নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
ঘটানটা কিন্তু খুব সহজেই সামাল দেয়া যেত।
আন্দোলনকারীরা আন্দোলন করছে যাতে কোটা পদ্ধতি সংস্কার করা হয়।
যতদূর জানি, সরকারও এর পক্ষে। ২০১৮ সালে কোটা বাতিল করেছিল, আদালতে এ নিয়ে মামলা চলছে।
যা বুঝলাম তা হচ্ছে মূল সমস্যা সরকার চায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাতিদের জন্যও কোটা ধরে রাখতে, আর সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছে যে না, মুক্তিযোদ্ধা ও ওদের সন্তানদের জন্য কোটা ঠিক আছে, কিন্তু নাতিদের জন্য একটু বেশিই হয়ে যায়। ৫৬% কোটা ধরে রাখা সাধারণ মানুষের জন্য জুলুমের সমান। এই %কে কমিয়ে আনতে হবে, যৌক্তিক হতে হবে। কেউই বলছে না নারী, প্রতিবন্ধী কোটাগুলি বাতিল করতে। বুঝতে হবে যে এদের আন্দোলন কেবলই চাকরি পাওয়ার আন্দোলন না, এদের আন্দোলন রাষ্ট্রের প্রতিটা নাগরিকের সমান অধিকারের আন্দোলন। সমাজে প্রচলিত আধুনিক বর্ণবাদ, পরিবারতন্ত্র ইত্যাদি থেকে বেরিয়ে আসার আন্দোলন। এদের মূল লক্ষ্য ঋত্মিক রোশনের সুপার থার্টি সিনেমার সেই মাস্টারজির মতন, "রাজার ছেলে হলেই রাজা হবেনা। যোগ্যতর কেউ হবে।"
প্রধানমন্ত্রী নিজেই পরিবারতন্ত্রের প্রোডাক্ট বলে উনি বিষয়টা বুঝবেন না।
মুক্তিযুদ্ধের ভুয়া সার্টিফিকেটের ঘটনা আমরা সবাই জানি। হাজার হাজার লোকে জাল সার্টিফিকেট নিয়ে ঘুরছে। আবার অন্যদিকে হাজার হাজার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা অভিমানে সার্টিফিকেট নেননি। এমন অবস্থায় "নাতির কোটা" কতটা যৌক্তিক?
সরকারের পক্ষ থেকে লোকজন গিয়ে আন্দোলনকারীদের সাথে বসে সহজেই সমস্যার সমাধান করতে পারতো। কিন্তু তা না করে প্রধানমন্ত্রী বলে বসলেন "মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের চাকরি না দিয়ে তাহলে কি রাজাকারের বাচ্চাদের চাকরি দিব?"
কথাটা যে যতই সুগারকোটিং করুক না কেন, রাষ্ট্রের অভিভাবকের কণ্ঠ থেকে বেরিয়ে আসা গালি ছাড়া আর কিছুই মনে হয়না। তাই শিশু কিশোররা ক্ষেপে গিয়ে বলল, "তুমি কে আমি কে? রাজাকার রাজাকার! কে বলেছে কে বলেছে? স্বৈরাচার, স্বৈরাচার!"
স্লোগানে এইসব শিশু কিশোরদের বুকফাটা অভিমান ফুটে উঠছে।
নিজের বাবা মা যদি কাউকে জারজ সন্তান বলে গালি দেয়, তাহলে যেমনটা লাগে, এখানেও ঘটনা তাই। এখানে শব্দ চয়নে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কি আরও বিচক্ষণ হওয়া উচিত ছিল নয় কি?
এদিকে আওয়ামীলীগ/ছাত্রলীগ ঘটনাকে আরও ঘোলাটে করলো। ওরা বাচ্চাদের স্লোগানের কেবল প্রথম অংশ কোট করে ঘৃণ্য রাজনৈতিক চাল চাললো। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধকে যেভাবে বরাবর মিসইউজ করে, এইবারও তাই করে বলল "এরা স্বঘোষিত রাজাকার! এরা দেশের শত্রু। পাকি জারজ।"
ইন্ধন যোগালেন আমাদের "বুদ্ধিজীবী" ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তিনি আগা মাথা না বুঝে, কিছুই না জেনে বলে বসলেন "এদেরতো চাকরি পাওয়া দূরের কথা, দেশেই থাকার অধিকার নেই।" "বাকি জীবনে আর ঢাবিতে যেতে চাই না, ওদের দেখলেই মনে হবে ওরাই সেই রাজাকার!"
বেনিফিট অফ ডাউট দিতেই বললাম তিনি আগা মাথা না বুঝে, না জেনে বলেছেন। যদি সব জেনেবুঝে করে থাকেন, তাহলে উনার চেয়ে বদমাইশ, বুইড়া শয়তানের হাড্ডি এই দুনিয়ায় কেউ নেই। উনাকে এককালে খুব শ্রদ্ধা করতাম। কিন্তু গতকাল থেকে আমার সেই বিশ্বাস আর নেই।
এরপরের ঘটনা আমরা সবাই জানি।
ছাত্রলীগ যুক্ত হলো, সেই শিশু কিশোরদের নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের মতন দমন পীড়ন শুরু হলো, পুলিশ যুক্ত হলো ছাত্রলীগের ইউনিফর্মধারী একটি শাখা হিসেবে। রক্ত ঝরলো, ভাংচুর হলো, এ ওকে মারলো, সে তাকে মরলো। এখন ব্যাপারটা চলে গেছে পয়েন্ট অফ নো রিটার্নে। এখন আর ফেরার পথ নেই।
অথচ আসলেই ব্যাপারটা খুব সহজেই সমাধান করা যেত।
এখন যদি প্রধানমন্ত্রী আলোচনায়ও ডাকেন, ছাত্র ছাত্রীদের মাথায় থাকবে এই মহিলার হাতে আমাদের ভাইদের রক্ত লেগে আছে। ওদের রক্ত কি বৃথা যাবে?
প্রধানমন্ত্রীর মাথায় থাকবে তাঁরই দলের কিছু ছেলেকে ছাদ থেকে ছুড়ে ফেলেছে এদের দলের কিছু ছেলে পিলে। যদিও বনের মশা কয়টা মরলো তাতে বনের রাজার কিছুই যায় আসেনা, তবুও সেই মশার পরিবারের লোকজনের কাছেতো সে আর ফেরত আসবে না। মশাগুলোর জন্য মায়া হয়। একটাই মানব জীবন, বহু সাধনার ফল। পৃথিবীতে এরচেয়ে দামি আর কিছুই হতে পারেনা। অথচ কত ফালতু কারনে নষ্ট হলো।
১৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ২:১৯
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ঠিক
২| ১৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ২:২৮
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: লিখায় বেশ কিছু বিষয় আপনি আলোচনা করেছেন, যা আমার কাছেও যুক্তিসঙ্গত মনে হয়েছে। তবে আমার ধারনা দেশের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের অনেকেই এই আন্দোলনের পেছনে সঙ্গত যুক্তির খুটিনাটি কিছু ব্যাপারে সম্পূর্ণ পরিষ্কার ধারনা রাখেন না। যেমন অনেকেই জানেন না যে কোটায় কোন গ্রুপে কত পার্সেন্ট চাকুরি বরাদ্দ রাখা আছে। ক'দিন আগেই এক সি.এন.জি. ড্রাইভার সাহেবকে যখন আমি ৩০% মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য বরাদ্দের কথা বললাম, তখন তিনি নিজেও নাখোশ হলেন। তবে ভেঙ্গে বলার পর তিনি নিজেও স্বীকার করলেন যে ছাত্রদের দাবী যুক্তিসঙ্গত। অবশ্য দলকানা চেতনাধারীরা সে কথাটুকুও স্বীকার করতে নারাজ। ছাত্রদের আক্ষেপ, অভিমান বা অনুযোগের কোন স্থানই তাদের কাছে নেই। তাদের কাছে উচ্চারিত শব্দটাই মূখ্য। যদিও তাদের নেত্রী সেই আওতায় পরেন বলে তারা মনে করেন না।
আমি নিজেও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আর আমিও মনে করি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কোটা ৩০% থেকে কমিয়ে ৫-১০% এর মধ্যে নামিয়ে আনা উচিত। ব্যক্তিগত অভিমত হলো নারী ও জেলাভিত্তিক কোটার সম্পূর্ণ বিপক্ষে আমি। তবে অনগ্রসর গোত্র ও প্রতিবন্ধীদের ব্যাপারে কিছুটা বেশী নজর দেয়া উচিত বলে আমার মনে হয়।
এদেশের রাজনীতিবিদদের ব্যাপারে আমার কোন উচ্চ ধারনা নেই। হাতেগোণা কয়েকজনকে বাদ দিলে দেশের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে প্রান্তিক স্তরের নেতা পর্যন্ত শিক্ষা, নৈতিকতা ও পেশাদারিত্বের মারাত্মক অভাব রয়েছে। তবে আমি তরুণদের বিশ্বাস করতে চাই আগামীর সুন্দর বাংলাদেশের যোগ্য কান্ডারী হিসেবে, তবেই কেবল এই ত্যাগ একদিন তার পূর্ণ মর্যাদা পাবে। ধন্যবাদ।
৩| ১৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ২:৩২
নতুন বলেছেন: প্রধানমন্ত্রী নিজেই পরিবারতন্ত্রের প্রোডাক্ট বলে উনি বিষয়টা বুঝবেন না।
উনি নিজেই বাবার কোটায় প্রধানমন্ত্রী। বর্তমানে উনাকে খালেদা জিয়ার মতন পুতুল প্রধানমন্ত্রীই মনে হচ্ছে আমার।
আয়ামীলীগের নেতারা উনার ইগোকে ফিড করে দেশের সম্পদলুট করছে,
চিন্তাকরুন;- যদি আপনি একজনকে তার বাবার ইমেজ ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে, দেশের সম্পদ লুট করতে পারেন তবে কেন আপনি প্রধানমন্ত্রী হতে যাবেন।
শেখ হাসিনাকে যেই ভাবে বোঝাচ্ছেন তিনি সেটাই বুঝতে পারছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের উপরে আক্রমন করে এই প্রজন্মের কাছে পুরাই সন্মান ছাড়া করলো ছাত্রলীগ। তারা মনে করেছিলো পোলাপাইন পিটাইয়া বের করে দিলেই সব ঠান্ডা হয়ে যাবে।
কিন্তু ফলাফল হইলো উল্টা ছাত্ররাই ছাত্রলীদের নেতাদের হল , ক্যাম্পাস ছাড়া করলো।
শেখ হাসিনার বক্তব্যও তো এক রকমের ছাত্রলীগের প্রধানমন্ত্রীর মতনই হইছে। মুখে বলতেছে কোটা দরকার কাজে করতেছে বাতিলের জন্য!!!!!
৪| ১৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৩:০৪
রিদওয়ান খান বলেছেন: যথাযথ মূল্যায়ন। সুন্দর লিখেছেন++
৫| ১৮ ই জুলাই, ২০২৪ ভোর ৪:১২
কামাল১৮ বলেছেন: সরকার কোটাই বাতিল করে ঘোষণা দিলো আঠারোতে।মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা রিট করায় কোর্ট রায় দিলো, সরকারের পরিপত্র অবৈধ।আগের কোটা বহাল হয়ে গেলো।সাথে সাথে সরকার উঁচ্চ আদালতে রিট করলো।হাই কোর্টের রায় স্থগিত করলো।আবার কোটা প্রথা বাতিল হয়ে গেলো এখন কোন কোটা নাই।
৬| ১৮ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৯:১৪
ধুলো মেঘ বলেছেন: এই ব্লগে আওয়ামী ছানাপোনারা এখন বলছে 'কে বলেছে কে বলেছে? সরকার/স্বৈরাচার' এই লাইন দুটি নাকি ছাত্ররা বেকায়দায় পড়ে পরে যোগ করেছে। আরে গর্ধভের দল, তোদের হ্যাডম আছে নাকি এদেরকে বেকায়দায় ফেলতে? ওরা যা বলেছে, বুঝে শুনেই বলেছে।
১৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:৩৩
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: যারা সাধারণ ছাত্রদের খুনকে জাস্টিফাই করে, ওরা বেজন্মা, জারজ।
৭| ১৮ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:৪২
কাঁউটাল বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ২:১২
এক্সম্যান বলেছেন: ভাই যে কয়জন স্বনামধন্য বীর মুক্তিযোদ্ধার কথা শুনলাম তাদের কেউই নাতির কোটা চায়না।
একজনের ভিডিও দিলাম এখানে।