নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোটা আন্দোলনে ধারাবাহিক বয়ান সমূহ এবং দায়ী কে?

০২ রা আগস্ট, ২০২৪ রাত ২:২৯

কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরুতে ছিল শান্তিপূর্ণ অধিকার আদায়ের আন্দোলন। এরপরে এর মোড়গুলি বুঝার জন্য বিভিন্ন ব্যক্তির বিভিন্ন বাণী তারিখ সহ কোট করছি, তারপরে নিজেই বুঝে যাবেন কে এটাকে এই অবস্থায় এনেছে।
বিঃদ্রঃ কারোর ক্ষমতা থাকলে প্রমান করুক এখানে একটি কথাও আমি বানিয়ে বলছি।

১. একদম শুরুতে, অর্থাৎ ১ জুলাই সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলে, "৪ জুলাইয়ের মধ্যে আইনিভাবে আমাদের দাবির চূড়ান্ত সুরাহা করতে হবে।"
স্টুডেন্টদের সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্য দেয়া কালে বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের বলেন, "বীর মুক্তিযোদ্ধা সবাই অনগ্রসর নন, তাই সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রাখা সংবিধানসম্মত নয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে বড় আকারে মুক্তিযোদ্ধা কোটা চিরস্থায়ী করলে স্বাধীনতার মূল উদ্দেশ্যকে ধ্বংস করা হয়।"

২. ৪ জুলাই বিচারপতি ওবায়দুল হাসান হাইকোর্টের দেওয়া রায় নিয়ে আপিল বিভাগের শুনানিতে দেওয়া বক্তব্যে বলেন, "এত আন্দোলন কিসের রাস্তায় শুরু হয়েছে? আন্দোলনের চাপ দিয়ে কি হাইকোর্টের রায়, সুপ্রিম কোর্টের রায় পরিবর্তন করবেন?"

৩. ৬ জুলাই তারিখে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম এই বিষয়ে বলেন, "বিএনপি তো একটি রাজনৈতিক দল। দেশের ভেতরে যা হচ্ছে, তার প্রতিক্রিয়া তো বিএনপিকে দিতেই হবে। এটা ছাত্রদের আন্দোলন। এখানে বিএনপির সম্পৃক্ত হওয়ার প্রয়োজন নেই। তাই বলে ন্যায্য আন্দোলনে নৈতিক সমর্থন করব না?"

এখানে উল্লেখ্য, "নৈতিক সমর্থন" আর মাঠে নেমে আন্দোলন করা এক না। পরে আরও দেখবো।

৪. ৮ জুলাই ওবায়দুল কাদের বলেন, "কোটা বাতিলের বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। আদালতের রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।"

৫. ১০ জুলাই বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আবারও নিজের কথার ধারাবাহিকতা ধরে রেখে বলেন, "আমি প্রথম দিনই বলেছিলাম, রাস্তায় স্লোগান দিয়ে রায় পরিবর্তন হয় না। এটা আজকে না, আমি যখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ছিলাম, তখন একটি মামলায় বলেছিলাম, রাস্তায় স্লোগান দিয়ে রায় পরিবর্তন করা যায় না। এটি সঠিক পদক্ষেপ না।"

৬. ১১ জুলাই ঘটনা একটু বিগড়াতে শুরু করে যখন ওবায়দুল কাদের বলে, "কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা সর্বোচ্চ আদালতের বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শন করছেন। এটি অনভিপ্রেত ও সম্পূর্ণ বেআইনি।" এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, "শিক্ষার্থীরা লিমিট ক্রস করে যাচ্ছেন।"

৭. ১৪ জুলাই থেকে ঘটনা দ্রুত বিগড়ে যেতে শুরু করে। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর বয়ানে তিনি বলেন, "মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিরা পাবে না? তাহলে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা চাকরি পাবে?"

এতদিন পর্যন্ত যে আন্দোলনকে অতি সহজে, কোন ঝামেলা ছাড়াই সামলানো যেত, দেশের প্রধান অভিভাবক চরম অবিবেচকের মতন উক্তি করে ঝামেলা পাকালেন। উনার এই রাজাকার গালিটা ছাত্রছাত্রীদের মনে চরমভাবে আঘাত হানে। ঢাবিতে প্রথম উচ্চারিত হলো স্লোগান "তুমি কে আমি কে, রাজাকার, রাজাকার! কে বলেছে, কে বলেছে? স্বৈরাচার স্বৈরাচার!"
গালির বদলে গালি।
এখনও যদি প্রধানমন্ত্রী ওদের কয়েকটাকে গণভবনে ডেকে এনে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেন, আজকের এই দিন দেখতে হতো না।
কিন্তু একে পুরোপুরি নষ্ট করে দিতে থাকে উনারই মন্ত্রী পরিষদের লোকজন, চ্যালা চামচারা, যারা কনটেক্সট না বুঝে, পরিণতিজ্ঞান না রেখে বেহুদা লাফালাফি শুরু করে।
১৫ তারিখ শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন, "শান্তিপূর্ণভাবে কোটাব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে অনেকেই পক্ষে–বিপক্ষে আলোচনা করেছে, আন্দোলন করেছে। এটি অবশ্যই নাগরিক অধিকার। এ ব্যাপারে কারও কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু যারা প্রকাশ্যে নিজের আত্মপরিচয়, জন্মপরিচয়, ব্যক্তিত্ব বিসর্জন দিয়ে ‘‘তুমি কে, আমি কে রাজাকার! রাজাকার!’’ স্লোগান দিয়েছে, এরা সবাই এই যুগের রাজাকার।…এ যুগের রাজাকারদের পরিণতি ওই যুগের রাজাকারদের মতোই হবে! ঘৃণা, ধিক্কার আর ক্রোধ এদের প্রতি! রাজাকারের দল তোরা, এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ছাড়!"

ঘটনাকে আরও ঘোলাটে করে সরকারের পালতু গুন্ডা বাহিনী ছাত্রলীগের প্রধান গুন্ডা সাদ্দাম হোসেন হুমকি দেয়, "কোটা সংস্কার আন্দোলনে যাঁরা ‘‘আমি রাজাকার’’ স্লোগান দিচ্ছেন, তাঁদের শেষ দেখিয়ে ছাড়ব।"
এমনিতেই ক্যাম্পাসে ছাত্রলীদের গুণ্ডামিতে সবাই বিরক্ত। সেই ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে এই গুন্ডারাই এই ছাত্রছাত্রীদের পিটিয়ে রাস্তা রক্তাক্ত করেছিল। আবরারকে পিটিয়ে হত্যা, স্বামীকে বেঁধে রেখে ক্যাম্পাসে গণধর্ষণ ইত্যাদি নানা ঘটনায় ওদের উপর ক্ষোভ এমনিতেই ছিল। এখন যখন হারামজাদাসর্দার আবারও এইভাবে হুমকি দিয়েছে, তখন স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের প্রতিক্রিয়া ছিল পারলে আয়। এইবার তোদেরও পেটাবো।

ছাত্রদের সাথে ছাত্রদের তর্ক বিতর্ক, এইটাও তেমন big deal না। ইউনিভার্সিটিতে এমন কত ঝগড়াইতো হয়।
কিন্তু বুইড়া ওবায়দুল কাদের যখন ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দিতে বলে "কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের ‘‘রাজাকার’’ স্লোগানের জবাব ছাত্রলীগই দেবে" - তখনই ঘটান নাগালের বাইরে চলে যায়। সরকার থেকে গ্রিন সিগন্যাল পেয়েই ছাত্রলীগ হেলমেট মাথায় আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের পেটাতে শুরু করে। ওদেরকে সাহায্য করে আরেক সরকারি বিশ্বস্ত পুলিশ বাহিনী। ১৬ জুলাই নিরস্ত্র আবু সাঈদের বুক বরাবর গুলি করে পুলিশ বাহিনী। অবিশ্বাস্য দৃষ্টিতে আবু সাঈদ দেখে ওর বুকে রক্ত। ওর দেশের পুলিশ ওর বুকে গুলি চালিয়েছে!
মোবাইল ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও প্রকাশ হতে থাকে কিভাবে দেশি অস্ত্র হাতে, লাঠি, রামদা হাতে পুলিশি প্রোটেকশনে ছাত্রলীগ সাধারণ ছাত্রীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
শুরু হয়ে যায় মৃত্যুর মিছিল।
ঈমান ও মনুষত্ব বিক্রি করা লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ঢাবির সব ছাত্রছাত্রীকে রাজাকার গালি দিলেও এই যে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সিরিয়াল কিলাররা সাধারণ মানুষ মেরে ফেলতে থাকে, একটা টু শব্দ পর্যন্ত তিনি উচ্চারণ করেননি। অথচ এই ছাত্রছাত্রীরাই শৈশব থেকে উনার বই পড়ে বড় হয়েছে। ভাবতে নিজের উপরই ঘেন্না হচ্ছে এই লোকটাকে একটা সময়ে শ্রদ্ধা করতাম!

১৭ জুলাই শেখ হাসিনা তবুও সেনসিবল কথা বলেন। তিনি বলেন "আইনি প্রক্রিয়ায় সমাধানের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও রাস্তায় আন্দোলনে নেমে দুষ্কৃতকারীদের সংঘাতের সুযোগ করে দেবেন না। সর্বোচ্চ আদালতের রায় আসা পর্যন্ত ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করার জন্য আমি সকলকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি। আমার বিশ্বাস, আমাদের ছাত্রসমাজ উচ্চ আদালত থেকে ন্যায়বিচারই পাবে, তাদের হতাশ হতে হবে না।"

কিন্তু উনার চ্যালা "বেহুদা কাদের" ফাত্রামি করতে বলে, "আওয়ামী লীগের অস্তিত্বের প্রতি হামলা এসেছে, হুমকি এসেছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলা আমাদের করতেই হবে। কাজেই আপনারা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রস্তুত হয়ে যান। আমাদের সারা দেশের প্রত্যেক নেতা-কর্মীকে আমাদের নেত্রীর পক্ষ থেকে নির্দেশ দিচ্ছি, সারা দেশে সতর্ক হয়ে শক্ত অবস্থান নিয়ে এ অশুভ অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে। কোনো অপশক্তির সঙ্গে আপস করা যাবে না।"
এখানে কোথায় আওয়ামীলীগের অস্তিত্বের প্রতি হামলা হলো? এর কথাবার্তা থেকেই বুঝা যায় এই লোকটা ডিলিউশনাল, প্যারানোয়েড, স্কিৎজোফ্রেনিয়ার রোগী। এর অতিদ্রুত চিকিৎসা দরকার। একে চিকিৎসা না করিয়ে সংসদে বসিয়ে রাখা কোন কাজের কথা না। এর কারণেই দিনদিন পরিস্থিতি কেবল বিগড়েছেই।
জুনাইদ পলক চিন্তা করলেন, তিনি কেন এখন পর্যন্ত পাত্তা পাননি? তাই তিনিও পাত্তা পেতে নিজের দলের মানসিক রোগীর কথাবার্তা বাদ দিয়ে দোষ চাপালেন ফেসবুকের ঘাড়ে। "কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যে সহিংসতা হচ্ছে, তার পেছনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো গুজব দায়ী। ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, এক্সের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোর অফিস ও ডেটা সেন্টার যদি ঢাকায় থাকত, তাহলে যেকোনো ধরনের কনটেন্ট ও গুজবকে প্রতিহত করা বা ফ্ল্যাগ দিয়ে দেওয়া অথবা ব্লক করে দেওয়া সহজ হতো।"

ইন্ডিয়াতে কিছু হলেই যেমন দোষ চাপানো হয় পাকিস্তানের ঘাড়ে, এবং পাকিস্তানে কিছু হলেই ইন্ডিয়ার দোষ, আমাদের দেশেও গত ১৫ বছর ধরে বিএনপি জামাতের উপর সব দোষ চাপানো সরকারের একটি নীতি হয়ে গেছে। কাজেই মির্জা ফখরুল ঘোষণা দিলেন "কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বিএনপি সরাসরি জড়িত নয়। তবে এ আন্দোলনে বিএনপির নৈতিক সমর্থন রয়েছে।"

কিন্তু আওয়ামীলীগ শুনলেই না। ওদের সেই এক কথা, সব জামাত শিবিরের ক্যাডারদের কাজ।
গুলি চলতে থাকে, মানুষ মরতে থাকে। আওয়ামীলীগ সবাইকে জামাত শিবিরের ক্যাডার ঘোষণা দেয়ায় ক্ষোভও বাড়তে থাকে। চার বছরের শিশু মারা গেছে, সেও জামাত শিবির। ৬ বছরের বাচ্চা, ক্লাস নাইনের বাচ্চা, ক্লাস সেভেনের বাচ্চা - এমন অনেক বাচ্চা মারা গেছে, গৃহিনী মারা গেছে - সবাই "জামাত শিবির!" সরকারের এই দমননীতির বিরুদ্ধে যেই কথা বলেছে, সবাই জামাত শিবির! "মুক্তিযোদ্ধার সন্তান" দাবিকারী বুইড়া ধামরা পুরুষ ক্যামেরার সামনেই প্রতিবাদী অভিভাবক এক মহিলার গায়ে হাত তুলে, পুলিশ তামাশা দেখে।

এদিকে আগুনে পেট্রোল ঢালতে ১৮ জুলাই মানসিক রোগী কাদেইজ্জা ধানমন্ডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলে, "রাজপথ থেকে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।"
সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে, আওয়ামীলীগের সমর্থকরা ফেসবুক ব্যবহারকারীদের দোষারোপ করছে যে ওরা নাকি উস্কানি দিচ্ছে। এদিকে নিজের দলের সবচেয়ে বড় উস্কানীদাতার দিকে ওদের নজরই পড়েনা। সে নিজে রাজপথে নামেনা, কিন্তু ওর লেলিয়ে দেয়া জানোয়ারেরা নামে। ছয়তলা বাড়ি থেকে নিচে পড়ে কয়েকটা ছাত্রলীগ ক্যাডারের মৃত্যুতে দেশব্যাপী লোক "আলহামদুলিল্লাহ" বলতে শুরু করে। এদের কার্যকলাপ এই কয় বছরে ওদের প্রতি কি তীব্র ঘৃণার যে জন্ম দিয়েছে! এর দায় ওরা কিভাবে এড়াবে?

২০ তারিখ এই খুনি ওবায়দুল কাদের বলে, "এটা অবশ্যই কারফিউ। এটা নিয়ম অনুযায়ীই হবে এবং সেটা শুট অ্যাট সাইট হবে।"

এর মাঝে দেশে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। দেশ বিদেশ থেকে বাংলাদেশ গায়েব হয়ে যায়। পলক ভাই বলেন "ইন্টারনেট বন্ধের জন্য পূর্বে কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি। পরিস্থিতি বুঝে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বার্থান্বেষী মহলের নানা গুজব আর অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য সাময়িকভাবে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে।’
‘মহাখালীতে দুর্বৃত্তদের আগুনে ডেটা সেন্টার পুড়ে গেছে। সেটা ঠিক করার কাজ চলছে। কবে নাগাদ ইন্টারনেট সেবা চালু হবে, তা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়।"
"ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়নি, ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে গেছে।"
যাই হোক, ততদিনে উনার এবং মুরাদ টাকলার গানে গানে রেইনবো লাভ মার্কা ভিডিও সুপার ভাইরাল হয়ে যায়। আইয়ুব বাচ্চুর গানও গাইতে দেখে গেছে ওকে। লোকটা সংগীতশিল্পী হতে চেয়েছিল, কেন যে লোকজন ওকে জোর করে মন্ত্রিত্ব দিয়ে দিল! হিটলারকে চিত্রশিল্পী না বানিয়ে সেনাবাহিনীতে পাঠানোর খেসারত বিশ্ববাসীকে দিতে হয়েছিল। এখন আমরা ভুগছি!

২৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী গণভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বলেন "কোটা আন্দোলনকারীদের একদিন জাতির কাছে জবাব দিতে হবে, কেন তারা তাদের দেশে এই ধ্বংসযজ্ঞের সুযোগ দিল।"
উনি মেট্রোরেলের দুঃখে কষ্টে কেঁদে বুক ভাসালেন। তখন পর্যন্ত একটা শহীদের মৃত্যুতে কোন দুঃখ প্রকাশ করতে তাঁকে দেখা যায়নি। এমন অবিবেচনায় মানুষ ক্ষোভে, কষ্টে, বাকরুদ্ধ হয়ে যায়। কবি কবিতা লিখেন পরজন্মে সে মানুষ না হয়ে মেট্রোরেল হতে চায়। তাঁর মৃত্যুতে কেউতো কাঁদবে!
সরকার বলছে বিচার বিভাগীয় তদন্ত গঠন হবে। দোষীদের অবশ্যই বিচারের সম্মুখীন হতে হবে।
এবং সবার সামনে লাইভ ক্যামেরায় পুলিশ যাকে গুলি করে মারলো, সেই আবু সাঈদের খুনি হিসেবে গ্রেফতার করা হলো ১৬ বছরের এক তরুণকে। জোর করে প্রমানের চেষ্টা এতে পুলিশ জড়িত না। আর এক বিচারক, জাস্টিস চৌধুরী, টকশোতে এসে নির্দ্বিধায় মিথ্যা কথা বলেই যাচ্ছে, বলেই যাচ্ছে। বিন্দুমাত্র বিবেকের সংকোচ নেই। এরা করবে ন্যায় বিচার!? বরং কেউ যদি বলে আজকে ওর বাড়ির জানালায় উড়ে এসে এক টি-রেক্স ডাইনোসর বসেছিল, এবং ও সেটাকে ভাত ছিটিয়ে দিতেই সে উড়ে চলে গেল, সেটা বরং বিশ্বাস্য।

কাঁদেইজ্জা এখনও থামেনি। আজও আউল ফাউল প্রলাপ বকেই যাচ্ছে,
"নিরীহ মানুষ হত্যার দায় বিএনপি ও জামায়াতের।" (২৭ জুলাই)
"শ্রীলঙ্কা স্টাইলে গণভবন দখলের ষড়যন্ত্র ছিল" (২৮ জুলাই)
এবং চলবে......

তাহলে এতসব উক্তি ও টাইমলাইন দেখার পরে উপসংহারে আমরা এই সিদ্ধান্তে আসতেই পারি যে জনাব ওবায়দুল কাদেরকে জরুরি ভিত্তিতে মানসিক চিকিৎসা না করালে দেশের তান্ডব থামবে না।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা আগস্ট, ২০২৪ রাত ২:৫৩

মিথমেকার বলেছেন: বেশ গুছিয়ে লিখেছেন। সুন্দর!

০২ রা আগস্ট, ২০২৪ ভোর ৪:০৫

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ০২ রা আগস্ট, ২০২৪ ভোর ৬:৩৭

দক্ষিণ মেরু বলেছেন: ধন্যবাদ, ডকুমেন্ট হিসেবে থাকবে এই লেখা।

৩| ০২ রা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:০৮

এভো বলেছেন: আমি অর্ধেক পড়ে দুটো ভুল বের কোরলাম ।

১) শেখ হাসিনাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল --- একজন মুক্তিযোদ্ধার পুত্র এবং একজন রাজাকারের পুত্র -- এই দুজনে মধ্য কাকে চাকুরি দিবেন --- তিনি বলেন -- মুক্তি যোদ্ধার পুত্রকে না দিয়ে কি রাজাকার পুত্রকে চাকুরি দিবো -- এখানে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের কখনো রাজাকার বলা হয় নি ।

২) আপনি দাবি করেছেন -- ছাত্র লীগ প্রথমে কোটা আন্দোলনকারিদের উপরে আক্রমণ করে ---- নীচের লিংকটার নিউজ গোটাটা পড়বেন ,. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের শুরু যেভাবে

৪| ০২ রা আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:৩৪

রানার ব্লগ বলেছেন: একি সাথে দুইটা পোস্ট দেবেন না। এতে অন্যদের লেখার পেছনে চলে যায়। ব্লগে সবার অধিকার আছে তার লেখা কে পাঠকের চোখের সামনে রাখার।

যদি বেশি উত্তেজিত থাকেন তবে দুই থেকে তিন ঘন্টা পরে পরের লেখা টা পোস্ট করেন।

৫| ০২ রা আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:১৯

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: বিরাট ভুল ধরে ফেলেছেন! লোল।
শেখ হাসিনা যখন ছেলেমেয়েদের রাজাকার বলেন নাই, সেটা উনি নিজেই স্পষ্ট করতে পারতেন। ডেকে এনে বললেই হতো যে ওরা মিসান্ডারস্ট্যান্ড করছে। সেটা না করে ছাত্রলীগ লেলিয়ে দেয়া হয়েছে।
শুয়োরের বাচ্চা সাদ্দাম হুংকার দিচ্ছে ওদের পিটাবে, কাদেইজ্জা হুমকি দিচ্ছে পিটাবে, আপনি আসছেন আল্লাদি করতে? লোল।

৬| ০২ রা আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:১৯

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: বিরাট ভুল ধরে ফেলেছেন! লোল।
শেখ হাসিনা যখন ছেলেমেয়েদের রাজাকার বলেন নাই, সেটা উনি নিজেই স্পষ্ট করতে পারতেন। ডেকে এনে বললেই হতো যে ওরা মিসান্ডারস্ট্যান্ড করছে। সেটা না করে ছাত্রলীগ লেলিয়ে দেয়া হয়েছে।
শুয়োরের বাচ্চা সাদ্দাম হুংকার দিচ্ছে ওদের পিটাবে, কাদেইজ্জা হুমকি দিচ্ছে পিটাবে, আপনি আসছেন আল্লাদি করতে? লোল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.