নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"নিশ্চয়ই তিনি (হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর রাসূল এবং শেষনবী।\" - সূরা আহযাব : ৪০

NurunNabi

লিখক শিক্ষাবিদ ও গবেষক

NurunNabi › বিস্তারিত পোস্টঃ

মির্যা গোলাম আহমদের বইতে তার বহুরূপী চরিত্র

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৭



আহমদিয়া (অ)মুসলিম জামাত এর প্রতিষ্ঠাতা তথাকথিত ইমাম মাহদী ও নবুওতের দাবিদার মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর বইতে তার-ই বহুরূপী চরিত্রের সামান্য নমুনা

প্রথমেই জেনে রাখুন! মির্যা কাদিয়ানী সাহেব ১৮৬৫ সালে প্রথম ইলহামের দাবী করেন।

# এখানে প্রথম স্কিনশর্ট মতে মির্যা সাহেবের বক্তব্য হচ্ছে, যিনি খোদা থেকে ইলহাম পান তিনি বিনা নির্দেশে কিছুই বলেননা। (রূহানী খাযায়েন ৩/১৯৭)। তার এই বক্তব্য ১৮৯২ সালের দিককার।

# মধ্যখানের স্কিনশর্ট মতে মির্যা সাহেবের স্বীকারোক্তি ছিল, আয়াত আর বহু হাদীস দ্বারা সুস্পষ্ট হয়ে গেছে যে মুহাম্মদ (সাঃ) এর ইন্তেকালের পর সদাসর্বদার জন্য বর্তমানে জিবরাঈল কর্তৃক নবুওতের ওহী বহনকরা নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। (রূহানী খাযায়েন ৩/৪১২)। তার এই বক্তব্যও ১৮৯২ সালের দিককার।

# সর্বশেষ (বাংলা ভাষায় অনূদিত) স্কিনশর্ট মতে মির্যা সাহেবের বক্তব্য হচ্ছে, প্রকৃত সত্য খোদা তো তিনিই যিনি কাদিয়ানে তাঁর রাসূল পাঠিয়েছেন। (দাফেউল বালা [বাংলা] পৃষ্ঠা ১২; রূহানী খাযায়েন ১৮/২৩১)। কিন্তু তার এই বক্তব্য ১৯০২ সালের দিককার।

সম্পর্কিত আলোচনাঃ যিনি ১৮৬৫ সাল থেকেই ইলহাম পাওয়ার দাবিদার তার কাছ থেকে ১৮৯২ সালে মোটা দাগে দুটি বিষয় জানা গেল।

(১) যিনি খোদা থেকে ইলহাম পান তিনি বিনা নির্দেশে কিছুই বলেননা।

(২) মুহাম্মদ (সাঃ) এর ইন্তেকালের পর বর্তমানে জিবরাঈল কর্তৃক ওহী বহন নিষিদ্ধ হয়ে গেছে - মর্মে পবিত্র কুরআনের আয়াত আর বহু হাদীস দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হওয়াটা সঠিক।

তাই এখন প্রশ্ন দাঁড়াচ্ছে, ১৯০২ সালে এসে "দাফেউল বালা" নামক বই লিখতে গিয়ে মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী সাহেব নিজেকে "রাসূল" কিভাবে দাবী করতে পারেন?

তবে কি প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর ইন্তেকালের পর বর্তমানে জিবরাঈল কর্তৃক ওহী বহন নিষিদ্ধ হয়ে গেছে... মর্মে মির্যা কাদিয়ানী যেসব কথা বলেছিলেন সবই মিথ্যা ছিল?

আপনারা কি বলতে চাচ্ছেন যে, তার সেসব কথাবার্তা খোদা তায়ালা'র পক্ষ হতে বিনা নির্দেশে-ই ছিল?

আর যদি মোটা দাগে তার উল্লিখিত কথাগুলো খোদার নির্দেশেই হয় তখন নিচের প্রশ্নটির আদৌ কোনো জবাব থাকেনা! প্রশ্নটি হচ্ছে -

তবে কি একথা মনে করা ঠিক হবে যে, আল্লাহতায়ালা ১৮৯২ সালে মির্যা কাদিয়ানীকে 'মুহাম্মদ (সাঃ) এর ইন্তেকালের পর জিবরাঈল কর্তৃক ওহী বহন নিষিদ্ধ হয়ে গেছে - কথাটি ভুলক্রমে বলেছিলেন? (নাউযুবিল্লাহ) ফলে ১৯০২ সালে মির্যা গোলাম আহমদকে "রাসূল" বানানোর মাধ্যমে তাঁকে তাঁর আগের কথার বর-খেলাফ করতে হল - বলতে হয়"! নাউযুবিল্লাহ। এইরূপ ধারণার পরিনাম ফল কতটা ভয়ংকর তা কি কখনো ভেবে দেখেছেন!?

জ্ঞানীদের ভাবিয়ে তুলে কিনা?

লিখাটি প্রচার করে সত্যটা প্রকাশ করে দিন। যাদের বোধশক্তি আছে তারা ভেবে দেখবে, ইনশাআল্লাহ। লিখকের ফেইসবুক পেইজ থেকে লিখাটির লিংক এখানে চাপ দিন

লিখক, প্রিন্সিপাল নুরুন্নবী।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.