![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
আমি যেমন একজন মুসলিম, আমি যখন মারা যাব, আমার এক্সপেক্টেশন থাকবে আমাকে গোসল দিয়ে কাফনে মুড়িয়ে জানাজার নামাজ পড়ে আমাকে কবর দেয়া হবে। আমি খুবই ধন্য হবো যদি জানাজার নামাজের ইমামতি আমার কোন ছেলে করে। ইসলামী মতে একজন বাবা বা মায়ের জন্য পরম সৌভাগ্যের ঘটনা এইটা যে ওর জানাজার ইমামতি তাঁরই সন্তান করছে।
আমারও ইচ্ছা এটাই, বাকিটা আল্লাহর উপর।
তেমনই আমার খ্রিষ্টান কলিগ যখন মারা যায়, ওর ফিউনারেল চলে ওর ধর্মমতে। আমেরিকার আসার পরে দেখেছি ক্যাথলিকরা যেভাবে ফিউনারেল করে, প্রেসবাইটেরিয়ানরা একটু ভিন্নভাবে করে, আবার মেথোডিস্টদের ফিউনারেল হয় একটু ভিন্নরকম। সবার ঘটনাই এক, শুধু সূক্ষ্ম কিছু পার্থক্য ছাড়া। কেউ মরলে তাই আগে জানতে চায় ও কোন চার্চের অনুসারী ছিল। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা হয়।
হিন্দু কেউ মারা গেলে সে নিশ্চই কামনা করবে না জানাজা পড়িয়ে কাফনে মুড়িয়ে ওকে মুসলিম গোরস্থানে দাফন করা হোক। যেমনটা কোন মুসলিম চায়না মৃত্যুর পরে চিতায় পুড়তে।
আমাদের দেশে "অভিশ্রুতি" নামের এক মেয়ে কয়েক বছর আগে আগুনে পুড়ে মারা গিয়েছিল। সে জন্মগত মুসলিম হলেও পরে নাকি হিন্দু হয়েছিল। তখন ওর ফিউনারেল নিয়ে গোল বেধেছিল। বাবা মা চায় কবর দিতে, হিন্দু সমাজ চায় সৎকার। সমাধান হচ্ছে, সে যদি হিন্দু হয়ে যায়, তাহলে ওকে হিন্দু মতেই আগুনে পুড়াতে হবে। ওকে যদি যমযম পানিতে ডুবিয়ে কাবার গিলাফে মুড়িয়ে জান্নাতুল বাকি গোরস্থানেও কবর দেয়া হয়, তবুও ওর কোন লাভ হবেনা।
তেমনই কেউ একজন বেঁচে থাকতে যদি ধর্মকর্ম না করে থাকেন, আল্লাহ, ভগবান/ঈশ্বর বিশ্বাসী না হয়ে থাকেন, তাহলে তাঁর মৃত্যুর পরে জানাজার নামাজ আদায় করা, দাফন, কাফন, কুলখানি, দোয়া মিলাদ মাহফিল ইত্যাদি পালন করা একপ্রকার ভণ্ডামি এবং ওর বিশ্বাসের প্রতিই অসম্মান। ইসলামিক মতে পরকাল নিয়ে কিছু করতে চাইলে বেঁচে থাকতেই করতে হবে। বরং ওর পরিবারের উচিত ওর মতানুসারেই ওর শেষকৃত্য পালন করা।
বহু নাস্তিকের অবস্থা এই দেখেছি যে জীবিতাবস্থায় ঈমান, আল্লাহ, রাসূল, ফেরেস্তা, আখিরাত, জান্নাত জাহান্নামের প্রতি বিশ্বাস না রাখলেও যখন সে মারা যায়, ওর পরিবার, আত্মীয়, স্বজন, বন্ধুবান্ধব একদম শরিয়া অনুযায়ী ওর দাফন কাফনের জন্য ব্যস্ত হয়ে ওঠে।
আবার একই সাথে, জুলাই আন্দোলনের আবু সাঈদ, যতদূর শুনেছি জীবিতাবস্থায় ও মঙ্গল শোভাযাত্রার বিরোধিতা করলেও মৃত্যুর পরে এখন শুনছি এই বছরের মঙ্গল শোভাযাত্রায় ওরই প্রতিমা/মূর্তি/পুতুল নিয়ে শোভাযাত্রা করা হবে। এইসব কি রে ভাই?
শিল্পী সনজিদা খাতুনের পরিবার, আত্মীয়, বন্ধুবান্ধব যেটা করেছেন, সেটাই ঠিক। উনি যা চেয়েছেন, যে বিশ্বাস ধারণ করতেন, সেটাই করা হয়েছে। আমারও বরাবরেরই বিশ্বাস, যারা নাস্তিক, পরকালে বিশ্বাসী নন, তাঁদের উচিত মরণোত্তর দেহ দান করে যাওয়া। ওদের কিডনি, লিভার, চোখ সহ অন্যান্য অর্গান কারোর চিকিৎসায় কাজে লাগে। এবং তাদের দেহ, কংকাল মেডিকেলের ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার কাজে লাগে। সবচেয়ে বড় কথা, এর ফলে কবর থেকে লাশ চুরির প্রয়োজনও ফুরায়।
কোন জীবিত মানুষকেই যেখানে জোর করে মুসলিম বানানোর উপায় নেই, বাঙালি সেখানে একজন মৃতাকে ধর্মপ্রাণ মুসলিম বানানোর জন্য হাহাকার করছে।
হযরত আলীর (রাঃ) বাবা এবং আমাদের নবীজির (সঃ) প্রিয়তম চাচা আবু তালিব যখন মারা যান, তখন তাঁর শেষকৃত্য কুরাইশ পৌত্বলিক নিয়মেই পালিত হয়েছিল। আলী (রাঃ) সেখানে উপস্থিত ছিলেন, তবে কোন "পৌত্তলিক ইবাদতে" বা "ধর্মীয় রীতিতে" অংশ নেননি।
কালকে তসলিমা নাসরিন মরলে ওরও কি জানাজা/কবর ইত্যাদি হবে? কতটা হাস্যকর হবে ঘটনাটা!
০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:২৭
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: তসলিমা টাইপের অসভ্য, ইতর বদমাইশকে নিয়ে ভাল ধারণার কোন কারনই নাই। সে যদি আসলেই ভাল মানুষ হতো, তাহলে কোন একটা এতীমকে, কোন বিধবাকে, কোন কুষ্ঠরোগীকে, ক্যান্সার আক্রান্ত মানুষকে, কোন গৃহহীনকে সাহায্য করার খবর পেতেন। এই বদমাইশ জীবনেও কারোর উপকার করেছে বলে কোন খবর নেই কোথাও। সে শুধু সাম্প্রদায়িক ইতরামি করে বিদেশে টিকে থাকার ধান্দায় ব্যস্ত।
২| ২৭ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:২৮
চেংগিস খান বলেছেন:
হযরত আলীর বাবার মৃত্যুর পর কিভাবে কি হয়েছে, উহা ইতিহাসের কোথায়ও নেই।
০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:২৮
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: যেহেতু আপনার পড়া ইতিহাসে কোথাও উল্লেখ নাই, তাই হজরত আলীর (রাঃ) বাবা মরে নাই। ভাল লজিক।
৩| ২৮ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১:১৬
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: এ বিষয়ে আপনার আর আমার মতামত মিলে যায়। আমিও এমনটিরই পক্ষে।
বাংলাদেশে একাধিক নাস্তিককের মৃত্যুর পর তাকে ইসলামী কায়দায় দাফন-কাফন করা হয়েছে। আমি প্রতিবারই বলেছি এটা তার প্রতি চরম অন্যায় ও চুড়ান্ত অপমান করা হয়েছে। যে ইসলেমেই বিশ্বাস করে না, তাকে তার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দাফন-কাফন করাটা তার উপর অন্যায় ও তাকে অপমান করা।
০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:২৯
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ নিজেও এমন মানুষের জানাজা পড়তে নবীকে (সঃ) নিষেধ করেছেন।
৪| ২৮ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১:৫৯
বাকপ্রবাস বলেছেন: আবু সাইদ এর পরিবার প্রথম থেকেই বলে আসছে তারা ধর্মপ্রাণ, তাদের ছেলের কোন মূর্তি, প্রতিক এসব চায়না, এবং শেষ পর্যন্ত তাকে নিয়ে শোভাযাত্রা বন্ধ করা হয়েছে।
কবির সুমন এর কথা মনে পড়ল, তিনি মরনোত্তর তার দেহ দান করে দিয়েছিলেন কিন্তু সম্প্রতি মত পাল্টিয়ে কবর দিতে বলেছেন।
৫| ২৮ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ২:২২
ফিনিক্স! বলেছেন: সুন্দরভাবে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করেছেন, আমিও আপনার সাথে একমত। ধন্যবাদ।
০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:২৯
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ
৬| ২৮ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:০৮
শায়মা বলেছেন: একদম ঠিক লিখেছো ভাইয়া!
আমাদের দেশের মানুষের মাঝে মাঝে মনে হয় ফোপর দালালী ছাড়া চলেই না....
৭| ২৮ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি সব কিছুর সাথে ধর্ম মিলান কেন?
০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:৩০
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: সমস্যা আছে কোন?
৮| ২৮ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১:৩৯
রাসেল বলেছেন: সহমত পোষণ করছি। প্রত্যেকেই তার নিজস্ব ধর্মীয় রীতিনীতি অথবা ধর্মহীনতা অনুসরণ করবে। আমরা যা করি তা হলো, অন্যের ধর্মকে মিথ্যা অপবাদ দেই।
৯| ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:০৯
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মৃত্যুর পর কোন কায়দায় দাফন-কাফন করা নিয়ে কটাক্ষ করা ঠিক নয়।
জানাজা কবর ইত্যাদি নিয়ে মুসলমানদের গর্ব করার কিছু নেই।
ইসলামও বিভক্ত হয়রছে হজরত মোহম্মদ (স) বেচে থাকতেই। ৭২ ভাবে বিভক্ত হয়েছিল। এখন শতাধিক।
নবীকে দলীয় কোন্দলে বিষপ্রয়গে হত্যা চেষ্টাও হয়েছিল। বিষের দীর্ঘ বিষকৃয়ায় যন্ত্রনায় ওনার মৃত্যু, অনেকের ধারনা হাদিসেই আছে।
নবীজির মৃত্যুর পর গোত্র বিরোধে ৩ দিনেও কোন জানাজা দেয়া সম্ভব হয় নি। লাশ ছিনতাই এর ভয়ে। লাশে পচন শুরু হলে বেড রুমেই জানাজা বিহীন বিছানার নীচেই মাটিখুড়ে কবর দেয়া হয়েছিল।
এত বিশাল ধর্মিয় নেতা, ইসলামের সবচেয়ে বড় নবী। কিন্তু জানাজা পেলেন না। শেষ বিদায়ে মক্কায় লাখো মানুষের উপস্থিতিতে বিশাল জানাজা ওনার প্রাপ্য ছিল। কিন্তু হয় নি। গোত্র বিরোধে দলীয় কোন্দলে।
গর্ব করবেন না। গর্ব করার কিছু নেই।
০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:৩৫
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আপনার বিদ্যার দৌড় দেখে হেসেই অজ্ঞান হয়ে গিয়েছি। এখন জ্ঞান ফেরার পর কমেন্ট করতে বসলাম।
নবীর (সঃ) সময়ে ৭২ ভাগে ভাগ হয়েছিল?
দলীয় কোন্দলে মুসলিমরা নবীকে (সঃ) বিষ প্রয়োগ করেছিল?
"লাশ ছিনতাইয়ের ভয়ে" ৩ দিন পর্যন্ত নবীর দাফন হয়নি?
গোত্রীয় বিরোধের কারনে নবীর জানাজার নামাজ হয়নি?
লাশে পচন ধরায় কোন রকমে বেডরুমেই কবর দেয়া হয়েছে?
সত্যি করে বলেন তো, আপনি কি গাঞ্জা টেনেছেন, নাকি গাঞ্জা আপনাকে টেনেছে? এত মূর্খ হয়ে এত কনফিডেন্টলি কমেন্ট করার কনফিডেন্স কোন গাঞ্জা খেয়ে পান?
১০| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:৩৪
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধর্মান্ধতার গাঞ্জা টেনে বুদ্ধিসুদ্ধি হারিয়ে ফেলেছেন। এখন একটু লেখাপরা করে আসুন।
মোল্লাদের কথায় ইসলাম চলে না। ইসলামে মাত্র ২ টি কিতাব কোরান ও হাদিস। এর বাইরে কিছু নেই।
দেখুন কিভাবে গোত্রীয় বিরোধের কারনে নবীর জানাজার নামাজ হয়নি?
৩ দিন পর লাশে পচন ধরায় কোন রকমে বেডরুমে বিছানা সরিয়ে সেখানে কবর দেয়া হয়েছে
রাসূল (ছাঃ)-এর জানাযা এককভাবে হয়েছিল। সীরাতু ইবনে হিশাম ২/৬৬৪
জায়গার সংকীর্ণতার কারণে জামা‘আত করা সম্ভব হয়নি (আহমাদ হা/২০৭৮৫; মাজমাউয যাওয়ায়েদ হা/১৪২৭৩)।
ঘরের মধ্যে খননকৃত কবরের পাশেই তাঁর লাশ রাখা হয়। অতঃপর আবুবকর (রাঃ)-এর নির্দেশক্রমে দশ দশজন করে ভিতরে গিয়ে জানাযা পড়েন। জানাযায় কোন ইমাম ছিল না।
তারা জনে জনে এক দরজা দিয়ে প্রবেশ করে জানাযা পড়ে অন্য দরজা দিয়ে বের হয়ে গিয়েছিলেন। প্রথমে রাসূল (ছাঃ)-এর পরিবার-পরিজন, অতঃপর মুহাজিরগণ, অতঃপর আনছারগণ জানাযার ছালাত আদায় করেন। এভাবে একে একে পুরুষ, মহিলা ও বালকগণ পরপর জানাযা পড়েন। জানাযার এই দীর্ঘ প্রক্রিয়া মঙ্গলবার সারা দিন ও রাত পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। ফলে বুধবারের মধ্যরাতে দাফনকার্য সম্পন্ন হয় (সীরাতু ইবনে হিশাম ২/৬৬৪)। মানছূরপুরী বলেন, ইসলামী ক্যালেন্ডার অনুযায়ী সন্ধ্যার পরেই দিন শেষ হয়ে যায় এবং পরবর্তী দিন শুরু হয়। সেকারণ মঙ্গলবার ও বুধবারের মতভেদ দূর করার জন্য আমরা ঘণ্টার আশ্রয় নিয়েছি। সে হিসাবে মৃত্যুর প্রায় ৩২ ঘণ্টা পরে রাসূল (ছাঃ)-এর দাফন কার্য সম্পন্ন হয় (মানছূরপুরী, রহমাতুল্লিল আলামীন ১/২৫৩, ২/৩৬৮; দ্র. সীরাতুর রাসূল (ছাঃ) ৭৫৪ পৃঃ)।
নবী করিম (সা.)-এর জানাজা সুনির্দিষ্ট কোনো ইমামতিতে হয়নি। দ্বিতীয় কথা হলো, নবী করিম (সা.)-এর জানাজা ধাপে ধাপে সবাই পড়েছেন। সর্বপ্রথম রাসুল (সা.)-এর চাচা আব্বাস ইবনে মুত্তালিব (রা.) রাসুল (সা.)-এর জানাজার সালাত আদায় করেছেন। এরপর অন্যরা নবী (সা.)-এর জানাজার সালাত আদায় করেছেন। নবী (সা.)-এর জানাজার বিষয়টি সাহাবা কেরামদের কাছে কঠিন বিষয় ছিল। কারণ, সাহাবা কেরাম নবী (সা.)-কে তাঁদের জীবনের চেয়ে অনেক বেশি ভালোবাসত। এই অবস্থায় নবী (সা.)-এর জানাজা করা বা ইমামতি করা সাহাবীদের জন্য অনেক কঠিন হয়ে গিয়েছিল। সাহাবা কেরাম কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গিয়ে, তাঁরা দলে দলে নবী (সা.)-এর জানাজার সালাত আদায় করেছিলেন। নবী (সা.) ইন্তেকাল করেছিলেন সোমবারে এবং বুধবারের শেষের দিকে নবী (সা.)-কে দাফন করা হয়েছিল।
রাসুল (সা.)-এর দাফন : হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর দাফন কোথায় হবে এ নিয়ে সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। কেউ বলেন, মসজিদে নববির মিম্বরের কাছে দাফন করা হোক, কেউ বলেন, জান্নাতুল বাকিতে দাফন করা হোক। পরিশেষে হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) বলেন, আমি রাসুলকে (সা.) বলতে শুনেছি, নবীরা যেখানে মৃত্যুবরণ করেন তাকে সেখানেই দাফন করা হয়। (অন্য কোথাও দাফন করা হয় না)। এ মীমাংসার পর রাসুল (সা.) হজরত আয়েশা (রা.)-এর ঘরের যে বিছানায় মৃত্যুবরণ করেছিলেন সেখানেই দাফনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। হজরত আবু তালহা (রা.) নবীজির দেহ মোবারক উঠিয়ে একপাশে রাখলেন। তারপর সে স্থানে কবর খনন করা হলো। আর রাহিকুল মাখতুম : পৃ. ৮৪০
রাসুল (সা.)-এর জানাজা : রাসুল (সা.)-এর জানাজা সাহাবায়ে কেরাম যার যার মতো পড়েন। নির্দিষ্ট কোনো ইমামের ব্যবস্থা ছিল না। সর্বপ্রথম রাসুল (সা.)-এর পরিবার বনু হাশিমের লোকজন জানাজা আদায় করেন। এরপর ক্রমান্বয়ে মুহাজির ও আনসার সাহাবিরা জানাজা আদায় করেন। অতঃপর ক্রমান্বয়ে অন্য পুরুষ মহিলা ও শিশুরাও জানাজা আদায় করেন। তাবাকাতে ইবনে সাদ, আর রাহিকুল মাখতুম : পৃ. ৮৪১
সোমবার মারা যান, একে একে জানাজা আদায় করতে করতে মঙ্গলবার পুরো দিন লেগে যায়। মঙ্গলবার দিন অতিবাহিত হওয়ার পর বুধবার রাতের বেলা রাসুল (সা.)-এর দেহ মোবারক সমাহিত করা হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:২৭
চেংগিস খান বলেছেন:
তসলিমা জীবিত আছেন, উনাকে শতকোটী মানুষ সন্মান করেন। উনার সম্পর্কে আপনার কোন ধারণাই নেই। আপনার সম্পর্কেও আপনার ধারণা সঠিক নয়।