নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
১. ‘আমার আব্বুর কী দোষ ছিল? আব্বু শারীরিকভাবে অসুস্থ। সংঘর্ষ দেখে দোকান বন্ধ করে তিনি বাসায় ফিরছিলেন। বারবার দুই হাতজোড় করে জীবন ভিক্ষা চেয়ে আকুতি করেছিলেন। তিনি সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেন না, স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতেও পারেন না। অসুস্থ বলা সত্ত্বেও তাঁকে কেন গুলি করে মারল? আমার আব্বুরে এখন কই পাব?’
কথাগুলো বলছিলেন ২০ জুলাই ঢাকার সাভার বাসস্ট্যান্ডে গুলিতে নিহত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কুরমান শেখের (৪৯) মেয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিতু আক্তার।
২. ‘বিকেল সাড়ে পাঁচটার মতো বাজে। ছেলে সাগর ফোনে জানায়, “আব্বু আমাদের এখানকার অবস্থা ভালো না। আমাকে বিকাশে এক হাজার টাকা পাঠাও।” আমি তখন কলাম, মণিরে সাবধানে থাইকো। ফোনের কথা শেষ করেই নারুয়া বাজারে যাই। বিকাশে টাকা পাঠিয়ে সাইকেলে বাড়ি ফিরতে ফিরতে টাকা পাইছে কি না নিশ্চিত হতে ফোন করি, কিন্তু ফোন আর ধরে না। তখন থেকে আমার বুকটা কেমন যেন করছিল।’
‘মাগরিবের নামাজ শেষ করে সালাম ফেরানোর সময় পকেটের ফোন বাইজা ওঠে। মনটা কেমন যেন আঁতকে ওঠে। আমার মেয়ে মুসমি ফোন করে বলে, “আব্বু বাড়ি আইসো।” বাড়ি আইসা দেখি সব এলোপাতাড়ি। কেউ কিছু বলছে না। বড় ভাইয়ের বড় জামাতা রঞ্জু এদিক-ওদিক করছে। পরে আমার এক নাতি বলছে, বাবাইর (সাগর) মাথায় গুলি লাগছে, হাসপাতালে আছে।’
কথাগুলো বলছিলেন ঢাকার মিরপুর–১০ নম্বর গোলচত্বরে ১৯ জুলাই বিকেলে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত সাগরের বাবা কৃষক তোফাজ্জল হোসেন। রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের টাকাপোড়া গ্রামের দরিদ্র কৃষক তোফাজ্জল হোসেন। ছেলে সাগর আহম্মেদ (২২) মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।স্বজনেরা জানান, সাগরের বোন মুসমি নারুয়া লিয়াকত আলী স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ থেকে আগামী বছর এইচএসসি পরীক্ষা দেবে। সাগরের স্বপ্ন ছিল বোনকে ঢাকায় নিয়ে কোচিং করাবেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াবেন। দুই ভাইবোন একত্রে থাকবেন। মিরপুর–১ নম্বর মাজার রোড এলাকার মেসে চাচাতো বড় ভাই সাইফুল ইসলামের সঙ্গে থাকতেন তিনি। তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘যখনই কথা হতো তখনই সাগর বলত, “আব্বু তোমাকে আর রোদে পুড়ে মাঠে কাজ করতে হবে না। চাকরি করে তোমাদের ঢাকায় নিয়ে যাব।”
৩. ১৬ জুলাই দুপুরে পুলিশের উপর্যুপরি ছোড়া ছররা গুলিতে আবু সাঈদ নিহত হয়। পুলিশের গুলি ছোড়া এবং আবু সাঈদের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ভিডিও ফুটেজ বিভিন্ন টেলিভিশন সরাসরি সম্প্রচার করেছে। দেশ ও দেশের বাইরের মানুষ এই ভিডিও ফুটেজ দেখেছে। কাউকে বলতে শুনিনি আন্দোলনকারীদের গুলি ও ইটপাটকেলে নিহত হয়েছে আবু সাঈদ।
অথচ ১৭ জুলাই পুলিশের দায়ের করা মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে (এফআইআর) এ কথাই লিখেছেন মামলার বাদী। এই ভিডিও কি মামলার বাদী দেখেননি? তিনি এমন একটি এফআইআর দিলেন কী করে?
তাহলেই বুঝেন কেমন "তদন্ত" চলছে আর কেমন "ন্যায় বিচার" পাওয়া যাবে!
তিনটা খবরই আজকের প্রথম আলো থেকে কপি পেস্ট করেছি।
শুভ সকাল!
৩১ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ২:১০
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ঠিক বলেছেন। তবে আমার মনে হয়না সরকার আইওয়াশেরও পরোয়া করে। কারোরই কিছ্যু হবে না।
২| ৩০ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৪২
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: কেউ কি এই সরকারের কাছে তদন্ত বা বিচার চেয়েছে ?
৩| ৩০ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৪২
নয়া পাঠক বলেছেন: আরেহ ভাইয়া, এইটা তো আমি কোন একজনের পোস্টে মন্তব্য করেছিলাম। যাক ভালোই হল, আপনি দারুণ একটি ব্লগ লিখে ফেললেন। আরেকটা লিখতে পারেন কিনা দেখুন তো, “আমরা চোখে যা দেখছি সেটা গুজব, আর তেনারা যা বলছেন সেটাই সত্য।”
৩১ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ২:১২
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: তিনটা খবরই প্রথম আলো থেকে কপি পেস্ট করেছি। আপনিও কি ওখান থেকেই মেরেছিলেন?
৪| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ২:২৭
কামাল১৮ বলেছেন: বিচার পরে।আগে দশ বছর আদালতে দৌড়াদৌড়ি করুক।শেখ মুজিবের হত্যার বিচার হতে বহু বছর লেগে ছিলো।১৩/১৪ কোন মামলাই এখনো শেষ হয় নাই।এই যে কোর্টের বারান্দায় দৌড়াদৌড়ি করবেন এটাই সাজা।
৫| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ৭:১৫
রানার ব্লগ বলেছেন: আবু সাইদের হত্যা কে কোন ভাবেই অন্য কিছু দিয়ে জাস্টিফাই করা যায় না। ধরে নিলাম আবু সায়িদ ভয়ানক ক্রিমিনাল কিন্তু তাই বলে বিনা উস্কানিতে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করা আইনতো অন্যায়। এটা অবৈধ। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিচার করা জরুরী। এরা অতি উতসাহিত হয়ে যে আকাম করছে তার প্রতিফল সরকার ভোগ করছে।
৬| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:৫৩
ধুলো মেঘ বলেছেন: এফআইআর যে করেছে, সে সবকিছুই দেখেছে এবং জানে। কিন্তু বড় কথা হল, সে চাকরি করে। তার কাজ যদি বসের পছন্দ না হয়, তাহলে কেবল চাকরি যাওয়া নয় - আরো অনেক দুর্গতি কপালে আছে। এগুলো বুঝে শুনেই তাঁকে তার কাজ করতে হয়।
৭| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৪
হাসিব শান্ত বলেছেন: এগুলো পড়লে(অবশ্যই আগে পড়ছি) কেমন জানি হতাশ লাগে,এসব হত্যাকাণ্ড কে এই ব্লগে অনেকেই সাপোর্ট দেয়।
কেউ কেউ নিহতদের শিবির বলে।
চিন্তা করতে পারেন এদের মন-মেজাজ কেমন উগ্র?
এইসব হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:২৬
পাইকার ১.১.২ বলেছেন: আইওয়াশের জন্য কয়েকজনের জেল হতে পারে। গণহত্যাকারীদের সঠিক বিচার নিশ্চিতের জন্য দরকার ক্ষমতার পরিবর্তন। এছাড়া বিচার পাওয়ার কোনো পথ দুনিয়াতে খোলা নেই।