নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটা সময় ছিল যখন মানুষ ভালোবাসার কথা চিন্তা করলেও করতে পারত না।কারন ছেলেরা তখন ভাবত ভালোবাসাটা সমাজে গ্রহন যোগ্য নয় এটাকে সমাজে অবৈধ হিসেবে স্বীকৃতি দিবে আর মেয়ে তখন ভালোবাসার কথা চিন্তা করলেও করতে পারতো না কারন তারা ভাবত যে একটি মেয়ে ভালোবাসার কথা প্রকাশ করলে তার পরিবারের মান সম্মান সব শেষ হবে।তাই তারা সেকালে ভালোবাসা থেকে দূরে থাকতো।
তারপর আবার যুগ ও সময় পরিবর্তন হলো,
তখন ভালোবাসা সমাজে গ্রহন যোগ্যতা পায়।কারন তখন ছেলের পরিবার মনে করতো যে ছেলেতো স্বাবলম্বী ভালবাসলে ভাসুক বিয়েতো ভালোসার মানুষকেই করবে।আর তখন মেয়ে ও মেয়ের পরিবারও স্বাবলম্বী ছেলেকেই প্রেম নিবেদনের জন্য মানত কারন তখনকার প্রেম ছিল মধুর মত মিষ্টি কারন তখনে ভালবাসলে ছেলে মেয়েকে বিয়ে করতোই । তবে শর্ত ছিল একটাই মেয়েকে পর্দা করতে হবে এবং ছেলেকে চোখের ইশারায় প্রেম নিবেদন করতে হবে।
কিন্তু বর্তমান যুগের ও সময়ের,
প্রেম ভালোবাসাটা হয়ে গেছে এক প্রকার খেলা।এ যুগের প্রেম ভালোবাসা অতীতের প্রেম ভালোবাসাকে অসম্মান করে।কারন বর্তমানের ছেলেরা শুধু মাত্র লোক দেখানোর জন্য, টাইম পাস করার জন্য ও শারীরিক চাহিদার জন্যই ভালোবাসা করে এবং এটি কোনো ভালোবাসার মধ্যে পরে না।এটি বর্তমান যুগের ছেলেদের এক প্রকার জঘন্যতম চাহিদা যেটি ভালোবাসার নামে কলঙ্ক ও অতীতের ভালোবাসাকে অসম্মান করে। এবং আমি শুধু বলবোই না এ ধরনের ভালোবাসার জন্য শুধু ছেলেরা দাই তা বললে অন্যায় হবে কারন এ ধরনের ভালোবাসার জন্য এ যুগের মেয়েরাও দাই। কারন এ যুগের মেয়েরা টাইট ফিট ড্রেস, ঠোটে লিপস্টিক,মেকআপ ইত্যাদি করে ছেলেদের আকর্ষিত করে যার কারনে এ যুগের ভালোবাসাটা নোংরামিতে পরিনত হয়েছে।এখনকার প্রেম মানেই হলো প্রেমিকার সাথে প্রেমিকার স্ব-ইচ্ছায় নোংরামি করা।বাবা-মায়ের শরীরের ঘাম দিয়ে অর্জিত টাকা দিয়ে প্রেমিক বা প্রেমিকাকে নিয়ে ডেটিং এ যাওয়া।এটিই হচ্ছে বর্তমান যুগের প্রেম ভালোবাসা।
এই ভালোবাসা ও প্রেমটি আমাদের সমাজে জন্য ভয়ংকর হবে,আগামীদিনের জন্য আরো ভয়ংকর হবে,আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য আরো ভয়ংকর হবে।তাই আসুন আমরা সকলে এইসব ভালোবাসা নামক কলঙ্ক কে সমাজ থেকে বর্জন করি এবং আমাদের সামনে এমন ঘটনা ঘটলে প্রতিবাদ করি মার-পিট করে নয় অতীতের ভালোবাসার বর্ণনা করে ও অতীতের ভালবাসা থেকে শিক্ষা নিয়ে।তাহলে আমরা পারবো সুন্দর সুষ্ঠু সমাজ গঠন করতে।
আমার লেখায় যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।
।
লেখক,
মেরাজ চৌধুরী মুবিন,
প্রতিষ্ঠাতা,প্রধান উদ্যোক্তা ও সহকারী-পরিচালক,
উদ্দীপনা সামাজিক সংঘ।
©somewhere in net ltd.