নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চন্দ্রবিন্দু

রবীন্দ্রনাথ এক সময়ে বিস্ময়ের সঙ্গে আবিষ্কার করেছিলেন যে, আরো অনেক ভাষার মতো বাংলাভাষায়ও আমরা বা

দুশশাহোশ

দুশশাহোশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

য এর কি কোন প্রয়োজন আছে?

১০ ই জুন, ২০০৭ রাত ৯:১১

য এর প্রাচীন সংস্কৃত উচ্চারণ ছিল ইঅ (ya) -র মতো কিন্তু বাঙলা উচ্চারণে এটি পরিষ্কার 'জ'।



বাঙলা ভাষায় এই দুটো 'জ' (জ, য) এর কোন উচ্চারণ পার্থক্য নেই।



যথাঃ

যম = জম

জামাই = জামাই

যদি = জোদি

জগৎ = জগোত

যখন = জখন

যাচে = জাচে

জন্তু = জনতু

জন্ম = জনম

যায় = জায়

যাত্রা = জাতত্রা

যুগ = জুগ

যুক্তি = জুকতি

যত = জত ইত্যাদি



সুতরাং য কে বাঙলা বর্ণমালা থেকে বাদ দিলে কোন অসুবিধা নেই। জ নিজের কাজ করে য এর কাজও করতে পারবে।

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুন, ২০০৭ রাত ৯:১৪

মদন বলেছেন: কোন কোন অক্ষর বাদ দিতে হবে একবারে কন।
বার বার বাদ দেওনের টাইম নাই :)

২| ১০ ই জুন, ২০০৭ রাত ৯:১৬

ত্রিভুজ বলেছেন: "ণ" এর ব্যাপারে আপনার সাথে সহমত থাকলেও এইটার ব্যাপারে নাই... "য" এর জায়গায় "জ" ব্যাবহার করতে অনেক আনইজি লাগবে...

যেমন দেখুন...
যায় যায় দিন = জায় জায় দিন... (ক্যামন জানি.. )

৩| ১০ ই জুন, ২০০৭ রাত ৯:১৯

ত্রিভুজ বলেছেন: চেষ্টা করেন "ত" এর উপর "র-ফলা" দিয়ে আলাদা করে "ত" বর্ণটাকে দেখানো যায় কিনা। জীবনে প্রথমবার বাংলায় "ত্রিভুজ" লিখেছিলাম এই ব্লগে। ভাবলাম ভালই... 'ত' টা দেখতে বেশ লাগে....! শেষ পর্যন্ত জানলাম "ত" এর উপর "র-ফলা" দিলো তা দেখতে "ত্র" এর মত হতে হবে.. যেটা দেখতে খুবই বিরক্ত লাগে...


দেখেন ব্যাকরন আমার এই সমস্যার কোন সমাধান দিতে পারে নাকি.. ... সমাধান দিতে পারলে কে.এফ.সি তে খাওয়ামু.. কথা দিলাম..

৪| ১০ ই জুন, ২০০৭ রাত ৯:২১

মদন বলেছেন: যানবাহন - জানবাহন
যাযাবর - জাজাবর
চলে যা - চলে জা
যাইতাছি - জাইতাছি

কিজানি বাপু.. বাদ দিলেও আমার সমস্যা নাই।

ম - দ - ন এই তিনডা অক্ষর থাকলেই আমি খুশি :)

৫| ১০ ই জুন, ২০০৭ রাত ৯:২৮

দুশশাহোশ বলেছেন: ত্রিভুজ@ঠিকই বলেছেন, দেখতে যেন কেমন লাগে। শুধু 'য' আর 'জ' না। যে কোন লেখা যেহেতু আমরা চোখ দিয়ে পড়ি তাই চোখের একটা অভ্যস্ততার ব্যপার আছে। যে কোন বানানরীতি পরিবর্তন করলেই, চোখে প্রথম প্রথম খটকা লাগবে।
যেমন, লক্ষ্য করুন। যায়যায়দিনে গ্রীক বানান লেখা হয় গৃক হিসাবে। আমরা কিন্তু গ্রীক বানানে অভ্যস্ত। গৃক দেখতে জানি কেমন। আবার কিছু দিন পড়ার পর এখন গৃক বানান স্বাভাবিক মনে হয়।

৬| ১০ ই জুন, ২০০৭ রাত ৯:৩২

গোপাল ভাঁড় বলেছেন: ঠিকাছে, দেন বাদ দিয়া দেন...

৭| ১০ ই জুন, ২০০৭ রাত ৯:৪২

ধুসর গোধূলি বলেছেন: জান আর যান এর মইধ্যে তফাত বাইর করবেন কেমনে?

৮| ১০ ই জুন, ২০০৭ রাত ৯:৪৭

গোপাল ভাঁড় বলেছেন: যাঝা আর জাঝা র ব্যাপারটা দেখবা না..

৯| ১০ ই জুন, ২০০৭ রাত ৯:৪৮

বন্ধনহীন বলেছেন: ভাইজান, আপনি একটা পোস্ট দেন জার নাম হবে:
"নতুন বাংলা বর্নমালা: দুশশাহোশীয় প্রস্তাব"
এরপর আলোচনা করা যাবে (থুক্‌কু জাবে)।

১০| ১০ ই জুন, ২০০৭ রাত ৯:৫৯

উত্তরেরকল্পতরু বলেছেন: বুঝলাম আপনি সাহসী। কিন্তু নিরীহ য এর সাহসী কুঠার কেন আঘাত করতে চাইছে বুঝি না। য আর জ এর মধ্যে যথেষ্ঠ পরিমাণ পার্থক্য রয়েছে। যেমন উচ্চারণে তেমনি আকার আকৃতিতেও। তাই বলি য-কে তার মতই থাকতে দিন। আরও অনেক অসামঞ্জস্য আছে বাংলায় সেদিকে বরং মনোযোগ দিন।

১১| ১০ ই জুন, ২০০৭ রাত ১০:০১

দুশশাহোশ বলেছেন: জান আর যান এর মধ্যে পার্থক্য হবে, বাক্যে।
জান = দৈবজ্ঞ, গণক, সর্বজ্ঞ
জান = প্রাণ, জীবন (জান নিয়ে টানাটানি)
যান = যাতে চড়িয়া যাওয়া যায় (যানবাহন, গো-যান)
যানজট, যানবহন ইত্যাদি।
এখন যদি লেখা হয়। রাস্তায় খুব জানজট। নিশ্চই কেউ অর্থ করবে না, রাস্তায় খুব প্রাণজট।
লোকটার অবস্থা খুব খারাপ। জান নিয়ে টানাটানি। কেউ নিশ্চই মনে করবে না গাড়ি নিয়ে টানাটানি। অর্থাৎ শব্দের পূর্ণ অর্থ প্রকাশ পায় বাক্যে।

১২| ১০ ই জুন, ২০০৭ রাত ১০:০৪

দুশশাহোশ বলেছেন: উত্তরেরকল্পতরু@ একথা সত্য 'য' আর 'জ' এর মধ্যে আকৃতিগত পার্থক্য আছে। কিন্তু উচ্চারণগত কোন পার্থক্য নাই। আপনি এ ব্যপারে নরেন বিশ্বাসের বঙলা উচ্চারণ অভিধান টা দেখতে পারেন। প্রকাশক বাংলা একাডেমী।

১৩| ১০ ই জুন, ২০০৭ রাত ১০:২১

ধুসর গোধূলি বলেছেন: প্রেম করছেন কোনদিন?
কইরা থাকলে বেটিরে 'যান' কইয়া ডাক দিয়া দেইখেন। পিডাইয়া ঠ্যাঙ ভাইঙা দিবো।

১৪| ১০ ই জুন, ২০০৭ রাত ১০:২৬

দুশশাহোশ বলেছেন: বানান না করলেই হবে।
তবে আশার কথা আমরা কেউই বানান করে কথা বলি না।

১৫| ১০ ই জুন, ২০০৭ রাত ১০:৩৫

এস্কিমো বলেছেন: অফ যা = অফ জা

১৬| ১০ ই জুন, ২০০৭ রাত ১০:৫৩

বন্ধনহীন বলেছেন:

১৭| ১০ ই জুন, ২০০৭ রাত ১০:৫৯

পাগলা দাশু বলেছেন: যদি = জোদি
জগৎ = জগোত
যখন = জখন
যাচে = জাচে
জন্তু = জনতু
জন্ম = জনম

দাদা যেগুলো লিখেছেন এইসব গুলোর উচ্চারণ রীতি(যেমনঃ যদি=জোদি) যদি আপনার কাছে এক হয় তবে আপনার অতিসত্ত্বর বাংলা উচ্চারণ শেখা উচিত। বর্ণমালায় ছুরি-চাকু চালানোর আগে উচ্চারণ একটা বড় ইস্যু।

জন্ম এবং জনম দুটো শব্দের উচ্চারণ এবং ব্যবহারিক অর্থ ভিন্ন। আপনি একটা ইক্যুয়াল চিহ্ন দিয়ে লিখে দিলেন। আপনার ত্রিভূজবর্গীয় বুদ্ধিজীবি হবার ইচ্ছে থাকলে আমাদের বলুন, বর্ণমালা নিয়ে এত কষ্ট করবার দরকার নেই।

১৮| ১০ ই জুন, ২০০৭ রাত ১১:০৩

এস্কিমো বলেছেন: ত্রিভূজবর্গীয় বুদ্ধিজীবি....হা হা হা
দাশু বলেছেন বেশ...জাঝা ১০০

১৯| ১০ ই জুন, ২০০৭ রাত ১১:১২

মৈথুনানন্দ বলেছেন: মামু - রেফারেন্স উল্লেখ করতে ভুলে গ্যাচো!

আর কষ্ট করে অনুবাদ করোনা - তার চে সবাই বইটা কিনে নিক - কি বলো?

Pabitra Sarkar - The Generative Phonological Component of the Grammar of Bengali

২০| ১০ ই জুন, ২০০৭ রাত ১১:৩২

মেন্টাল বলেছেন: ভাইযান, আপনে বাংলা কথা শোনেন না কতোদিন হইছে?

২১| ১৫ ই জুন, ২০০৭ রাত ৩:৩০

তাহমিদাল বলেছেন: না, বাংলা অ্যাকাডেমী প্রণীত প্রমিত বাংলা বানান রীতি অনুসারে গ্রীক না, এইটা হইব `গ্রিক'।
যা-ই হোক, `গ্রীক' বানানও প্রচলিত।
আপনে ঞ, ণ, য, ষ, স - এই পাঁচটা বর্ণকে বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করতেছেন। বাংলা ভাষাকে বাদ দিয়ে সর্বস্তরে লাভজনক ইংরেজি ভাষার চল করার প্রস্তাব দিলে তার জওয়াব দেওয়া সহজ হইত। আপনের প্রস্তাব বাংলা ভাষারে রাইখা তা থেইকা পাঁচখান বর্ণরে বাদ দেওয়া। এই প্রস্তাবের উদ্দেশ্য কী, বা তা বাস্তবায়ন কইরা বাংলা ভাষাভাষীদের কী লাভ হবে - সেই ব্যাপারে আপনে তেমন কিছুই কন নাই, খালি এক মন্তব্য কইছিলেন ভবিষ্যত্ প্রজন্ম উপকৃত হবে। কীভাবে উপকৃত হবে - সেই ব্যাখ্যা আপনে দেন নাই। আপনের প্রসঙ্গ এই যে বাংলা উচ্চারণে এই বর্ণগুলার ব্যবহার নাই। তয় আমরা তো দেখতে পাই যে বর্ণগুলার কমবেশি ব্যবহার আছে। যথা - `মিঞা' বা `মঞ্চ' বলতে `ঞ', `কণ্টক' বলতে `ণ', `অষ্ট' বলতে `ষ' ব্যবহৃত হয়। এই তিন বর্ণের বহুল ব্যবহার নাই। `ঞ'-এর ব্যবহার খুব কম আর `ণ' বা `ষ'-র উচ্চারণ কেবল যুক্তাক্ষরে মানে এই দুই অক্ষরের স্বতন্ত্র উচ্চারণ যথাক্রমে `ন' ও `শ'-র মতো। `য'-র উচ্চারণ `জ'-র অনুরূপ, যদিও দুইটা আলাদা উচ্চারণ চাইলে দেখানো যায়, একটা তালব্য, আরেকটা বোধহয় দন্ত্য। তবে `স'-র স্বতন্ত্র উচ্চারণ আছে। `স' দন্তমূলীয় ধ্বনি; যদিও অনেক জায়গায় `স'-র উচ্চারণ `শ'-র মতোই।
আপনে লক্ষ করছেন যে উচ্চারণে না থাকলেও লেখতে গেলে এগোরে বাঙালিদের দরকার হয় যেহেতু বহুদিন ধইরা এদের তারা ব্যবহার করে। সম্পর্কটা ভালোবাসার। আর বাংলা ভাষার বানান রীতি পুরাপুরি উচ্চারণানুগ না।
এখন আপনে পরিষ্কার করেন কী কী কারণে এদের বাংলায় দরকার নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.