নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"নিশ্চয়ই তিনি (হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর রাসূল এবং শেষনবী।\" - সূরা আহযাব : ৪০

NurunNabi

লিখক শিক্ষাবিদ ও গবেষক

NurunNabi › বিস্তারিত পোস্টঃ

একই রমাদ্বানে চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণ সংক্রান্ত \'দারেকুতনী\' এর বর্ণনাটি কি রাসূল (সাঃ)-এর বাণী ছিল?

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫০



ছবি : নবী রাসূল এবং একই সাথে ইমাম মাহদী ও ঈসা (আ)-এর রূপক দাবীদার ভারতীয় মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী

প্রশ্ন :- একই রমাদ্বানে চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণের ঘটনা কি মাহদিয়তের আলামত? রাসূল (সাঃ) থেকে এরকম কোনো কথা প্রমাণিত কিনা?

জবাব :- না, এটি মাহদিয়তের আলামত - এরকম কোনো কথা বিশুদ্ধ সনদ (সূত্র) দ্বারা প্রমাণিত নয়; এমনকি এধরনের কোনো কথা রাসূলেপাক (সাঃ) এর বাণী দ্বারাও প্রমাণিত নয়। এ সম্পর্কে আমার রচিত 'আহমদীবন্ধু ইসলামে ফিরে এসো' বইটিতে সবিস্তারে লিখে দিয়েছি। আজ আপনাদের এ সম্পর্কে আরো কিছু নতুন তথ্য দিতে চাই। আমার এ লেখাটি নিশ্চয় আহমদীবন্ধুদের চমকিয়ে দেবে। অবাক হয়ে বলবে যে, এ কি!! তাই বুঝি! এসব আগে কেন জানতাম না? আমাদের কিজন্য একপেশে জ্ঞান দেয়া হয়েছিল? আজ যা পড়ে দেখছি তা যদি সত্যি হয় তাহলে তো মির্যা সাহেবের মাহদিয়তের পক্ষের একমাত্র মজবুত দলিলটাও খোয়াতে হচ্ছে!

চলুন এ সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু জ্ঞান নিই।

প্রথমত, মাহদিয়তের আলামত হিসেবে হাদীস নামক বর্ণনাটি "দারে কুতনী" নামক হাদীসের একটি কিতাবে পাওয়া যায়। যেটি রাসূল (সাঃ)-এর কথা নয়, কোনো সাহাবীরও কথা নয়। হ্যাঁ এটি মুহাম্মদ বিন আলী বিন হোসাইন-এর নিজের বক্তব্য (তিনি আবূ জা'ফর আল-বাকের নামে পরিচিত)। 'দারেকুতনী' কিতাবটির "বাবুল ঈদাইন" শীর্ষক পৃষ্ঠাটি খুলে দেখুন, সেখানেই দেখতে পাবেন যে, হাদীসটির সনদ (ধারাবাহিক সূত্র) মুহাম্মদ বিন আলী (রহঃ) পর্যন্ত গিয়ে সমাপ্ত হয়ে গেছে।

নিচের স্কিনশট থেকে দেখে নিন

(দারে কুতনী)

মজার ব্যাপার হল, দারেকুতনী কিতাবের সংকলক নিজেও বর্ণনাটির একজন রাবী (বর্ণনাকারী) "আমর ইবনে শামির আল জা'ফী" নামক ব্যক্তিকে "মাতরূকুল হাদীস" (হাদীস বর্ণনার জগতে পরিত্যাজ্য) বলেছেন। (তালখীছুল মুসতাদরিক ১/২৪৬ দ্রষ্টব্য)। নিচে আরো দেখুন!

বর্ণনাটির কয়েকজন রাবীর মধ্যে "আমর ইবনে শামির আল জা'ফী" সম্পর্কে মুহাদ্দিসগণের দৃষ্টি ভঙ্গি হচ্ছে-
1075 - عمرو بن شمر الجعفي الكوفي الشيعي أبو عبد الله عن جعفر بن محمد وجابر الجعفي والأعشم روى عباس عن يحيى ليس بشيء وقال الجوزجاني زائغ كذاب وقال بن حبان رافضي يشتم الصحابة ويروي الموضوعات عن الثقات وقال البخاري منكر الحديث قال يحيى لا يكتب حديثه

জারহু ওয়াত তা'দীল এর কিতাব 'তালখীছুল মুসতাদরিক' এর পাতাটি দেখতে ক্লিক করুন

(১) ইমাম ইয়াহিয়া ইবনে মুঈন বলেনঃ সে অনির্ভরযোগ্য। তার বর্ণিত হাদীস লিখার অযোগ্য। (লিসানুল মীযান, রাবী নং ১০৭৫; ইবনে হাজার আসকালানী রহঃ; মিযানুল ইতিদাল ২/২৬২; ইমাম যাহাবী রহঃ। আরো দেখুন, তালখীছুল মুসতাদরিক ১/২৪৬ [স্কিনশট দ্রষ্টব্য]; ইমাম যামাখসারী রচিত, তাখরীজুল আহাদীস ওয়াল আছার, সূরা জুমা, পৃষ্ঠা নং ১০০৩)।

(২) ইমাম আল-ঝূযঝানী (الجوزجاني) বলেনঃ সে সঙ্কীর্ণমনা ও চরম মিথ্যাবাদী। (রেফারেন্সঃ ঐ)

(৩) ইমাম ইবনে হাব্বান (রহঃ) বলেন, সে ছিল রাফেজি [শীয়া], সাহাবাদের গালমন্দকারী, বিশ্বস্ত রাবীদের নাম ভেঙ্গে জাল হাদীস বর্ণনাকারী। (রেফারেন্সঃ ঐ)

(৪) ইমাম বুখারী বলেনঃ তার বর্ণিত এই হাদীস "মুনকার (অনির্ভরযোগ্য)"। (রেফারেন্সঃ ঐ)

(৫) ইমাম নাসায়ী এবং ইমাম দারেকুতনী দুইজনই বলেছেন, সে "মাতরূকুল হাদীস" বা হাদীসের জগতে পরিত্যাজ্য। (রেফারেন্সঃ ঐ)।

এই বর্ণনার আরেকজন রাবী হলেন "জাবের ইবনে ইয়াযিদ আল-জা'ফী" (মৃত : ১২৮ হিজরী)। ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) তাকে অনেক বড় মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছিল (ইমাম ইবনে আদী রচিত 'আল কামিল ফী দ্বু'আফায়ির রিজাল' ২/১১৩ দ্রষ্টব্য) স্কিনশট দেখে নিন। ইমাম ইবনে হাব্বান তিনিও বলেছেন, জাবের আল জা'ফী নামক এই ব্যক্তি সাবায়ীচক্রের (হযরত উসমান হত্যাকান্ডের ষড়যন্ত্রকারী) দলভুক্ত ছিল। (রেফারেন্স : ইবনে হাব্বান রহঃ সংকলিত 'আল-মাজরূহীন মিনাল মুহাদ্দিসীন', বাবুল আঈন; আরো দেখুন, তাহযীবুত তাহযীবঃ ১/২৮৫; ইবনে হাজার রহঃ)।

এখন নিরপেক্ষভাবে চিন্তা করে বলুন তো এই ধরণের বর্ণনা কিরূপে দলিল হিসেবে গ্রাহ্য হবে? সব চেয়ে বড় ব্যাপার হল, এটি না রাসূল (সাঃ)-এর বক্তব্য আর না কোনো সাহাবীর বক্তব্য; কারো-ই বক্তব্য নয়।

তৃতীয়ত, তর্কের খাতিরে রেওয়ায়েতটি কিছুক্ষণের জন্য যদি সঠিক মেনে নিই, তবুও বিপত্তি থেকেই যায়। কারণ, বর্ণনাটির ভাষ্য হল "ইন্না লি-মাহদীনা আয়াতাইনি লাম তাকূনা মুনযু খালক্বিস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি"।

'দারেকুতনী'র উল্লিখিত বর্ণনাটিতে পরিষ্কার লেখা আছে "আমাদের মাহদীর দুটি আলামত বা নিদর্শন এমন রয়েছে যা নভোমণ্ডল আর ভূমন্ডলের জীবন ইতিহাসে সংগঠিত হয়নি"।

প্রিয়পাঠক! খুব খেয়াল করুন। যে দুটি নিদর্শন (একই রমাদ্বানে চন্দ্র এবং সূর্যগ্রহণ লাগা)'র কথা এসেছে সেটি যেনতেন কোনো নিদর্শন নয়। তাহলে সেটি কিরূপ নিদর্শন? হ্যাঁ, সেটি এইরূপ নিদর্শন যেটি ইতিপূর্বে আর কখনো সংঘটিত হয়েছে এমন না। আর যদি সাধারণ কোনো ঘটনা হওয়াই প্রমাণিত হয় তখন প্রমাণিত হবে যে, এইরূপ কোনো ঘটনাকে মাহদিয়তের নিদর্শন মনে করা ভুল এবং এইরূপ যে কোনো বর্ণনা-ই পরিত্যাজ্য।

একই রমাদ্বানে চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণ সাধারণ কোনো ঘটনা কিনা?

Encyclopedia Britannica দেখুন, সেখানে 'গ্রহণ' সম্পর্কে গবেষণাধর্মী কিছু তথ্য পাওয়া যায়। খ্রিস্টপূর্ব ৭৬৩ বছর থেকে ১৯০১ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ২৬৬৪ বছর অব্ধি চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণের উপর বিশদভাবে কিছু তথ্য উল্লেখ আছে। আরো উল্লেখ আছে, প্রত্যেক ২২৩ বছর পরপর এইরূপ "গ্রহণ" এর পুনঃবৃত্তি ঘটে থাকে। ইতিপূর্বে এই 'গ্রহণ' যেই মাসে, যেই পদ্ধতিতে এবং যেই সময়টিতে হয়েছিল পরবর্তী ২২৩ বছর পরেও সেটি অভিন্ন নিয়মে ঘটে থাকবে। এই হিসেবে অনুসন্ধান করে দেখা গেছে যে, গত অষ্টাদশ শতাব্দীতে হিজরীর ১২৬৭ (১৮৫১ইং) হতে হিজরী ১৩১২ এর ভেতর মাত্র (১৩১২-১২৬৭) পয়তাল্লিশ বছরের ব্যবধানে একই রমাদ্বানে চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণের ঘটনা পাঁচবার (০৫) ঘটেছিল। কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের পাক্ষিক আহমদী ১৫ই এপ্রিল ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ সংখ্যাতেও একথাগুলো স্বীকার করা হয়েছে। নিচে দেখুন-

(ক) ১৮৫১ খ্রিষ্টাব্দে (১২৬৭ হিজরী মুতাবেক) চন্দ্রগ্রহণ এবং সূর্যগ্রহণ হয়েছিল। সে সময় চন্দ্রগ্রহণ হয় ১৩ই জুলাই এবং সূর্যগ্রহণ হয় ২৮ই জুলাই। তখন একমাত্র মাহদী দাবীদার ছিলেন ইরান বংশোদ্ভূত বাহায়ী জামাতের প্রতিষ্ঠাতা আলী মুহাম্মদ বাব। তার মাহদিয়ত দাবির ৫ বছর পরেই এটি সংঘটিত হয়। কারণ তিনি ১৮৪৮ সালে নিজেকে ইমাম মাহদী দাবী করেন। মজার ব্যাপার হল, সেই শতাব্দীতে মুহাম্মদ আহমদ সুদানী (সুদান, আফ্রিকা) সাহেবও মাহদী দাবী করেছিলেন। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৮৪৪ খ্রিষ্টাব্দে। তার বয়স যখন ২৮ বছরে পদার্পণ করে তখনো ১২৮৯ হিজরীতে (১৮৭২ খ্রিষ্টাব্দ) একই রমাদ্বানে উভয়গ্রহণ সংঘটিত হয়। তেমনি পরের বছরও ১২৯০ হিজরীতে (১৮৭৩ খ্রিষ্টাব্দ) উভয়গ্রহণ আবার সংঘটিত হয়। কিন্তু সেই সময় মাহদী দাবিদার কেউ ছিলনা। তবে হ্যাঁ পরবর্তীতে ১৮৮১ সালে তথা উভয়গ্রহণ সংঘটিত হবার পরবর্তী আট (৮) বছরের মাথায় মুহাম্মদ আহমদ সুদানী সাহেব নিজেকে ইমাম মাহদী দাবী করেন। সেই সময় মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী ছিলেন মাত্র ১২ বছরের কিশোর। এ পর্যন্ত গ্রহণের তিনবারের তথ্য পাওয়া গেল। কাদিয়ানিরাও এর বাস্তবতা স্বীকার করে নিয়েছেন। তাদের পাক্ষিক আহমদী খুলে দেখুন।

(খ) তারপর ১৮৯৪ খ্রিষ্টাব্দে চন্দ্রগ্রহণ হয় ২১ই মার্চ এবং সূর্যগ্রহণ হয় ৬ই এপ্রিল। আমেরিকা বংশোদ্ভূত মিস্টার জোহন আলেকজান্ডার ডুঈ (মৃত ১৯০৭ ইং) সাহেব ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দে নিজেকে মাসীহ মাওঊদের অগ্রদূত বলে দাবী করেন। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা'র ওয়েব সাইটে সেই সময়কার গ্রহণের উপর একটি মানচিত্র দেখতে পাওয়া যায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ১৮৯৪ সালের ৬-ই এপ্রিলের উক্ত সূর্যগ্রহণ বাংলাদেশ এবং বেঙ্গলার উপর দিয়ে ভারতের একদম দক্ষিণ কোণঘেঁষে পূর্ব গোলার্ধে চলে গেছে। বেগুনি রঙ্গের সুরু রেখাটি হতে পাকিস্তান এবং ভারতের পাঞ্জাব এলাকার দূরত্ব অস্বাভাবিক পর্যায়ের।

মানচিত্রে স্থিত 'পাঞ্জাব' স্থলে লাল রঙয়ের ক্রস চিহ্ন দেখতে পাওয়া যায়। বুঝা যাচ্ছে নাসা (NASA)'র বিজ্ঞানীরাও মনে করতেন যে, ওই গ্রহণের দৃশ্য পাঞ্জাব (কাদিয়ান) অধিবাসীদের পক্ষে দেখা খুব একটা সম্ভবপর ছিলনা!

এখানে বলে রাখতে চাই যে, মিস্টার ডুঈ (John Alexander Dowie) সাহেব তিনি হোক ঈসায়ী ধর্মাবলম্বী, কিন্তু মাহদিয়তের কথিত নিদর্শন দুটো তার মাসীহ মওঊদ দাবীকালে সংঘটিত হওয়ার ঘটনা অস্বীকার করার সাধ্য আছে কার? এতে আবারো প্রমাণিত হল যে, তথাকথিত নিদর্শনদুটো কোনো অস্বাভাবিক কিছুনা, প্রকৃতির সাধারণ নিয়মই বটে। যার ফলে একই রমাদ্বানে চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণের ঘটনা রাসূল (সা) এর যুগ থেকে আমাদের এই যুগ (২০১৮ খ্রিষ্টাব্দ) পর্যন্ত অনূর্ধ্ব ১০৯ বার সংঘটিত হয়। মজার ব্যাপার হল, ইতিপূর্বে এই তথ্য আমার নিজেরও জানা ছিলনা। অনলাইনের কল্যাণে এসব জানতে পারি। কাদিয়ানিদের পাক্ষিক আহমদী ১৫ই এপ্রিল ২০১৫ ইং সংখ্যাটিতেও একথা স্বীকার করা হয়েছে।

(গ) তারপর ১৮৯৫ খ্রিষ্টাব্দে ১১ই মার্চ চন্দ্রগ্রহণ হয় আর সূর্যগ্রহণ হয় ২৬ই মার্চ। তখন মাহদী ছিলেন দাবীদার মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী। যিনি ১৮৩৮ সালে হিন্দুস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে গুরুদাসপুর জেলার "কাদিয়ান" গ্রামে চেরাগ বিবি এর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইমাম মাহদী দাবী করেন ১৮৯১ সালে। এই সময় এই গ্রহণ সংঘটিত হয়েছিল পাশ্চাত্যে। অর্থাৎ পশ্চিম গোলার্ধে। কাদিয়ানিদের পাক্ষিক আহমদী সাময়িকীতেও স্বীকার করা হয়েছে যে, ১৮৯৫ সালের এই গ্রহণ পাশ্চাত্যে হয়েছিল, ভারত উপমহাদেশ থেকে এটি কেউ দেখতে পায়নি।

সুতরাং বুঝা গেল, একই রমাদ্বানে চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণের ঘটনা কোনো অসাধারণ কিছুনা। বরং এইরূপ ঘটনা ইতিপূর্বে বহুবার ঘটেছিল বলেই প্রমাণিত। মাহদিয়তের কথিত নিদর্শনের ভাষ্য : آيتين لم تكونا (আয়াতাঈনি লাম তাকূনা) 'এমন নিদর্শনদ্বয় (চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণ) যা (ইতিপূর্বে আর) সংঘটিত হয়নি'- এখন এর কী হবে? অথচ রাসূল (সাঃ) কিংবা কোনো সাহাবী হতে এইরূপ কোনো বক্তব্য প্রমাণিত না থাকা সত্ত্বেও যারা এটিকে মির্যা কাদিয়ানির মাহদিয়তের দলিল(?) মেনে বসে আছেন তাদের জন্য আমাদের আফসোস করা ছাড়া আর কিবা করার আছে!! আল্লাহতালা সবাইকে বুঝার তাওফিক দিন। আমীন।

১৮৯৪ সালের "চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণ" পাঞ্জাবে (কাদিয়ান) দৃশ্যমান হয়নি বলে নাসার মানচিত্রে 'লাল ক্রস' চিহ্ন থাকার প্রমাণ -
এখানে ক্লিক করুন

লেখক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.