নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতীয় ট্রেন ট্রানজিট

০৪ ঠা জুলাই, ২০২৪ রাত ১:২৪

আসেন, ভারতীয় রেল ট্রানজিট নিয়ে ফেসবুকে একটু আলোচনা করি।
আমি আমার মত দিচ্ছি, আপনারা আপনাদের মত কমেন্টে লিখুন।
আপনারা যারা আমাকে চিনেন, ভাল করেই জানেন যৌক্তিক কথাবার্তা আমার পছন্দ। বেহুদা আবেগী আলাপ না। তথ্য প্রমান যুক্তি দিয়ে আলোচনা হলে অনেকেই অনেক কিছু শিখবেন, এবং আমি শিখবো সবচেয়ে বেশি।

প্রথমেই বলে নেই, দেশে অর্ধযুগের বেশি সময় ধরে নেই। এর মাঝে দেশের অবস্থা কি হয়েছে, কতটা পাল্টেছে, কিছুই ধারণা নাই। পত্রিকায় বেনজির থেকে শুরু করে ছাগলকাণ্ডের কাহিনীগুলি দেখছি। এসব ঘটনা দুর্নীতি কোন পর্যায়ে চলে সেটা কেবল ধারণা দিচ্ছে।
এই তথ্য ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখে ভারতীয় ট্রানজিট বিষয়টা আলোচনা করা যাক।

তো একটা বাস্তব জীবনের উদাহরণ দেই, তারপরে কথা আগাই।
চিটাগংয়ে আমার এক নানার ছোট খালি জমি ছিল। জমির ওপাশে কিছু একটা বড় প্রকল্পের কাজ চলছিল। মূল রাস্তা দিয়ে সেই জায়গায় যেতে বেশ অনেকটা পথ ঘুরে যেতে হতো। সময় ও অর্থের অপচয়। তাই প্রোজেক্টের লোকজন নানাকে বলেন "আমরা আপনার জমির উপর দিয়ে ট্রাক নিয়ে যাই? আমাদের অনেক উপকার হবে।"
নানা রাজি হয়ে যান। বিনিময়ে এক পয়সাও নেন না।
সেই জমির উপর দিয়ে দিনে কমসে কম হাজার ট্রাকতো যেতই। প্রতিটা ট্রাকে একশো টাকা করে ধরলেও তাঁর পকেটে জমা হতো দৈনিক এক লাখ টাকা। উনি লাল হয়ে যেতেন। নিজের উদারতার কারনে হতে পারলেন না। উল্টো অতিরিক্ত ট্রাক যাতায়াতে তাঁর জমির বারোটা বেজে গেল। ভূমি ক্ষয়ে গেল, পরে মাটি ভরাট করতে হয়েছে।

তো একই কনটেক্সট যদি আমি এখানে এপ্লাই করি, তাহলে ভারত আমাদের দেশের মধ্য দিয়ে নিজের দেশের অপর প্রান্তে যেতে চায়। এতে দৈনিক ওদের কোটি টাকা প্রফিট হবে। আমরা যদি সেই প্রফিটে ভাগ বসাই (শুল্ক/ট্যাক্স/টোল ইত্যাদি) - তাহলে আমাদের ইকোনমি ভাল হবে। আর যদি বিনা পয়সায় দিয়ে দেই, তাহলে ক্ষতি ছাড়া কিছুই হবে না। এইটা সাধারণ সিনারিও।

এখন আমাদের দেশের শীর্ষ পর্যায়ের দুর্নীতিবাজদের কথা মাথায় রাখলে, ওরা লালে লাল হয়ে খুশিতে মরেই যাবে। এখন দুর্নীতির টাকায় দুইটা বিয়ে করছে, তখন পঞ্চাশটা করবে। ওদের অগণিত পোলাপান সেই টাকায় পনেরো লাখ টাকার ছাগলই না, কোটি টাকায় ভেড়া কিনবে। সাদিক এগ্রো বলবে সেই ভেড়া হচ্ছে ইব্রাহিম (আঃ) নবীর জবাই করা দুম্বার বংশধর। গুগল করলেই তথ্যটা পেয়ে যাবেন। এর বংশ মর্যাদাই আলাদা!

কেউ বলবেন, ইউরোপ রেলওয়ে দ্বারাই ইন্টারকানেক্টেড। রাজ-সিমরানের মতন আপনি ট্রেনে চেপেই অমুক তমুক নানান দেশ ঘুরে বেড়াতে পারবেন, গাইতে পারবেন "না জানে মেরে, দিল কো কেয়া হো গায়া!"
কিন্তু ইউরোপের বর্ডারে আমাদের মতন কাঁটাতার থাকে না। গুলি করে পাখির মতন মানুষ মারেনা। মেরে মৃত লাশকে তারের বেড়ায় শুঁটকি হওয়ার জন্য ঝুলিয়ে রাখেনা। বর্ডারের এপারে ওপারে বোমা বিনিময় হয়না। তাই ইউরোপ আর দক্ষিণ এশিয়াকে মেলানো যৌক্তিক হবে না। আমাদেরকে আমাদের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। "শুধু আওয়ামীলীগ করছে বলে" একদল লোককে পদ্মাসেতুর বিরোধিতা করতে দেখেছিলাম। এই এরাই যমুনা সেতুর সময়ে গলা উঁচু করে গর্বের সাথে বলেছিল ওটা বিএনপির অবদান। তো এইরকম পল্টিবাজি/দলকানা দৃষ্টিকোণ থেকেও কোন যুক্তি তর্ক শুনতে চাইছি না। একজন বাংলাদেশী হিসেবে, দেশের সাধারণ মানুষ হিসেবে আপনার এ ব্যাপারে মতামতটা কি?

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৪ ভোর ৪:০৭

কামাল১৮ বলেছেন: আগে যুক্তিটি দিন,পড়ে বলতে পারবো।যুক্তি প্রকাশ করা হয়ে থাকলে জানা নেই।লিং দিন পড়ে দেখি।

২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৪ সকাল ৭:২৬

আরইউ বলেছেন:



মঞ্জুর,
এটাতো ফেসবুক না এটা ব্লগ! আপনী ব্লগে লেখাটা প্রকাশ করার আগে ছোট একটা এডিট করে নিলেই পারতেনঃ "আসেন, ভারতীয় রেল ট্রানজিট নিয়ে ব্লগে একটু আলোচনা করি।" ব্যাস। কতটুকু সময় লাগতো আপনার? ব্লগে একটা লেখা প্রকাশ করার আগে এতটুকু সময়তো দেয়া যেতেই পারে। ব্লগারদের প্রতি এই সামান্য সন্মানটুকুতো থাকা উচিত!

৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৪ সকাল ৮:১১

ঊণকৌটী বলেছেন: ইউরোপে গরু চোর, ডাকাত, সিদেল চোর ও নাই সীমান্ত এলাকায় মানুষ এদের যন্ত্রণা তে অতিষ্ঠ একজন মারা গেলে 99 জন জেল হাজতে আছে

৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৪ সকাল ৮:২৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: মঞ্জুর চৌধুরী,



প্রথমেই বলে নিই - ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ট্রেন চলাচলের জন্যে যে "এমওইউ" এর উদ্ধৃতি দিয়ে উভয়পক্ষ যে " ট্রানজিট" এর কথা বলছে, আদতে তা "করিডোর" এটা কোনওভাবেই ট্রানজিট নয়। ট্রানজিট হতো, যদি ভারত বাংলাদেশের ভূখন্ড ব্যবহার করে তৃতীয় আর একটি দেশে ( যেমন বার্মা ) যেতে চাইতো। কিন্তু এই চুক্তিতে ভারত বাংলাদেশের ভুখন্ড ব্যবহার করে তার নিজের দেশের আর একপ্রান্তে যাবে। তাই এটি করিডোর। যেমন আমরা দহগ্রাম ছিটমহলটিতে যেতে চাইলে তিনবিঘা করিডোর ব্যবহার করি। বাংলাদেশের ভূখন্ড থেকে বাংলাদেশের আরেক ভূখন্ডে যাওয়া। মাত্র ১৭৮ মিটার লম্বা এবং ৮৫ মিটার প্রস্থের একটি ভারতীয় ভুখন্ড পাড়ি দিয়ে ওপারে থাকা আমাদের নিজেদের ভূখন্ড দহগ্রামে যেতে হয় সেখানে থাকা "বিএসএফ" এর কড়া পাহারার মধ্যে দিয়ে। আগে অনেক বছর যাবৎ মাত্র ১২ ঘন্টা এই করিডোর ভারত খোলা রাখতো । অবশ্য এখন ২৪ ঘন্টাই খোলা থাকে কিন্তু বিএসএফের প্রহরা মোটেও শিথিল হয়নি। এই পিচ্চি একটু জায়গাও ভারত আজও আমাদের নিজেদের মতো করে ব্যবহার করতে দেয়নি, ভারতীয় নিরাপত্তার অজুহাত তুলে।
তাহলে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে কয়েকশো কিলোমিটার পথ ভারত নিজেদের কাজে ব্যবহার করবে তাতে আমাদের নিরাপত্তার বিষয়টি কি হবে ? আর এই চুক্তির ফলে এখন যে হাযার কিলোমিটারের মতো সারা মুল্লুক ঘুরে কয়েকদিন লাগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ভারতের "সেভেন সিষ্টার্স" ( মিজোরাম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, আসাম, মেঘালয়) এ যেতে হতো তা কমে গিয়ে আনুমানিক ১৫% হয়ে যাবে। সময় বাঁচবে অনেক অনেক। যে আর্থিক লাভের কথা আপনি বলেছেন তার নিশ্চয়তা কি আছে এই চুক্তিতে? বর্তমানে "চিকেন নেক" ঘুরে সেভেন সিষ্টার্সে যেতে হলে তবে ভারতকে কিলোমিটার প্রতি যে খরচ করতে হয় তার মাত্র ৭৫% থেকে ৫০% কি ভারত শুল্ক-ট্যাক্স-টোল হিসাবে আমাদের দেবে? চুক্তিতে এসবের কিছু আছে কি ? জানিনা। কারণ বাংলাদেশ সরকার এই চুক্তির বিষয়ে কোনও তথ্যই জনগণকে জানানোর গরজ মনে করেনি এমনকি এটা নিয়ে সংসদেও আলোচনার রাস্তাও খুলে দেয়নি। আমরা আছি অন্ধকারে। তাই এসব নিয়ে যৌক্তিক আলোচনা কতোখানি সম্ভব?
আর আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা? ভারত তার সেভেন সিষ্টার্স এলাকার ইনসার্জেন্সী মোকাবেলায় অবশ্যই তার নিরাপত্তা বাহিনীসমূহকে সেখানে পাঠিয়ে এসেছে এবং এখনও পাঠায়! এবং সেটা ঐ 'চিকেন নেক" পথেই যেটা বর্তমানে আবার চীনের ছোবলের আওতায়। সেই ভয়ে কি ভারত নিরাপদে আমাদের দেশের মধ্যে দিয়ে চলাচলের এই রাস্তা (গুডস এ্যান্ড পার্সোনেল সাপ্লাই লাইন) খুলতে চাচ্ছে? (বিশদ আলোচনা এই মন্তব্যের ঘরে করা সম্ভব নয) তাই যদি হয় তবে ভারত-চীনের দন্ধ হলে চীন তো ভারতের সামরিক এনফোর্সমেন্টের রাস্তাটা আগে বন্ধ করবে অর্থাৎ সাপ্লাই লাইন কেটে দেবে যেটা বাংলাদেশ কে চীনের আক্রমনের ঝুঁকিতে ফেলবে। সম্ভবত আরও অনেক ভূ-রাজনৈতিক বিষয় আছে এই চুক্তি নিয়ে।
সবশেষে এটাই বলি - ভারত আমাদের কে ঠকাবেই ( সব চুক্তির বেলাতেই যা করেছে এতোদিন) কারণ সরকার তার ক্ষমতা ধরে রাখার স্বার্থেই ভারতকে এই সুযোগ দেবে।
আপনার ভদ্রলোক নানার কাহিনীর মতোই হবে এই চুক্তির ব্যাপারটি।

১০ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:২০

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ভাল বলেছেন, ধন্যবাদ!

৫| ০৫ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১:৩৮

কামাল১৮ বলেছেন: আগরতলা থেকে বাস নিয়মিত কলকাতা যায়।তাতে কি কোন সমস্যা হয়েছে।ট্রেন গেলে সমস্যা হবে কেনো।আমরাও ট্রেনে করে নেপাল ভুটান যেতে পারবো।লাইন বসানোর পরে।

৬| ০৫ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৩:০২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
@ আহমদ জিএস।

এখনো কোনো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি।
শুধু সমঝতা স্মারক এ স্বাক্ষর হয়েছে।
এখানে প্রথমেই বলা হয়েছে নেপাল ভুটান ও ভারত।
কিন্তু পত্রিকাগুলো শুধু ভারত ভারত করছে।
চুক্তিতে স্পষ্টভাবে বলা আছে যে কোন দেশের ভিতর কোন বিপদজনক বা সামরিক ইকুপমেন্ট বিস্ফোরক জাতীয় অস্ত্রশস্ত্র পরিবহন করা যাবে না

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.