![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
গোপালগঞ্জ নিয়ে কয়েক রকমের খবর পাচ্ছি। ডিটেইল পড়ার সময় পাচ্ছিনা, তবে খবরগুলো এইরকম।
১. নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি ওদের দেশব্যাপী প্রচারণার অংশ হিসেবে গোপালগঞ্জে গিয়েছে।
২. সেখানে অনেক মারামারি হয়েছে, রীতিমতন যুদ্ধাবস্থা। একাধিক মানুষ মরার খবরও নিশ্চিত হয়েছে।
এখন কথা হচ্ছে, গোপালগঞ্জ হচ্ছে শেখ মুজিবের ঘাঁটি। ওখানে বাচ্চা জন্মের পরে কলেমা পড়ে পরে, আগে জয় বাংলা বলে। ওদের ধর্ম আওয়ামী ধর্ম। ওদের ঈমান আমল সবই আওয়ামী কেন্দ্রিক। সেখানে গিয়ে "মুজিববাদের পতন ঘটাবো" টাইপ মন্তব্য করলে পাবলিক রিয়্যাকশন কেমন হবে বলে আশা করা যায়? হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রে গিয়ে কেউ যদি "নরেন্দ্র মোদি জিন্দাবাদ" বলে, ঘটনা তেমনই হবেনা? কমন সেন্স কি বলে?
ওরা কি ধরে নিয়েছিল বাংলাদেশ অতি সভ্য দেশ? দেশের অন্যান্য জেলার মতন গোপালগঞ্জে গিয়েও কেউ স্বাধীনভাবে নিজেদের মতপ্রকাশ করতে পারবে, এবং অপরপক্ষ বিন্দুমাত্র রিয়েক্ট করবে না? তাহলে এরা মহা বেকুব। আমরা এতটা সুসভ্য হইনি। আরও কয়েকশো বছর লেগে যেতে পারে।
এছাড়া দিনভর ফেসবুকে পাবলিকের উষ্কানীমূলক পোস্টতো ছিলই। আওয়ামীলীগের লোকেরা উত্তেজনা ছড়াচ্ছিলেন, আওয়ামীবিরোধীরাও সমানে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছিল "গোপালগঞ্জের নাম পাল্টে দেয়া হবে" "আওয়ামীলীগের নাম নিশানা মুছে ফেলা হবে" ইত্যাদি ইত্যাদি। শেখ মুজিবের কবর ওখানে। এর আগে ৩২ নম্বরের বাড়ি গুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। কবরও যে গুড়ানো হবেনা সেটার কোন নিশ্চয়তা আছে? ওর সমর্থকরা খেপবে না? কাজেই পরিস্থিতি যে একটা সংঘর্ষের দিকে যাবে, সেটাতো অনুমিতই ছিল।
এখন দুই পক্ষই এমন মরা কান্না জুড়েছে যেন দুইজনই ভিক্টিম। কারোরই কোনই দোষ ছিল না।
"দেখেন আওয়ামী সন্ত্রাসী কিভাবে আক্রমন করেছে!"
পুলিশের গাড়ি, সরকারি অফিসারের গাড়ি, কারোর উপরই হামলা বাদ দেয়নি।
অন্যদিকে পুলিশ ও আর্মি হামলাকারীদের পেটাচ্ছে, সেটার ছবি দেখিয়ে আওয়ামীলীগের কান্না। যেন ওরা কিছুই করেনি, চুপচাপ বাড়িতে বসে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার ম্যাচ দেখছিল, পুলিশ ওদের বাড়ি থেকে ধরে টেনে এনে মারধর করেছে।
গত জুলাইয়ের সাথে এই জুলাইয়ের পার্থক্য হচ্ছে, গত জুলাইয়েও পুলিশ প্রতিবাদকারীদের পিটিয়েছিল, গুলি করে হত্যা করেছিল। তখন গোটা বিশ্বেই বাংলাদেশিরা ফুঁসে উঠেছিল। কারন ছিল আওয়ামী সরকারের উপর নানান বিষয়েই গত ১৭ বছরের ক্ষোভ।
এখন গোপালগঞ্জের হামলায় আওয়ামীলীগ ছাড়া কেউ টু শব্দও করছে না। এর কারন লাঠিয়াল-হেলমেট বাহিনীর স্মৃতি এখনও তাজা।
তবে পরিস্থিতি পাল্টাতে সময় লাগেনা। হেফাজতকে আওয়ামীলীগ যখন পিটিয়েছিল, কেউ শব্দ করেনাই। নিরাপদ সড়ক দাবির আন্দোলনে যখন একই কাজ করেছিল, কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ হয়েছিল। কিন্তু আবু সাইদ গুলি খাবার পরে আর কেউ ধৈর্য্য ধরে রাখেনি।
এক্ষেত্রেও এনসিপি বা অন্তর্বর্তী সরকারকে একটু সাবধান হতে হবে। ইতিহাস বারবার ঘুরে ফিরে আবর্তিত হয়।
একটা ব্যাপার লক্ষণীয়, জোর করে কোন কিছু কখনই চাপিয়ে দেয়া যায় না। আওয়ামীলীগ জোর করে বঙ্গবন্ধুকে গেলানোর চেষ্টা করেছিল। আমাদের ইতিহাস পাল্টানো হয়েছিল। জিয়াকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আর পাকিস্তানের এজেন্ট প্রমান করার যত রকমের চেষ্টা সম্ভব, সব করা হয়েছিল। কিছু তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের লেখা পড়লে মনে হবে বাংলাদেশে তখন কেবল ক্র্যাক প্ল্যাটুন যুদ্ধ করেছিল, আর দেশ স্বাধীন হয়ে গেছে।
এতে উল্টো ফল হয়েছে। এটাই স্বাভাবিক।
এখন যেমন সবকিছু থেকে শেখ মুজিবের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। সুযোগের ফায়দা তুলতে জামাতে ইসলামী মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। ইতিহাস এমনভাবে সাজানো হচ্ছে যেন দেশ স্বাধীনতার পেছনে শেখ মুজিবের কোন ভূমিকাই ছিল না।
এতেও উল্টোটা ঘটবে। শেখ মুজিব আবার ভিক্টিম হবে, পাবলিক সিম্প্যাথি পাবে, আওয়ামীলীগ আবারও জনপ্রিয়তা পাবে। ইতিহাসে এর আগেও এমনটা ঘটেছে।
এমনিতেই এই সরকার গত এক বছরে খুব একটা প্রশংসনীয় কাজ করেছে বলে মনে হচ্ছে না। চুরি, ছিনতাই ইত্যাদি ঠ্যাকাতে পারছে না। দুর্নীতি কতটা বন্ধ হয়েছে? ডলারের দাম কি কমানো গেছে? রিজার্ভে ডলার কতটা বেড়েছে? আওয়ামীলীগ আমলের সবচেয়ে আলোচিত হত্যামামলা সাগর-রুনির তদন্দের কতদূর? তনু-ত্বকী খুনের মামলার কি হালহকিকত? আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে কবে? উল্টো দেখছি এককালের চিহ্নিত সন্ত্রাসীকেও বেকসুর খালাস করে দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা কি আদৌ কোনদিন হবে? পুলিশ কতদিন সরকারি দলের দলদাস হিসেবে কাজ করবে? সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ইত্যাদির নির্মূল হয়েছে? একটা বছরতো কেটে গেল।
এইগুলিতে ফোকাস করুক। পাবলিক দেখুক একটা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটা স্বৈরাচারী সরকার পতনের পরে দেশের চেহারা কেমন পাল্টেছে। এর আগেও এরশাদের পতন ঘটেছিল। তখনও এইভাবেই পথে নেমে মানুষ প্রাণ দিয়ে এরশাদকে গদি ছাড়তে বাধ্য করেছিল।
কিন্তু দুই নেত্রীর শাসন দেখে এমন বহু লোককে বলতে শুনেছি "এরচেয়ে এরশাদই ভাল ছিল।"
বর্তমানে শুধু আফসোস লীগ বলে "আগেই ভাল ছিলাম।"
কিন্তু জোর জবরদস্তি করলে, এবং কাজের কাজ কিছু না করে শুধু গলাবাজি করে গেলে একটা সময়ে সাধারণ পাবলিকও বলবে "আগেই ভাল ছিলাম।"
২| ১৭ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ৭:২৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিববাদের ধুয়া তুলে পিলখানা, শাপলা চত্বর , ১৭ বছর ধরে গুম খুন , ২৪ শে গনহারে ছাত্র জনতা গনহত্যার পরেও যারা আওয়ামিলীগকে একটা রাজনৈ্তিক দল বলে মনে করে , তাদের চিন্তায় খুবই বড় ধরনের সমস্যা আছে। আপনি আপনার এমন চিন্তাধারা নিয়ে একটু ভাবেন।
৩| ১৭ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ৯:১৭
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: গোপালগঞ্জে আম্লিগের চরিত্র প্রকাশ পেয়েছে।
৪| ১৭ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ৯:২২
রাজীব নুর বলেছেন: গোপালগঞ্জের সাথে অন্যায় করা হয়েছে।
শেষমেশ তো এনসিপির পালিয়ে আসতে হয়েছে আর্মির ট্যাংকে করে।
৫| ১৭ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ১০:২৬
মেঘনা বলেছেন: গোপালগঞ্জ রক্ত দে
৭৫ এর বদলা নে।
৬| ১৭ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:২১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশের ইতিহাসে কবে কোন রাজনৈতিক দল সেনাবাহিনীর ট্যাঙ্ক কামান নিয়ে রাজনৈতিক সভা করতে যায়?
বাংলাদেশের ইতিহাসে কোন রাজনৈতিক দলর সন্ত্রাসি কাজে রাষ্ট্র এভাবে প্রোটেক্ট, প্রোমোট করে? করতে বারাক ওবামার মত রীতিমতো কন্ট্রোল রুম খুলে গালাগালি করে গুলির নির্দেশ দেয়?
একমাত্র 'ছিপিপার্টি'।
এরপরও ছিপিপার্টির কোন নেতাকর্মী আঘাতপ্রাপ্ত হয়নি। একটা চুলের টোকাও লাগে নি।
পুলিশ ও আর্মিরও কেউ আঘাতপ্রাপ্ত হয়নি।
এরপরেও গ্রামবাসীদের ধর ধর স্লোগান শুনে ভয় পেয়ে হামাগুড়ি দিয়ে ইদুরের মত ট্যাঙ্কে লুকায়ে ট্যাঙ্কের ছিপি আটকায়।
আর কথিত দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনী কন্ট্রোল রুম থেকে নির্দেশ পেয়ে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করলো। রাতে আরো মারছে।
আপনাদের লজ্জা হওয়া উচিত।
৭| ১৭ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:২৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সরকারের দায় আছে। বড়ো কপাল গুণে এমন হোম এডভাইজার পেয়েছি ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই জুলাই, ২০২৫ ভোর ৬:০২
মাথা পাগলা বলেছেন: ৩০ হাজার সামরিক সদস্য নিয়ে গোপালগঞ্জে "মুজিব মুর্দাবাদ" স্লোগান দিতে যাওয়াটাকে কোন দিক থেকে সভ্য, গণতান্ত্রিক বা যুক্তিসংগত বলা যায়? এটা কি মত প্রকাশের স্বাধীনতা, নাকি পরিকল্পিত বিশৃঙ্খলা? সেনাবাহিনীর মতো একটি সরকারি সংস্থাকে রাজনৈতিক শ্লোগানের অংশ বানানো কতটা বিপজ্জনক হতে পারে, সেটা কি ভেবে দেখেছেন?