন্ধু নিশ্চয়তা দিল "যদি গভীর রাতেও তোমার এমন কোন সাহায্য প্রয়োজন হয় যে হয়তো তোমার বাচ্চাদের তুলে আনতে হবে বা এমন কিছু, নির্দ্বিধায় ফোন দিও। মনে রেখো আমি আর আমার বৌকে সেই সময়েও পাবে।"
এর আগেও সে আমার এক বন্ধুর জন্য একটা অনেক বড় উপকার করেছিল। আল্লাহ যেন এমন পরিস্থিতিতে কখনই না ফেলেন, কিন্তু এমন আশ্বস্তি মনে হাতির বল দেয়।
পরদিন ঈদ ছিল। অনিশ্চিত ছিলাম তা কেমন কাটবে। কিভাবে কাটবে। দেখা গেল সকাল হতেই সে স্বাভাবিক। নামাজে যাওয়ার জন্য অস্থির। পথে বলল, "আমিতো বিছানার সাথে বাড়ি খেয়ে মাথা ফাটিয়েছি। ডাক্তার কেন বলছিল চেয়ারের সাথে বাড়ি খেয়েছি?"
"আচ্ছারে বাপ! ডাক্তারকে মাফ করে দে।"

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:০৭

নতুন বলেছেন: ছেলে শিশুরা দুস্টুমি বেশি করে, আশা করি আরো সাবধান হবে দিন দিন।

ডানা যখন ৩ - ৪ বছর বয়স তখন ডায়েরিয়ার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিলো।

সেলাইন দিয়েছিলো পায়ে। তাই সারা রাত পায়ে পাশে বসে ছিলাম যাতে ঘুমের ঘোরে পা নাড়া দিয়ে ক্যানোলা খুলে ফেলে...

ডানা ঘুমের মাঝে কাশি দিলে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায় কিন্তু শারমিন ঘুম থেকে উঠে লাইট জালিয়ে কাজ করলেও আমার ঘুম ভাঙ্গেনি। অবচেতন মনই জানে ডানার সমস্যা হচ্ছে তাই আমাকে জাগিয়ে দিচ্ছে।

২৫ শে জুন, ২০২৪ রাত ১০:০১

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: সব শিশুর প্রতি রইলো ভালবাসা।

২| ২৫ শে জুন, ২০২৪ রাত ৮:১১

করুণাধারা বলেছেন: আপনার ছেলেদের জন্য শুভকামনা রইল।

২৫ শে জুন, ২০২৪ রাত ১০:০১

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.