নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশের বিজ্ঞানী ফিজিক্সে নোবেল পাবে! আঃ! কি আনন্দ!

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৩২

ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ফোনে ঘুম ভাঙলো। ইন্টারন্যাশনাল কল। বুক ধক করে উঠে। অসময়ে ইন্টারন্যাশনাল কল মানেই দুঃসংবাদ!
ফোন রিসিভ করলাম। ওপাশ থেকে সুইডিশ উচ্চারনে ইংলিশ শোনা গেল। মেয়েলি কন্ঠ।
“হ্যালো, মঞ্জুর চৌধুরী বলছেন?”
“জ্বি।”
“আমি সুজানা স্মিথ, নোবেল কমিটি থেকে বলছি।”
“কি বেল থেকে বলছেন?”
“নোবেল। ইউ নো, ইন্টারন্যাশনাল পুরস্কার, যা পেলে মানুষ ধন্য হয়ে যায়।”
“রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, অমর্ত্য সেন আর ড ইউনুস যেটা পেয়েছেন, সেটা?”
“জ্বি।”
“শেখ হাসিনা যেটা পাননি, সেই নোবেল?”
“এইতো ধরতে পেরেছো।”
“ফোন রাখ গাঞ্জাখোর!”
ধমক দিয়ে ফোন রেখে দিলাম। নোবেল কমিটি আমার কাছে ফোন করবে কোন সুখে? নিশ্চই স্ক্যাম। বলবে, “তোমাকে আমরা নোবেল দিব, কিন্তু সেজন্য ফি হিসেবে পাঁচ হাজার ডলার এডভান্স দিতে হবে।”
আজকাল এইসব স্ক্যামারের যন্ত্রনায় অপরিচিত নাম্বারের ফোন কল ধরতে ইচ্ছা করেনা।
সাথে সাথে আবার ফোন বেজে উঠলো, “হ্যালো, তুমি মনে হয় বিশ্বাস করছো না। আমরা সত্যি নোবেল কমিটি থেকে ফোন করেছি। তোমার বিশেষ সাহায্য প্রয়োজন।”
“কি সাহায্য?” যদিও বিশ্বাস করিনি, তবু মুখ ফস্কে বেরিয়ে এলো।
“তোমাদের দেশের এক বিজ্ঞানীকে খুঁজে বের করতে হবে। ফিজিক্স শাখায় ওকে এ বছরের নোবেল দেয়া হবে। ওর যুগান্তকারী আবিষ্কারকে রেকগনাইজ করে নোবেল কমিটি ধন্য হতে চায়।”
মাথা চুলকে বুঝার চেষ্টা করলাম কোন বিজ্ঞানী কি আবিষ্কার করে ফেলেছে যে আজকে নোবেল কমিটি ওকে খুঁজছে?
“আমি কিভাবে তোমাদের সাহায্য করবো?”
“আমরা তোমার দেশের অনেক ফেসবুক ইউজারের সাথেই যোগাযোগ করছি। এলগরিদম ব্যবহার করে তোমার নামও আমরা খুঁজে পেয়েছি। রেজাল্ট বলছে যে তোমার নিউজফিডে একটা থিওরি খুব শেয়ার হচ্ছে। নিউটনের গ্র্যাভিটি আবিষ্কারের পর এটাই বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার। ফিজিক্সের মোড় ঘুরিয়ে দিবে। আমরা সেই থিওরির আবিষ্কারককেই খুঁজছি। হয়তো তুমি আমাদের সাহায্য করতে পারবে।”
আমি চুপ করে আছি বলে মহিলা বলল, “তুমি নিউটনের ল গুলো জানোতো?”
“না, আমি সায়েন্সের স্টুডেন্ট। পরে একাউন্টিংয়ে এসেছি। ল নিয়ে পড়াশোনা করি নাই।”
মহিলা একটু থমকে গেল। তারপর হাসতে হাসতে বলল, “তোমার রসবোধ আছে। হাহাহা। আই লাইক ইট। এখন আমাকে বল যে “ইলেকট্রিক চেয়ার মেটালের তৈরী হয়না, কাঠের হতে হয়। নাহলে ফ্লোরে দাঁড়ানো আশেপাশের সবাই শক খায়।” - এই বৈজ্ঞানিক থিওরি কে আবিষ্কার করেছে?”
খাইছে! বলে কি মহিলা!
আমি বললাম, “তুমি নিশ্চিত এমন থিওরি কেউ আবিষ্কার করেছে?”
“অবশ্যই। বাঙালিদের সোশ্যাল মিডিয়া ভরে গেছে এই থিওরিতে। এবং যারাই পোস্ট করছে, তারাই দাবি করছে অপর পক্ষ মূর্খ। ড ইউনূসের আয়নাঘর নাটকের স্ক্রিপ্ট অতি দুর্বল এবং কোন মূর্খ সেটা লিখেছে। এই সামান্য বৈজ্ঞানিক লজিকের ব্যাপারেও যার জ্ঞান নেই! এ নিয়ে খুউব হাসি তামাশা করছে!”
আমার মাথা চক্কর দিয়ে উঠলো।
“হোলি কাউ! বলো কি!”
“অবশ্যই! একটু আগে মিস্টার স্টিভেন ওয়েইনবার্গ আমাদের অফিসে ফোন করে এই কথা বললেন। তিনি নিজেও মূর্খের ক্যাটাগরিতে পড়ে গেছেন বলে একটু মর্মাহত হয়েছেন।”
“উনি একা না, আমিও একই কাতারে পড়েছি। দাঁড়াও, আমি দেখি কি করতে পারি।”
ফোন রেখে গভীর ভাবনায় পড়ে গেলাম। আমার এখনও মনে আছে প্রাইমারি স্কুলের বিজ্ঞান বইয়ে পড়েছি প্লাস্টিক ও কাঠের মতন সিমেন্টের ফ্লোরও বিদ্যুৎ অপরিবাহী। যদি না তাতে পানি ছড়ানো হয়, যদি না সেটা ভেজা বা স্যাতস্যাতে হয়, তাহলে তা দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হবে না।
ক্লাস নাইনে উঠে ফিজিক্স নিলাম, সেই বইয়েও একই কথাই লেখা ছিল। আরেকটু ডিটেইলে। সিমেন্ট সাধারণত একটি **অপরিবাহী (ইনসুলেটর)** পদার্থ। এর মানে হল এটি বিদ্যুতের প্রবাহকে সহজে অনুমতি দেয় না। সিমেন্টের গঠনগত বৈশিষ্ট্য এবং এর মধ্যে বিদ্যমান উপাদানগুলি বিদ্যুতের প্রবাহকে বাধা দেয়।
এইচএসসির ফিজিক্সেও দেখি একই কথা লেখা ছিল। ওমা, ইউনিভার্সিটিতে উঠে ফিজিক্স নিয়েছি, সেই বইয়েও লেখা যে সিমেন্টে প্রধানত সিলিকেট এবং অন্যান্য খনিজ পদার্থ থাকে, যা বিদ্যুতের জন্য উচ্চ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও, সিমেন্ট শুষ্ক অবস্থায় থাকলে এর বিদ্যুৎ পরিবাহিতা আরও কমে যায়। তবে, যদি সিমেন্ট ভেজা বা স্যাঁতসেঁতে হয়, তাহলে এর মধ্যে বিদ্যুৎ কিছুটা প্রবাহিত হতে পারে, কারণ জল বিদ্যুতের একটি ভাল পরিবাহী। কিন্তু সাধারণভাবে শুষ্ক সিমেন্টের ফ্লোর বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে দেয় না।
এই বৈশিষ্ট্যের কারণে সিমেন্টকে বিল্ডিং নির্মাণে নিরাপদ এবং উপযুক্ত পদার্থ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
তা বাংলাদেশের বিজ্ঞানী এমন বিদ্যুৎ আবিষ্কার করে ফেলেছে যা লোহার চেয়ার থেকে সিমেন্টের শুকনো ফ্লোর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আশেপাশের সবাইকেই ঝাকানাকা শক দেয়? কে এই মহান বিজ্ঞানী? এই কারণেই ওকে নোবেল কমিটি খুঁজছে!
আমার জীবনের যাবতীয় পড়াশোনা মিথ্যা প্রমাণিত হলো? বাপ্পারাজের মতন বলতে ইচ্ছা করছে, “এ আমি বিশ্বাস করিনাআআআআআ!”
আবার অন্যদিকে খুশিও লাগছে। দেশের বিজ্ঞানী ফিজিক্সে নোবেল পাবে! আঃ! কি আনন্দ!
তা আপনারা যদি সেই বিজ্ঞানীর নাম ঠিকানা একটু জানাতেন, আমার বিশেষ উপকার হতো। ভদ্রমহিলা এখনও ফোন ধরে আছেন। ইন্টারন্যাশনাল কলে বিল উঠছে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ২:২৭

আহরণ বলেছেন: বিজ্ঞানে না, কোরাণ তেলোয়াতে পাবে...... @ ভাইয়া?

২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো রম্য লিখেছেন।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:২০

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!

৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:০৬

বআপআণ বলেছেন: This is such a funny and unexpected twist! It’s wild how sometimes even the most ridiculous theories can go viral on social media. People sure can be creative! By the way, if you're looking for something fun to play in between all these wild phone calls, check out 3 patti blue download – it’s a great game to unwind with!

৪| ১৯ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৪

ফভঢথ বলেছেন: Wow, what a hilarious and unexpected turn of events! It’s crazy how the most outlandish theories can spread like wildfire online. People’s creativity knows no bounds! Speaking of fun, if you need a break from all the internet chaos, give Teen Patti Mela Game a try – it’s the perfect game to relax and enjoy in between those wild phone calls!

৫| ১৯ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৫

ফভঢথ বলেছেন: Wow, what a hilarious and unexpected turn of events! It’s crazy how the most outlandish theories can spread like wildfire online. People’s creativity knows no bounds! Speaking of fun, if you need a break from all the internet chaos, give [URL=https://www.teenpattimelapk.com/]Teen Patti Mela Game[/URL] a try – it’s the perfect game to relax and enjoy in between those wild phone calls!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.