নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
১৯৭১ এর একটা ঘটনা বলি। তথ্যে ভুল হলে কেউ যেন পারলে শুধরে দেয়।
তখন যুদ্ধের মাঝামাঝি সময়। তরুণ গেরিলা যোদ্ধাদের মুহুর্মুহু আক্রমনে দিশেহারা পাকবাহিনীর তখন কুত্তাপাগল অবস্থা। রাস্তাঘাট থেকে random যুবকদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। কাউকেই আর বিশ্বাস করতে পারছে না ওরা। ওদের চোখে বাঙালি যুবক মানেই তখন মুক্তিযোদ্ধা।
তা টর্চার সেলে সেসব যুবকদের উপর চলে অকথ্য নির্যাতন। চোখের সামনে দিন রাত হাই পাওয়ারের বাতি জ্বালিয়ে রাখা, নখ উপ্ড়ে ফেলা, আঙ্গুল কেটে ফেলা, চোখ খুবলে ফেলা ইত্যাদি এমন কোন অত্যাচার নাই যা তারা করছে না। ওদের দরকার ইনফরমেশন। ছেলেরা যতই বলে ওরা মুক্তিযোদ্ধা না, ওরা মানতেই রাজি না।
শেষমেশ অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে ওরা স্বীকার করতে বাধ্য হয় যে ওরা মুক্তিযোদ্ধা।
মারলে মেরে ফেলুক। তবু এই অত্যাচার বন্ধ হোক।
এইবার দ্বিতীয় দফায় নির্যাতন শুরু হয়।
"তোমার সঙ্গী-সাথীরা কোথায়?"
ততদিনে অত্যাচারের মাত্রা সীমা পরিসীমা সব ছাড়িয়ে গেছে। যুবকরা তখন তাই বলে যা ওরা শুনতে চায়।
"ওদের ঠিকানা জান?"
"হু।"
"আমাদের দেখাতে পারবে?"
"হু।"
"চলো আমাদের সাথে।"
যুবকদের মিলিটারি গাড়িতে তোলা হয়। ঢাকা শহরে চক্কর দিতে থাকে সেসব গাড়ি। যুবকরা random বাড়িঘর দেখাতে থাকে।
"ইধার মিলেগা মুক্তি?"
"হু।"
ওরা ঠিকানা নোটে টুকে রাখে।
"অউর কিধার মিলেগা?"
"চলুন।"
গাড়ি চলতে থাকে। আরও কিছু ঘরের ঠিকানা নোটে টোকা হয়।
রাতে সেসব বাড়িতে মিলিটারি অভিযান চলে। স্কুল/কলেজ/ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া যুবক পেলেতো কথাই নাই, সাধারণ চাকরিজীবীদেরও রেহাই দেয়া হয়না। ওদের কাছে তথ্য আছে এরা গাদ্দার। এদেরই সাথির স্বীকারোক্তি!
এইভাবেই বিজয়ের আগে পর্যন্ত চলতে থাকে। তুলে নেয়া যুবকদের বেশিরভাগই ফিরেন নি। ওদের ফেরার আশায় প্রিয় স্বজনেরাও চলে গেছেন না ফেরার দেশে।
এবং এই পুরোটা সময় বহির্বিশ্বের নিউজ মিডিয়াকে জানানো হয় "দেশের পরিস্থিতি পুরোপুরি শান্ত ও স্বাভাবিক। লোকজন অফিসে যাচ্ছেন, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস চলছে। দুষ্কৃতিকারীদের কঠোর হাতে দমন করা হয়েছে। ভারতীয় ষড়যন্ত্রের হাত থেকে পাকিস্তানকে রক্ষা করা হয়েছে।"
২| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:৩০
ধুলো মেঘ বলেছেন: আমাদের দেশে আগে সেরকম পরিস্থিতি হোক, তখন দেখা যাবে। যতদিন আরামে আছি - জীবনকে উপভোগ করে নেই।
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:৫৫
প্রহররাজা বলেছেন: আরব বসন্তের মতো উসকানি দিয়ে ছেলে মেয়েগুলাকে মৃতু্্যর মুখে নিচ্ছে কারা?