নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
বিপদের সময়ে কারোরই মাথা ঠিক থাকে না। কথা সত্য।
তবে সেই নষ্ট মাথা নিয়ে এমন কিছু করা ঠিক না যাতে বিপদ আরও বেড়ে যায়।
যেমন, কারফিউ জারি হওয়ার পর আমাদের সোশ্যাল মিডিয়াতে একটা প্রেস বিজ্ঞপ্তি খুবই ভাইরাল হলো। আর্মির যুবারা নাকি ওদের সিনিয়রদের বিনীত অনুরোধ করেছে যে ওরা বৈধ দাবি নিয়ে রাস্তায় নামা জনতার পাশে দাঁড়াতে চায়। আরও সব ফিল্মি ডায়লগ। ভাষা দেখেই বুঝা যায় সেই ফেক বিজ্ঞপ্তি লেখক বলিউড সিনেমা বেশি দেখে ফেলেছেন।
এইটা যে ফেক, সেটা বুঝতে আপনাকে সেই প্রেস ব্রিফিংয়ের ভাষা যেমন একটা ইন্ডিকেশন দিবে, তারচেয়েও বড় কথা, এত এত নিউজ মিডিয়া যেখানে হা করে বসে আছে এমন নিউজ পাওয়ার জন্য, সবাইকে বাদ দিয়ে কেউ ফেসবুকে এত মহাগুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার পোস্ট করবে? আর আর্মির জুনিয়র অফিসাররা কি ছাগল নাকি যে ওরা ওদের সিনিয়রদের সাথে আলাপ করবে কোন এক সাংবাদিকের ফেসবুক প্রোফাইলের মাধ্যমে? মাথা নষ্টেরও একটা লিমিট থাকে, নাকি?
সেনাবাহিনী সম্পর্কে যাদের বিন্দুমাত্র ধারণা নাই, ওদের বলি, সেনাবাহিনীতে চেইন অফ কমান্ড ওদের ডিএনএর ভিতরে ঢুকিয়ে দেয়া হয়। এইটাই ওদের ট্রেনিং। আপনার সিনিওর যদি হুকুম দেন ব্রাশ ফায়ার করতে, সামনে কে আছে না আছে সেটা খেয়াল করার দায়িত্ব আপনার না। আপনার কাজ ট্রিগার টানা। এইটা না করলে আপনার কোর্ট মার্শাল হবে, আপনি বিপদে পড়বেন। আপনাকে ধরেই নিতে হবে আপনার বস আপনার চেয়ে বেশি জানে, এবং ও যা বলেছে সেটা করাই আপনার একমাত্র ধর্ম।
সমস্যা হচ্ছে, সেই গুজব পোস্ট অনেক তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরাও শেয়ার করেছেন। কয়েকটা ফিকশনাল বই লিখলেই কারোর বুদ্ধি বাড়ে না, এইটা সাধারণ মানুষকে বুঝতে হবে। এই কয়দিনে সেটাই তো দেখছি। কিন্তু সাধারণ পাঠক অন্ধভাবে এদের ফল করেন। এতে সমস্যা হচ্ছে এই যে, আপনি যখন দেখবেন একজন ফেসবুক সেলিব্রেটি এমন একটা প্রেস বিজ্ঞপ্তি পোস্ট করেছেন যেখানে লেখা আর্মিতে বিদ্রোহ দেখা গেছে, ওরা সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে চায় - তখন আপনি বুকে হাতির বল নিয়ে কারফিউ ভেঙে রাস্তায় নামবেন। কিন্তু বাস্তবের মিলিটারি আপনাকে তখন গুলি করে মারবে।
আপনি মরে গেলেন।
এতে দায় কার? যে বুদ্ধিহীনের মতন গুজবের পালে হাওয়া দিয়েছে সে কি আপনার মৃত্যুর দায় এড়াতে পারবে?
এই কারনে সবার কাছে রিকোয়েস্ট, দয়া করে যে খবরই শুনবেন, সেটা ভ্যারিফাই না করে আল্লাহর ওয়াস্তে শেয়ার করবেন না। আপনাকে যদি একজন মানুষও ফলো করে থাকেন, ওর দায়িত্বও আপনার। একটু দায়িত্ববান হন।
২৪ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:৫২
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ঐ বুধবার বা মঙ্গলবার থেকেই ভাইরাল। সাংবাদিকের দাবি ওর কন্টাক্ট ওকে দিয়েছে।
২| ২৪ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:২২
সরকার পায়েল বলেছেন: ধন্যবাদ l দায়িত্বশীল পোস্ট l
২৪ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:৫৩
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: এই সময়ে সবাইকেই দায়িত্বশীল হতে হবে।
৩| ২৫ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৩:১৪
মোঃ শরীফ খান বলেছেন:
এটা শুধু ৩-৪টি হাসপাতালের ২দিনের লাশের রিপোর্ট। বাংলাদেশের বাকি সব হাসপাতালের পুরো ৪ দিনের লাশের সংখ্যা একবার চিন্তা করুন।
৪| ২৫ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ৭:৩৭
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: আপনার সাথে একমত।বিএনপি/ জামাত পন্থীরা চায় ছাত্ররা রক্তের বন্যাা বইয়ে দিয়ে দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করুক। এর জন্য যত লাশ পড়ুক তাতে কোন অসুবিধা নাই। গুজবগুলো এরাই বানিয়ে ফেসবুকে ছেড়েছে। দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করার দায়িত্ব ১৮ কোটী জনগনের , শুধু ছাত্রদের নয়। যত রক্ত তারা অলরেদডি ঝড়িয়েছে সেই রক্তের ঋন শোধের দায় এখন আমাদের কাধে। সর্বস্তরে কঠোর প্রতিবাদ , অর্থনৈতিক প্রতিরোধ ও বয়কট নীতি অবলম্বনই এখন একমাত্র রাস্তা। ইংরেজদের কিন্তু বিপ্লবের মাধ্যমে তাড়ানো যায়নি। গান্ধীজির অহিংশ আন্দোলনই সবচেয়ে কার্যকর অস্ত্র হয়ে দারিয়েছিল।
৫| ২৫ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ৭:৫৫
রানার ব্লগ বলেছেন: গুজব সব সময় গুজব। গুজব শুনে কোন কাজ করার আগে হাজারবার ভাবা ও জানা জরুরী। সময় যদি বিপরিত থাকে তখিন তো কান বন্ধ রাখাই প্রধান কাজ। তখন কেবল এক জনকেই শোনা উচিৎ। সে হোল আপনার হৃদয় কি বলে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:১৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বাংলাদেশে তো বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকেই ইন্টারনেট ছিল না, ফেইক বিজ্ঞপ্তিটা কোন দেশের ফেইসবুকে ভাইরাল হয়? আমেরিকায়?
আপনার সিনিওর যদি হুকুম দেন ব্রাশ ফায়ার করতে, সামনে কে আছে না আছে সেটা খেয়াল করার দায়িত্ব আপনার না। আপনার কাজ ট্রিগার টানা। এইটা না করলে আপনার কোর্ট মার্শাল হবে, আপনি বিপদে পড়বেন। আপনাকে ধরেই নিতে হবে আপনার বস আপনার চেয়ে বেশি জানে, এবং ও যা বলেছে সেটা করাই আপনার একমাত্র ধর্ম। এ অংশটাও অনেকটা গুজবের মতোই হয়ে গেছে মনে হলো।