নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
একটা আল্লাদি পোস্ট ভাইরাল হতে দেখছি, সেটা হচ্ছে তরুণ প্রজন্ম কতটা উচ্ছন্নে গেছে সেটা নিয়ে। ওদের নাকি স্পেসিফিক কোন লক্ষ নেই, পবিত্র কোন মিশন নেই, এরা বই পড়েনা, নিউজপেপার পড়ে না, আউটডোর খেলাধুলায়ও ওদের পাওয়া যায় না।
যারা পোস্টটি শেয়ার করছে এদের গত কয়েকদিনের একটিভিটি দেখে মনে হচ্ছে "রঙিলা নটীবাড়ির" কোন সদস্যা কোন সতী সাধ্বী মেয়ের চরিত্র নিয়ে সমালোচনা করে সার্টিফিকেট দিচ্ছে।
এইসব চাটুকারেরা যখন নিজেদের ঈমান, ধর্ম, ব্যক্তিত্ব ইত্যাদি বিক্রি করে জালিমের পা চাটায় ব্যস্ত ছিল, তেলবাজি পোস্টে ফেসবুক ভরিয়ে দিচ্ছিল, তখন এই জেনারেশনের ছেলেমেয়েরাই মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিতের লড়াইয়ে পথে নেমেছিল। পুলিশের গুলির হুমকি ছিল, ছিল ছাত্রলীগের গুন্ডাদের গোলাগুলি, রামদা দিয়ে কোপাকুপির হুমকিও, তবু ওরা পথ থেকে সরে যায়নি। পানির বোতল নিয়ে হলেও এগিয়ে এসেছিল যাতে সহযোদ্ধাদের কণ্ঠনালী শুকিয়ে না যায়।
শহীদ হওয়া বহু ছেলেমেয়ের ইতিমধ্যেই চাকরি ছিল, ওদের সরকারি চাকরির কোটায় কিছুই আসতো যেত না। তবুও ওরা পথে নেমেছিল কেবল ন্যায় ও অন্যায়ের লড়াইয়ে ন্যায়ের পাশে দাঁড়ানোর উদ্দেশ্যেই।
আর চাটুকারের দল চোখের সামনে অন্যায় হতে দেখেও, নির্লজ্জ্ব মিথ্যাচারেও লেজ নাড়তে নাড়তে ঘেউ ঘেউ করে গেছে।
যারা ওদেরকে উদ্দেশ্যহীন জেনারেশন বলে তাচ্ছিল্য করেছে, ওদের উচিত এই জেনারেশনের পা ধোয়া পানি খাওয়া। এতে কেঁচোর মতন মেরুদণ্ডটা যদি একটু হলেও শক্ত হয়! ওদের গু মুত খেয়ে হলেও যদি এদের কিছুটা হলেও মনুষত্ববোধ জাগে।
আমরাতো কখনই গোলামের জাত ছিলাম না। সেই ব্রিটিশ আমল থেকে পাকিস্তান আমল হয়ে যুগে যুগে যত স্বৈরাচারী সরকার আমাদের দমাতে চেয়েছে - প্রতিবার বাঙালি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আমাদের টিকটক জেনারেশন, যারা বই/নিউজপেপার পড়েনা, যাদের কোন পবিত্র মিশন নেই, ওদেরকে নিয়ে আমি গর্বিত। ওরা ন্যায় ও অন্যায়ের পার্থক্য করতে পারে। এরাই সেই ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়কের দাবিতে পথে নেমেছিল, এই এরাই ২০২৪ এ আবার পথে নেমেছে। ওদের মনের গহীন থেকে শ্রদ্ধা, দোয়া, ভালবাসা!
আমি গর্বিত যে আমার সন্তান ওদেরকে আদর্শ হিসেবে দেখেই বড় হচ্ছে। আমাদের সময়ে যেটা ছিল না। সব কয়টা ছিল চাটুকার, তেলবাজ শুওরের বাচ্চা। ন্যায় অন্যায়ের পার্থক্য কিভাবে করতে হয় সেটা শিখতে আমাকে দেশের বাইরে আসতে হয়েছে। কি আফসোস!
অস্ত্রের মুখে এদেরকে দিয়ে মুচলেকা সই করিয়ে চাইনিজ খাবার খাইয়ে ভিডিও আপলোডানো সহজ, কিন্তু মানুষের মনে জমাট ক্ষোভ দমন কি এতই সস্তা? যে মহিলা নিজের বুকের কলিজা হারিয়েছে, ওকে কিভাবে শান্ত করবেন? উল্টো তাঁর ছেলেকে বিএনপি জামাত সন্ত্রাসী, দিকভ্রান্ত জেনারেশন ইত্যাদি বলে গালাগালি করে কি প্রতিষ্ঠা করতে চান? আপনাদের মূল উদ্দেশ্য কি? ঝেড়ে কাশেন।
২| ২৯ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:৫৪
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ওরা বীরের জাতি, ওদের জীবন এতো সস্তা নয় একদিন তার মূল্যায়ন হবেই, শুধুই সময়ের দাবী। আপনার প্রতিটি পোস্টের সাথে আমি সহমত পোষণ করে যাচ্ছি। সচেতনরা নিশ্চয় তাদের বিবেক খেয়ে বসেননি।
৩| ২৯ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:৫৫
মিথমেকার বলেছেন: সত্যের জয় হবেই! এই জেনারেশন কে চিনতে ভুল করেছে স্বৈরাচার বেজন্মা গুলো।
৪| ৩০ শে জুলাই, ২০২৪ ভোর ৬:৪১
প্রহররাজা বলেছেন: একটা গাধা প্রজন্ম যারা ফেসবুক রিল দেখে বড় হয়েছে
৫| ৩০ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:১৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
যার হারিয়েছে সেই বুঝে হারানোর বেদনা। কোন কিছু দিয়েই সেইসব বাবা মার ক্ষোভ দমানো যাবেনা।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:৩৬
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: সব যুগেই তরুনেরা দুর্বার, অপ্রতিরোধ্য, তেজী ও অন্যায়ের সাথে বিন্দুমাত্র আপোষ করে না। এই প্রজন্মের তরুনেরাও ব্যতিক্রম নয়। বরং এই প্রজন্ম আগের যে কোন যুগের চাইতে অনেক বেশি স্বশিক্ষিত ও দেশের সীমানায় আটকে থাকা প্রজন্ম নয়। এদের রিসোর্স অফুরন্ত , টেকনোলজিকাল দক্ষতা ঈর্ষনীয়। এদের কতটা দমন করা সম্ভব, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
এই প্রজন্মের আগের সম্পর্কে যেসব মধুর বচন ব্যবহার করেছেন , তা একদিকে ঠিকই বলেছেন। এত ভয়াবহ আকারের লোভ, চাটুকারিতা বাঙ্গালাদেশের ইতিহাসে আর কোন আমলে দেখা যায় নাই।